আধুনিকতা ও ধর্মসঙ্কট: প্রসঙ্গ স্যামুয়েল প্যাতির হত্যাকাণ্ড

সুব্রত রায়

 


লেখক ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য

 

 

 

 

আধুনিক পৃথিবীতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সেক্যুলার মূল্যবোধ যত গেড়ে বসছে, ততই রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সমাজজীবনে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে আসছে। অতীতে ধর্মবেত্তারা একথা আঁচ করে আধুনিকতার নানান উপাদানের সঙ্গে মানানসই করে তুলে ধর্মকে টিকিয়ে রাখার কৌশল নিয়েছিলেন। কিন্তু এতেও ইতিহাসের চাকা পেছনে ফেরেনি। একবিংশ শতকে সংঘটিত নানান সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে যে, ক্রমেই পৃথিবীতে ধর্মমুক্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যে দেশগুলোয় মানুষের মাথাপিছু আয় বেশি, অর্থনৈতিক অসাম্য কম, রাষ্ট্র জনকল্যাণমূলক কাজে বেশি বেশি অর্থ বরাদ্দ করে, নাগরিকরা পর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ পায়, সেই দেশগুলোয় ধর্মমুক্ত মানুষের সংখ্যা ততই বেশি এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী। সমীক্ষা এটাও দেখাচ্ছে যে,পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই নৈতিকতার বিকাশের জন্য ধর্মের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে না। পৃথিবীর সুখীতম দেশগুলোয় ধর্মীয় বিশ্বাস আজ দৃষ্টান্তমূলকভাবে কম। কাজেই, আধুনিকতাকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে দিয়ে ধর্মকে যে আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না— এই উপলব্ধি থেকেই শুরু হয় ধর্মগ্রন্থের প্রতিটি কাহিনি ও নির্দেশকে আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ ও প্রয়োগ করার ভাবনা। এই ভাবনা থেকেই ইতিহাসের যাত্রাপথে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠা ধর্ম, ঊনবিংশ শতকের শেষপাদে এসে সমাজব্যবস্থার উপরে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনার জন্য দাঁতনখ বের করতে শুরু করে এবং সূত্রপাত হয় মৌলবাদের। সমালোচনার কষ্টার্জিত ঐতিহ্যকে, শিল্পসাহিত্যে ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রকাশকেও ধর্ম নিয়ন্ত্রণের আওতায় এনে ফেলতে চায়। এই অর্থে, মৌলবাদ হল আধুনিককালের এক সামাজিক-রাজনৈতিক পরিঘটনা। ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত সোনালি কল্পলোকের আশ্বাস দিয়ে নিজ নিজ ধর্মকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ হল ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর একপ্রকার তৎপরতা, আধুনিককালের ‘সামাজিক-সাংস্কৃতিক দূষণ’-কে রোধ করার নামে ধর্মের এক মরণকামড়।

সম্প্রতি প্যারিসে স্যামুয়েল প্যাতির নৃশংস হত্যা এই মৌলবাদেরই এক কদর্য বহিঃপ্রকাশ। ভারতীয় উপমহাদেশে একইভাবে অভিজিৎ রায়, দাভোলকররা প্রাণ দিয়েছেন। পৃথিবীর সমস্ত প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই মেতেছে এই কুৎসিত খেলায়। অনেকেই ভাবেন যে, ‘নাইন-ইলেভেন’-এর ঘটনা থেকেই এর সূত্রপাত। তাঁরা ভুলে যান ১৯৯৫ সালের দুটি ঘটনার কথা। প্রথমটি ওকলাহামা ফেডেরাল বিল্ডিং-এ ট্রাক-বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা, যাতে ১৬৮ জন নিহত হন, ৬৮০ জন গুরুতর আঘাত পান এবং বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা ছিল যে পার্শ্ববর্তী ২৫৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটিয়েছিল প্রোটেস্ট্যান্টদের মধ্যেকার একটা গোষ্ঠী। ২০০১ সালে ‘নাইন-ইলেভেন’-এর ভয়াবহতার আগে এটিই ছিল আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নাশকতার ঘটনা। অন্যটি ঘটেছিল টোকিও শহরের টিউবরেলের ভেতরে। বিষাক্ত নার্ভগ্যাস ‘সারিন’ ছড়িয়ে মেরে ফেলা হয় নিরীহ যাত্রীদের। এই ঘটনার পেছনে ছিল বৌদ্ধদের একটি গোষ্ঠী। পৃথিবীতে ‘অহিংসা ও শান্তির ধর্ম’ হিসেবে চিহ্নিত বৌদ্ধদের নৃশংসতা দেখলে সহজেই আন্দাজ করে নেওয়া যায় অন্য ধর্মগুলোর কাজকারবার। শ্রীলঙ্কায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দাঙ্গায় হাজার হাজার অবৌদ্ধদের তারাই খতম করে। ২০১৬ সাল থেকে বার্মায় রোহিঙ্গাদের ওপরে কোন অত্যাচারটাই বা বাকি রেখেছে তারা! ভারতেও গত কয়েক বছরে হিন্দুত্ববাদের জাগরণে দাঙ্গাহাঙ্গামা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জাতপাতের নিপীড়ন, অন্য ধর্মের লোকদের জীবন দুঃসহ করে তোলা— সবই বেড়েছে সাংঘাতিকভাবে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা ও শিক্ষাদীক্ষার হিন্দুকরণ ঘটছে অতি দ্রুত। বিগত তিন দশকে পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ, শতাধিক প্রাণ গেছে। খ্রিস্টান অধ্যুষিত পশ্চিমী দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী, এবং সেখানে রাষ্ট্র ও সমাজের গণতান্ত্রিক কাঠামোটাও অনেক পোক্ত, ফলে সেখানে খ্রিস্টান মৌলবাদীদের নাশকতামূলক কাজকর্ম কম, যদিও প্রশাসন-শিক্ষা-অর্থনীতিকে পরোক্ষে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা সবসময়েই চালু আছে তাদের তরফে। বস্তুত, আধুনিক মৌলবাদের মূল তত্ত্ব তারাই আবিষ্কার করে ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে। আবার, খুব বৃহৎ ও কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত খ্রিস্টান সন্ত্রাস না থাকলেও, ছোট ছোট এ ধরনের গ্রুপের অভাব নেই, যাদের ধর্মোন্মত্ত সদস্যরা (সাধারণত পাগলাটে গোছের শ্বেতাঙ্গ-শ্রেষ্ঠতাবাদী) মাঝেসাঝেই জনবহুল স্থানে হঠাৎই বন্দুক সহ হাজির হয়ে গুলি চালিয়ে নির্দোষ লোকজনকে মারতে থাকে, এবং শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে বা পুলিশের গুলি খেয়ে মরে।

কাজেই, মৌলবাদী সন্ত্রাসকে ইসলামের সঙ্গে সমীকৃত করে দেখা ও দেখানোর বিপজ্জনক প্রবণতাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও, মৌলবাদ আসলে আজ এক বৈশ্বিক সমস্যা— শুধু ইসলামের নয়, সব ধর্মেরই।

এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে মুসলিম মৌলবাদের যে দাপট দেখা যাচ্ছে, তার মূলে আছে ইসলামিক স্টেটের উদ্ভব, মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মৌলবাদীদের শাসনক্ষমতা হাতিয়ে নেওয়া ও সম্পদের দখলদারি। লক্ষ করলেই বুঝবেন যে, বিংশ শতকের গোড়ার দিকেও মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে মানবাধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা, লিঙ্গসাম্য যে জায়গায় ছিল, আজ পরিস্থিতি আমূল বদলে গেছে। ফ্রান্সের কথা বিবেচনা করলে দেখব, ১৯৮৯ সালে ওদেশে প্রথম স্কুলে হিজাব ব্যবহারের ব্যক্তি-অধিকার দাবি করা হয়, আগে কখনও এ প্রশ্ন ওঠেনি। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা, রাশিয়া ইত্যাদি জায়গা থেকে জীবনজীবিকার সন্ধানে মুসলিমদের অনুপ্রবেশ সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এদেশেই। ওদেশে প্রতি ১১ জন ফরাসির মধ্যে এক জন মুসলিম। বিভিন্ন গবেষণায় কিন্তু উঠে এসেছে যে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তুলনায় ফ্রান্সে মুসলিমরা জাতীয় জীবনের সঙ্গে সবচেয়ে ভালোভাবে জুড়ে গিয়েছেন। ইউরোপের বেশিরভাগ মানুষ যখন মুসলিম অভিবাসনের বিরুদ্ধে, ফ্রান্সে তখন ৭২ শতাংশ মানুষ মুসলিমদের সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথাই বলেন। ২০২০ সালের একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত হয় যে, মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৪০ শতাংশ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে ফরাসি প্রজাতান্ত্রিক মূল্যবোধের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন। কিন্তু একই সমীক্ষা এটাও বলছে যে, ২৫ বছরের নিচে থাকা তরুণ প্রজন্মের বেলায় এই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ। লক্ষণীয় যে, স্যামুয়েলের হত্যাকারী একজন টিনএজার। তার পরিবার ১৩ বছর আগে চেচনিয়া থেকে শরণার্থী হিসেবে ফ্রান্সে এসেছিল, পরিবারের অন্য একজন সদস্যের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের যোগসূত্র ইতিমধ্যেই জানা গেছে। বস্তুত, এই শ্রেণির মানুষরাই হল ধর্মবেত্তাদের মগজ ধোলাইয়ের সহজ শিকার ও মৌলবাদের ‘সাপ্লাই লাইন’।

শার্লি এবদোর কার্টুন নিয়ে ফ্রান্সে প্রথম আলোড়ন শুরু হয় ২০০৬ সালে, ২০১২ সালে প্রকাশিত কার্টুনগুলোকে ঘিরে এই উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। এর অনেক আগেই কিন্তু ফ্রান্সে মৌলবাদী সক্রিয়তার একাধিক দৃষ্টান্ত আছে। ১৯৮০-র দশকে ঘটা দাঙ্গাগুলোর পেছনে যেমন উদ্বাস্তুদের ভূমিকা ছিল, তেমনি ১৯৯০-র দশকে আলজিরীয় আর্মড ইসলামিক গ্রুপ অন্তত তিনটি বড় আকারের নাশকতা ঘটায়। এর পরবর্তী ঘটনাগুলোয় আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের অস্তিত্বের নিদর্শন ফুটে উঠতে থাকে। বিশেষভাবে লক্ষ করার বিষয় হল, স্যামুয়েলকে জেহাদি হত্যার ঘটনাটা এমন সময়ে ঘটল যখন ফরাসি পার্লামেন্টে মুসলিম র‌্যাডিক্যালিজ়ম বিষয়ক একটি বিল পাশের তোড়জোড় চলছিল। এবং একই সঙ্গে, আদালতে চলছিল পত্রিকা দপ্তরে ঢুকে হামলায় শার্লি এবদোর ৮ কর্মীর মৃত্যু নিয়ে ২০১৫ সালের মর্মান্তিক ঘটনার শুনানিও। কাজেই, এই হত্যাকাণ্ডকে কোনও উন্মাদ কিশোরের ব্যক্তিগত হঠকারিতা হিসেবে দেখা সম্ভব নয়। উলটো দিক থেকে, ওদেশে ২০১৫ সালের ঘটনার পর থেকে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যও অনেকখানি বেড়েছে। মসজিদ ভাঙচুর করা, কবরখানায় ঢুকে তাণ্ডব চালানো, হিজাব পরার জন্য হেনস্থা করা ইত্যাদি ঘটছে।

বস্তুত, গোটা বিশ্ব জুড়ে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের সার্বিক দায় ইসলামের কাঁধে চাপানোর বদ রাজনৈতিক পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে ফিরছে। ইসলামে বিশ্বাসের সঙ্গে সন্ত্রাসের সমীকরণ তৈরি করে ক্রমাগত হেট ক্যাম্পেন চালানোর ফলে অসাম্যের শিকার ও হতদরিদ্র পরিবার থেকে দিব্যি সন্ত্রাসের ‘সাপ্লাই লাইন’-টি পুষ্ট হয়ে চলেছে। এমন নয় যে, প্রতিটি মুসলিম তাদের ধর্মগ্রন্থকে আক্ষরিকভাবে ও চিরঅভ্রান্ত বলে গ্রহণ করে। এমন নয় যে, প্রতিটি মুসলিম ধর্মগ্রন্থের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত বলে মনে করে। সবচেয়ে বড় কথা হল, অনেক মুসলিমই ধর্মীয় আইনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে আদর্শগতভাবে সহমত পোষণ করেন না। কিন্তু দুনিয়াসুদ্ধু মুসলিমকে সমাজজীবনে ‘অপর’ বলে চিহ্নিত করার মাধ্যমে যে ‘ইসলামোফোবিয়া’ তৈরি হয়েছে, তার বিষময় ফল ভোগ করছে গোটা বিশ্ব। স্যামুয়েলকে খুন করার ধরনটা দেখেই বোঝা যায়, জেহাদি কিশোরটি কতখানি ঘৃণা মনের মধ্যে পুষে রেখেছিল!

আজকের দুনিয়ায় সামাজিক অসাম্য টিকিয়ে রাখার জন্য প্রাচীনকালের মতো ঐশ্বরিক জাস্টিফিকেশন লাগে না বটে, কিন্তু মানুষকে অদৃষ্টে বিশ্বাসী করে রাখতে পারলে অনেকখানি সুবিধে পাওয়া যায়। এজন্য ধর্মকে টিকিয়ে রাখার জন্য ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র পেছনের দরজা দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ায়। আবার, উচ্চশিক্ষার সুযোগপ্রাপ্ত এলিটশ্রেণি যখন কোনও দেশে সেক্যুলার শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তখন অ্যান্টি-এলিটিস্ট হয়ে ওঠার ভান করে মৌলবাদীরা ধার্মিক আমজনতার সমর্থন আদায় করে। আফগানিস্তান, মিশর, বাংলাদেশে তাইই ঘটেছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের শাসনব্যবস্থা, আইনকাঠামো ইত্যাদি সেক্যুলার হয়ে উঠলেও অসাম্যের সমস্যাটা কিন্তু ভীষণভাবে জ্বলন্ত হয়ে রয়ে গেছে। মৌলবাদীরা এই সমস্যা কাজে লাগিয়ে সহজেই আমজনতার ‘কাছের মানুষ’ হয়ে উঠছে।

গোষ্ঠীচেতনা, নিরাপত্তার বোধ, ‘অপর’-এর ধারণা— অর্থাৎ টিকে থাকার আদিম প্রবৃত্তিগুলো নানা অমানবিক দিকে মানুষকে ঠেলে দিতে পারে। যদি এমন কোনও ব্যবস্থা আমরা নির্মাণ করতে পারি যেখানে ওই প্রবৃত্তিগুলো অমানবিকতায় নিয়ে যাবে না, তাহলে মৌলবাদীরা আর তাকে কাজে লাগাতে পারবে না। কারুর নিরাপত্তার মাপকাঠিটা যদি অন্য গোষ্ঠীর প্রতি বিরূপতা, হিংস্রতা থেকে বিযুক্ত হয়ে যায়, তাহলে অন্যরকম ঘটবে। যথার্থ সামাজিক বোধ, যেখানে অন্যদের প্রতি ভালোবাসা, সহমর্মিতা ইত্যাদিকে মানুষ নিজের নিরাপত্তার সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবে, তাহলে অমানবিকতা জমি হারাবে। মৌলবাদের ভিত্তিটাই নড়বড়ে হয়ে যাবে। ইতিহাসের পাঠ দিতে গিয়ে স্যামুয়েলকে আর জেহাদের শিকার হতে হবে না।

 

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4880 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

আপনার মতামত...