বর্ণালী কোলে
ধর্ষকাম
মাথার মধ্যে জাগ্রত আগ্নেয়গিরি
শরীরে, মনে ফুটন্ত লাভার তীব্র প্রদাহ
চোখে ঘোর
সময় চিবুতে চিবুতে
ঘোলাটে হয়ে আসে ঘরের দেওয়াল
যেন ফসিলের ছাপ
শূন্যতার খাদে অবিরাম পাক
খাওয়া, স্নান, খাওয়া
ক্রোধ, আগুন
কীটের মতো পায়ের নীচে চেপে ধরি মানুষের মন
উল্লাস
মাথার চারদিকে অসংখ্য শিং
অট্টহাসে ভাঙে কাচের দেওয়াল
আত্মহননের আগে
ঘাস মারা ওষুধ.. বমি.. আদিবাসী পাড়ায়.. বামাচরণ
অন্ধকারের আর্ত ঘোষণা..
কাল দেখেছিলাম তাকে। মানুষ না, কান্না চলেছে।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুঃশ্চিন্তার সর্পদংশন
থমথমে মুখ। বদরক্তের মতো বেদনা..
মরীচিকা
জল
তবুও বিশ্রাম জানে
পুষ্করিণী, খাল, বিল, সরোবর
নৈঃশব্দ্য জানে
গৃহ কখনও শান্ত হয়?
সর্বদা ঝনাৎ, ঝনাৎ
কলহ, উল্লাস
ছোট ছোট গাছ, কবিতাফুল
মরীচিকা
গৃহত্যাগ
প্রতিদিন কম্পাস দিয়ে বৃত্ত আঁকি
একই, একই, একই
আত্মীয় নই, পরিজন নই ,আমরা যেন পাশাপাশি শত্রু দেশ
কাঁটাতার, নীচতার প্রহরীবৃন্দ
হাসলে হায়নার দাঁতের ধ্বনি
মাংসল থাবা
কাশফুল, ধানের শীষ, দেবীর চরণ অন্য আলোয়
ছাদ
এখানে আমার হাঁটার শব্দ
এখানে আমার অশান্ত মন
মাঝেমাঝে প্যারাপেট ধরে দাঁড়াই
অকস্মাৎ মুখোমুখি ছাদ, পাশের বাড়ির
অনাবিষ্কৃত বিস্ময়
শব্দ নেই, শান্তির আঁচল
স্তব্ধ হৃদয়
মাথা নীচু, চোখ নীচু
নিঃশব্দ ঢেউয়ের মতো প্রত্যাখান
চরণ ছুঁয়ে যায়
রোগা, রোগা সালোয়ার কামিজ, ল্যান্ডফোন
ভালোবাসার চিঠি
ইতিহাসের পৃষ্ঠায় শায়িত
আজ কোনও অভিযোগ নেই
নির্জন গোধূলিছাদের মতো তুমি, বৃষ্টিঘ্রাণ