ভেবে রাখা সবকিছু বলা হয়ে গেলে
শিশিরপাতের অবশিষ্ট কারণ পর্যন্ত বেঁকে যায় মোহ
স্থবিরতা পেরোনোর পাঠক্রমে তর্জমা হয়ে ওঠে স্মৃতি
নৈঃশব্দ মুখর হয়ে ওঠে… ধ্রুবকে রেহাই পায় ত্রুটিবিচ্যুতি
ভালোবাসাটির কাছে এসে থামে নিবিড় স্বনন।
ব্রত
করতলে ফুটে ওঠে গর্ভযাপনের খতিয়ান
দূরত্বের পরিশোধ হতে থাকে ভ্রান্ত সাঁকোয় অবিরাম
যতিচিহ্নহীন লেখাটিও ভেসে ওঠে অবতল বোধে
অলঙ্ঘ্যের ধারণা ব্যেপে আসে সম্পর্কের আনাচেকানাচে
এইটুকু তিথি পালনীয় হয়ে ওঠে
লব্জ
সুদূর অবধি যাওয়া আসলে কিনার অভিমুখে
প্রতিফলনের ছলে আনতি ফুরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া
থৈ থৈ চাঁদমারি… কে আবেশ পার হয়ে যায়
একাকী বৃত্তে রাখা ব্রজবুলি ভরে আসে সমীহর ধুন
অভ্যাস মিশে আসে প্রাত্যহিকতায়
ফেরা
পুনশ্চতে রাখা শব্দরা আত্মায় রেখেছে আঙুল
বেলাশেষ ঢেউ বয়ে যেতে যেতে বলে গেল
বালিয়াড়ি সবকিছু জানে… মদগর্বী অস্ত্রে জমে ওঠে আলস্যরেণু
এর পর বারিষঋতুর কাছে দ্রুতি জিম্মা রেখে
বিকাশ দাসের কবিতা মানুষী মায়া আমার সন্ন্যাস ছিল না কিন্তু বৈরাগ্য ছিল— আমার আসঙ্গলিপ্সা ছিল না কিন্তু সঙ্গকামনা ছিল— আমার রৌদ্র ছিল না কিন্তু মেঘ-চাপা আলো ছিল— আর ছিল ছায়া— মানুষী মায়া মানুষী মায়া মানুষী মায়া... একটি প্রকৃত প্রকৃতিবিষয়ক কবিতা অনেকদিন পাহাড়ের কাছে যাওয়া হয়নি দীর্ঘ বর্ষাকালীন মেঘাচ্ছন্নতায়…
পাঁচটি কবিতা আগুন জ্যোৎস্না এসে পড়ে। সোনালি বালির গায়ে ধূসর আঙুল বানিয়ে চলেছে অস্থায়ী খড়কুটো। ঢেউ কি ভঙ্গুর তবে? বিশ্বাসঘাতক! ট্রামের মৃদু ঘণ্টার সাথে আমার শীতের শহর যেন দেওয়ালে টাঙানো এক ছবি। থেকে থেকে ছুঁয়ে যাওয়া আর তার কারচুপি! তারাদের দেখা হলে লাইট হাউজে প্রেম বাড়ে। আলোর গোঙানি শুনি।…