সুমন সাধু
এক
হেঁকে যাওয়ার শব্দে কোনও প্রত্যাশা নেই। ভাবী বিকেলের দিকে গড়িয়ে যাওয়া সূর্যেরও কি কেবল নেই-এর সম্ভার? অথচ সংসারে যাদের মন নেই, হা-পিত্যেশ ছেড়ে তাদের কাছে পৌঁছে যাক মালকোষ। ইহজন্মের আলো দিক কপালের সোমত্ত টিপে।
দুই
আর এইভাবে দিন ফুরোল। রেডিওর গজল তখন মধ্য গগনে। কিশোরী আমনকর গেয়ে যান এ ভরা ভাদ্রের বিরহ। কী উত্তাপ শেষে একটা দীর্ঘ হাঁফ। আমার মনে পড়ে একটা আঁচিল। স্কুল বয়সে মা ভেবে জড়িয়ে ধরেছিলাম যাকে।
তিন
ঝিমরাতের মাঝ বরাবর সুর খেলে যায়। ঘড়ির কাঁটায়, বইয়ের পাতায়, বারান্দার গাছে…। ওলো সই ওলো সই— গান ধরবেন শান্তিদেব ঘোষ। জানান দেবেন বহুদিন রাস্তায় মানুষের গল্প নেই। বেড়ালটা ভাত খেতে আসে না আর।
চার
অথচ আজকের রাত কী কঠিন একা। একটু পরেই জানলার গায়ে লাগবে ভোর হয় ভোর হয় ভাব। ঘর জুড়ে একলা অনবরত একঘেয়ে হেঁটে বেড়ান ঋতু গুহ, সুবিনয় রায়। মা বলে, ঘুম সরে গেলে ভোর আসে, পাখি ডেকে চলে যায়।
পাঁচ
আজ আর আমাদের ঘুম আসবে না। কেন যে এত খুন এত চিৎকার। শান্ত হলে পর অন্ধকার নেমে আসে। রেডিওতে ঘুরে চলেন ফিরোজা বেগম। একটানা। দীর্ঘমেয়াদি। খুন নেই। চিৎকার নেই। একা মানুষের শীতল দুটো চোখ জেগে রয় পুব আকাশ ঘেঁষে।