২০২১ বামেদের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার নির্বাচন

সুমন সেনগুপ্ত

 

 


লেখক পেশায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুকার

 

 

 

এই মুহূর্তে  রাজ্য রাজনীতি সরগরম। কোন দলের লোক কোন দিকে যাচ্ছেন? এই নিয়ে সকালে গণমাধ্যম এবং আজকের বৈদ্যুতিন মাধ্যমগুলো উত্তেজিত। এ যেন আমাদের ছোটবেলার মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের দলবদল চলছে। অবশ্য এই তুলনাটা অনেকটা আইপিএল বা আইএসএলের নিলামের মতো ঠেকছে। যে দলের কাছে বেশি পয়সা, তিনিই সমস্ত কিছুর মালিক। আদর্শের কোনও বালাই নেই, যে পারছে সে ক্ষমতাবানের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করছে। ছোটবেলায় দেখা, কাঁধে ঝোলা, ব্যাগে খবরের কাগজ এবং রং (আলতা) তুলি নেওয়া মানুষদের দেখা পাওয়াই আজ দুর্লভ। মানুষের সুখে-দুঃখে যে মানুষদের দেখা যেত তারা হঠাৎ যেন উবে গেছেন। যারা সাধারণ নির্বাচক, তাঁরাও এই আগুনে আঁচ পোহাচ্ছেন। চায়ের দোকান থেকে অফিস আড্ডা সর্বত্র এক আলোচনা। শুভেন্দু কি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন, নাকি বামেদের কেউ কেউ সরাসরি বাম থেকে জয় শ্রী রাম বলবেন? অনেকে বলছেন এই যে বামেরা একটা বিন্দু বসিয়ে রাম হচ্ছেন, এটা বরং ভালো, তলায় তলায় বামে থেকে রামে ভোট দেওয়ার থেকে।

আন্দোলনের বর্শামুখ এই রাজ্যের ক্ষেত্রে কোনদিকে থাকবে সেখান থেকেই কি তাহলে বিতর্কের সূত্রপাত? সারা ভারতে সমস্ত রাজ্যে যেখানে বিজেপি মূল সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে, তাহলে কি এরাজ্যে সেটা কোনও সমস্যা নয়? এই রাজ্যের শাসকেরা যারা নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তারা কি তবে মূল শত্রু? যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে তাদের আমলেই সাম্প্রদায়িক শক্তির বৃদ্ধি ঘটেছে, তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে পারলেই কি একসঙ্গে বিজেপিকেও হারানো সম্ভব? অনেক চিন্তাশীল নির্বাচক এটাও ভাবছেন। সামাজিক মাধ্যমে কে ঠিক বাম, কে নকল বাম, তা নিয়ে চুলচেরা বিতর্ক চলছে। যদিও এই বির্তকগুলো সত্যিকারের রাজনীতির ময়দানে আছে কি না, তা পরের কথা, কিন্তু আলোচনা তো চলছে।

এবার ফিরে যাওয়া যাক সেই মৌলিক কথায়, একজন নির্বাচক কী দেখে ভোট দেন? আজকের সামাজিক মাধ্যমের সময়ে এটা আরও বেশি করে জানার প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাম্প্রতিক বিহার নির্বাচনের উদাহরণ দেওয়া প্রয়োজন। বিহারে ভোট হয়েছে তিন দফায়। ফলাফল এবং প্রচারের ধরনকে যদি একটু ভালো করে লক্ষ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, প্রথম দু-দফার ভোটে বিরোধী দলেরা যথেষ্ট ভালো ফল করেছেন। কিন্তু শেষ দফা অর্থাৎ সীমাঞ্চলে যখন ভোটের প্রচার চালু হয়, তখন দেখা যায় যে প্রধানমন্ত্রী এবং আরও যারা বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন, তাঁরা সকলেই তাঁদের পরিচিত মাঠ, অর্থাৎ বিভাজনের যে রাজনীতি তাঁরা করে অভ্যস্ত, সেই লাইনেই প্রচারকে কেন্দ্রীভূত করেছিলেন। এর একটা কারণ অবশ্যই এই অঞ্চলের মুসলমান জনসংখ্যা আগের দুটো অঞ্চলের চেয়ে বেশি, এবং এই অঞ্চলে মিমের রাজনৈতিক প্রভাবও কিঞ্চিৎ বেশি। ফলে তাঁদের প্রয়োজন ছিল হিন্দু ভোটকে এক জায়গায় করা। খবরে প্রকাশ যে সারা বিহারে, বিজেপির মোট ৭২০০০ হোয়াটস্যাপ গ্রুপ সক্রিয় ছিল। তার ঠিক পরেই ছিল কংগ্রেসের যার সংখ্যা ৬০০০। এবার নিশ্চিত বোঝা যাচ্ছে যে কেন বিজেপি এই অঞ্চলে প্রচার করেছে যে কাশ্মিরে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে ভালো হয়েছে? আসলে প্রথম দু-দফার নির্বাচনের খবর তাঁদের কাছেও ছিল যে তারা খুব ভালো ফল করবেন না, তাই শেষ দফায় তাঁরা আর উন্নয়নের কথা, বিকাশের কথা বলে ভোট চায়নি। এমনিতেই করোনার সময়ে লোকজন বাড়িতেই থেকেছে তার ওপর তারা আরও বেশি সময় ব্যয় করেছেন ফেসবুক, হোয়াটস্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যমে। সুতরাং ফল যা হবার তাই হয়েছে। মহাগঠবন্ধন, যতই তাদের প্রচারকে বিজেপির অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে ঘোরাতে চেয়েছে, ততই, বিজেপি চেষ্টা করেছে, কী করে ওই আলোচনা থেকে ভোটারদের দৃষ্টি সামাজিক বিভাজনের দিকে ঘোরানো যায়।

ইদানীং শোনা যাচ্ছে, যে এই রাজ্যের শাসকেরা দশ বছরে তাদের উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে ভোটে নামবেন। তা নামতেই পারেন, সেটা তাঁদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, কিন্তু তারা পারবেন তো বিজেপির এই বিভাজনের রাজনীতির মোকাবিলা তাদের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে করতে? যেহেতু দশ বছরে যা কাজ হয়েছে, তার পাশাপাশি বেশ কিছু দুর্নীতির ছবিও আছে, তাই সামাজিক মাধ্যমের এই যুগে শুধু উন্নয়নের প্রচার করে কি বিজেপির এই বিভাজনের রাজনীতির মোকাবিলা করা সম্ভব? যেহেতু প্রায় সব গণমাধ্যমে এখন বিজেপির প্রভাব, তাই কোনওভাবেই এই আগ্রাসী বিভাজনের রাজনীতিকে শুধু উন্নয়নের কথা বলে, শুধু ‘কন্যাশ্রী-যুবশ্রী-পথশ্রী’ এই জাতীয় প্রকল্পের প্রচার করে কি তৃণমূল পারবে বিজেপির বাংলা দখলকে রুখতে?

গত ১০ বছরে রাজ্য এবং দেশের রাজনীতিতে কী কী পরিবর্তন হয়েছে সেটা দেখাটাও জরুরি। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ৩৪ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন, তখন তাঁর বিরোধী হিসেবে ছিল শুধু বামেরা। আর তিনি তখন বলেছিলেন যে ‘অনেকদিন আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন এবার আপনারা চুপ করে বসুন, আমি বাংলার উন্নয়ন করব।’ কী করেছেন, না করেছেন সেটা অন্য কথা, কিন্তু যেটা এই কথাটা বলার ফলে হয়েছে তা হল, বামেরা সত্যিই চুপ করে গেছে। তারপর দেশের রাজনীতিতেও পট পরিবর্তন হয়েছে, ২০১৪ সালে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারকে হারিয়ে কেন্দ্রের মসনদে বসেছে এমন একটি দল যাদের শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক বললে কম বলা হবে, তারা একাধারে সাম্প্রদায়িক, অন্যদিকে কর্পোরেটের দালাল। তারা শুধুমাত্র সংবিধান বদল করার কথা বলে না, সমস্ত বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে তা তারা করে দেখায়। তারা কাশ্মিরে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে রাতারাতি অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু জারি করে দেয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রামমন্দির বির্তককে রামমন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করে ইতি টানার মতো কাজ করে ফেলে, তারা সমস্ত আইন- আদালতকে হাতের মুঠোয় নিয়ে অসমে এনআরসির নামে ২০ লক্ষ মানুষকে দেশহীন বানিয়ে দেয়। এগুলো তারা সবই করে একটা মায়া বা জাদুর মোড়কে। সবেতেই তাদের এক যুক্তি, হিন্দুরা বিপদগ্রস্ত, মুসলমানেরা বেড়ে যেতে পারে সংখ্যাতে, তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। এই সমস্ত প্রচারের পিছনে কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের একটা ভূমিকা থেকেছে। আর এখানেই মূল ধারার বামেরা হেরে গেছে, তারা বুঝতেই পারেনি, যে দেশে এই যে বর্গিরা এসে গেছে তারা রাজ্যটাকেও ছাড় দেবে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে তারা যে চুপ করে গেলেন এবং ২০১১ সালের হেরে যাওয়ার যে যন্ত্রণা তা থেকে বেরিয়ে না আসতে পেরে বড় বিপদকে বুঝতে না পেরে ছোট ছোট দুর্নীতি এবং মমতাকে পুরো ১০ বছর ধরে ব্যক্তি-আক্রমণ করে গেলেন তারা আসল সমস্যাটা ধরতে পারলেন না এবং তাদের পার্টি কর্মীদেরও বোঝাতে পারলেন না। এর মাঝে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল নির্বিচার সন্ত্রাস করল (যদিও পাশের রাজ্য ত্রিপুরাতে প্রায় সমস্ত পঞ্চায়েত বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়াটা খবর হয় না) এবং আক্রান্ত হওয়া বাম কর্মী-সমর্থকদের পাশে নেতৃবৃন্দ না দাঁড়ানোর ফল যেটা হল, বিজেপি সুযোগ পেল। আইনি এবং আর্থিক সহায়তা নিয়ে তারা হাজির হল, সেই মানুষদের পাশে আর তারাও দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিলেন। বাম নেতৃবৃন্দ তখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং বৈদ্যুতিন গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে ব্যস্ত থাকলেন, ওদিকে বিজেপি নিজের সংগঠন বাড়াতে লাগল।

এই ১০ বছরে তৃণমূল কী ভুল করল আর বামেরা কী ভুল করল সেটা বোঝাটা জরুরি। তৃণমূল একাই শাসক একাই বিরোধী হওয়ার চেষ্টা করল, ভয় দেখিয়ে, মেরে-ধরে, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তারা একের পর এক বিরোধী কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়ার কাজটা শুরু করল, কখনও কংগ্রেস, কখনও বাম বিধায়ক এবং কর্মীদের ভাঙিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর এই কাজটাই বিজেপির কাজটা আরও সহজ করে দিল। পাশাপাশি যে বাম কর্মীরা তৃণমূলে গেলেন না, স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলকেই মূল শত্রু ভেবে আন্দোলনের বর্শামুখ তাদের দিকেই ঘোরালেন। ২০১৬ সালে ৮ই নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি নোটবন্দি করলেন, সমস্ত সাধারণ মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, বামেরা মনে করলেন সারদা বা নারদ কেলেঙ্কারিতে যে তৃণমূলের নেতারা জড়িত, তারা তো বিপদে পড়লেন, ফলে তারা চুপ করে থাকলেন। মানুষের অসুবিধা হলেও কিছু বললেন না। ব্যাঙ্ক থেকে গ্যাসের সাবসিডি সবেতেই যখন আধার সংযোগ নিয়ে মোদি সরকার চাপাচাপি করছেন, বামেরা ভাবলেন এই তো তৃণমূলের নেতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবার বন্ধ হবে, অথচ হয়রানি যে সাধারণ মানুষের হচ্ছে সেটা নিয়ে তারা রাস্তায় নামলেন না। জিএসটির ক্ষেত্রেও এক সমস্যা। যে বামেরা চিরকাল রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করেছেন সেই বামেরা যখন রাজ্য বিপদে পড়ছে অর্থনৈতিকভাবে তখনও কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন না। মুর্শিদাবাদ থেকে যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৬ জন মুসলমান যুবককে ধরে নিয়ে যায়, তখনও তার বিরোধিতা করার বদলে, কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে তার ফিরিস্তি দিলেন, অথচ তাঁরা ভুলে গেলেন যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কী বলেছিলেন মাদ্রাসা সম্পর্কে। তাহলে কি ধরে নিতে হবে তারাও বিশ্বাস করেন যে মুসলমান মানেই সন্ত্রাসবাদী? লকডাউন হল, মানুষ কাজ হারালেন, বামেরা জোরালো দাবি করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে, সবাইকে ন্যূনতম টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হোক। তাঁরা আওয়াজ তুললেন, তৃণমূল চাল চুরি করছে বলে, অবশ্যই সেটাও করা উচিত, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যে সব কিছু এই ৬ বছরে ডাকাতি করে নিল, সেদিকটা তারা দেখতে পেলেন না, ফলে আন্দোলনের দাবিদাওয়া কখনওই কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে হল না। ধীরে ধীরে বিজেপি তার সংগঠন বিস্তার করল, আর বামেরা কেন্দ্র এবং রাজ্যে আরও প্রাসঙ্গিক হওয়ার বদলে আরও বেশি বেশি সামাজিক মাধ্যমে ঢুকে পড়লেন। (তাদের নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রভাব প্রায় ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে)। যে সময়ে আরও বেশি রাস্তায় থাকার প্রয়োজনীয়তা ছিল সেই সময়ে তারা ঢুকে পড়লেন ফেসবুক আর হোয়াটস্যাপে। কিন্তু যে ফেসবুক আর হোয়াটস্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করে বিজেপি যার অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠেছে, সেই বিজেপিকে কি এই মাধ্যম দিয়ে হারানো সম্ভব? অন্তত বিহার বা গত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের ফলাফল তো তা বলে না।

শেষ করা যাক ২০২১ সালের নির্বাচনে কী হতে পারে তা দিয়ে। প্রথমত আমি জ্যোতিষবিদ্যার চর্চা করি না, কিন্তু তাও একটা কথা বলা যেতে পারে, বামেরা যদি বিজেপির বিপদটা অনুধাবন করতে পারেন এবং এটা মনে করতে পারে যে তাদের লড়াইটা আরও শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী, তারা যদি এটা মনে করতে পারেন যে এই কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু ক্ষমতায় এসেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে, এবং তারপরে তারা গত ৬ বছরে দেশের বুনটটাকেই নষ্ট করে দিয়েছে তবে তারা তৃণমুলের বিপদকে বড় করে না দেখে বিজেপির দিকেই আক্রমণ শানাবেন। মুখে মোদি এবং মমতা দুজনকেই একসঙ্গে সরাতে হবে বলে, আগে মমতাকে সরিয়ে বিজেপিকে এনে তারপর বিজেপিকে সরাবেন এটা যদি ভাবেন, তাহলে তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কারণ তাদের আগে এটা বুঝে নিতে হবে, এটা তাদের প্রথম হবার নির্বাচন নয়, এটা তাদের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার লড়াই। তৃণমূলকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার লড়াই। কারণ তৃণমূল কোনও দল নয়… আর বিজেপি একটি সংগঠিত মিলিশিয়া। বিজেপি মানে অন্য যেকোনও দল নয়, বিজেপি মানে বিপর্যয়, তা সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রেই। ত্রিপুরার অভিজ্ঞতার পর আশা করা যায় বামেদের আর এই মোহ থাকার কথা নয়। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েও যে এই লড়াই লড়া যাবে না, তা নিশ্চিত বিহারের পর আর বলে দেবার দরকার নেই। গত লোকসভায় এই রাজ্যে এই জোটের ফলে কে লাভবান হয়েছে তা নিশ্চিত বাম নেতাদের আর নতুন করে মনে করিয়ে দিতে হবে না। সুতরাং নিজেদের শক্তিকে আরও ঐক্যবদ্ধ করার মধ্যে দিয়েই বাম আন্দোলনের পুনরুত্থান ঘটবে।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4879 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...