অচিরাংশু আচার্য
কবি, প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক, ‘অনুষ্টুপ’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক
আমরা স্কুলে পড়াকালীন অর্থনীতি বা ভূগোলে অনেক সময়েই পড়ে থাকি “ভারত এক কৃষিপ্রধান দেশ”। মহাত্মা গান্ধি ভারতবর্ষ সম্বন্ধে বলেছিলেন “India lives in its villages”। এখনও ভারতবর্ষের ৭০ শতাংশ পরিবার কৃষিনির্ভর। দেশে মোট কৃ্ষকের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৮২ শতাংশ। আমাদের দেশে জমির আয়তন অনুযায়ী কৃষক-কে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র কৃষক বলা হয় তাদেরকে যাদের জমির আয়তন চার বিঘার কম। ছোট কৃষকের জমির আয়োতন চার থেকে আট বিঘা, অর্ধ-মাঝারি কৃষক বলা হয় তাদেরকে যাদের জমির আয়তন আট থেকে ষোল বিঘার মধ্যে, মাঝারি কৃষকের জমি ধরা হয় ষোল থেকে চল্লিশ বিঘার মধ্যে (অর্ধ-মাঝারি এবং মাঝারি মিলিয়ে মাঝারি কৃষক), আর বড় কৃষক তাঁরা যাদের জমির আয়তন চল্লিশ বিঘার বেশি।
ভূমিসংস্কারের পরে, দেশের অনেক জায়গায় জমিদারি প্রথার অবসান হয়েছিল ও প্রকৃত কৃষক জমির মালিকানা পেয়েছিল। এই পরিবর্তন সব থেকে বেশি দেখা গেছিল পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে। কারণ বামফ্রন্ট সরকার থাকার ফলে অপারেশন বর্গা এই দুই রাজ্যে সব থেকে বেশি সাফল্য পেয়েছিল।
এর ঠিক উল্টো চরিত্র পাওয়া যায় দেশের অন্য প্রান্ত উত্তর ভারতে, যার একটা অংশকে আমরা দেশের শস্যভাণ্ডার বলি। ১৯৬০-এর দশকের ভূমিসংস্কার হওয়ার কিছু পরে এসে পড়ে সবুজ বিপ্লব বা প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিব্যবস্থা। এই প্রযুক্তির প্রধান সামগ্রী হল বিশেষ উন্নত বীজ। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল, সার ও কীটনাশক দিলে জমির উৎপাদনশীলতা অনেকটা বেড়ে যায়। এই প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিব্যবস্থার সুযোগ নেয় উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি, মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ। এরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক ফসলি জমিকে দু ফসলি বা তিন ফসলি করে প্রচুর পরিমাণ গম উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।
কিন্তু প্রযুক্তি ছাড়াও উত্তর ভারতে সবুজ বিপ্লব হওয়ার আরও বেশ কিছু কারণ ছিল। সরকারি ভর্তুকি তার মধ্যে প্রধান এক কারণ। প্রায় বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়ার ফলে এই অঞ্চলের কৃষকরা বিদ্যুৎচালিত পাম্প বসিয়ে খুব সহজেই মাটির নীচের থেকে জল তুলে সেচের ব্যবস্থা করেছিল। সারের ক্ষেত্রেও সরকারি ভর্তুকি এই তিন রাজ্যের কৃষকরা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি পেত। প্রায় বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, খুব অল্প দামে সার পাওয়ার ফলে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা, বিশেষ করে বড় চাষিরা তাদের জমিতে চাষের জন্যে বিনিয়োগ শুরু করে। তাদের তৈ্রি খাদ্যশস্য, মূলত গম, যেমন রফতানিও হয়, আবার ভারতবর্ষে খাদ্যসুরক্ষার ব্যবস্থা করতেও সক্ষম হয়। এর ফলে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা, বিশেষ করে বড় চাষিরা বেশ লাভবান হয়। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন উৎপাদনের ভর্তুকি দেয় বিদ্যুৎ ও সারে, আবার কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য একটি ন্যূনতম দামে কিনেও নেয়, যাকে বলা হয় Minimum Support Price। তাহলে দেখা যাচ্ছে, কৃষি উৎপাদন ও তার বিক্রি, দুদিকেই সরকারের একটা বড় ভূমিকা আছে। প্রথম, উৎপাদনের জন্যে নানারকম ভর্তুকি আর দ্বিতীয়, উৎপাদন কেনার জন্যে ন্যূনতম দাম, যা বাজার মূল্যের থেকে বেশি, তার ভর্তুকি। সরকার এত ভর্তুকি দিলেও, তার কিন্তু কৃষিবাবদ রাজস্ব প্রায় শূন্য। কারণ কৃষিতে কোনও কর নেই।
এখন প্রশ্ন হল সরকার এই আর্থিক ক্ষতি বহন করেও কেন কৃষিতে এত খরচ করবে? তার কারণ দেশে কৃষকের সংখ্যা সত্তর শতাংশ, যার মধ্যে ক্ষুদ্র ও ছোট চাষির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু তারতম্য আছে বইকি। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র ও ছোট কৃষকের সংখ্যা প্রায় তিরাশি শতাংশ, পাঞ্জাবে সেটা তিরিশ শতাংশ ও হরিয়ানায় সেটা চল্লিশ শতাংশ। এর মানে হল পাঞ্জাবে প্রায় সত্তর শতাংশ কৃষক মাঝারি ও বড় চাষি ও হরিয়ানায় প্রায় ষাট শতাংশ কৃষক মাঝারি ও বড় চাষি। আবার এটাও উল্লেখযোগ্য যে, সব রাজ্যে ভর্তুকি কিন্তু সমান নয়। যেমন ২০১৪-১৫ সালের তথ্য ঘাঁটলে দেখা যায় যে কৃষিতে মোট ভর্তুকির মধ্যে সারে ভর্তুকি যেখানে পশ্চিমবঙ্গে ছিল ৫.৭৪ শতাংশ, সেখানে পাঞ্জাবে ছিল ৬.৭২ শতাংশ ও উওরপ্রদেশে ১৬.৭ শতাংশ। আমার এই তথ্য থেকে নিশ্চয়ই একটা বিষয় স্পষ্ট, ভর্তুকির পরিমাণ উত্তর ভারতের রাজ্যে অনেক বেশি, তা সে বিদ্যুৎই হোক আর সারই হোক। সুতরাং কেন্দ্রীয় সরকার যদি ভর্তুকি কমানোর কোনও পদক্ষেপ নেয়, প্রথমেই আঁচ লাগবে উত্তর ভারতে।
যেহেতু ভারতবর্ষে এখনও প্রায় সত্তর শতাংশ মানুষ কৃষিতে নির্ভর করে, তাই কোনও রাজনৈতিক দলই কৃষকদের কাছে অপ্রিয় হতে চায় না। তাই সবুজ বিপ্লবের পরে কৃষিতে আর কোনও উন্নয়ন বিগত তিরিশ চল্লিশ বছর হয়নি। ১৯৯১-এর পরে ভারতবর্ষে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, সেটা এসেছে মূলত পরিষেবামূলক ক্ষেত্র থেকে। ভারতের অর্থনীতিতে বিগত কয়েক বছরে কৃষিতে উন্নয়নের হার নিম্নগামী। ২০১০ সালে যেখানে কৃষির বার্ষিক বৃদ্ধি ছিল ৮.৬ শতাংশ, সেটি ২০১৬তে নেমে এল ০.৮ শতাংশে এবং ২০১৯এ ২.৯ শতাংশে। কৃষকদের আয়ও বিগত দশ বছরে সেভাবে বাড়েনি। তাই বলাই যায় যে কৃষিতে বড় পদক্ষেপ দেশে অনেকদিন ধরেই প্রয়োজন ছিল। আধুনিকীকরণ ও প্রযুক্তি প্রয়োগ না হলে কৃষকদের আয় বাড়বে না। চিনে যেখানে ধানের উৎপাদনশীলতা প্রায় আট শতাংশ, সেখানে ভারতের চার থেকে পাঁচ শতাংশ।
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে ভারতবর্ষে কৃষির অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। এর সঙ্গে যোগ হল কোভিড ১৯-এর মহামারি ও তৎপরবর্তী লকডাউন যার ফলে অর্থনীতির এখন বেহাল দশা। কৃষির দশা তথৈবচ। এর সঙ্গে চাপ বেড়েছে শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের।
এ অবস্থায় ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২০তে মাননীয় রাষ্ট্রপতি সংসদে বিনা আলোচনায় তিনটি কৃষি আইন দেশে চালু করার ছাড়পত্র দিলেন। যথা:
- Farmers Produce Trade and Commerce (Promotion and Facilitation), Act.
- Farmers (Empowerment and Protection) Agreement on Price Assurance and Farm Services Act আর
- Essential Commodities Amendment Act.
এই তিনটি আইন বোঝার আগে এর ইতিহাসটা একটু দেখে নেওয়া যাক। ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একটি খসড়া কৃষি আইন তৈরি করে। কিন্তু দেখা যায় অনেক রাজ্যেই সে আইন চালু করা যাবে না। মনে রাখতে হবে কৃষি কিন্তু অনেকটাই রাজ্যের এক্তিয়ারে। Standing Committee on Agriculture (২০১৮-১৯) আরও দেখে যে, যে সব আইন ভারতীয় কৃষি বাজারে চালু আছে, যেমন কৃষি পণ্য বাজার কমিটি (Agriculture Produce Market Committee or APMC), তারা ঠিকভাবে কাজ করছে না। অনেক জায়গাতেই সরকারি কৃষিপণ্য বাজারের মালিকানা কিছু ব্যক্তি কুক্ষিগত করেছে। কৃষকদের একপ্রকার বাধ্য হয়ে তাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক সরকারি বাজার বা ‘মান্ডি’ বিভিন্ন সংগঠনের কুক্ষিগত হয়ে গেছে। এই তথ্যের ভিত্ত্বিতে সরকার হঠাৎ করেই তিনটি কৃষি আইন লাগু করে দেয়। এর ভালো-খারাপ একটু বিচার করা যাক:
সরকার প্রথম যে কৃষি আইন প্রণয়ন করেছে, বলা হচ্ছে সেটি কৃষকদের তৈ্রি দ্রব্যের আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা। আগে কৃষকরা তাদের পণ্য স্থানীয় বাজার, মিল বা সরকারি বাজারে বিক্রি করতে পারত। এখন নাকি কৃষিপণ্য তথ্যনির্ভর বাজারেও (ইলেক্ট্রনিক ট্রেডিং অ্যান্ড ই-কমার্স) বিক্রি করা যাবে। এখন প্রশ্ন হল কারা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের পণ্য বিদেশে বিক্রি করবে? নিশ্চয়ই গরীব, অশিক্ষিত কৃষকরা নয়। নিশ্চয়ই ভারতবর্ষের ৮২ শতাংশ ছোট কৃষক নয়, যারা চাষ করে নিজেদের সংসার চালানোর জন্যে। তাদের চাষ থেকে উদ্বৃত্ত প্রায় শূন্য। আর যে ১৮ শতাংশ মাঝারি ও বড় কৃষক আছে (পাঞ্জাবে, হরিয়ানায় ও উত্তরপ্রদেশে এদের বেশি পাওয়া যাবে), তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো বিনিয়োগ করবে। কিন্তু অধিকাংশ কৃষক ভয়ে ও রাস্তায় যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা কৃষিতে এইরকম বাজার ধরার জন্যে যে পরিকাঠামো দরকার (যেমন শস্য রাখার আধুনিক গুদাম বা ভাণ্ডার) তার প্রায় কিছুই নেই। সুতরাং প্রথম আইন সত্যিই কৃষকদের কোনও কাজে লাগবে কি না সন্দেহ আছে। কৃষকরা মনে করছে যে এই আইন দেখিয়ে সরকার যে নিজস্ব সব্জী বা কৃষিবাজার চালায় সেগুলো বন্ধ করে দেবে। এর ফলে কৃষকরা বাধ্য হবে তাদের উৎপাদন কম দামে স্থানীয় বাজারে বেচতে।
দ্বিতীয় আইন মূলত চুক্তি চাষ বা “Contract Farming” নিয়ে। কৃষক তার ফসল চুক্তি করে বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু এই চুক্তিভিত্তিক চাষ আমাদের দেশে কতটা কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করবে, তাই নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে। প্রথমত, চুক্তিভিত্তিক চাষের যে চুক্তির বয়ান, তা অধিকাংশ কৃষকই বুঝবে না। এই সুযোগে পুঁজিপতিরা শোষণ করার সুবিধে পাবে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশের যে আইনি ব্যবস্থা, সেখানে যদি কোনও কৃষক শোষিত হয় বা প্রতারিত হয়, তাহলে কবে আদালতে গিয়ে সে বিচার পাবে তা বলা কঠিন।
তৃ্তীয় যে কৃষি আইন চালু করেছে (Essential Commodities Amendment act) তাকে বাংলায় বলা যায় আবশ্যিক পণ্য সংশোধন আইন। এই আইনে সরকার বেশ কিছু কৃষিপণ্যকে আবশ্যিক পণ্যের তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ সরকার কৃষকদের থেকে এই সব আবশ্যিক পণ্যের যে প্রয়োজনীয় মজুত রাখত, তা আর রাখবে না। এই সব কৃষিপণ্যের তালিকায় আছে মূলত খাদ্যশস্য যেমন ধান, গম, আলু ইত্যাদি। এর সঙ্গে সরকার আর একটি আইন করেছে। যদি কোনও কারণে সরকারকে একান্তই খাদ্যশস্য মজুত রাখতে হয়, তা নির্ভর করবে বাজারের দামের ওপরে। সরকার আলাদা করে কোনও দাম ধার্য করবে না।
আমার মনে হয় এই তিনটে আইনের মধ্যে তৃতীয় আইনটি সবচেয়ে ক্ষতিকর। কৃষকদের সুরক্ষা ছিল এইভাবে যে তারা জানত যে সরকার কিছু পরিমাণ উৎপাদিত দ্রব্য তাদের থেকে নেবে। সেটার সুযোগও এখন বন্ধ হল।
এই তিনটি আদেশ বা ordinance জারি হতেই এক শ্রেণির কৃষক প্রতিবাদ জানায়। মূলত পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরাই এই আন্দোলনে সামিল হয়। পরে আরও কৃষক দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আন্দোলনকে সমর্থন জানায়। কৃষকরা দাবি করে অবিলম্বে ওই তিনটি আইন প্রত্যাহারের জন্য। কৃষকদের জমি ও রুটি-রুজি হারানোর আশঙ্কা অমূলক নয়। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ ও আছে। পশ্চিমবঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা দেখেছি কিভাবে সেই সময়কার ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার অনিচ্ছুক চাষিদের জমি নিয়ে টাটাদের গাড়ি তৈরির কারখানা হিসেবে দিয়েছিল। কৃষকের জমি হরণের প্রচেষ্টা নানা সময়ে এ-দেশে হয়েছে। নতুন যে কৃষি আইন আনা হয়েছে সেখানেও কিন্তু কৃষকের জমি হারানোর সম্ভাবনা আছে। ফলে কৃষকদের দুশ্চিন্তা অমূ্লক নয়।
কৃষক আন্দোলনের আজ প্রায় দুমাস হতে চলল। অবস্থান বিক্ষোভ এখনও চলছে দিল্লির সীমানায়। তারা যাতে দিল্লিতে ঢুকতে না পারে সেই জন্যে হাইওয়ের রাস্তা কাটা হয়েছে, জলকামান, পুলিস, কোনও কিছুই বাদ রাখা হয়নি। ভাবা হয়েছিল অন্য ছোটখাটো আন্দোলনের মত এই আন্দোলনও থিতু হয়ে আসবে (যেমন demonetization, CAA, NRC, ইত্যাদি)। কিন্তু প্রায় দেড় মাস ও সরকারের সঙ্গে আটটি আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও সমস্যা মিটছে না। কৃষকেরা চায় নতুন কৃষি আইনের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। সরকার তাতে রাজি নয়। সমস্যার সমাধান হচ্ছে না দেখে সরকার কৃষকদের অনুরোধ করেছে উচ্চতর আদালতে যেতে। আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থা সম্বন্ধে দেখা যাচ্ছে কৃষকেরা ওয়াকিবহাল। তাই তাঁরা উচ্চতর আদালতে যেতে অনিচ্ছুক। ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ আদালতে প্রায় ৬০,০০০ মামলা বিচারাধীন। উচ্চ আদালতে প্রায় ৪৫ লক্ষ মামলা বিচারাধীন। আর সারা দেশের নিম্ন আদালাতগুলিতে সাড়ে তিন কোটি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে আছে। কোনও মামলার নিষ্পত্তি হতে এ দেশে ন্যূনতম পাঁচ বছর লাগে। তা এহেন বিচারব্যবস্থায় ভরসা না থাকাটাই স্বাভাবিক।
তাই কৃষকদের আন্দোলন চলছে। তাদের ধারণা কায়েমি বাজারি স্বার্থে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষি তাদের রুটি-রুজি, তাদের সংসার।