তিনটি কবিতা
পথিকের মনোলগ
১.
ঘড়ি থেকে কাঁটা খুলে রাখা আছে আলগোছে।
একটি সন্ধ্যা, দিকচিহ্নহীন, উড়ে আসে।
কার্নিসে ভালোবেসে বেঁধে ফেলা ঘরের মৃতদেহ,
কান্নার দমকে কেঁপে ওঠে পর্দার লজ্জা।
এইসব ভুলে গিয়ে বারেবারে ঠিকানা বদলে যায়।
২.
মাঠ পড়ে আছে মৃত সরীসৃপের মতো।
দূরে বুকফাটা ঢাক বেজে চলে একা,
উঠোনে পড়েনি আদরের দাগ বহুদিন
পাঁচিলে বসে আছে বিস্মৃত শ্যাওলা,
দূর থেকে এসে আরও দূরে চলে যায় কেউ।
৩.
বুকের করুণধ্বনি,
মাথার ঘরে বাসা বাঁধে।
গাল বেয়ে শোক
ঋজু পিঠে কবেকার ক্ষোভ,
পবিত্র ব্যথার মতো, হয়তো…
মানচিত্রে নেই
সারি সারি লাশ পড়ে থাকে।
বারুদের গন্ধ,
মিথ্যের চাষ হয় দিনরাত।
তারপরও গানে ওঠে সুর,
আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে থাকে
বিপ্লব ছড়িয়ে যায় বহুদূর।
চলে যাওয়ার আগে
ক্ষমা চেয়ে চেয়ে তালুতে নুনছাল উঠে যাবে,
নুয়ে থেকে ভুলে যাবো প্রতিশোধ।
গল্পের শেষটুকু বারেবারে মুছে যাবে হুতোশে
এরকম কিছু ঘটে যাবে আচমকাই!