পাঁচটি কবিতা
মায়া
অহঙ্কারের উল্টোপিঠে পাঠ কিংবা পতনের
মত শুয়ে থাকে আমাদের সাদা পৃষ্ঠার দিনগুলি
তখন স্বপ্নে ভরা নদীর বাঁক চলে আসতেই পারে
না শোনা গানগুলি উৎসর্গ করি মরা ইঁদুরদের
সরষেক্ষেতে রেডিও বাজলে আগলে রাখি পূর্ণ
চাঁদের মায়া
কাঠপুল
কুড়ি নদীর পৃথিবীতে বেড়াতে এসো।
ভাঙা বাংলোর সামনে আমরা খুলে রাখব
রিস্টওয়াচ
প্রতিটি রিক্সা হোঁচট খায় যে পথে
সেখানে আবহমান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
কাঠপুল
মাছের কাঁটা আর পুতুলের পাশে ঘুমিয়ে থাকে
বেড়াল
রোদনপর্ব
রোদনপর্বের দিকে বল ছুড়ে দিলে বেদনাকে বিলাস
মনে হয়
মাঝখানে জাস্ট একটা তাঁবু।
তাঁবুর দুপাশে চার চোখের মিলন।
সেরার দৌড়ে আমি নেই। বরং একা একা ঢুকে
পড়ি নীল রেস্তোঁরায়
কুয়াশাপুরাণ
ডায়না ফরেস্ট থেকে কুয়াশা মাখা বাইসনের দল
কুয়াশার রাস্তায় পথ হারিয়ে
ফেললে আমরা দেখি স্নেক, বার্ড
ও লেপার্ড
কুয়াশার ভেতরেই তদন্ত কমিটির মিটিং শুরু
করেছে
কুয়াশা মাখা দিনগুলির কোনও সকাল সন্ধে থাকে
না
কুয়াশায় সব মুছে যায়।
কুয়াশায় বোঝা যায় না শুকিয়ে যাওয়া জলের
দাগ
মাহুতবন্ধু
হাতির মাহুত যখন গ্রামফোনের কাছে যান
তখন বেজে ওঠে গান—
“যাও খায়া যাও নবীন বাটার পান”
ঝর্নার জলে তীব্র নির্জনতা।
শীত কিন্তু কুম্ভ রাশির জাতক হয়ে হামলে পড়তে
পারে
ভুল বানানের শহরে ঢুকি।
ধানক্ষেতে বরফ সাজাতে
থাকি।
আর সেগুন গাছে পাখি, নিভে যাওয়া লণ্ঠন থেকে
বাজনার মত কিছু
একটা।