যাহা-বলিব সত্য বলিব
এক
সব সত্যি বলার পর
জীবন আমাকে স্যান্ডক্লকের
বালির মতো একঘরে করে রাখে। আর
একটু একটু করে অসত্যের সঙ্গে
ঘর করতে থাকি আমি।
দুই
শিকারের কবিতা আপনি লিখতে
পারবেন না। স্বীকার করে নিই মধ্যরাতে।
রাতভোরে বিছানায় পড়ে থাকা
চাপ চাপ কথার টুকরো
কতগুলো মুখের আদল তৈরি করে
আমি খাতা পেন নিয়ে উঠে বসি।
তিন
মধ্যসপ্তকে গাইতে গাইতে
থেমে যাওয়ার মতো
হঠাৎ ভুলে যাই প্রিয় মুখ
চেনা পথ, প্রতিশ্রুতি বাক্য
আবেগঘন আদান-প্রদান
গ্রহে গ্রহে নিরন্তর ছোটাছুটি
তরঙ্গে তরঙ্গে বিপুল বারিস্রোত
সকাল-বিকেল আটটা-পাঁচটা লোকাল
মাধ্যাকর্ষণে বাড়ি ফিরি তবু রোজ
মস্তিস্ক অলখ ছাপাখানা
লিফলেটে ছাপে নিষ্করুণ মুখ।
চার
বৈরাগ্যে নারীর অধিকার কতটা
এ নিয়ে মুখোমুখি বসার জন্যে
হাতের কাজগুলো দ্রুত গুছিয়ে ফেলেছি
দিনকে গঞ্জনা দিতে দিতে বলেছি
বড় হও; দু-একটা অবশ্যকর্তব্যকে
শিকেয় তুলে ছোট্ট মেয়ের চোখে
চোখ রেখেছি, উঁহু দুষ্টুমি নয়
এলাটিং বেলাটিং আলোচনা শেষ
এবার ফিরতে হবে
সাতাশ নম্বর মাখন বড়ালের গলি।
পাঁচ
থেকে যাওয়াটা যখন অভ্যেস
ছেড়ে যাওয়াটা ঘটনা
বাঁধা নৌকা আর শেকলের
আনুপাতিক টান
কমে আসে; তখন
মিঠুকাকিমার দাম্পত্য
চিড়িয়াখানার শীত
বয়ামে রাখা লেবুর আচারে
ঋতু পরিবর্তন হয়
বিষ্যুৎবারে ফুল-দুব্বো দিয়ে ঘট বসায় কাকি