সত্যব্রত ঘোষ
প্রাবন্ধিক, গদ্যকার
১৯৫০–এর ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অ্যাক্ট’ অনুযায়ী ভারতীয়রা ব্যক্তিনাগরিক বা ‘ইন্ডিভিজুয়াল সিটিজেন’ হিসেবে চিহ্নিত। নির্বাচন কমিশনের যে নিয়মকানুন তা–ও এই ব্যক্তিনাগরিকের ধারণাটিকে মাথায় রেখে। কিন্তু সামাজিকভাবে পশ্চিমবঙ্গবাসীরা ব্যক্তি–কেন্দ্রিক নয়, সমষ্টিরই অঙ্গ। এই সমষ্টির প্রতি আনুগত্য থেকে বেরিয়ে এসে শুধুমাত্র নিজের বিচার–বুদ্ধি–যুক্তির ভিত্তিতে ভোট দেওয়া অধিকাংশ মানুষের চিন্তার মধ্যে ছিল না। তাই নির্বাচনে জাতপাত বা ধর্মীয় আনুগত্য এতকাল কমবেশি কাজ করেছে বটে। তবে এবার তা রাখঢাক না রেখে একেবারে সোজাসুজিই প্রকাশ্যে এসেছে।
জনসংখ্যার অনুপাতে তফসিলি জাতির মানুষের সংখ্যার নিরিখে ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ভোটের হিসাব করলে ২৩.৫১ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গবাসী হলেন তফসিলি জাতির মানুষ। এনাদের মধ্যে ১৮.৪ শতাংশ হলেন রাজবংশী এবং ১৭.৪ শতাংশ নমঃশূদ্র। মাহিষ্য সম্প্রদায়ের মানুষরা নিজেদের তফসিলি জাতিভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করতে না চাইলেও অন্যান্য পশ্চাৎপদ শ্রেণি (OBC-A)-র অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি-এ ক্যাটেগরিতে সর্বমোট ৮১টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬১টি মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত। এবং ওবিসি-বি ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত মোট ৯৬টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ৩৮টি মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত। এ ক্যাটাগরিতে ১০ শতাংশ কোটা বলবত আছে এবং বি ক্যাটাগরিতে ৭ শতাংশ।
বাংলার ভোটে এই পরিসংখ্যানগুলিকে এতকাল গৌণ ভূমিকায় রাখা হয়েছিল। কারণ, রাজ্যের অধিকাংশ ভোটদাতাই নিজেদের ধর্ম ও জাতি পরিচিতির চেয়েও যে রাজনৈতিক দলকে সমষ্টিগতভাবে তাঁরা সমর্থন করেন, সেই দলের সদস্য অথবা সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত হওয়াটাকেই শ্রেয় মনে করছিলেন। বাংলার গ্রামগুলিতে তাই জাত, ধর্ম, ক্লাব অথবা সম্প্রদায়ের থেকেও রাজনৈতিক দলের গুরুত্বই এতকাল বেশি ছিল। কিন্তু ২০২১-এ জাতপাতের রাজনীতিতে বাংলা এতটাই সরগরম যে সন্দেহ জাগে দলকেন্দ্রিক এই সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে জাতপাতের রাজনীতির প্রবেশ কি হঠাৎই ঘটেছে? রাজনৈতিক দলের প্রতি বিশ্বস্ততার চেয়েও নিজেদের জাতি পরিচিতির তাৎপর্য এতটা বেড়ে ওঠার ইতিহাসটি তাই প্রণিধানযোগ্য।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের প্রথম কয়েক দশকে কংগ্রেসই অভিজাত রাজনৈতিক দল হিসেবে গণ্য ছিল। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু জরুরি অবস্থা অবসানের পর ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট যখন ক্ষমতায় আসে তখন তাদের রাজনৈতিক আন্দোলন মূলত বাংলাদেশের উদ্বাস্তু পুনর্বাসনেই কেন্দ্রীভূত। কিন্তু ক্ষমতায় আসবার পরে বামফ্রন্টের রাজনৈতিক কার্যকলাপ অনেকাংশেই কংগ্রেসি শাসনের ধারার অনুগামী হয়। অনুন্নত সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে ১৯৭৯ সালে। যখন সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের উদ্বাস্তুদের গণহত্যার শিকার হতে হয়।
১৯৭৯ সালেই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের নির্দেশে এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিন্দেশ্বরী প্রসাদ মণ্ডল-এর সভাপতিত্বে মণ্ডল কমিশনের গঠন। সেই কমিশনে পশ্চাৎপদ জাতিদের জন্যে সংরক্ষণের সুপারিশকে দশ বছর পরে, ১৯৮৯ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ কার্যকর করবার ঘোষণা করলেন। কিন্তু ভি পি সিংহের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে পশ্চাদপদ জাতির উন্নয়নের চেয়েও সেই সময়ে হিন্দু সমাজের বিভাজন উসকে দিয়ে বিজেপি-র রাজনীতির যে অগ্রগতি তা রোধ করবার তাগিদ ছিল বেশি।
ভারতের জনসংখ্যায় তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষের যা অনুপাত, ক্ষমতার বিন্যাসে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব সেই অনুপাতে ছিল না, এখনও নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, আমলাতন্ত্র, রাজনৈতিক নেতৃত্ব অথবা কর্পোরেট জগতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষদের প্রতিনিধিত্ব এখনও জনসংখ্যায় এঁদের অনুপাতের সমান হয়নি। তাছাড়াও, যে সমস্ত জনগোষ্ঠী অতীতে বহু দিন ধরে অবদমিত হয়ে এসেছে, তাদের জন্যে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বর্ণহিন্দুদের স্বার্থে ঘা পড়ছে বটে। তবে মনে রাখতে হবে দলিত শ্রেণির মানুষদের কয়েকটি প্রজন্ম বর্তমানের মুক্ত প্রতিযোগিতার যুগেও ছিলেন বঞ্চিত এবং অশিক্ষিতই। সেই পরিবারগুলি থেকে একটি ছেলেকে বা মেয়েকে যদি কোনও উচ্চবর্ণের ধনী উচ্চশিক্ষিত পরিবারের কোনও ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে একই প্রতিযোগিতায় নামতে হয়, তবে সেটাও সম-প্রতিযোগিতা হিসাবে গণ্য নয়। কিন্তু সংরক্ষণ নীতির পাশাপাশি বিভিন্ন যে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির দ্বারা পিছিয়ে-পড়া মানুষগুলির সার্বিক উন্নতি সম্ভব, তা নিয়ে উচ্চবাচ্য না করেই ভারতে সংরক্ষণের নীতি চালু হয়।
সেই সময়ে ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে, বিশেষ করে হিন্দি বলয়ে, বাম দলগুলি যখন মণ্ডল কমিশনে সুপারিশ অনুযায়ী সংরক্ষণের বিষয় নিয়ে সোচ্চারে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তখন উল্টো কথা বলেছিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন “বাংলায় শুধুমাত্র দুটি জাত আছে— ধনী আর দরিদ্র।” বক্তব্যের সুরটি লক্ষ্যণীয়। পশ্চিমবঙ্গের বিপুল সংখ্যক কৃষকদের জাতি পরিচয়কে ‘চাপা’ দিয়ে দরিদ্র জাতি হিসেবে সামাজিক পরিচিতিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এই রাজনৈতিক কৌশল বজায় রেখেই ৩৪ বছর একচেটিয়া শাসন চালিয়ে যেতে পেরেছে সিপিআই-এম।
১৯৯০-এর পরে, যখন সারা ভারতে ওবিসি সংরক্ষণের নির্দেশ কার্যকরী হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গে মাত্র সাত শতাংশ কোটা বলবৎ হয়। প্রভাবশালী কোনও সম্প্রদায়কে তখন এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং তামিলনাডুতে যে ধরনের সংহতি তৈরি করা গেছিল, তা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হয়নি। কিন্তু ২০০৬ সালে রাজেন্দ্র সাচার কমিটির রিপোর্টে যখন পরিষ্কারভাবে জানানো হয় অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের সামাজিক ও আর্থিক দুর্দশা বেশি, তখন ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সংখ্যালঘুদের কল্যাণে আরও যত্নশীল হওয়ার কথা বলতে শুরু করে। এবং ২০১০ সালে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিশ্চিত হার উপলব্ধি করে সর্বাধিক পশ্চাৎপদ জাতি হিসেবে (OBC-B) নামে নতুন একটি শ্রেণিতে মুসলমানদের কয়েকটি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসবার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সম্প্রদায়গুলির সংখ্যা আরও বিস্তার ঘটিয়ে সরকারি চাকরি এবং ভর্তুকির প্রতি অধিক সংখ্যক মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়িয়ে দেন।
সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন জারি রেখে সিপিআই-এম-এর এই ধনী-দরিদ্র শ্রেণিকরণের রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং ২০১১ সালে বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবার লক্ষ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীর জাতি পরিচিতিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেন তিনি। পূর্ব ইওরোপেও দেখা গেছে সমাজবাদের পতন ঘটতে জাতিগত পরিচয় প্রাধান্য পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা লক্ষ করা গেল।
২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বনগাঁয় মতুয়া মহাসংঘের ‘বড়মা’ (বীণাপানি দেবী)-র কাছে নিয়মিত যাতায়াত করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বড় মা-র দুই পুত্রকে তৃণমূল কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ পদে সামিল করেন। কিন্তু তারপর ডানপন্থী হিসেবে চিহ্নিত না হওয়ার জন্যে সচেতনভাবে সরে এসে ব্যক্তিগত জাতি পরিচিতির ঊর্ধ্বে উঠে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা দলগত একটি সমাজ গঠনে মনোযোগী হন তিনি।
কিন্তু ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে হিন্দুত্বের বৃহত্তর ছাতার নীচে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে আরএসএস-এর নির্দেশনায় বিজেপি অসংখ্য শাখা, সরস্বতী বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়গুলির কাছে পৌঁছাতে নানান ধরনের প্রচারের আয়োজন করে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম সহ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর এবং পশ্চিমাংশের জেলা ও অঞ্চলগুলিতে। যেখানে তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি অন্তর্ভুক্ত মানুষের সংখ্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। প্রসঙ্গক্রমে প্রায় ১৩ শতাংশ হিন্দু ওবিসি অন্তর্ভুক্ত, যাদেরকে নিজের সপক্ষে নিয়ে আসতে বিজেপি প্রথম থেকেই সচেষ্ট থেকেছে। ২০১৫ সালে অভিজ্ঞ রাহুল সিনহার পরিবর্তে ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি করবার পরে তথাকথিত হিন্দুকরণের প্রয়াসটি আরও জঙ্গি হয়ে ওঠে।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি জানিয়ে ছিলেন যে রাজ্যের মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত ৯৯ শতাংশ মানুষকে ওবিসি-র আওতায় আনা হবে। এই প্রতিশ্রুতি একদিকে উন্নত জীবনযাত্রার জন্যে মুসলমান মানুষদের আশা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, বিরোধিতা করবার জন্যে বিজেপি-র হাতে একটি অস্ত্রও দেন তিনি। ওবিসি-তে অন্তর্ভুক্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে যে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়, তাতে ভরসা করেই বিজেপি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অস্ত্র শানিয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের যে আসনগুলি বিজেপি জিতেছিল, তার অন্তর্গত বিধানসভার ক্ষেত্রগুলিকে এবার পাখির চোখ করেছে প্রধান সেবক এবং তার সেনাপতি। জিভে রক্তের স্বাদ পাওয়া জন্তুদের মতো বারবার সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে তাঁরা ফিরে আসছেন ওই ক্ষেত্রগুলিতে। দেশে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় প্রবাহে আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষ ছুঁতে চললেও কেন্দ্রীয় সরকারের দুই নায়ক সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্ব ভুলে বাংলায় প্রচারে ব্যস্ত।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রথম দফার নির্বাচনের সময়ে দেড় কোটি নমঃশূদ্র ভোটার (যার অধিকাংশই মতুয়া)-দের নিজের সপক্ষে আনবার জন্যে বাংলাদেশে সরকারি সফর করাকালীন মতুয়াদের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মভিটা পরিদর্শন করেন প্রধান সেবক। সেই সফর যে বিজেপি-র ভোট লড়াইয়েরই অংশ ছিল, তা স্পষ্ট। এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পর পূর্ববঙ্গ থেকে যে অধিকাংশ মতুয়ারা ভারতে চলে এলেন, তাঁদের ‘বৈধ’ নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বারবার জলঘোলা করাটাও সেই পরিকল্পনার অন্তর্গত। তবে তাঁদের কথায় ও কাজে যে যথেষ্ট ফাঁক রয়েছে তা আবার নতুন করে স্পষ্ট। ইতিমধ্যে অসমে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদানের পর সেখানকার ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার বহু মানুষকেই ‘ডি ভোটার’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এবং সেই ভোটারদের অনেকেই হিন্দু বাঙালি। ভোটের আগে তাঁদের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করবার প্রতিশ্রুতি দিয়েই বিজেপি-র নেতারা অসমে ভোটভিক্ষা করেছিলেন।
বাংলার মানুষদের জাত্যাভিমানকে উসকে বিজেপি-র প্রচারে মানুষের আস্থা আছে কি না, তা ভোটের ফলাফলেই বোঝা যাবে। কিন্তু অসমে স্বমূর্তিতে ফিরে সেখানকার অধিবাসীদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ডকে নস্যাৎ করে বিজেপি যেভাবে তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে, বাংলায় তা আবার নতুনভাবে অশুভ বার্তা বয়ে আনছে।