অসুন্দর ফারগাছ

এ পেরম্যাক

 

মূল রুশ থেকে তর্জমা: লীলা সরকার

এ পেরম্যাক সোভিয়েত রাশিয়ার লেখক ও নাট্যকার (১৯০২-১৯৮২)

যে বনের সম্বন্ধে আমরা আলোচনা করছি, সেই বনে গাছেরা কথা বলত। গরমে, সূর্যের আলোতে তারা পরস্পরের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলত। এমনকি পাখিরাও বুঝতে পারত না, কী বিষয়ে তারা কথা বলত। কিন্তু যখন বাতাস বইত তখন বনে এমন কোলাহলমুখর কথা আরম্ভ হত যে, বিনা কষ্টে সেগুলি শোনা যেত।

বনে সবচেয়ে বাক্যবাগীশ ছিল অ্যাস্পগাছ। তার কণ্ঠস্বর মধ্যাহ্নেও থামত না। পাইনগাছ বার্চগাছের মত পরনিন্দা করতে ভালোবাসত। কিন্তু ফারগাছ ছিল অন্যরকমের। সে ছিল স্বল্পভাষী ও চিন্তাশীল। সে দেখতে খুব সুন্দর নয়; সত্যি কথা বলতে গেলে সে একেবারে অসুন্দর, একহারা চেহারা কিন্তু একটু ব্যাঁকা।

যদিও ফার গাছ কারও সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেনি, তবুও তার বনের সঙ্গীরা তাকে ভালোবাসত না। সে রৌদ্রে অন্য গাছের উপর নিজের ছায়া ফেলত না, তাদের আর্দ্রতাতেও বাধা দিত না। ওক ও অ্যাশগাছের মত মর্মরধ্বনি জাগাত না। সব মিলিয়ে সে খুব বিনীতভাবেই থাকত। কিন্তু গাছেরা বাইরের চেহারা অনুসারে পরস্পরের সঙ্গে বিরক্তিকরভাবে ব্যবহার করত। যেমন পোশাক অনুসারে, শাখার সৌন্দর্য অনুসারে। কিন্তু ফারগাছ ছিল একেবারে সাধারণ চেহারার মেয়ে। আত্মকেন্দ্রিক অ্যাশগাছ, সুন্দরী তরুণী মেপল ও বার্চগাছ তাদের অপূর্বসুন্দর শাখা দেখিয়ে সর্বদাই ফারগাছকে উপহাস করত।

গাছেরা ফারগাছকে ভালোবাসত না, সেইজন্য গল্পলেখক ফারগাছকে বিশেষ চোখে দেখতেন। বনে লেখককে সকলেই শ্রদ্ধা করত। তিনি প্রায়ই তাঁর খাতা নিয়ে ফারগাছের নিচে বসে হয় গল্প লিখতেন, অথবা চিন্তা করতেন।

কেউ জানত না কেন লেখক ফারগাছের ছায়া এত ভালোবাসতেন। বিভিন্ন গাছ বিভিন্ন মতামত পোষণ করত এই বিষয়ে।

অ্যাস্পগাছ বলত, ফারগাছের সঙ্গে গল্পলেখকের সাদৃশ্য আছে: দুজনেই কুৎসিত ও নিঃসঙ্গ। মেপলগাছ বলত যে ফারগাছ গল্পলেখকের জন্য মাটিতে নরম কাঁটা ফেলে যাতে তাঁর বসতে আরাম হয়। বার্চগাছ এমন সব কথা বলত যেগুলোর পুনরাবৃত্তি না করাই শোভনীয়। আর বাতাস, যে বনে বাজে গুজব ছড়িয়ে বেড়াত, সে কী ভাবত আমরা জানি না।

একদিন বনে কাঠুরেরা এসে পুরনো ওকগাছটাকে কেটে ফেলল। বনে ভীষণ কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেল। ওকগাছের ছেলে নাতি ভাইপো বন্ধুরা— সকলেই কাঁদতে লাগল।

বিশেষ করে যখন ওকগাছটাকে করাত দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে বন থেকে নিয়ে গেল, তখন তার বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনদের মনে হল যে সব শেষ হয়ে গেল।

এই সময় লেখক বনে এসে উপস্থিত হলেন। তাঁরও এই মহাকাব্যপ্রতিম তিনশত বছরের নায়ক ওকগাছের জন্য খুব দুঃখ হল। তাঁর চোখের জল টপটপ করে কাটা গাছের গুঁড়ির উপর পড়তে লাগল।

কিন্তু চোখের জলে দুঃখের উপশম হয় না, লেখক তা জানতেন। তখন তিনি ঠিক করলেন যে, গাছেদের যখন বন থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তারা কীসে পরিণত হয়, সে বিষয়ে গল্প বলবেন।

–ভাইরা— তিনি গাছেদের দিকে তাকিয়ে বললেন— গতদিনের ঘটনা নিয়ে আমি যদি একটা রূপকথার গল্প বলি, তোমরা কি শুনবে?

বন একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। গাছেরা সকলেই গল্প শুনবার জন্য তৈরি হল।

–তোমাদের মধ্যে কেউই— গল্পলেখক আরম্ভ করলেন, এই সুন্দর বন ছেড়ে যেতে চায় না। তাই না? কিন্তু যখন তারা এই বন ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় তখন তাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। অবশ্য যখন তাদের কেটে ফেলা হয়, তখন সকলেই মরে যায় না। সকলেই এবার কথা বলতে শুরু করল অসন্তুষ্ট হয়ে। গল্পের শুরুটা তাদের কাছে মিথ্যা সান্ত্বনাবাক্য  ছাড়া আর কিছু মনে হল না।

গল্পলেখক হাত তুলে সবাইকে চুপ করতে বললেন। বন আবার শান্ত হয়ে গেল।

–তোমরা কি জানো ভাই গাছেরা, লাইব্রেরির ছাদ যখন ওকগাছের কাঠে তৈরি হবে, তখন ওক আরও একশো বছর বাঁচবে এবং এখানেই থাকবে? এটা কি খুব খারাপ হবে, গাছ ভাইয়েরা?

গাছেরা মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিল। এবার গল্পলেখক গাছেদের উপর আধিপত্য স্থাপন করলেন। তিনি শান্তভাবে গাছের নরম কাঁটার কার্পেটের উপর বসলেন এবং বলতে লাগলেন কীভাবে কাঠুরেরা আবার বনে আসবে এবং বুড়ো গাছগুলিকে কেটে ফেলবে, কারণ তারা আর কিছুতে পরিবর্তিত হতে পারবে না। কাটা গাছ দিয়ে বাড়ি, সেতু, সঙ্গীতের জন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, কাঠের তক্তার মেঝে ইত্যাদি তৈরি হবে, যাতে তারা বেঁচে থেকে মানুষের সেবা করতে পারে।

–এটা কি খুব খারাপ, ভাইয়েরা?— লেখক গাছেদের জিজ্ঞাসা করলেন। তারপর আবার বলতে শুরু করলেন কীভাবে এক স্বপ্নালু পাইনগাছ জাহাজের মাস্তুলে রূপান্তরিত হয়েছিল এবং ভারত, চিন ও প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ ঘুরে এসেছিল। লেখক আরও বলতে লাগলেন কীভাবে একটা অ্যাস্পগাছ বারকোসে রূপান্তরিত হয়েছিল।
–বারকোস দেখতে এমন কিছু ভালো নয়— তিনি বললেন— কিন্তু কিছু না হওয়ার চাইতে বারকোস ভালো।
–এটা বিশ্বাসযোগ্য— অপমানিত অ্যাস্পগাছ সহজভাবে বলল— জ্বালানি কাঠ হওয়ার চেয়ে বারকোস হওয়া অনেক সুন্দর। হ্যাঁ, জ্বালানি কাঠ— সে আবার বলল। এই কথা বলে অ্যাস্পগাছ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ফারগাছের দিকে তাকাল এবং উদ্ধতভাবে ওর আপাদমস্তক দেখতে লাগল।

স্বার্থপর অ্যাশগাছ অ্যাস্পের উদ্ধত দৃষ্টিটা দেখে গল্পলেখককে জিজ্ঞাসা করল: আপনি কেন ফারগাছের জ্বালানি কাঠ সম্পর্কে কিছু বলছেন না?

–হ্যাঁ, সত্যিই তো?— মেপল গাছ উদ্ধতভাবে সমর্থন করল।

গল্পলেখক একটু হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি ফারগাছকে দুঃখ দিতে চান না। তিনি ওকে ভালোবাসতেন, ওর জন্য দুঃখবোধ করতেন। কিন্তু সত্যের স্থান ভালোবাসা ও করুণার অনেক উপরে।

–মহাশয়রা— শান্তস্বরে গল্পলেখক বললেন— পরের জন্য জ্বলে যাওয়া সত্যি কি খুব খারাপ? এটা সত্যিই, কেউ কেউ এদের আগুনে ছেলেমেয়েদের আনন্দ দেয় এবং শীতের কঠিন বরফের সময় এদের জ্বালাতে বাধ্য হয়। তারপর রুটি সেঁকা ও ধাতু গলানোর সময়ও ফারগাছের জ্বালানি লাগে।
–হ্যাঁ অবশ্যই, অবশ্যই, লেখক মহাশয়, কাউকে না কাউকে অবশ্যই জ্বালানি করা  দরকার— অ্যাশ গাছ সমর্থন করল— কিন্তু আপনি তো মানবেন তা সত্ত্বেও ছাই হয়ে যাওয়া অপেক্ষা পালিশ করা টেবিল, দেয়ালে লাগানো বোর্ড এইসব হওয়া অনেক ভালো?
–যদিও, মুখবিকৃতি করে হেসে বার্চগাছ বলল— ছাই হয়ে যাওয়াও প্রয়োজন। মনে হয়, ওর দ্বারা সস্‌প্যান পরিষ্কার হয়। সেটা কি খুব খারাপ জিনিস, মহাশয়?— বিদ্রূপ করে সে গল্পলেখককে এই কথাটা বারবার বলল। গাছেরা একসঙ্গে জোরে জোরে হেসে উঠল।

গল্পলেখক আবার চুপ করে গেলেন। তারপর হাত দিয়ে ফার গাছকে স্পর্শ করে বলে উঠলেন— কিন্তু কেউ জানে না ভাগ্য কীভাবে বদলে যেতে পারে। কেউ কেউ সারাজীবন বেঁচে থাকতে চায়, কিন্তু তা হয় না। আবার অন্যরা নম্র ও শান্তভাবে থাকে। তারা অমরত্বের কথা ভাবে না, কিন্তু অমরত্ব নিজেই তাদের কাছে আসে। হতাশ হোয়ো না ফারগাছ, হয়তো তোমার ক্ষেত্রে অন্যরকম কিছু ঘটবে।

তারপর অনেক বছর কেটে গেছে। গাছগুলো বড় হয়ে বুড়ো হয়ে গিয়েছে। গল্পলেখক অনেক দিন হল বনে আসেননি। বাতাস খবর আনল, দুজন কাঠুরে— সময় ও বয়স— তাদের কাজ করেছে। অর্থাৎ গল্পলেখক আর নেই।

–সত্যি!— অ্যাশগাছ বলল— তিনি বেশ উজ্জ্বলভাবে আলো দিতেন, আমরাও তার কাছে খুব আনন্দ পেতাম। জ্বালানিতে যেমন আলো দেয়, আমরাও সেইরকম তাঁর কাছ থেকে আলো পেতাম।
–সত্যি কথা, মেপলগাছ সমর্থন করল। সে আরও লম্বা এবং আরও উদ্ধত হয়েছে— আমাদের কথা আলাদা। আমরা দামী গাছ। আমরা রানির শোবার ঘর অথবা রাজার সিংহাসনে পরিবর্তিত হতে পারি।

ফারগাছ নীরবে এদের দাম্ভিক আলোচনা শুনল। ফারগাছের অমসৃণ ছালের উপর রেজিনের সরু রেখা পড়েছে। সে এখনও বিশ্বাস করে যে গল্পলেখকের সঙ্গে আবার তার দেখা হবে এবং সে তার প্রিয় গল্পগুলির পরিচিত শব্দ আবার শুনবে। কিন্তু বৃথা! তাঁর সঙ্গে এখন দেখা করা সম্ভব শুধুমাত্র স্বপ্নে। সেইজন্য ফারগাছ প্রায়ই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ত আর আশা করত যে সেই সোনালি স্বপ্ন দেখবে। কিন্তু গল্পলেখক স্বপ্নেও দেখা দিলেন না।

এরপরেই কাঠুরেরা এল। তারা বুড়ো গাছগুলিকে কেটে ফেলল। পাইনগাছের শাখাগুলি এবং মাথাটিও কেটে ফেলল। তারপর তাকে জাহাজ তৈরির কারখানাতে নিয়ে আসা হল। সে মাস্তুল হবে।

অ্যাশ, মেপল ও বার্চগাছগুলিকে কাটবার পরে আসবাব তৈরির কারখানায় পাঠানো হল।

এইবার ফারগাছের পালা। তাকে ছোট ছোট খণ্ডে কাটা হল।

–এবার তো আমাকে জ্বালানি হতে হবে— ফারগাছ ভাবল। যেরকমভাবে, হে প্রিয় বন্ধু, আপনার গল্পের জাদুর আলোতে আমাদের উজ্জীবিত করেছিলেন, সেইরকম উজ্জ্বলভাবে এখন আমি জ্বলতে চেষ্টা করব।

ফারগাছ চুল্লিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হল। কিন্তু সে গল্পলেখকের একটি কথা ভুলে গিয়েছিল যে, কার ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তিত হবে।

আর ফারগাছের ভাগ্য অপ্রত্যাশিতভাবে অন্যরকম হয়ে গাল। তাকে কাগজের কারখানায় নিয়ে যাওয়া হল আর সে সুন্দর সাদা কাগজের পাতায় রূপান্তরিত হল।

সে খাম হিসাবে ডাকবিভাগে ব্যবহৃত হতে পারত। খবরের কাগজ অথবা ভূগোলের ম্যাপ হতে পারত। অথবা থিয়েটারের ঝকঝকে বিজ্ঞাপন হতে পারত।

কিন্তু ওকে ছাপাখানায় পাঠানো হল। সেখানে ওকে নিয়ে বই তৈরি করা হল। কীরকম বই? সে রূপকথার সুন্দর একটি বইয়ের রূপ পেল। বইটা যে সুন্দর, সে সেটা বুঝতে পারল, যখন তার প্রিয় কথাগুলি বইটিতে ছাপা হল। এগুলি সেই রূপকথা যেগুলি সে বনে গল্পলেখকের মুখে শুনেছিল।

বই হওয়ার পর তার একদিন মনে হল, তারা কি আবার একবার পরস্পরের সঙ্গে দেখা করতে পারে না? একদিন তাঁর মনের ইচ্ছা পূর্ণ হল। সে একদিন বইতে গল্পলেখকের ছবি দেখল— বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠাতেই তাঁর ছবি।

–এখন আমি বুঝতে পারছি— সে ভাবল— যে কাঠুরেরা এলেই সকলে মরে যায় না। এখন আমি আর আপনি (গল্পলেখক) রূপকথার বইতে একসঙ্গে বাঁচব।

দপ্তরির দক্ষ হাতে বইটি সুন্দর মলাটে সেজে উঠল। এখন সে (ফারগাছ) কী সুন্দর! সারাদিন ওকে পড়তে ও শুনতে ভালো লাগে। বইটিকে সাবধানে হাতে নিয়ে যত্ন করে পাতা উল্টাতে হয়। গল্পগুলি পড়লে হাসতে হাসতে প্রাণ বেরিয়ে যায় ও মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। এছাড়াও বইটি পড়লে জ্ঞান বাড়ে, মনের উন্নতি হয়, হৃদয় উজ্জীবিত হয়।

শীঘ্রই বইয়ে রূপান্তরিত ফারগাছ স্থান পেল লাইব্রেরির অ্যাশগাছের কাবার্ডে বার্চগাছের শেল্ফে। ফারগাছ তৎক্ষণাৎ কাবার্ডকে চিনতে পারল। সে দেখতে পেল, অ্যাশগাছ আগের মতোই আত্মকেন্দ্রিক রয়ে গিয়েছে। অ্যাশগাছের কাবার্ড মাঝখানের শেল্ফে যে নতুন বইগুলি এসেছে তাদের সম্বন্ধে খুব প্রশংসা করতে লাগল।

–মেপল গাছের টেবিল, দেখতে পাচ্ছিস, আমার মধ্যে কত মণিমাণিক্য জড়ো হয়েছে?
–হ্যাঁ, মেপ্‌ল টেবিল উত্তর দিল, আমাদের ভাগ্য কী ভালো!
–কুৎসিত ফারগাছ আমাদের কী ঈর্ষাই না করবে!— বার্চগাছের শেলফ মহা আনন্দে বলল— ও যদি আমাদের দেখত, আমরা কী সুন্দর হয়েছি, তাহলে কী ঈর্ষাই না করত আমাদের! এ বিষয়ে আপনার মত কী, ওক মহাশয়?— বার্চগাছের শেলফ সিলিঙের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করল।

প্রাজ্ঞ সিলিং চতুরভাবে হাসল, কোনও উত্তর দিল না। মনে হয়, সে সব কিছুই জানত। যারা তাকে নিয়ে এতদিন উপহাস করেছে, ফারগাছ ইচ্ছা করলেই তাদের তিরস্কার করতে পারত। কিন্তু সে কিছুই বলল না, কারণ সে ছিল একজন সৎ ও উদারচেতা ফারগাছ।

প্রাপ্য পাওনা আদায় করে কি সত্যিই জীবনে সুখ পাওয়া যায়? এটা দুর্বলের করুণা-উদ্রেককারী আনন্দ। এই গল্প ছাড়া আর কোনও গল্পই সুন্দর অমরতার বিষয়ে বলার উপযুক্ত নয়।

এই-ই সব।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4879 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

2 Comments

আপনার মতামত...