পাঁচটি কবিতা
যুদ্ধ
গেরিলাযুদ্ধের পর স্তবগান।
ভেসে যাই পুকুরের নীল জলে
কান্না কি প্রখরভাবে অতলান্ত!
একা হয়ে যেতে হয়।
ধর্মঘটের শহরে হ্যাট-পরা নায়ক ঘুরে
বেড়ান
পড়ে থাকে বেড়াল, ঢেঁকিঘর
ও
পালাগান
ঘোড়া
আবার রণক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আনি যুদ্ধের
ঘোড়া
এদিকে পিঁড়ি পেতে বসে থাকে পীড়া।
নক্ষত্রের আলো।
বয়াতির বাদামি চুল।
বারান্দায় উঠে আসে
শেয়ালেরা।
ভরা নদীর জলে ডিঙি ভাসে।
পথ হারাই। আর পা চলে যায় নুতন
রাস্তায়।
মাহুত বন্ধু রে
হাতির মাহুত গান গাইছেন।
ডিনার টেবিল থেকে গড়িয়ে নামছে সেই
গান
হালকা জঙ্গলের ভেতর ভোজসভা।
আর ভোজসভা থেকে দূরে দাম্পত্য হারিয়ে ফেলা
দম্পতি
পিঠে বন্দুক পার্বতী বড়ুয়া।
মাহুত বন্ধুর ছবি জুড়ে অরূপ বড়ুয়া।
একের পর এক গানে মজলিস জমাচ্ছেন শ্রীমতী
প্রতিমা বড়ুয়া।
ঋষি বড়ুয়া কুড়িয়ে আনছেন লাল দাদু আর হাতি ক্যাম্পের গল্পগুলি
মায়া
সারি সারি সাজানো পুতুল
চারপাশে শোক সঙ্গীত
ঘুমের ভেতর দেখি শ্যাওলার সবুজ
সানগ্লাস খুলি। দেখি কুয়ো
ও বালতি
কমার পাশে সেমিকোলন রাখি
আর নদীর জলে মেঘের মায়া
শিকার কাহিনি
বৃষ্টির ভিতর নুপূর খুলে জঙ্গলে ঢুকে পড়ছ
তুমি
করাতকল মানে কাঠের গুড়ো।
কাঠামবাড়ির রাস্তায় পথ হারিয়ে ফেলা আমাদের
জিপগাড়ি
সাদাবর্ণ মেঘ।
তিস্তার কামান।
চোরাবালিতে নেমে যাচ্ছে সোনার
বালতি
এই বৃষ্টির ভিতর পুরানো শিকারের
গল্প
আমার সহজ মানুষ। প্রণাম দাদাই।