প্রশান্ত ভট্টাচার্য
সাংবাদিক, কবি, প্রাবন্ধিক
যত কাণ্ড কাবুলে হোক কিংবা পঞ্জশিরে, মাথা ব্যথা নয়াদিল্লির। ভৌগোলিক দিক থেকে আফগানিস্তান এমন একটা জায়গায় আছে, যেটা ভারতকে নানাভাবে বেগ দিতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন-সহ অনেক দেশই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন, কিন্তু অন্য যে কোনও দেশের চেয়ে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি স্বার্থ এখন ভারতের। ভারতের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য আফগানিস্তানের গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে ভারত এখন জটিল এক সঙ্কটে পড়েছে।
তালিবান আবার ক্ষমতায় ফিরে আসাতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভারতের ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে এক জটিল আবর্তের মধ্যে পড়েছি আমরা। তাই ভারত সরকার ওয়েট অ্যান্ড সি অবস্থান নিয়েছে। ভারতের পুঁজি সেখানে কী ভূমিকায় আছে, সেসব বিবেচনা করার আগে আমার কাছে যেটা সবচেয়ে বেশি সঙ্কটের বলে মনে হচ্ছে, তাহল, কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে এবং লাদাখ নিয়ে চিনের সঙ্গে দীর্ঘকালীল একটা প্রায় অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব রয়েছে ভারতের। এখন যদি গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো আফগানিস্তানও শত্রু রাষ্ট্রে পরিণত হয় তবে তা আমাদের জন্য বড়রকম বিপজ্জনক ব্যাপার হবে। তাই নয়াদিল্লিকে অনেক যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করে পদক্ষেপ করতে হবে।
২০০১ সালে মার্কিন সামরিক অভিযানের জেরে কাবুলের মসনদ থেকে তালিবান উৎখাত হওয়ার পর এক সুখের হাওয়া বইতে শুরু করল জনজাতি অধ্যুষিত পাহাড়ি এই দেশটিতে। ঠিক তখন যে দেশটি আফগানিস্তানে প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াতে সবচেয়ে তৎপর হয়েছিল, সেটি আমাদের দেশ। আফগানিস্তানে হিন্দুস্তানের প্রভাব বিস্তারে গত দুই দশকে চারশোরও বেশি সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং বড় বড় কিছু পরিকাঠামো প্রকল্পে ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ডজন ডজন প্রকল্প ছাড়াও, দিলারাম-জারাঞ্জ মহাসড়ক নামে ২১৮ কিমি দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক তৈরি করে দিয়েছে ভারত। কাবুলে নতুন আফগান পার্লামেন্ট ভবনটিও তৈরি করেছে ভারত। এরকম চালু কয়েকশো প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী হবে? যে উদ্দেশ্যে এসব বিনিয়োগ, তার ভবিষ্যৎ কী? সবই রক্তনদীতে ভেসে যাবে? বারুদের ধোঁয়ায় মিলিয়ে যাবে? মধ্য এশিয়ার বাজারে ঢোকার জন্য ভারতের কাছে আফগানিস্তান খুবই জরুরি এক ভূখণ্ড। আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে ইরান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে দুটো পাইপলাইন তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের নীতি-নির্ধারকরা যথেষ্ট চিন্তায়। কিছুটা অস্থিরও।
২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন একপ্রকার পরাজয় স্বীকার করে নিয়েই তালিবানদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ফেলল, তখনই শুরু হল অন্য হিসেব। ওই চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সহযোগীরা। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর শাসনকালে হওয়া এই চুক্তির সময় ট্রাম্প তাঁর অভিন্নহৃদয় বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনও কথা বলেছিলেন কিনা, জানা নেই। যদিও ঠিক তার পরে পরেই ট্রাম্প ভারতে এসেছিলেন, মোদির রাজ্য গুজরাতে অনেক ফূর্তিফার্তা করেছিলেন। আর ততদিনে তো বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারির কালো ছায়া, মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে গৃহবন্দি করে ফেলেছে। ফলে ট্রাম্প-তালিবান চুক্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সে চিন্তা নয়াদিল্লি করার ফুরসত পায়নি। তবে ট্রাম্প চুক্তি নিয়ে মোদির সঙ্গে বিশেষ কোনও কথা বলেছিলেন কিনা তা জানা নেই। তাছাড়া, বন্ধু ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে পরামর্শ করার কোনও আনুষ্ঠানিক বা বিধিবদ্ধ দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছিল না। কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে আফগানিস্তান পেন্টাগনের কাছে যতটা মাথাব্যথার তার চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি নর্থ ব্লকের। তালিবান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির প্রত্যক্ষ প্রভাব ভারতের ওপর পড়বেই। এই আশঙ্কার ভিত্তিতেই বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে পরামর্শ করা উচিত ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের। তেমনটা হলে, ভারত তার সুবিধা-অসুবিধা, বিনিয়োগের দিকটা নিয়ে অন্তত দেড় থেকে দু বছর ভাবনাচিন্তা করার সময় পেত। কাবুলের রাজপথ যত তাড়াতাড়ি তালিবান দখলে চলে এল ভারত ততই বিব্রত হয়ে পড়ল। এর ফলে ভারত এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে যেখানে সে দেশে তার কোনও ভূমিকা থাকছে না, এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে, কূটনৈতিক উপস্থিতিও নয়। ১৫ আগস্টের মধ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, যা কাবুল-নয়াদিল্লির মধ্যে একটি সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের প্রায় ২০ বছরের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার পথে। এই অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থের জন্য আফগানিস্তান গুরুত্বপূর্ণ। এটি সম্ভবত একমাত্র সার্কভুক্ত দেশ যাদের জনগণের ভারতের প্রতি সত্যিকারের ভালবাসা রয়েছে। যে ভালবাসা একটা ঐতিহ্যের বিস্তার। সেই আফগানিস্তান যদি এখন শত্রু রাষ্ট্রে পরিণত হয়, তা হবে আমাদের পক্ষে বড় ধরনের দুশ্চিন্তার।
নোটবন্দি ও করোনাবন্দি অর্থনীতির যা হাল, তাতে যদি নতুন করে আফগানিস্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, তবে নাস্তানাবুদের চূড়ান্ত। মনে রাখতে হবে, অতীতে আফগানিস্তান থেকে মুজাহিদিনরা এসে কাশ্মিরে তৎপর হয়েছে। তালিবান ফের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করলে, যা করবে বলেই মনে হচ্ছে, সেই মুজাহিদিনদের তৎপরতা আরও বাড়বে। একইসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দুটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান প্রভিন্স, যা আইএসকেপি নামে পরিচিত। তাদের মতলব পরিষ্কার, এর মধ্যে দিয়ে তারা জানাল তালিবানরা নয়, এই ভূখণ্ডে তারাই আসল মার্কিন-বিরোধী শক্তি। অনেকে বলছেন এই ঘটনা আইএসকেপি প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল বাগদাদির হত্যার বদলা। ফলে এদিক থেকেও ভারতের বিপদ। তবে ভারতের সবচেয়ে বড় চিন্তা পাকিস্তান। পাকিস্তান যদি আফগানিস্তানের বিদেশনীতি ও নিরাপত্তা নীতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, তা হবে ভারতের জন্য দুঃস্বপ্ন। শুধু ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের চেয়েও বড় বিপদ আমাদের শিয়রে। জঙ্গি সংগঠনগুলোর ও জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতার যে ইতিহাস আছে, তাতে করে আফগানিস্তানের তালিবানকে ব্যবহার করে ভারতের বিপদ বাড়ানোর বিরুদ্ধে দেশটাকে ঠেকানো বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। নয়াদিল্লি গত ২০ বছরে আফগানিস্তানের সঙ্গে যতই সম্পর্ক গড়ুক, সেটা কাজে লাগবে না। ভারতের চেয়ে কিন্তু তালিবানের সঙ্গেই অন্তরঙ্গ সম্পর্ক উপভোগ করে পাকিস্তান। আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে যে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত তালিবান বিরোধী অভিযান চলেছে, তখন দলে দলে আফগান-তালিবানরা তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে আশ্রয় পেয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে। আর ওটা যে ইসলামাবাদের চমৎকার এক কৌশলগত বিনিয়োগ ছিল সেটাই দেখা গেল সম্প্রতি। এখন পাকিস্তানে প্রায় ২৫ লাখ আফগান শরণার্থী আছে। তাদের অনেকেই খুব তাড়াতাড়ি স্বদেশে ফিরবে। কেউ কেউ ফিরতে শুরু করেও দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতি কৃতজ্ঞ তালিবানরা আগামী দিনগুলোতে যেটুকু করতে পারে, সেটা হল— এমন দিলদরিয়া প্রতিবেশীর সঙ্গে যতটা সম্ভব রাজনৈতিক সহযোগিতা বজায় রাখা। ভারতবিরোধী হাক্কানি গ্রুপের সঙ্গে এক ধরনের মিথোজীবী সম্পর্কে জড়াতে তালিবান যোদ্ধাদের একটা বড় অংশের এখন আর কোনও বাধা নেই। এখানে আর আলাদা করে পাকিস্তানি আর্মির ‘হক’ ও সর্বত্র বিরাজমান আইএসআই-এর কথা না বললেও চলে।
এরই মধ্যে কিছু আলামত দেখা গেছে। জঙ্গিরা ভারত সমর্থিত একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পকে টার্গেট করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের জন্য তাদের পশ্চিম প্রান্তে এটাই সবচেয়ে বাজে দশা। আফগানদের গণতন্ত্র শেখাতে নিজে থেকে যে লক্ষ্য নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেটাকে ব্যর্থ ঘোষণা করে মাঝপথে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে দেশটি। ওদিকে এ অঞ্চলের আরেক বড় ক্ষমতাধর চিনও কিন্তু ভারতের বন্ধু নয়! তো এখন ভারতকে সরাসরিই মোকাবিলা করতে হবে তালিবানদের, যার খুঁটিনাটি এখনও ঠিক জানা যাচ্ছে না। এছাড়াও আছে আইএসকেপি থেকে মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনগুলো, যারা নানা দিক থেকে ভারতকে বিব্রত করে চলবে।
যারা আফগান ও তালিবান বিষয়টি বহুকৌণিক দিক থেকে পর্যবেক্ষণ করেন, তাঁরা জানেন তালিবান বাহিনির নাম্বার টু আবদুল গনি বেরাদার জেলে থাকতেই তালিবান পাকিস্তানের গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনীতির আঙিনায় পা রাখতে শুরু করে। তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর পরোক্ষ মদতে ২০১৩ সালের ২০ জুন কাতারের দোহায় প্রথম বৈদেশিক দফতর খোলে তালিবান। ওই দফতর আনুষ্ঠানিকভাবে খোলার প্রায় দু বছর আগে থেকেই প্রায় দু ডজন তালিবান নেতা সেখানে বাস করছিল খাস যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে। লক্ষ রাখবেন, ২০১৩ সালেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শুরু হয় তালিবানের। যাতে সম্মতি দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই স্বয়ং। তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মোল্লা ওমর আর আবদুল গনি বেরাদার। ২০১৩ সালেই মারা যান ওমর। তার স্থলাভিষিক্ত হন মোল্লা আখতার মোহাম্মদ মনসুর, ২০১৬ সালে পাকিস্তানে মার্কিন বিমান হানায় যাঁর ইন্তেকাল হয়। বর্তমানে তালিবান প্রধান বা আমির মৌলভী হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। মজার, ওমরের পরে বেরাদার তার স্থলাভিষিক্ত হয় না। এমনকী, মোহাম্মদ মনসুর খতম হয়ে যাওয়ার পরেও বেরাদার প্রধান হয় না। তার আদি-অকৃত্রিম স্থান নাম্বার টু! এখানে একটা তালিবান রহস্য আছে, যা কূটনীতিকরাও ধরতে পারছেন না। এদিকে, ২০১৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এক অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। যার প্রধান কারিগর পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার ও আরব আমিরশাহি। এক দশকেই সংঘ ভেঙে গেল। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে দেশগুলি আফগানিস্তানে তালিবান নির্মেধ যজ্ঞের প্রধান শরিক হয়েছিল, এক দশক পরে তাদের অনেকেই ভালো তালিবান-খারাপ তালিবান তত্ত্বের সমর্থক হয়ে ওঠে। আর ২০১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তালিবান আর অচ্ছুৎ থাকল না। ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ স্পষ্ট লিখেছিল, ‘তালিবান অথবা কোনও আফগান গোষ্ঠী বা কোনও ব্যক্তির উচিত নয় অন্য কোনও দেশে চলা জঙ্গি কার্যকলাপকে সমর্থন করা।’ তার ঠিক ১১ দিন বাদে, সেই নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে সব এক থাকলেও নেই শুধু ‘তালিবান’ শব্দটি। তার বদলে সেখানে লেখা হয়েছে, ‘কোনও আফগান গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যেন অন্য কোনও দেশে চলা জঙ্গি কার্যকলাপকে সমর্থন না করে।’ এই যে অবস্থান বদল, এর পিছনে কী আছে? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে বিবৃতিতে ‘তালিবান’ শব্দটি ছেঁটে দেওয়া গভীর অর্থবহ৷ এবার মার্কিন সেনা সরছে আর তালিবানরা কাবুলের দিকে এগোচ্ছে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী পরিচয়ে নয় বরং রাষ্ট্রপরিচালক শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে। তারা বারবার দাবিও করছে, আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চায়৷ কোনও রকম ফতোয়া ও মানুষ হত্যার রাস্তায় তারা হাঁটবে না। যদিও গত ১৩ দিনে তালিবানরা প্রমাণ করে দিয়েছে, তাদের কথায় ও কাজে কোনও মিল নেই। তবু রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য চিন তালিবান সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে৷ রাশিয়াও পা ঠুকছে। সেদিক থেকে দেখলে ভারত ছাড়া এখনও সেরকমভাবে সরাসরি তালিবান বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি কোনও দেশই৷ এমন একটা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে ‘তালিবান’ বাদ কি বেরাদারদের মান্যতা দেওয়ারই ইঙ্গিত!