ছটি কবিতা
বৈপরীত্য
যে অহং ছালে রক্ত বেঁধে রাখি
যে আমি পুরুষপ্রেম ফিরিয়ে দিই হেলায়
সেই আমি বেড়ার মধ্যে বাঁধন কাঠি বাঁধছি
ভেড়ার পাল কান্না সুরে ডাকছে
জীবন এরম, এরমই জীবন, পলিমাটিই সার
মুঠো হলে দানের ঢং উপচে আসে ভীষণ
হাত পাতলে আকাশ তখন শূন্যে সাধুর বেশে
ভ্রম
তেমন তুমি কিচ্ছু নও
যেমন আমি আলোর কথা ভাবি!
তেমন তোমার উনুনও জ্বলে না!
তবু যেহেতু ছদ্মবেশে চুপটি করে বসো
ভ্রমে ভাবি কেমন যেন মহার্ঘ্য এক রীতি—
দেখা হবে
আশায় কেমন ভূতের বেগার খাটি!
ধূপ সাজিয়ে, চিঠির ভেতর ছবির টুকরো রাখি
বলেছ, আমার টুকরো রাখবে তোমার সঙ্গে
ভূমি থেকে উড়োজাহাজ উঠবে যখন ভাবি
রোমের ভেতর কোষের শ্বাস শক্ত হতে থাকে
ভাবিনি আর জুড়ব কোনও অঙ্গে, জুড়ব কোনও সঙ্গে—
তবু এমন কেন হল?
অবয়বের ভাঙন থেকেও গড়ে উঠল মায়া
এ মায়া কাটিয়ে দিতেও জানি
তবু কেমন খুনি হতে ভেতর থেকে কাঁপি—
নীল জামা
ওই নীল গেঞ্জির গা
এক এলিয়ে যাওয়া লাট্টু খেলা যুবক
গন্ধ এখন স্মৃতি
না আমি তেমন করে পাইনি কোনও গন্ধ—
তাই তো গন্ধ এক স্বপ্ন মাখা কল্পস্মৃতির টুকরো
গায়ের কিছু রেখেই যেও তবে
নীল আসলে মায়া, নীল আসলে স্বপ্ন
সেই নীলেই অমৃত আর মৃত্যু
যৌথভাবে খিলখিলিয়ে হাসে
বৃষ্টি তুমি প্রেমের কান্না হয়ে থেকো
যখন মেঘের পর মেঘে
চাঁদের গা ঢেকে দেয় খুব
চাঁদের তখন কান্না ধরে গলায়
চাঁদের যত অভিমানের ভার
মেঘের কোল ছাপিয়ে নামে,
আমরা তাকে বৃষ্টি বলে ডাকি
ভাত ও মাছের পাত
মাছ খাই না তেমন
মাছ তোমার প্রিয়
বর্শা দিয়ে ধরতে শিখেছ
মাংস খেতেও ঋণের কথা ভাবি
আমার মাটি ওরাই খাবে জানি
তুমি দায়সারা এক পাগলি বলে ডাকো,
শব্দ তোমার কমিয়ে কমিয়ে রেখো,
মাছের টুকরো দিও না ভাতের গায়ে
এমন যত্ন নিও না যেন ভালবাসায় আছ…
এবার থেকে ঘামতে দিও আমায়
ভাত ও মাছের পাতে, মাছের সাথে আমার কান্না রেখো—