স্টেশনমাস্টারের কলম
আজ থেকে প্রায় ষাট বছর আগে, ছয়ের দশকের শুরুতে, এক উজ্জ্বল সকালে শিক্ষিত বাঙালি মেয়ে নীতা রোজকার মতো কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বাড়ি বলতে ওপার বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তু মানুষজনের গড়ে তোলা কলোনিতে টিনে ছাওয়া কটি বেড়ার ঘর। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা— শিক্ষকের আত্মসম্মান ও ফেলে আসা দেশের স্মৃতি ছাড়া যাঁর আজ অন্য কোনও সম্বল নেই। রয়েছেন নীতার মা, বিবাহযোগ্যা ও বিবাহে আগ্রহী ছোট বোন গীতা, স্কুলপড়ুয়া ছোট ভাই মন্টু এবং বেকার কিন্তু গায়ক হিসেবে প্রতিশ্রুতিবান বড় দাদা। নীতা-ই এই হাঁ-মুখ পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল সদস্য। খানিক অসহায় স্বার্থপরতায় নীতার মা চান না তাঁর রোজগেরে বড় মেয়েটি বিয়ে করে সংসারী হোক, বরং তিনি নীতার প্রেমিকের সঙ্গে নিজের ছোট মেয়েকে বেশি সময় কাটাতে প্রশ্রয় দেন। এক সকালে, বাড়ি থেকে কাজে বেরোনোর কিছু পরেই, নীতার সস্তায় কেনা চটির ফিতেটি হঠাৎ ছিঁড়ে যায়…
ঋত্বিক কুমার ঘটক বিরচিত এই বিখ্যাত সেলুলয়েড কাব্যটি সেই মুহূর্ত থেকে, একের পর এক প্রেক্ষাগৃহে এবং তারপরে এবং এখনও পর্যন্ত, বারবার, বিভিন্ন সিনেমাঘরে প্রদর্শিত হয়ে অথবা দূরদর্শন-বাহিত হয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের দর্শকদের আবেগকে ছুঁয়ে গেছে। স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে হাজারো সমস্যায় দীর্ণ ভারতবর্ষে নিম্নবিত্ত শ্রেণির নারীর সামাজিক অবস্থান— তার ক্ষমতাহীনতা ও ক্ষমতায়নের জটিল প্রক্রিয়ার প্রস্থচ্ছেদ হিসেবে আমরা দেখে নিতে পারি নীতা ও তাঁর আশেপাশের নারীদের ভুবনকে। নানা সময়ে আমাদের ঘরের মা-কাকিমা-পিসি বা দিদিরা এই ছবিতে নিজেদের ছায়া দেখতে পেয়েছেন, কেউ কেউ নীতার আদলে ভাবতে চেষ্টা করেছেন নিজেদের। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরস্পর জায়গা বদল করেছে। অথবা তারা এতটাই অঙ্গাঙ্গী যে, জায়গা বদল করারও দরকার পড়েনি।
আজও কি তার দরকার পড়েছে? ষাট বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর আজ নীতারা কেমন আছে? কেমন আছে তাঁর বোন-মা? কেমন আছেন নীতার উপরে ও নিচে, শ্রেণিবিভাজিত সামাজিক উল্লম্বরেখায় অবস্থানকারী রাজ্যের তথা দেশের অসংখ্য শ্রমজীবী মেয়েরা? অতি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নামক প্রকল্পটি এই প্রশ্নগুলি নতুন করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। প্রকল্প ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল সাড়া পড়ে গেছে গ্রাম-শহরের মেয়েদের মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন, এই জনমোহিনী প্রকল্পটি আসলে সরকারের এক ভোট-সচেতন পদক্ষেপ। প্রথমত, সরকারি চাকুরি করেন না বা পেনশন পান না, এমন প্রতিটি পরিবারের মেয়েরা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত। অর্থাৎ এই বিস্তীর্ণ আর্থ-সামাজিক পাল্লার নারীরা, যার মধ্যে উচ্চবিত্ত থেকে উচ্চমধ্যবিত্তরাও পড়েন, এই প্রকল্পের অধীনে আসবেন।
প্রশ্ন উঠেছে, ইতিমধ্যেই ঋণের ভারে জর্জরিত রাজকোষাগার থেকে উচ্চবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছ থেকে বিপুল ঋণ নিয়ে সাধারণ্যে দান-খয়রাতের প্রস্তাব রাষ্ট্রের পক্ষে একটি আদ্যন্ত পপুলিস্ট ও আত্মঘাতী নীতি নয় তো? বিপরীত দিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু যুক্তিও প্রণিধানযোগ্য। যেমন, নিম্নবিত্ত পরিবারের কথা বাদ দিলেও, অর্থের দিক থেকে স্বচ্ছল উচ্চ আয়ের পরিবারেও গৃহিণী নারীদের হাতে বিশেষ অর্থ নেই। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ থেকে প্রদত্ত এই ‘হাতখরচ’ ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে নারীর ক্ষমতায়নের একটি ক্ষুদ্র কিন্তু সদর্থক পদক্ষেপ। এছাড়াও এই অতিমারিকালে দলমতনির্বিশেষে নানা পেশার মানুষ যখন নিদারুণ আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন, তখন সরাসরি তাদের হাতে ‘লিকুইড ক্যাশ’ বা কাঁচা টাকা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বেশ কিছু অর্থনীতিবিদ। অভিজিৎ বিনায়ক এও বলেছেন, কালক্ষেপ না-করে প্রয়োজনে টাঁকশালে টাকা ছাপিয়ে প্রান্তিক ও নিম্নবর্গের মানুষের হাতে তা তুলে দেওয়া হোক, মুদ্রাস্ফীতির ঘটনা ঘটলে তা সামলানোর পন্থা নিয়ে পরে ভাবনাচিন্তা করা যাবে।
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’— এই বিশেষ রাজনৈতিক প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ও ভালমন্দ আপাতত আমাদের বিচার্য নয়, তা বিচারের জন্য যোগ্য ব্যক্তিরা আছেন। আমরা শুধু বিস্ময়ের সঙ্গে স্মরণ করতে চাই স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরে এই ধরনের প্রকল্পের ঘোষণা ও তার তুমুল জনপ্রিয়তা ও হুড়োহুড়ি এইটাই প্রমাণ করে যে, আমাদের রাজ্যের তথা দেশের মেয়েরাও এই ধরনের প্রকল্পের জন্য উন্মুখ অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই এবং ঠিক এই কারণেই নারীদের সুস্থ, স্বচ্ছল ও স্বাধীন জীবনধারণের দিকে এখনও অনেক পথ হাঁটা বাকি। এই মুহূর্তে, তাঁরা মোটেই ভাল নেই।
তাঁরা যে আদৌ ভাল নেই, তা আমরা সকলে জানি। কিন্তু তারা ঠিক কোথায় কতটা ভাল নেই, তা বুঝতে সামান্য কিছু তথ্য-পরিসংখ্যানের দিকে চোখ ফেরানো যাক৷ ২০১৯ সালে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে পূর্ণবয়স্ক ও কর্মক্ষম নারীদের মধ্যে মাত্র ২৬ শতাংশ নারী বাড়ির বাইরে কাজ করেন। ২০২০ সালে অতিমারির প্রকোপে এই সংখ্যাটা আরও কমেছে কারণ লকডাউন-জনিত কর্মসঙ্কোচনের সঙ্গে সঙ্গে নারীদের কাজের জায়গার বেশ কিছুটা পুরুষেরা দখল করে নিয়েছেন। এছাড়াও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সন্তান পরিচর্যার বাধ্যতায় বাড়িতে থাকার সময়টাও বেড়ে গেছে অনেক মায়ের, কাজ ছাড়তে হয়েছে। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীর কোনও নিজস্ব উপার্জন নেই, আর্থিক স্বাধীনতা নেই, যেকোনও কিছু খরচের ব্যাপারে তাদের স্বামী, পুত্র বা ভাইয়ের ওপরে নির্ভর করতে হয়৷
শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের যোগদানের ক্ষেত্রে আবদ্ধ না-থেকে আমরা যে কোনও আর্থ-সামাজিক মানকের দিকে তাকাই না কেন, দেখতে পাব বৈষম্যের চরমতম শিকার মেয়েরাই, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, প্রান্তিক ও দারিদ্রসীমার নীচে ও আশেপাশে বসবাসকারী মেয়েরা। জানা কথা, পুষ্টির সর্বভারতীয় মানদণ্ডে আবহমানকাল ধরেই মেয়েদের স্থান ছেলেদের তুলনায় নীচে, অর্থাৎ বাড়িতে মাছ এলে মাছের বড় পেটিগুলি বাড়ির পুরুষেরাই বরাবরই পেয়ে এসেছেন, অতিমারিকালে পুষ্টিতে লিঙ্গবৈষম্য আরও বেড়েছে৷ গত দেড় বছরে অতিমারি ও লকডাউন সারা বিশ্বে বুনিয়াদি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে দুর্গমতর ও দুর্লভতর করেছে, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা UN Population Foundation (UNFPA)-এর সমীক্ষা বলছে এই অতিমারিকালে সারা বিশ্বে অবাঞ্ছিত গর্ভের সংখ্যা ৭০ লক্ষ (হ্যাঁ, ছাপার ভুল নয়, সংখ্যাটা সত্যিই ৭০ লক্ষ)। একইসঙ্গে আপৎকালীন পরিষেবার স্বল্পতাহেতু মাতৃত্বকালীন এবং অসুরক্ষিত গর্ভপাত-জনিত স্বাস্থ্য সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে, যা পরিণাম বেশ কিছু ক্ষেত্রে মা বা শিশু, কখনও বা উভয়েরই মৃত্যু। অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে গৃহহিংসার ঘটনা৷ লকডাউনে অনেকক্ষণ ঘরে আটকে থাকার ‘মানসিক চাপ’ সামলাতে না পেরে পুরুষ সঙ্গীটি মানসিক, শারীরিক ও যৌন হিংসা নামিয়ে এনেছে নারী সঙ্গীটির ওপর। ২০২০ সালের মার্চ ২৫ থেকে ৩১, শুধুমাত্র এই ছয় দিনে আমাদের দেশে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে গৃহহিংসার অভিযোগ জমা পড়েছে ১৪৭৭টি, যার মধ্যে ৭২৭টি অভিযোগ এসেছে হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে। এই সামান্য পরিসংখ্যান থেকে মহিলা কমিশন আর হোয়াটস্যাপ সুবিধার বাইরে যে বিস্তীর্ণ ও অন্ধকার ভারতবর্ষ, সেখানে গৃহহিংসার ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা আমরা খুব সহজেই অনুমান করে নিতে পারি। আমরা এ-ও অনুমান করে নিতে পারি, কীভাবে অতিমারি ও ডিজিটাল বিভাজন কোপ মারছে শিক্ষায়, নারী-শিক্ষায়। ওধারে থাকা ওদের হাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা নেই, ইন্টারনেট নেই, নেটওয়ার্ক নেই, অতএব শিক্ষাটাও নেই। কোভিডকাল শেষ হলে আবার যখন শারীরিকভাবে স্কুল খুলবে, শিক্ষকরা আবিষ্কার করবেন এই মধ্যবর্তী সময়ে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী নাম ডাকার খাতা থেকে চিরতরে মুছে গেছে। এই মুহূর্তে হাতে কোনও তথ্য না থাকলেও চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, সেদিন ড্রপ আউটের তালিকায় ছাত্রদের চেয়ে বেশি থাকবে ছাত্রীদের নাম। খোঁজ নিলে জানা যাবে, উঁচু ক্লাসের কিছু মেয়ের পড়াশুনো বন্ধ হয়ে গেছে, হয়তো কারও কারও বিয়েও হয়ে গেছে কাছে-দূরের গ্রামে।
শুধু কোভিড নয়, জলবায়ু পরিবর্তন থাবা দিয়েছে মেয়েদের স্বাস্থ্যে ও জীবনযাত্রায়। বিস্তারে না গিয়ে হাজার হাজার উদাহরণের মধ্যে মাত্র একটি তুলে ধরা যাক— সাম্প্রতিক আমফান ও ইয়াস পূর্ব উপকূল-পার্শ্ববর্তী চাষের জমিতে বাড়িয়েছে নোনা জলের আধিক্য। চাষযোগ্য জমি হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে দূরের শহরে কোনও না কোনও নির্মাণকার্যে ঠিকা শ্রমিকে পরিণত হয়েছে সুন্দরবনের কৃষকরমণী।
চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের সেপ্টেম্বর সংখ্যায়, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পটিকে প্রেক্ষাপটে রেখে, আমরা খুঁড়ে দেখতে চেয়েছি নানা শ্রেণির, পেশার, সামাজিক এমনকি ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানে নারীদের বৈচিত্রময় আর্থসামাজিক বাস্তবতার হাল-হকিকত। তাই এই সংখ্যার প্রচ্ছদকাহিনির নাম— নিউ লক্ষ্মী স্টোর্স।
প্রচ্ছদ-ভাবনার প্রারম্ভিক লেখাটি লিখেছেন অরিজিতা দত্ত। সে লেখায় ফুটে উঠেছে প্রকল্পটির সাপেক্ষে বাংলার নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্মোচন। প্রচ্ছদ ভাবনাকে শুধুমাত্র বাংলাতেই আবদ্ধ রাখিনি আমরা। এই মুহূর্তে সর্বাপেক্ষা চর্চিত দেশ, আফগানিস্তানের প্রেক্ষিতে সেখানকার নারীদের জীবনবাস্তবতা তুলে ধরেছেন প্রতিভা সরকার। সংঘাত-প্রবণ এলাকার নারীদের কথা উঠে এসেছে শ্রীজাতা গুপ্ত-এর কলমে। তানিয়া সরকার উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে গত বছরের দাঙ্গার প্রেক্ষিতে সেখানকার নারীদের অবস্থা দেখে এসেছেন সরেজমিনে। অসমের এনআরসি-ছুট মহিলাদের মর্মান্তিক যাপনের কথা শুনিয়েছেন সুমনা রহমান চৌধুরী। নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন সীমন্তিনী ঘোষ। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে একাধিক দলিত ও নারীবাদী টেক্সটের সাম্প্রতিক অপসারণ যে পরোক্ষে আমাদের দেশে মেয়েদের সামাজিক অবস্থানের দ্যোতক, তা ব্যাখ্যা করেছেন স্বাতী মৈত্র। আর স্রোতা দত্ত আচার্য লিখেছেন একটি বিশেষ প্রতিবেদন।
ফুটপাথ থেকে কেনা নীতার সস্তা চটির ফিতে আজও ছিঁড়ে যাচ্ছে বারবার। এই লেখাগুলিতে উঠে যা আসছে বারবার, তা হল সমস্ত প্রতিকূলতা সহ্য করে ও তার মধ্যেও হাল না-ছেড়ে মেয়েদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গল্প। হয়তো নেহাৎই ঘটনাচক্র, কিংবা হয়তো নেহাৎই ঘটনাচক্র নয় যে, আলোচ্য প্রচ্ছদকাহিনির লেখকরা, সকলে এবং প্রত্যেকে নারী। আমাদের এই নিউ লক্ষ্মী স্টোর্স কল্পদোকানটির ইনভেন্ট্রি থেকে সেল্স কাউন্টার, ক্যাশবাক্স থেকে কাস্টমার সার্ভিস— সব তাঁরাই দশহাতে সামলাচ্ছেন।
প্রচ্ছদ কাহিনি অর্থাৎ রিজার্ভড বগির সঙ্গে রইল অন্যান্য নিয়মিত বিভাগগুলিও, যথারীতি।
এ সংখ্যায় আমরা স্মরণ করলাম প্রয়াত ঝুমুরশিল্পী গান্ধীরাম মাহাতকে। তাঁকে স্মরণ করেছেন সোহম দাস। এবং এ বছর অধ্যাপিকা সুকুমারী ভট্টাচার্যের জন্মশতবর্ষ চলছে। সেই উপলক্ষে তাঁর জীবন ও অলোকসামান্য কাজকে ফিরে দেখলেন কণিষ্ক চৌধুরী।
অন্যান্য নিয়মিত বিভাগে রইল কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, বিশেষ নিবন্ধ, ধারাবাহিক উপন্যাস ও রচনা, অনুবাদ সাহিত্য, ফটোফিচার, অন্যগদ্য এবং অণুগল্প। এছাড়াও আমাদের মেল ট্রেনের কিছু বিশেষ বিভাগও প্রকাশিত হয়, যেমন স্টিম ইঞ্জিন, সবুজ স্লিপার, ডিসট্যান্ট সিগনাল, হুইলার্স স্টল এবং ভালো খবর। অবশ্যই পড়বেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষে,
দেবব্রত শ্যামরায়
‘চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম’ কী বলব নিশ্চয়ই পত্রিকা বলতে সবাই ছাপা কাগজের ম্যাগাজিনই বুঝি– সেই অর্থে পত্রিকা নয়, ডিজিটাল ম্যাগাজিনই, কিন্তু এই ম্যাগাজিন আমাকে শুধু নয় আমি নিঃসন্দেহ যে কোনও পাঠককে আজ থেকে বছর ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগেকার সাপ্তাহিক ‘দেশ’ পত্রিকার কথা মনে করিয়ে দেয়। এবং এই মুহূর্তে শিক্ষিত পাঠকের কাছে এর আকর্ষণ ছাপা যে কোনও ম্যাগাজিনের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। একই সঙ্গে পত্রিকার সম্পাদকীয়ও। অর্থাৎ ইঞ্জিন। এবারের ইঞ্জিনও সাম্প্রতিক প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে উপাদেয় ভাষায় রীতিমতো আকর্ষনীয়। এখনকার ছাপা ম্যাগাজিনগুলির ‘৪নম্বরপ্ল্যাটফর্ম’ এর সম্পাদকমণ্ডলীর কাছে শেখার আছে অনেক।
শৈলেনবাবুর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত…