আমার সব ভার আমি তোমাকে দিই তোমার রোদের শরীরে তা যেন এক একটা বিশ্রামকক্ষ এসব কোনও দাগ নয় শিল্পীর ক্যানভাসে রঙের প্রলেপ।
তোমার সামনে
তোমার সামনে আমার গোপনতার ঘুমিয়ে থাকা চোখগুলো আলোর পথে খুলে যায় তুমি ছুঁয়ে দিলেই চোখের কথা সুরে বেজে ওঠে।
দাঁড়াবার জায়গা
দিনের আলো মুছে গেলে তোমার হাত ধরে ঘরে ফিরি কিন্তু ঘর কোথায়? ভিড়ে তোমার হাত সরে গেলে এই ঘর তো যেকোনও ঘর আমার বলে তা চেনা যায় না তাই আমার দাঁড়াবার জায়গা আলগা হয়ে গেলে মাটি বিনা বাক্যব্যয়ে সরে যাব অন্য আমার কোথা।
কুন্তলা বন্দ্যোপাধ্যায় কিচ্ছু টের পাওনি? কোনও আঁচ? টুকরো বেফাঁস মন্তব্য, ঘাড় ঘোরানোর ভঙ্গি, গলা খাঁকারি থেকে কোনও আভাস পাওনি? শুরুতে সত্যিটা বলতাম। তারপর চুপ করে গেলাম। আমি হলেও কি বিশ্বাস করতে পারতাম? চারচারটে গ্রীষ্ম বর্ষা বসন্ত শীত একজনের সঙ্গে গোটা জীবন মাখামাখি করে থাকার পরও না জেনে থাকা সম্ভব?…
প্রাগ শহরের রবীন্দ্রনাথ হে ট্যুরিস্ট, নবীন ট্যুরিস্ট, তুমি বুঝি বা অতীব সদ্য আসিয়াছ প্রাগ নগরীতে। দেখিয়াছ চার্লস ব্রিজ, পুরানো চত্বরে চালু শহরের বিখ্যাত ঘড়িটি, কিংবা তার চতুঃপার্শ্বে গাঁজার দোকান। খাইয়াছ চিমনি কেক, চড়িয়াছ মেট্রো রেলে নগরীর গভীর গহ্বরে, ফানিকুলারেতে করি উঠিয়াছ পাহাড়চূড়ায়। দেখিয়াছ এ সকলই অন্যসব রাম-শ্যাম-যদু-মধু ট্যুরিস্টের মতো।…
তিনটি ছোট লেখা ক এখন তোমার শরীরের সামনে কিছু ধাতব বুদবুদ গলায় জ্বালা ধরানো কিংশুক সকাল কীসের অপেক্ষা করছ? কেন চুপচাপ সহ্য করছ? তোমার মাতৃভাষা বা এই বাড়ি এই শব্দ বা ধ্বনি কেবলমাত্র তার মৌখিক রূপে ফিরে যাবে সহস্র মানুষ তার দৈব ভরসার ফ্যাকাশে চাদরে মেলে দেবে চালের গুঁড়ো,…