কিংবদন্তি এই রজনী নিশীথবৃক্ষে থাকে, তার আদিম সংসার অগোছালো অন্ধকারে ঢাকা নানা শাখা-প্রশাখায় একা, বহু পোষ্য নিয়ে, অস্থিরতা নিয়ে, দায় নিয়ে গহনে রজনী তবু মায়ের মতন একা – নিরুচ্চার কত কথা মনে পড়ে, কত ধ্বনি, কত-না চিৎকার মার্বেল গুলির মতো পোকা ওড়ে, ধাক্কা মারে আরেক পোকায় জোনাকির দল শুধু মতের অমিলে ওড়ে, এক বিন্দু আলো তাই নিয়ে ছুটে যায় অন্ধকার রজনীর এপার-ওপার হিম পড়ে, মধ্যযামে সবাই ঝিমোয় আর আকাশে তারার জন্ম দেখে, মৃত্যু দেখে, অকারণ চলাচল দেখে শূন্যের নিজস্ব গুণে শূণ্য শুধু প্রসার পেয়েছে নীচে, জোনাকির আলো- ছোটো-ছোটো তর্কের সঞ্চার নিশীথবৃক্ষের নীচে চুঁয়ে পড়ে রাত – তার মাতৃরস, তরল আঁধার
তিনটি কবিতা তোমার কুঞ্চিত ঠোঁটে কত নামে কত কথা লিখতে লিখতে কেটে গেল সহস্র বিনিদ্র রজনী শুধু নিজের কথাই লেখা হলো না আজও মানবী, আমি তোমার নাম নিয়ে মরি... কতজনের কত অকথিত জীবনকথা এ-যাবৎ লিখেছি একঘর অন্ধকারে নিজের চোখের জলের কথা লেখাই হলো না! অশ্রুপতনের মুহূর্তগুলি একটি তারে…
সুবীর সরকার সুবীর সরকার কবি ও ভাষাকর্মী। বাস কোচবিহারে। পেশা শিক্ষকতা। লোকসংস্কৃতি ও নিম্নবর্গের ইতিহাসে আগ্রহী।লিখে থাকেন ভিন্নস্বাদের গদ্যও। লেখাপড়া ছাড়াও ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে। কবি পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত। আয়ুস্কাল ১৯৪৯-২০১৭। উত্তরাঞ্চলের ধুপগুড়িতে বসে সারা জীবন কাজ করে গেলেন বাংলা কবিতা নিয়ে। নুতন লিখতে আসা তরুণ কবিদের তিনি…
সাতটি কবিতা পুরনো সেই দিনের কথা অনেক পুরনো দিন আমাদের ভেতরে শুয়েছে। গুটিয়ে সাপের মতো ফণা নিচু করে ইঁদারাতে। খাবলে খাবলে জল তুলছে, কাদা মাখছে প্রাকৃতজনেরা। ঝড় ও আঁধার নিয়ে একটি মোমবাতি একা জ্বলে আছে খাদের কিনারে, ঠেকা লেগে। হাওয়ায়, তুমুল বেগে মাঝেমাঝে তার শিখা কাঁপে। কাঁপে নির্জ্ঞান। কাঁপে…
বাহ