সর্বজিৎ সরকার
আমরা বলি আগুনখেকো। রাস্তায় খেলা দেখায়। খালি গা, নাভির নিচে কালো প্যান্ট। প্যান্টে জোড়াতালি। জায়গায় জায়গায় রঙ ফ্যাকাশে হয়ে এসেছে। লোকটার গায়ের রঙ আবলুশ। শরীরের রঙ, কাপড়ের রঙ, সাজ, সবটাই যেন এই খেলা দেখানোর মেক আপ। ভেতরের মানুষটা যেন আলাদা। বাইরে থেকে যেটা দেখছি সেটা পুরোটাই এই আগুনের খেলা দেখাবে বলেই বানানো। এমনি মনে হল আমার। আবার এটাও মনে হল, এই চাপা দেওয়ার চেষ্টাটা কেন? ভেতরের মানুষটাকে চিনে ফেললে খেলার উত্তেজনাটাও বদলে যাবে, সেই জন্যে?
লোকটার চুলগুলো চিমনির গায়ের মতো কালো আর কোঁকড়া। ভুরু মোটা। গোঁফটা ঝোলানো ঠোঁটের দুপাশে। কানে বড় মাকড়ি। লোকটা কালচে সবুজ একটা লম্বা বোতল থেকে মুখে একটা তরল ঢালে, গালটা ফোলায়, তারপর ঠোঁটটা ছুঁচলো করে হাওয়া ছাড়তে থাকে জোরে। আর একটা লাল হলুদ কমলা হিলহিলে সাপ ছিটকে বেরোয় তার ঠোটের ফাঁক দিয়ে। একটু দূরে গিয়েই সাপটা হাওয়ায় ফোলানো একটা বেলুনের মতো বড় আর বিস্ফারিত হয়, তারপর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে, হুহুউশশ একটা ধ্বনি তুলে, চারপাশের সাদা বাতাসে মিলিয়ে যায়। আমরা সকলে তাকিয়ে থাকি।
ঘটনাটা কিছুটা কোনও লোককে আচমকা ছুরি মেরে তলপেট থেকে নিমেষে ছোরাটা বের করে নেওয়ার মতো। কিম্বা একটা লোক হয়ত তার বাড়িতে ঢুকছে, তখন হঠাৎ সামনে এসে তার বুকে, কপালে, পেটে তিনটে বুলেট ঠুশে দেওয়ার মতো। এতটাই আকস্মিক। এত্টাই অতর্কিত। দাঁড়িয়ে আছি, দেখছি, জানি কী হতে চলেছে তবু ব্যাপারটা যেন আমাদের ভয় আর বিস্ময়কে একটা বদ্ধ দরজার ওপারে দাঁড় করিয়ে রেখে হঠাৎ হাট করে দরজাটা খুলে দেয়। সাপের চোখের সম্মোহন যেভাবে শিকারের ত্রাসকে খাঁচাবন্দী করে ফেলে, অনেকটা তেমনই।
অনেক মানুষ আগুনখেকোর চারপাশে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছে। আমিও তাদের মধ্যে একজন। বোতল থেকে গলায় পানীয় ঢালার মাঝে মিনিট কয়েক থেমে থাকছে লোকটা। চোখ বোজা। কী যেন বিড়বিড় করছে। তাকে ঘিরে এত জোরে টিনের ড্রাম বাজছে এখন, যে কী বলছে সেটা শোনা যাচ্ছে না। আগের আগুনের গোলাটা মিলিয়ে যেতেই ভিড় লোকটার একটু কাছে চলে এসেছিল, আর যেই লোকটা পানীয় গলায় ঢালছে, এক পা এক পা করে পিছিয়ে আসছে সকলে। ওই…লোকটা ঠোঁট ছুঁচলো করল আবার। এখনি আবার ফুঁ দেবে জোরে। ভিড়ের লোকগুলো ফের পড়িমড়ি করে পেছোতে থাকে। তারপর হঠাৎ কেমন পাথর হয়ে যায়। তাদের সবার দৃষ্টি লোকটার ঠোঁটের দিকে। তারা আর নড়তে পারছে না। কে যেন তাদের বেঁধে ফেলেছে।
ঠিক এমন সময়ে অবনীকে আমি পাশ থেকে দেখে ফেলি। এক মুহূর্তের জন্যে মনে হয়, অবনীই তো! কত বছর পর দেখছি ওকে? মনে পড়ে না! শুধু অবনীর দাঁড়িয়ে থাকার অসহায় ভঙ্গিটা আমাকে ফুটপাথের এই কোণে আটকে রাখে। ‘অবনী’…আমি ডাকতে গিয়েও থেমে যাই, ডাকি না।
অবনীর চুল আজও সেইরকম খোঁচা খোঁচা কদম ছাঁট। যেন শজারুর কাঁটা। হঠাৎ দেখলে মনে হবে ন্যাড়া। এখনও সেই পেছনে দুহাত জড়ো করে দাঁড়ানোর ভঙ্গি। অস্বীকারের। ঢিলে একটা বুশশার্ট গায়ে। ঢোলা প্যান্ট। এখানে সেখানে নানা রঙের কাপড়ের তাপ্পি লাগানো। খালি পা। দুদিকে ছড়ানো পায়ের পাতা। যেন লিটল ট্র্যাম্প। শুধু দেখছে। দেখছে আর দেখছে। সবকিছু। কথা বলবে না। নীরবতা তার প্রতিবাদের ভাষা।
ওর গলায় আর ঘাড়ের কাছে অনেকটা জায়গা জুড়ে একটা লালচে দাগ। দাগটা অনেকদিনের। হয়ত সামতাবেড়ে, হয়ত বিড়া, গুমা, অশোকনগরের মাঝখানে কোনও একটা জায়গায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে টান দিয়েছিল ওকে লোকাল মাস্তানেরা। মনে পড়ল, ও নিজেই জানিয়েছিল কখনও।
কিন্তু মাস্তানেরা ওকে মারতে চাইবে কেন? যতদূর জানি অবনীর ধ্যান জ্ঞান ছিল কবিতা। ওর ব্যাগে সবসময় তিন চারখানা কবিতার বই থাকত। বেশিভাগ তরুণ কবিদের লেখা। শুধু একটা মলাট ছেঁড়া, পোকায় কাটা কবিতার বই কখনও সরত না। অঘ্রাণের অনুভূতিমালা। বহুদিন হয়েছে ব্যাগ থেকে বই বার করে অবনী কবিতা শুনিয়েছে আমাদের। কিন্তু বিনয়ের বইটা থেকে কবিতা পড়তে বা ওই বইটার কথা বলতেও শুনিনি কখনও। জিগেশ করলে চুপ করে থাকত। কিছু বলত না।
শুধু একবার অনেক জোর করতে, বলেছিল, ‘সত্যিকারের কবিতা অন্ধকারের সন্তান। রাস্তা হারিয়ে ফেললে তার কাছে এসো। ভিড়ের মধ্যে তাকে ডেকো না কখনও।’
অবনী আমার দেখা সবচেয়ে বিষণ্ণ বাংলাদেশি। দেশভাগের অনেক পরে এখানে এসেছে। বি এস এফ’কে ঘুষ দিয়েই এসেছিল। আর ফেরেনি। ছোট্টখাট্টো চেহারা, পিঠটা ডোঙা। নুয়ে পড়া। যেন ও ফেলে আসা অনেকগুলো মফস্বল শহরের ক্লান্ত নিঃসঙ্গতার ভার বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে সবসময়।
“বাবা বলত, সেই যেদিন, একদিকে যখন আমাদের বাড়িঘরে আগুন লাগাল ওরা, আর ঝুপসি অন্ধকার থেকে চিৎকার আর আর্তনাদ ক্রমশ তাড়া করছিল আমাদের, মা শুধু ঠাকুরের ছবিটা আঁকড়ে ধরেছিল আর বোন ওর খেলনা পুতুলটাকে, আর বাবা আমাদের দুজনের হাত ধরে দৌড়োচ্ছিল; না, তার বেশি কিছুই আর আমার মনে পড়ে না, সেইদিনই, দৌড়োতে দৌড়োতে বাড়ি থেকে বেশ দূরে ফাঁকা মাঠটায় হাঁফ নিতে নিতে বাবা বলেছিল, আজকের পর থেকে তোর বয়স দশ বছরেই আটকে থাকবে। আর বাড়বে না কোনদিনও।”
কারশেডের পাশে ঝাঁকড়া অশ্বত্থ গাছটার কালো ছায়ায় বসে আমায় অবনীই বলেছিল কথাটা। সেদিন একটা বাংলার পাঁইট নিয়ে বসেছিলাম আমরা। একটু কি নেশাও হয়েছিল? হবে হয়ত।
আর একটা অদ্ভুত কথা বলেছিল অবনী সেদিন। বলেছিল, ‘আমার আসল নাম কিন্তু অবনী নয়। আমার নাম হান্ডালা।’
‘হান্ডালা! মানে?’ আমি প্রশ্ন করেছিলাম।
অবনী বা হান্ডালা কিছু বলেনি। শুধু ঠোঁট বেঁকিয়ে কাঁধটা ঝাঁকিয়েছিল।
অনেক পরে আমার বহুবার মনে হয়েছে, অবনী ঠিকই বলেছিল। ওর বয়স সত্যিই বোধহয় কখনও দশ পেরোয়নি। ও শুধু দেখে। পেছনে দু হাত মুঠো করে, নিঃশব্দে, সব আগুন লাগানো, সব ধর্ষণের দৃশ্য, সব খুনের মুহূর্ত, সব মার দাঙ্গা, লুটপাট, সব বীভৎস ঘটনার মুহূর্তে আশ্চর্যজনকভাবে, ঠিক উপস্থিত হয়ে যায়, আর দেখে। শুধু দেখতেই থাকে। রা কাড়ে না।
কিন্তু ঘটনা এটাই যে মাঝে মাঝেই অবনীকে পাওয়া যেত না। ও কোথায় আছে, কি করছে, কিছুই জানতে পারতাম না। একবার মনে আছে, তাও সেটাও অনেকদিন হয়ে গেল, একদিন ডালহাউসিতে রাইটার্সের পেছনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, বাঁদিকের লাল বাড়ির পাশে আবর্জনার স্তূপ, বাড়ি সারাইয়ের কাজ চলছে, আমার ডান দিকের গলিতে বেশ কিছু লোক সামনের একটা বড় বাড়ির গায়ে লাগানো বিরাট ইলেকট্রনিক বোর্ডে ক্ষণে ক্ষণে পালটে যেতে থাকা সংখ্যাদের দিকে তাকিয়ে হুঙ্কার করে উঠছে, ঠিক এমন সময়ে মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। অবনী!
ফোনটা ধরতেই ওপ্রান্তে অবনীর গলা। “স্টক এক্সচেঞ্জের যেখানটায় দাঁড়িয়ে আছো তার সামনের চায়ের দোকানের দেয়ালটা একবার দেখ।”
তাকালাম সেদিকে। ফুটপাথের চায়ের দোকান যেমন হয়। অন্ধকার ঝুপড়ি দোকান। কিছু লোক সামনে ভিড় করে চা খাচ্ছে।
অবনী কই? ভাল করে লোকগুলোর মুখ দেখতে চেষ্টা করলাম। কই না, নেই তো ওখানে!
ফোনটা কানে ধরাই ছিল। অবনী বলল, ‘বাচ্চাটাকে দেখতে পাচ্ছো?’
–কোন বাচ্চাটা? আমি বলি।
–ওই যে উপুড় হয়ে আছে। ঠিক মনে হচ্ছে না, ঘুমিয়ে আছে?
কোথায় বাচ্চা! আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। বোকার মতো চায়ের দোকানের লোকগুলোকে দেখছিলাম শুধু।
অবনী কি মজা করছে আমার সাথে?
–দেখ, দেখ, ভাল করে দেখ। লাল গেঞ্জি আর নীল হাফ প্যান্ট পরে আছে।
অবনী বলতে থাকে।
এতক্ষণে আমার চোখ পড়ে দোকানের ঝুল কালি লাগা দেয়ালে। একটা পোস্টার সাঁটা সেখানে। একটা নয়, দুটো। দুটোতে একই ছবি। সমুদ্রের তট মনে হচ্ছে। পেছনে ধূ ধূ জলরাশি। সামনে বালির চরা। ঠিক মাঝখানে বাচ্চাটা উপুড় হয়ে শুয়ে। নরম মুখটা একদিকে কাত হয়ে আছে। লাল গেঞ্জীটা পেটের কাছে একটু উঠে গেছে। পায়ে তখনও নতুন জুতো।
কী যেন একটা ধাক্কা মারে বুকের ভেতরে। ছ্যাঁৎ করে ওঠে। অবনীর গলা ভেসে ওঠে তখনি।
–পারল না, বুঝলে। শেষ অবধি আর পারল না মাটি ছুঁতে। জলই ওকে শেষ অবধি খেয়ে নিল। ওর হাতের চেটোটা দেখ। ঠিক যেন আকাশের কাছে চাইছে কিছু। ইচ্ছে করছে ওর হাতের খোলা চেটোতে ঠোঁট ছোঁয়াই আলতো করে, তাই না!
–কে ও?
আমি জিজ্ঞেস করি অবনীকে। নিজের কানে আমার নিজের গলাই কেমন ফ্যাঁসফ্যাসে শোনায়।
অবনী বলে,
–কে আবার, অবনী! আমি। আমিই তো কথা বলছি তোমার সাথে।
আমি কিছু বলার আগেই ফোনটা হঠাৎ কেটে যায়। ঠিক যেমন ভাবে এসেছিল, ঠিক তেমনই।
আর আজ এতদিন পর আবার দেখতে পেলাম অবনীকে। এই ফুটপাথে। অবনী যেখানে দাঁড়িয়ে আগুনখেকোকে দেখছিল, আর আমি ফুটপাথের যেখানে দাঁড়িয়ে অবনীকে দেখছিলাম, তার মধ্যে দূরত্ব সামান্যই। আমি চাইলেই এখন অবনীর পিঠের নিঃসঙ্গ মফস্বলকে ছুঁয়ে দিতে পারি, কিন্তু আমার ইছে করল না। না ছুঁয়ে, না ডেকে, আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখলাম, অবনী নিষ্পলক চোখে আগুনখেকোর ফোলানো গালের দিকে তাকিয়ে আছে। রেডিওতে, বোধহয় কোন এফ এম চ্যানেলে, কোন অল ডে ফাটাফাটি রেট্রো চ্যানেলে, হঠাৎ একটা পুরনো গান বেজে উঠল। গিলে লে গিলে লে আয়ো আয়ো গিলে লে…।
যেন সম্বিত ফিরল আমার। অবনী কি আগুনের হলকায় ঝলসে যাবে বলেই আগুনখেকো লোকটার অত কাছে? এতক্ষণে খেয়াল করলাম, লোকটার চারপাশে দু তিনটে খালি গা ঢোলা হাফ প্যান্ট পরা বাচ্চা ছেলে ছাড়া এই মুহূর্তে আর কেউ নেই। আর লোকটা ধীর নিশ্চিত পায়ে ক্রমশ অবনী যেখানটায় দাঁড়িয়ে সেদিকেই এগিয়ে আসছে।
এটা কি তাহলে খেলা দেখানো নয়! অন্য কিছু?
মুহূর্তগুলো যেন একটা অন্যটার ঘাড়ে লাফিয়ে পড়ছিল। ইতিমধ্যেই লোকটা অবনীর আরও কাছে এগিয়ে এসেছে। এখন ওর গালফোলা মুখের থেকে অবনীর চোখের দূরত্ব এক হাতেরও কম। নিমেষে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল আমার কাছে। আর কিছু ভাবার সময় নেই। শুধু মনে পড়ল, এখনই না, কিছুতেই এখন না। এখনও যে দেশে ফেরা বাকি আছে ওর। আমি এক ধাক্কায় সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলাম অবনীকে। দিতে দিতেই চোখ পড়ল আগুনখেকোর চোখে। হিংস্র ক্ষুধার্ত একটা দৃষ্টি। আর সেই মুহূর্তেই তিনটে বাচ্চার মধ্যে কোনও একটা হঠাৎ চিৎকার করে উঠল, না কি আমারই মনের ভুল, আমার মাথার ভেতরেই কেউ চেঁচিয়ে উঠল, ‘আররে হারামি তোর অনেক আগেই চিলির একটা লোক এই ঘটনাটা দেখে ফেলেছে। আর লিখেও গেছে সেই কবে। এই শতাব্দী শুরু হওয়ার আগেই। আর ওই লোকটা মোটেই অবনী নয়। হান্ডালাও নয়। আয়লানও নয়, রোহিঙ্গাও না। ও একটা রেফুজি।’
আগুনের ছোবল শুকনো বাতাসে ঝাপটা মারছিল। অবনী একটু দূরে ছিটকে গেছে। আমি অন্য পাশে।
টাল সামলাতে সামলাতে হঠাৎ মনে হল, তাহলে এই লেখাটা যে লিখছে, এখন, সে কে?
………………………………………………………………………………………………………………।
ঋণ – নাজি আল আলি, রোবের্তো বোলানো, আয়লান কুর্দী।
সংযোজন – হান্ডালা এক রাজনৈতিক কমিক বুক চরিত্র যাঁর স্রষ্টা প্যালেস্টাইনের নাজি আল আলি। নাজি আলি নিজের বাড়ি, শহর, দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন মাত্র দশ বছর বয়সে। পরবর্তী জীবনে কাজ করেছেন রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট হয়ে। হান্ডালা’র চরিত্র তিনি তৈরি করেছিলেন দশ বছরের বালক হিসেবে, যে রেফুজি, যার ঘর নেই। বলেছিলেন হান্ডালার বয়স সেদিন দশ ছাড়াবে যেদিন সে আবার স্বদেশে ফিরতে পারবে। হান্ডালা কোনদিনই দশ বছর পেরোয়নি কেননা তার স্রষ্টা নাজি আল আলি আততায়ীদের হাতে খুন হয়েছিলেন ১৯৮৭তে, তাঁর উনচল্লিশ বছর বয়সে। নিজের দেশে তাঁর আর কোনওদিনই ফেরা হয়নি।
গল্পটা দুবার পড়লাম৷ সত্যিই এ গল্প পড়ে মন্তব্য করা যায় না৷ থম মেরে বসে থাকতে হয়, কখন আগুনখেকোটার মুখ থেকে ফের আগুনের হলকা বেরোবে সেই অপেক্ষায়৷
পড়ে ঝিম মেরে বসে অাছি। অনবদ্য।
অসাধারণ ।