প্রিয়ক মিত্র
পূর্ব প্রকাশিতের পর
১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হল ঠিকই, কিন্তু বাংলায় আগুন ছাইচাপা হয়েই ছিল। ক্রমে তা ছড়াতে শুরু করল ধিকিধিকি। ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা মামলার গ্রেফতারের পর ব্রিটিশ পুলিশ ভেবে নিয়েছিল, স্বদেশি বিপ্লবের উদ্যোগ এবারে শেষ। কিন্তু ধীরে ধীরে বোঝা গেল, স্বদেশি আন্দোলনের মাত্রা বাড়ছে। একে একে রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাই, উকিল আশু বিশ্বাস, দারোগা শামসুল আলমের খুন, বড়লাটকে খুনের চেষ্টা বোঝাচ্ছিল, পালের গোদা কেউ একজন আছে। সে যে বাঘাযতীন, তা বুঝতে একটু সময় লেগেছিল। হাওড়া-শিবপুর মামলার সময় হার্ডিঞ্জ বললেন, বাঘাযতীন ‘একজন মাত্র অপরাধী’, যে এই গোটা গোলমালের নেপথ্যে। তাও কিন্তু কিছুই প্রমাণ করা গেল না। বাঘাযতীন ছাড়া পেল। স্বদেশি সন্ত্রাস বেড়ে চলল। ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের একাংশ খবর পেল, জার্মানদের সঙ্গে কোনও ষড়যন্ত্রে যেতে চলেছে স্বদেশিরা।
এই অবস্থায়, ১৯১৪ সালে একটা ঘটনা ঘটে গেল। এর কিছুদিন আগে ব্রিটিশ হংকং থেকে যাত্রা করেছিল এস এস কোমাগাতামারু জাহাজ। সেই জাহাজে ছিল বহু ভারতীয়, যারা কানাডার নাগরিকত্ব নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থমনোরথ হয়ে তাদের ফিরে আসতে হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল গদর পার্টি। কোমাগাতামারু এসে ভেড়ে বজবজ বন্দরে। সেখান থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে মারা গেলেন দেশ ছাড়তে ব্যর্থ হওয়া ভারতীয়দের অনেকেই। ‘কোমাগাতামারু’ আর ‘তোশামারু’ জাহাজের যাত্রীরা ভারতে এক বড়সড় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা নিয়েছিল বলে খবর।
হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র এবং গদর পার্টির কোমাগাতামারু ঘটনা— এই দুইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল এক বাঙালির নাম— রাসবিহারী বসু। এই রাসবিহারী বসু কাদের সাহায্যে এই ষড়যন্ত্রের ছক কষছিলেন, তাদের তালিকা তৈরি করছিল গোয়েন্দা বিভাগ। আর সেই তালিকাতেই উঠে এসেছিল ফাদার রুবেলের নাম। কে এই ফাদার রুবেল? তিনি আইআরবি-র সদস্য। আইআরবি, আইরিশ রিপাবলিকান ব্রাদারহুড, আইরিশ জাতীয়তাবাদী যে গোপন সংগঠন ১৮৫৮ সাল থেকে সক্রিয়। ১৮৪৮-এ ইয়ং আইরিশ রেভলিউশন ব্যর্থ হওয়ার পর জেমস স্টিফেনস এবং জন ও’ম্যাহোনি পালিয়ে আসেন প্যারিসে, সেখানেই শুরু হয় আইআরবি-র বীজ বোনা। সেই সাংগঠনিক কাজে যুক্ত ছিলেন ফাদার রুবেলের বাবা, সেই সূত্রেই এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে যান ফাদার রুবেল। বঙ্গভঙ্গের পরে বাংলায় চরমপন্থী স্বাধীনতা আন্দোলনের সলতে পাকতেই ফাদার রুবেলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলায়। আর তখন থেকেই যুগান্তর ও অন্যান্য দলের সঙ্গে তার যোগাযোগ শুরু।
কোমাগাতামারুর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল আমেরিকার অ্যানি লার্সেন আর্মস প্লট। গদর পার্টির পাশাপাশি সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও আইআরবি-র জড়িত থাকার প্রবল সম্ভাবনা। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা খবর পেয়েছে, ফাদার রুবেলের হাত রয়েছে সেই চক্রান্তেও।
সমস্যা ছিল এই ফাদার রুবেল নামটা নিয়ে। এই নামে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বাংলাজুড়ে। লালবাজারের গোয়েন্দারা বিভিন্নজনের বর্ণনা থেকে ফাদার রুবেলের যেসব স্কেচ করিয়েছিল, তা একটার সঙ্গে একটা মেলে না। ছদ্মবেশে চেহারা ঢাকা পড়ে গেছে বারবার। তাহলে কি নামটাও ছদ্মনাম? না কি আসল নাম ফাদার রুবেল, অন্য কোনও নামে সে রয়েছে এখানে?
আসলে ফাদার রুবেলের পুরো নামটা কেউই জানতে পারেনি। লুইস রুবেল। পুরুলিয়ার একটি মিশনারি হোমে ফাদার লুইস নামে তাকে সবাই চিনত। যেজন্য মহেশ সেন ও ওই এলাকার দারোগা লালবাজারের কথামতো ফাদার রুবেলের খোঁজ যখন করছিল, তখন ফাদার লুইসকে এক মুহূর্তের জন্যও সন্দেহ করেনি তারা।
শাজাহান এখানে আসার আগে উডপেকের থেকে শুনেছিল এই ফাদারের কথা। সে আন্দাজও করেনি, অনাদি চৌধুরীর পোড়ো বাড়িতে এসে তার সঙ্গে মোলাকাত হয়ে যাবে ফাদারের।
আশ্চর্য লাগছে শাজাহানের। আজ এই ফাদার-সহ এত বড় স্বদেশিদের দল তার হাতের কাছে। তার বন্দুকের নল ফাদারের দিকে তাক করা। কিন্তু সে পিছু নিয়েছে প্রমথরঞ্জনের। এখন যে তার দিকে বন্দুক তাক করে রয়েছে। তার তাক করা বন্দুক এবং তার দিকে তাক করা বন্দুক এক আশ্চর্য দোলাচলে ফেলে রেখেছে তাকে।
এই অবস্থায় হঠাৎ হাত দিয়ে কাঁধ চেপে ধরে উঠে দাঁড়াল জনার্দন সান্যাল। হাতে পিস্তল নিয়ে।
জনার্দন কী করতে চেষ্টা করছে প্রথমে বুঝতে পারেনি শাজাহান। শাজাহান-সহ ঘরের বাকিদের চমকে দিয়ে আচমকাই লতাকে নিজের সামনে টেনে নিল জনার্দন। তার রগে বন্দুক ঠেকিয়ে ফাদারের দিকে তাকিয়ে কর্কশ গলায় বলল— আপনারা সকলে সারেন্ডার করুন। নইলে এই মেয়েটাকে আমি এক্ষুনি শুট করে দেব।
ফাদার খুব শান্তভাবে তাকায় জনার্দনের দিকে। তারপর ঠোঁটের কোণে একটা হাসি ফুটিয়ে বলে— মরার জন্য লতা অনেকদিন ধরেই তৈরি। যখন থেকে সে এই দলে যোগ দিয়েছে। আমরা কেউই মৃত্যুর ভয় পাই না।
–তাই না কি? একটা ফিউজিটিভের মুখে এত বড় বড় কথা মানায় না! লতাকেই একবার জিজ্ঞেস করুন তো… ও মরতে চাইছে কি না?
ফাদার আরও শান্তভাবে লতার দিকে তাকাল।
লতাও ফাদারের চোখে চোখ রেখেছে।
কী উত্তর দেবে লতা? সে এখনই মরতে চায়? এভাবে? হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায়? সে মৃন্ময়দাকে জিজ্ঞেস করেছিল, কী করে সে মানুষ মারবে? যদি প্রয়োজন হয়? মৃন্ময়দা বলেছিল, যখন সত্যি প্রয়োজন হবে, তখন আহত হওয়ার পর তাকে কেউ একজন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। লতার এখন মনে হয়, সেই লোকটাই ফাদার! ফাদার ওকে কোথাও একটা নিয়ে যেত, সেখানে নিরাপদে রাখত। কিন্তু বিধি বাম! পথে বাধা দিল একজন কাঠুরিয়া। জীবনে, ওই প্রথম খুন করার চেষ্টা করেছিল লতা। পুলিশের গুলির সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিল। সূর্যবাবু আর মৃন্ময়দাদা ওকে পিস্তল চালাতে শিখিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সামনে পিস্তল তুলে গুলি করার অবকাশই পায়নি লতা। ওর হাত-পা কেমন যেন অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল অমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। আর গুলিও লাগল ওর গায়েই। সেই এক মুহূর্তের নিষ্ক্রিয়তাই যেন লতার ভেতর জমা করছিল রাগ। তাই হঠাৎ যমদূতের মতো ওই কাঠুরিয়াকে দেখে খেপে উঠেছিল লতা। কিন্তু এখন সে বোঝে, ওই কাঠুরিয়া তার প্রাণ বাঁচানো ছাড়া কিছুই চায়নি। লতা গুলির আঘাত হয়তো সামলে উঠেছিল। কিন্তু একবারের জন্যও সে ভুলতে পারেনি, পুলিশের গুলির সামনে তার থমকে যাওয়ার কথা। কেন থমকে গিয়েছিল লতা? সে কি মরতে ভয় পেয়েছিল? সেই মুহূর্তে? এই ভাবনা তাকে বারবার কুরে কুরে খেয়েছে। বারবার সে ভেবেছে, এই ভয় সে কীভাবে কাটিয়ে উঠতে পারবে।
অবশেষে সে পেরেছে। হাতকড়া পরা অবস্থাতেও মহেশ সেনকে খুন করতে পেরেছে সে। পেরেছে একজন শত্রুকে নিকেশ করতে। সেই খুনটা সে নিজের জন্যও করে থাকতে পারে, মৃন্ময়দাদার জন্যও করে রাখতে পারে, আবার দেশের জন্যও করে থাকতে পারে। কী যায় আসে? যুদ্ধে আছে সে। শত্রুকে নিঃশেষ করা ছাড়া আর কোনও মন্ত্রে বিশ্বাস রাখার দরকার আছে কি?
লতা বন্দি। তার হাতে হাতকড়া। জনার্দন সান্যালের পিস্তল তার কপালে ঠেকানো। কিন্তু জনার্দন সান্যালের কাঁধে গুলি লেগেছে। ফলে অন্য যে হাতটা দিয়ে জনার্দন সান্যাল সাপের মতো পেঁচিয়ে ধরেছে লতার গলা, সেই হাতে জোর নেই। লতা তা বুঝতে পারল।
হাত বাঁধা অবস্থাতেও লতার হাতে রাক্ষুসে জোর এখন। একটু আগে সে তার জীবনের প্রথম হত্যাটা করেছে। আত্মরক্ষার জন্য, তার সাথীদের জন্য। দেশের জন্য। সে জানে, এখন তাকে কিছুই আটকে রাখতে পারবে না।
লতা চোখের নিমেষে সর্বশক্তি সঞ্চয় করে হাত ঘুরিয়ে জনার্দন সান্যালের পিস্তল ধরা হাতে একটি মোক্ষম ঘা দিল।
মুহূর্তে জনার্দনের পিস্তল থেকে ছিটকে গেল অসাবধান গুলি। সেই গুলি দেওয়ালে গিয়ে লাগল। আর পিস্তলটা গিয়ে পড়ল শাজাহানের পায়ের কাছে।
জনার্দন লতাকে চেপে ধরতে চেষ্টা করল, কিন্তু লতা ঘুরে গিয়ে আচমকা পা চালিয়ে দিল জনার্দনের বুকে। সে কিছুটা হড়কে গিয়ে পড়ল পিছনের খাবার টেবিলের উপর।
লতা মরবে কেন? সে এখন লড়তে জানে!
জনার্দন হঠাৎ ওই অবস্থাতেই খেঁকিয়ে উঠল শাজাহানের দিকে তাকিয়ে।
–কী ব্যাপার অফিসার! পিস্তলটা আপনার পায়ের সামনে পড়ে আছে! চোখে পড়ছে না সেটা? না কি হাত থেকে কেসটা বেরিয়ে গেছে বলে এই অবস্থাতেও কো-অপারেট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
শাজাহান শান্তভাবে তাকাল জনার্দনের দিকে।
–অফিসার! ততোধিক শান্ত গলায় বলল শাজাহান। আপনি গানপয়েন্টে নেই, আমি আছি।
–সো হোয়াট! ঝাঁঝিয়ে উঠল জনার্দন। গানপয়েন্টে আছেন বলে একজন ওয়ান্টেড ক্রিমিনালকে আপনি পালাতে দেবেন?
–লতা পালাতে পারত না অফিসার! কারণ আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। উপস্থিত বুদ্ধি থাকলেই এটুকু বোঝা যায়, ধীর কণ্ঠে বলল শাজাহান। তার দৃষ্টি আর জনার্দনের দিকেই নেই। ফাদার এবং প্রমথরঞ্জনের উপর তার সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষিপ্ত।
জনার্দনের চোখ গনগন করছে রাগে। সে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
–মুখ সামলে কথা বলবেন অফিসার। আপনি আমার সুপিরিয়র নন।
–আপনিও তো আমার সুপিরিয়র নন! আমি গানপয়েন্টে আছি আমার কেসের আসামীর। আমার গানপয়েন্টে আপনারই কেসের সবচেয়ে বড় আসামী। এই অবস্থায় আপনি অকারণে একটা রং মুভ নিয়েছেন। এর জন্য দায়ী আপনি। এই অবস্থায় নিচু হয়ে আপনার পিস্তল তুলে আপনাকে দেওয়ার কোনও কারণই আমি দেখছি না!
এবার জনার্দন মাত্রা ছাড়াল। দাঁতমুখ খিঁচিয়ে— শাট আপ! ব্লাডি মুসলমান! নেড়ে শালা! ব্রিটিশদের জুতো চাটিস বলে দুটি খেতে পাস। আমাদের বাঙালি হিন্দুদের ব্রিটিশ পুলিশ সম্মান দিয়ে চাকরিতে ডাকে। তোদের ডাকে তোরা পালতু কুত্তা বলে। দয়া করে!— এতটা বলে শাজাহানকে উদ্দেশ্য করে একটা থুতু ফেলল সে।
শাজাহানের মাথায় হঠাৎ আগ্নেয়গিরি জ্বলে উঠল। যে কারণে তাকে পুলিশের মেস ছাড়তে হয়েছিল, সেটা আবার উসকে উঠল। তার সেই সহকর্মী, যে তার মুসলমান হওয়া নিয়ে খোঁচা মেরেছিল, তাকে উচিত শিক্ষা দিয়েছিল শাজাহান। আজ এই অবস্থা না থাকলে জনার্দন এতক্ষণে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারত না। তার এই কদিনের শান্ত শাজাহান হয়ে ওঠা যেন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। আবার তার ভেতরের পশু জেগে উঠল।
শাজাহান ফাদারের দিক থেকে বন্দুক সরাল না। ফাদারের বন্দুক এখনও সনাতনের দিকে। প্রমথরঞ্জনের বন্দুকও তার দিকে তাক করা। কিন্তু তারা এখন বুঝতে পারছে, ঘরে কিছু একটা ঘটতে চলেছে, যা তাদের সুবিধে করে দেবে।
জনার্দনের দিকে না তাকিয়েই শাজাহান স্থিরভাবে, অথচ চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
–জনার্দন সান্যাল! পুলিশ হিসেবে তুই আমার নখের যোগ্য নোস। তোর না আছে বুদ্ধি, না আছে আমার মতো গায়ের জোর। তোর মতো বদ রক্তের জানোয়ারের ওষুধ কী, আমি হাড়ে হাড়ে জানি। তুই এর মধ্যেই গুলি খেয়ে বসে আছিস। এরপর আর বাড়াবাড়ি করিস না।
–তবে রে হারামজাদা! কী করবি তুই আমাকে?
আহত অবস্থাতেই অসুস্থের মতো চিৎকার করে শাজাহানের দিকে রীতিমতো তেড়ে গেল জনার্দন। শাজাহান তার টুঁটিটা চেপে ধরল সঙ্গে সঙ্গে। শাজাহানের বন্দুক ফাদারের দিক থেকে সরেনি। জনার্দন শাজাহানের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল, কিন্তু তা লোহার পাতের মতো শক্ত। তার গোঙানির ভেতর দিয়ে অস্ফুট গালাগালি আর থুতু ভেসে আসতে লাগল।
জনার্দন তার পিস্তলটা এবার চেপে ধরল শাজাহানের কোমরে। গুলি হয়তো চালিয়েও দিত। কিন্তু তার আগেই একটা পিস্তল দুবার গর্জে উঠল।
সনাতন হাজরার পিস্তল।
জনার্দন ক্রোধে-বিস্ময়ে রক্তাক্ত বুকে হাত চেপে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল সনাতনের দিকে। কিন্তু পারল না। লুটিয়ে পড়ল নিমেষে।
ঘরে মৃতদেহের সংখ্যা আরেকটা বাড়ল।
শাজাহান এবার খানিকটা বিস্মিত দৃষ্টিতেই তাকাল সনাতনের দিকে।
নির্লিপ্ত মুখ করে সনাতন বলল,
–গায়ে পুলিশের উর্দি না থাকলে আরও আগেই ওর ইন্তেকাল হত। অনেকক্ষণ থেকে ঘরের মধ্যে বিষ ছড়াচ্ছিল!
এক মুহূর্তের জন্য ঘর স্তব্ধ। যেন নাটকের যবনিকা পতন এখানেই হতে পারত। কিন্তু তা হওয়ার নয়।
(আবার আগামী সংখ্যায়)
তারান্তিনো-র সমস্ত পর্বের জন্য ক্লিক করুন: তারান্তিনো — প্রিয়ক মিত্র