দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠির আওয়াজ প্রায় বন্ধ হয়ে এল। আজ শোকের মহরম। আমাদের ভক্তি ও শোক যথাযথ মর্যাদায় জ্ঞাপিত হোক।
এদিকেদেখতে দেখতে ছয় মাসে পা। যাত্রাপথ দীর্ঘ না হলেও চমৎকার আকর্ষণে ভরা। দেশ ও দেশের বাইরের বাংলা সাহিত্যের মনস্বী পাঠকের সোৎসাহ যোগদানে আমরা অভিভূত। আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করছেন, এই অল্প সময়ে এমন পাঠকের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে আটের মাইলফলক ছোঁয়ার দিকে এগোচ্ছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, কাজটা খারাপ হচ্ছে না। তবে আরও অনেকটাই ভালো করা যায়–সে সম্বন্ধে আমরা নিশ্চিত। সেই চেষ্টা জারি থাকবে।
গত সংখ্যার মূল ভাবনা‘বিজয়া ও বিবর্জিতা’-র পর এবারের ভাবনায় সাহিত্যের উত্তর-পূর্ব, বা উত্তর-পূর্ব ভারতের সাহিত্য। উত্তর-পূর্বেরবহু ভাষার মধ্যে সামান্যের কথাই তুলে আনা সম্ভব হল। এই সংখ্যায় মেইতেই সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে লিখলেন সদানন্দ সিংহ, বোড়ো গল্পের ইতিহাস নিয়ে লিখলেন রীতা বোড়ো, আসামের সাহিত্যে আদিবাসীদের প্রভাব নিয়ে লিখলেন ড. গোবিন্দপ্রসাদ সর্মা এবং কারবি ভাষার সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করলেন প্রয়াত সাহিত্যিক ও সমালোচক লংকাম তেরন। ভবিষ্যতে এ-বিষয়ে আরও কাজ করবার জন্য আপনাদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রইলাম। এই প্রসঙ্গে দু’জন মানুষের কথা না বললে চলবে না। কবি সমরজিৎ সিংহ ও যাপনকথা উত্তর-পূর্বের সম্পাদক কান্তার – কান্তারভূষণ নন্দী। এঁদের পরামর্শ ও সাহায্য ছাড়া এটুকুও সম্ভব হত না।
কবি তরুণ সান্যাল চলে গেছেন আগস্ট মাসের শেষে। এই সংখ্যায় তাঁকে স্মরণ করলাম। স্মরণ করলাম নিহত সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকেও।
এই ষষ্ঠ সংখ্যায় এসে আমরা পত্রিকার বিন্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে চাইছি। এবার থেকে প্রতি সপ্তাহের ঘটিগরম, উইদাউট টিকিট আর নেবুনজেন আর প্রকাশিত হবে না। এর বদলে প্রতি শুক্রবার, ঘটিগরমের দিনে, প্রকাশিত হবে লোকাল ট্রেন – নিত্যযাত্রীর ভয়ভাবনাভালোবাসার কথা নিয়ে।
Excellent effort with unique concepts. Many congratulations. Hope to see many more wonderful creativity.
Thanks Rituparno… Stay with us…