পঙ্কজ চক্রবর্তী
সম্প্রতি 'তবুও প্রয়াস' প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পেয়েছে কবি পঙ্কজ চক্রবর্তীর গদ্যগ্রন্থ 'মধ্যম পুরুষের ঠোঁট'। শিরোনামের বাইলাইন— কবির রাজনীতি, কবিতার কিসসা। চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর হুইলার্স বিভাগে এ সংখ্যায় রইল বইটি থেকে একটি নির্বাচিত গদ্য।
জনপ্রিয় কবিতার প্রতি সন্দেহ ছিল, ইদানীং তাকে ভালোবাসতে ভয় হয়। চতুর্দিকে একজন পাঠক এবং কবি রয়েছেন সক্রিয় পর্যবেক্ষণের লঘু আলস্যে। যেকোনো মন্তব্য, এমনকী পাঠকের অধিকার আজ সকলের কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদিও আজও সক্রিয় জনপ্রিয় কবির পাঠক-হত্যা পরিকল্পনা। আজ জনপ্রিয় কবিতা আর পাঠকের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে অবৈধ শ্রোতা, প্রস্তুতিহীন বালকহৃদয়। আর তাই জনপ্রিয় কবিতার প্রয়োজন হয় বাচিক শিল্পীর। আলো আর আবহসংগীতের মাপা বিরহ, শব্দের বিদ্রোহ। অবুঝ শ্রোতার হৃদয়। শুরু হয় ক্লান্ত আবেগের নিয়মিত ব্যবহার উস্কানিমূলক। পড়ে থাকে কিছু অবশিষ্ট পাঠক। যে নিজেকে খোঁজে কবিতায়। ব্যর্থ হৃদয়ের হিসেব মেলাতে চায়। জটিল কিংবা সহজিয়ায় তার প্রয়োজন নেই, বরং তরল ব্যবহারে তার আবেগ পর্যাপ্ত রোদ-জল পায়। যেন তার কথাগুলিই কবি লিখেছেন বহুযুগের ওপার থেকে। তিনি নিশ্চিন্ত। কবিতায় তার লঘু যন্ত্রণা বিশ্রামের অধিকার খোঁজে।
অথচ এই তো সেদিনও, নব্বইয়ের দিনগুলিতে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত কবিদের কবিতা পাঠই ছিল রীতি। প্রাথমিকভাবে শিক্ষিত এবং দীক্ষিত হয়ে ওঠার মাপকাঠি। ফলত তরুণ কবি এবং পাঠক নীরেন্দ্রনাথ-শক্তি-সুনীল-শঙ্খ বলয়েই খুঁজে পেতেন মননের চর্চা । কবিতা রচনার প্রাথমিক দিনগুলিতে এঁদের কবিতাই ছিল প্রধান আশ্রয়। মণীন্দ্র গুপ্ত বা শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা আমাদের পড়তে বলেনি কেউ। বিনয় মজুমদারের নাম আমরা জেনেছি কিংবদন্তি সূত্রে, ততখানি কবিতার জন্য নয়। মূলত ‘দেশ’ পত্রিকায় যাঁদের কবিতা প্রকাশিত হত তাঁদের কবি হিসেবে আমরা রীতিমতো সমীহ করতাম। পুরস্কারপ্রাপ্ত বইকে আমরা অবশ্যপাঠ্য মনে করতাম। আর তাই আমাদের হাতে হাতে ঘুরত ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’, ‘উলঙ্গ রাজা’ বা ‘বাবরের প্রার্থনা’ এইসব বই। শক্তির প্রথম জীবনের অসামান্য কাব্যগ্রন্থগুলি ফেলে আমরা বেছে নিতাম বিজ্ঞাপিত বইগুলি, যখন তিনি নিজেকে অহেতুক পুনরাবৃত্ত করছেন। কত সহজেই সেইদিন আমরা গৌরাঙ্গ ভৌমিক, কৃষ্ণ ধর, নরেশ গুহ, মণীন্দ্র রায়কে অস্বীকার করেছি। তখন সত্তরের কবি জয় গোস্বামীর বিজয়রথ এগিয়ে চলেছে। মফস্সল থেকে কবিরা পকেটে কবিতা নিয়ে তাঁর কাছে দরবার করছে। তিনিই কবিতার শেষ কথা, সাফল্যের নিয়তিকঠিন ক্রুর হাসি। তখনও আমাদের নিভৃত পাঠশালায় এসে পৌঁছোননি নিশীথ ভড়, শামশের আনোয়ার, গৌতম বসু, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, একরাম আলি, ফল্গু বসু, গৌতম চৌধুরী, সুব্রত চক্রবর্তী, দেবদাস আচার্য-সহ আরও কত ব্রাত্য নাম। আমরা ‘বাবরের প্রার্থনা’ থেকে লাফ মেরে একলাফে পৌঁছে গেছি ‘ঘুমিয়েছ ঝাউপাতা’য়। আর কোনো দিকনির্দেশ নেই আমাদের কাছে। কমবেশি এটাই ছিল মান্য পথ। আমাদের লোভনীয় পরিচর্যা। আমাদের বিখ্যাত হবার সহজাত সাধনা। চারদিকে অনুকরণের নিয়মিত হাতছানি। চতুর্দিকে পাঠক-হত্যার নানা কৌশল।
অথচ আজ আড়াআড়ি একটা স্পষ্ট বিভাজন। কবিতা পাঠের আগে দেখাতে হয় তুমি কোন দলে। তুমি যদি লিটল ম্যাগাজিনের, তাহলে এত মঞ্চপ্রিয় কেন? তুমি যদি বড়ো পত্রিকার কবি তাহলে মণীন্দ্র গুপ্তকে নিয়ে লেখার অধিকার কে তোমাকে দিয়েছে! কিছু বলার আগে শুনে নিতে চাই তোমার আত্মপরিচয় ও আদর্শ। জানতে চাই তোমার মত এবং মত্ততা। তোমার অবস্থান স্পষ্ট করো। ‘দেশ’ পত্রিকায় কতবার গোপনে লেখা পাঠিয়েছ তার হদিশ জানতে চাই। কেন ছোটোপত্রিকার সম্পাদক হয়েও তুমি বিখ্যাত কবিদের দরজায় লেখা চাইতে যাও! আত্মসম্মান না আত্মপ্রকাশ, আত্মপরিচয় না আত্মপ্রচার— এইসব আমরা আজ বাজিয়ে দেখতে চাই। অথচ পুরোনো সব কৌশল আজও গোপনে সক্রিয় এবং একইরকম প্রতিশ্রুতিময়। বিখ্যাত প্রকাশনী বই করলে ব্যর্থ কবিদের আমিষ শুভেচ্ছাবার্তা ধেয়ে আসে। তারপর গলিঘুঁজির সন্ধানে শুরু হয় দৌড়।
যে-কথা বলতে এতদূর আসা আমরা পাঠক হিসেবে জনপ্রিয় কবিদের লেখা প্রত্যাখ্যান করতে পারি কি না। বিস্মৃত নির্জন কবি এবং বিখ্যাত কবি দুজনেরই মুগ্ধ পাঠক হবার অধিকার আমাদের আছে কি না। নাকি নিরেট এবং নিশ্ছিদ্র একটি স্পষ্ট অবস্থান আজ সবচেয়ে বেশি জরুরি! একইসঙ্গে উৎপলকুমার বসু এবং সুবোধ সরকার দুজনেই আমার প্রিয় কবি বললে যদি আমার জাত যায়, যদি আমাকে আর খেলায় না নেয় তখন আমার কী হবে?
অথচ একটা সময় প্রধানত বিখ্যাত কবিদের রচনাই প্রাথমিকভাবে ছিল অবশ্যপাঠ্য। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কিংবা মল্লিকা সেনগুপ্তর লেখা পড়লে আমাদের জাত যেত না। তখনও আজকের সদ্যজাত তরুণ কবিদের মতো আমাদের মনে হয়নি, শঙ্খ ঘোষ মধ্যম মানের কবি কিন্তু অসামান্য চিন্তক। আজও তা মনে করার রুচি বা স্পর্ধা আমাদের নেই।
তারপর একদিন বিশ্বায়ন পেরিয়ে আমরা চলে এলাম একবিংশ শতাব্দীতে। আমাদের হাতে উন্নত প্রযুক্তি। লেখক-সম্পাদক-পাঠকের বিন্যাস বদলে গেল অনেকখানি। লিটল ম্যাগাজিনের হাতে এল অর্থ এবং বিপুল বিক্রির সম্ভাবনা। সম্পাদকমাত্রই ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন প্রকাশক। অসামান্য প্রচ্ছদ, ভালো বাঁধাই আর ফেসবুকের পাঠ-প্রতিক্রিয়ায় ভালো কবিতার বই ঈর্ষণীয় সাফল্য পেল। শক্তি-শঙ্খ-সুনীলের অপ্রতিরোধ্য বলয় ভাঙল। তরুণ কবি আজ আর প্রবীণ কবিকে বই উপহার দিতে লালায়িত নয়। পাঠকের প্রতি এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে তার। বৈঠকখানার রাজনীতিও লুপ্তপ্রায় এখন। যদিও এখনও কেউ কেউ প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বিছানায় তুলে নেয়। উচ্চাকাঙ্ক্ষী কবিদের পকেট ভারী থাকলে মান্য প্রকাশক সামান্য কয়েক কপি বই করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এত আত্মবিশ্বাস নিয়ে ছোটো প্রকাশনী এগিয়ে আসছে বলেই আজ বিখ্যাত কবিদের দর্শন ছাড়াই তরুণ কবি আত্মবিশ্বাসের রাস্তা খুঁজে পেয়েছে।
বড়োপত্রিকার মৌলবাদ আজ লালন করছে ছোটোপত্রিকা এবং প্রকাশনী। পাঠকের রুচি নিয়ন্ত্রণের জন্য আশ্রয় নিতে হচ্ছে অতিশয়োক্তির। পাঠক তৈরির পাশাপাশি তার অন্তরে নির্বাচিত এবং একটি সম্ভাব্য তালিকা তুলে দিচ্ছে তারা। ব্যাপারটি এমন উপর থেকে চাপানো যে পাঠকের অধিকার বা অভিরুচির প্রাথমিক দুর্বলতা আজ আর চোখে পড়ে না। সব তরুণ কবিই রমেন্দ্রকুমার আচার্যচৌধুরী বা উৎপলকুমার বসুর বইয়ের তলায় লুকিয়ে ফেলেছে জয় গোস্বামী বা শ্রীজাতর বই। কুকুরের লেজ সোজা হচ্ছে না কোনোভাবেই। গত দশ বছরে লিটল ম্যাগাজিন মেলার চরিত্র বদলে গেছে অনেকখানি। সাফল্য যেমন এসেছে তেমনই আজ সে অনেক স্বাবলম্বী। প্রায় প্রতিটি জেলায় নিয়ম মেনে একাধিক মেলা হচ্ছে। পাঠক এসে বই কিনছেন। ছোটোপত্রিকার একটা বড়ো বাজার তৈরি হয়েছে এইসব মেলা ঘিরে। আজ বড়োপত্রিকার উপেক্ষা সত্ত্বেও মায়াকান্নার সুযোগ কম। আত্মপ্রতিষ্ঠা আর আত্মমর্যাদার সুযোগে আজ সেও উপেক্ষা ফিরিয়ে দিচ্ছে। আর জনপ্রিয় কবিকে ব্রাত্য করে দেওয়ার ক্ষমতা তার আছে। আর আছে কিছু নিবেদিত অভিরুচি। তাই নিত্য মালাকার বা শম্ভু রক্ষিতকে নিয়ে যত কথা হয় এইসব মেলার নৈশ অন্ধকারে, জনপ্রিয় কবির জন্য একরাশ ঘৃণা সেখানে বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে সুবোধ সরকার এবং মণীন্দ্র গুপ্ত প্রিয় কবি এই কথা বললে এখানে একজন পাঠক হেনস্থার শিকার হবেন। তাই সাবধানে পা ফেলতে হয়। মনের কথা লুকোতে হয়। যেকোনো লিটল ম্যাগাজিন মেলায় মূলত বিস্মৃত এবং ব্রাত্য কবির প্রতি অহেতুক পক্ষপাত আছে। এই একই মৌলবাদ শহরেও আছে। সেখানে জনপ্রিয় প্রবীণ এবং নবীন কবি পেখম মেলে বসে থাকেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে ধারাবাহিক একদল চেনা কবির উপস্থিতি। সেখানে দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বা দেবজ্যোতি রায়ের কোনো ভূমিকা নেই। যশের মুকুট পড়ে বিখ্যাত কবিরা আলোর বৃত্তে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা অবান্তর। শুধু পাঠকের সহজ লকলকে প্রত্যাশাপূরণের জন্য কবিতা উৎপাদিত হয়। আবৃত্তি শিল্পীর জন্য তরল আর গিমিক দিয়ে সাজানো হয় বর্ণমালা। অতি সস্তার বিষাদ ছড়িয়ে পাঠকের অনুভূতিকে মিথ্যে ব্যবহারের ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করে জনপ্রিয় কবিতা। প্রকৃত কবিতা আর সস্তার সুলভ মোড়কআশ্রিত কবিতার মধ্যে আজ জলঅচল দূরত্ব। পাঠকের সংশয় ক্রমাগত দিকভ্রান্ত হয়ে শেষপর্যন্ত বিশ্বাস আর শিকড়ের সন্ধান পায় না। শুধু চতুর্দিকে একই জিজ্ঞাসা, তুমি রুচির সমগ্রতা পেরিয়ে বেছে নাও সুনির্দিষ্ট অবস্থান। যার সব ধরনের কবিতাই পছন্দ হয় তাকে আমরা গুপ্তচর মনে করি। সন্দেহ দিয়ে সাজানো সব পালটা পুরস্কার গোপন ঘৃণার অন্নে প্রতিপালিত।
একজন জনপ্রিয় কবি শেষপর্যন্ত তাঁর পাঠককে বিশ্বাস করেন না। হাততালি পেলেও মনে মনে জানেন তাঁর পাঠক প্রকৃত অর্থে তৈরি নয়। একটা সাময়িক উত্তেজনা ছাড়া তার দেবার কিছুই নেই। তাই কবিতায় আবেগ আর আখ্যানের চোরাস্রোতে পাঠককে মোহগ্রস্ত করা ছাড়া তাঁর আর কিছুই করার নেই। তিনি অপেক্ষায় থাকেন একটি বিচ্ছিন্ন লাইনের অপ্রত্যাশিত চমকের জন্য। আর তাই পঞ্চাশের এক উল্লেখযোগ্য কবি লেখেন ‘প্রেম ভালো, তার আগে ভালো দেশপ্রেম’। এই লাইন স্মরণীয় হবে তিনি জানেন। তাই অত্যন্ত তরল এবং একপেশে কথার আশ্রয় নেন তিনি। এও তিনি জানেন পাঠক তাকে বিমুখ করবে না। জনপ্রিয়তার এই আরোপিত ফাঁদে পা বাড়াতে হয় একজন বিখ্যাত কবিকে। সুনীলের ‘কেউ কথা রাখেনি’র জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে দিচ্ছে লঘু আর তরল কবিতার প্রতি গণপাঠকের মোহ। আর তাই এই কবিতা শেষ হয় ‘কেউ কথা রাখে না’ এমন একটি চতুর আপ্তবাক্য দিয়ে যা মূলত জনতার দাবি। পাঠকের প্রত্যাশাপূরণ জনপ্রিয় কবিতার একমাত্র লক্ষ্য। পাঠকের লঘু প্রত্যাশার কাছে আত্মসমর্পণই একজন জনপ্রিয় কবির একমাত্র নিয়তি। এমন কাণ্ডকারখানার একটি সাম্প্রতিক প্রমাণ এ-বছর বিখ্যাত সংবাদপত্রের শারদীয়ায় (১৪২৭) একজন জনপ্রিয় সত্তরের কবির কবিতাটি। আখ্যানধর্মী এই কবিতায় কাহিনির নাটকীয়তা আছে। একজন কবি জেলে বন্দী। খাবার এমনকী পিপাসার জল পর্যন্ত নিষিদ্ধ। কবি খাবার উপেক্ষা করলেও পিপাসায় কাতর। তাই কবিকন্যা তার স্তন তুলে দেয় পিতার মুখে। কবিতা শেষ হয় এই বলে— ‘নিজের মেয়ের দুধে মুখ ভরে যায়/পৃথিবীতে মেয়েরাই বাবাকে বাঁচায়।’ শেষ লাইনটি বেশ হিসেব করেই পাঠকপ্রিয়তার পথে হেঁটেছে। হয়তো একদিন জনপ্রিয় বাচিকশিল্পীর আবেগবিহ্বল কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হবে এই তরল বাক্যের সারাৎসার।
নব্বই দশকের সূচনার দিনগুলিতেও জনপ্রিয় কবির পাঠক এবং কবিতার সিরিয়াস পাঠকের মধ্যে এতখানি দূরত্ব ছিল না। জনপ্রিয় কবিরা তখন কবিতাকে তরল এবং লঘু পাঠকপ্রিয় করে তোলেননি। শক্তি-সুনীলের পাঠকের উৎপল-প্রণবেন্দু পড়ার অভ্যাস ও অধিকার ছিল। কথাসাহিত্যে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, বিমল মিত্রের লেখার জনপ্রিয়তা পাঠকের সিরিয়াস অভিপ্রায় প্রার্থনা করত। আজ ভয়াবহ দূরত্ব। আজ মধ্যমেধার দুর্নিবার আস্ফালন। শহর এবং জেলায় প্রত্যেকেই বিচার করে নিচ্ছেন অবস্থান। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে একজন তরুণ কবি স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতারের জন্য তৈরি হচ্ছেন। এইসব ভালোর মধ্যেই কখনো কখনো তৈরি হচ্ছে অপ্রত্যাশিত মৌলবাদ। পড়ার আগেই প্রত্যাখ্যান। তবুও ছোটোপত্রিকার কবির জনপ্রিয়তা এবং বাজার তৈরি হয়েছে। হয়তো আশা আছে। অথবা সে নেই। আবার এখনও আছেন সেই কবি যিনি আপাত ছদ্মবেশে জনপ্রিয়তার তাসগুলি লুকিয়ে ফেলছেন অনায়াসে। তার মায়াকান্না বিষয়ে আমরা শেষপর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি।
মধ্যম পুরুষের ঠোঁট (গদ্যগ্রন্থ)
পঙ্কজ চক্রবর্তী
প্রকাশক — তবুও প্রয়াস প্রকাশনী
প্রকাশকাল — ২০২১
মুদ্রিত মূল্য — ২৭৫ টাকা
*বানান অপরিবর্তিত
একটা দুঃখ, একটা বিকট রামধাক্কা ,একাধিক বিক্ষুব্ধ তরঙ্গ মালার চমৎকার উপহার।
হীরক সেনগুপ্ত