“হোয়েন উইল ইউ এভার লার্ন” : লাস ভেগাস ও আমেরিকার বন্দুক সংস্কৃতি

দেবব্রত শ্যামরায়

 

২৪ শে জুন, ২০১৩। মার্কিন অভিনেতা জিম কেরি টিন-এজ সুপারহিরো ফিল্ম ‘কিক অ্যাস টু’-র প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। তিনি ওইদিন টুইটবার্তায় লিখলেন– ‘স্যান্ডি হুক ঘটনার একমাস আগে আমি ‘কিক অ্যাস টু’ ছবিটা শেষ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে বিবেকের জ্বালায় আমার মনে হচ্ছে ঐ পর্যায়ের হিংসার প্রদর্শনকে আমার সমর্থন করা উচিত নয়। আমি ছবিটির সঙ্গে যুক্ত সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি ছবিটি করার জন্য লজ্জিত নই কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় আমার হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটেছে।’

স্যান্ডি হুকে ঠিক কী ঘটেছিল? অনেকেরই মনে থাকার কথা, তাও একবার ঝালিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তারিখটা ছিল ডিসেম্বর ১৪, ২০১২। অ্যাডাম ল্যানজা বলে বছর বিশেকের এক কিশোর কানেক্টিকাটের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ঢুকে পড়ে এবং তার অটোমেটিক রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। প্রাণ হারায় ছয়-সাত বছরের ২০ টি শিশুসহ ৬ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলার আগেই অ্যাডাম নিজেকে গুলি করে ও মারা যায়। পরে জানা যায়, গাড়ি চালিয়ে এলিমেন্টারি স্কুলে আসার আগে অ্যাডাম নিজের মা’কেও গুলি করে খুন করে এসেছে।

স্যান্ডি হুক আমেরিকার সাম্প্রতিক ইতিহাসে মাস-শুটিং-এর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, তবে অবশ্যই একমাত্র ঘটনা নয়। একজন অ্যাথলিট যেমন প্রত্যেক বড় মিটে নিজের আগের প্রদর্শনকে ছাপিয়ে যেতে চায়, ‘গান ভায়োলেন্স’ ও গণহত্যার ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে আমেরিকায়, আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মৃতের সংখ্যার পুরনো রেকর্ড ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে বারবার।

প্রথমেই বলে রাখা দরকার, মার্কিন সরকার গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করছে এইভাবে যে তাকেই গণহত্যা বলা হবে যে ঘটনায় কমপক্ষে চারজনের বেশি মানুষ মারা পড়েছে। আর গণহত্যা আর বন্দুকের ব্যবহার সমার্থক, কারণ আধুনিক পৃথিবীতে একমাত্র গুলি চালিয়েই খুব সহজে ও কম সময়ে একসাথে অনেক মানুষকে মেরে ফেলা যায়।

যেমন গত রবিবার ঘটল, লাস ভেগাসে। ১৯৪৯-এর পর আমেরিকায় এত বড় মাস শুটিং-এর ঘটনা ঘটেনি। অপরাধী ৬৪ বছরের অবসরপ্রাপ্ত অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্টিফেন প্যাডক, জুয়ারি ও কোটিপতি, লাস ভেগাসে মান্দালয় বে রিসর্টের একটি বিলাসবহুল সুইট ভাড়া নেয়। তার সঙ্গে ছিল ২৩ টি নানা রকমের অটোমেটিক, সেমি-অটোমেটিক রাইফেল ও মেশিনগান। রাতে রিসর্টে একটি কনসার্ট চলাকালীন প্যাডক তার বত্রিশ তলার ঘর থেকে নীচে শ্রোতাদের লক্ষ করে গুলি চালায়। ঘটনায় মৃত ৫৯, আহতের সংখ্যা ৫২৭। নিরাপত্তাকর্মীরা যতক্ষণে ছুটে এসে দরজা ভেঙে আততায়ীর ঘরে ঢোকে, তার আগেই নিজেকে গুলি করে শেষ করে দিয়েছে সে।

এই ফাঁকে একটা জরুরি প্রশ্ন তুলে ফেলা যাক। একজন মানুষ বড়সড়ো তেইশটা বন্দুক সাথে নিয়ে একটা অত্যাধুনিক হোটেলে চেক-ইন করলেন, কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে হোটেলকর্মী কারও কোনওরকম সন্দেহ হল না কেন? নাকি মার্কিন মুলুকে এটা এতটাই স্বাভাবিক ঘটনা যে এতে কারও টনক নড়ার কথা নয়?

এরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি লেখাটায়। পাশাপাশি লাস ভেগাস-সহ সাম্প্রতিক গণহত্যার ঘটনাগুলির আলোচনা আরও বেশ কিছু অবাক-করা তথ্য আমাদের সামনে নিয়ে আসছে।

যেমন, লাস ভেগাসের ঘটনা গত রবিবারের আমেরিকায় একমাত্র শুটিং-এর ঘটনা নয়। ঠিক একই দিনে, কানসাসে, কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আরেকটি গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুই যুবক ও একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা আরও দুই। সংখ্যার বিচারে লাস ভেগাসের থেকে নিতান্ত ছোট বলে কানসাসের ঘটনাটি খবরে আসেনি।

শুধু তাই নয়, গণহত্যা আমেরিকায় কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং বেশ নিয়মিত ব্যাপার। চলতি বছরে আমেরিকায় গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩৪৬ ছুঁয়েছে যার মাস-ভিত্তিক ছবিটা এইরকম:

জানুয়ারি – ৩৫। ফেব্রুয়ারি – ২৭। মার্চ – ৩৬। এপ্রিল – ৩৮। মে – ২৭। জুন – ৪৪। জুলাই – ২৬। আগস্ট – ২৭। সেপ্টেম্বর – ২৪। অক্টোবর – ৬২।

মোট ৩৪৬ এবং বছর শেষ হতে এখনও তিন মাসের কাছাকাছি বাকি। গত বছর গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা ৪৩২, যেখানে ২০১৫ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৩৬৯। অর্থাৎ যা দেখা যাচ্ছে, আমেরিকায় এমন একদিনও যায় না যেদিন কেউ না কেউ বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারান না।

এতক্ষণে আমরা নিশ্চয়ই বুঝে গেছি, আধুনিক আমেরিকার বড় সমস্যার মধ্যে একটা তার অত্যধিক ‘গান ভায়োলেন্স’ এবং মাস শুটিং-এর অবিচ্ছেদ্য ধারাবাহিকতা যার তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। দু’টি গণহত্যার মধ্যে ব্যবধান ১৬২ দিন (২০০০-২০১০) থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ দিন (২০১১-২০১৭)। অর্থাৎ গণহত্যার ঘটনা ব্যাপক ও আরও নিয়মিত হচ্ছে মার্কিন মুলুকে, এবং এর প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আততায়ী একজন মার্কিন নাগরিক।

এর দায় কার?

প্রত্যক্ষ দায় আততায়ীর মানসিক অস্থিতির হলেও মার্কিন ভূখণ্ডে নিয়মিত ঘটে যাওয়া বন্দুক-হিংসার দায়িত্ব বর্তাবেই আমেরিকার ‘গান কালচার’ বা বন্দুকের সংস্কৃতির ওপর। এই সেই সংস্কৃতি যার সূত্রপাত হয়েছিল ১৭শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, আমেরিকার স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় থেকে। গ্রেট ব্রিটেনের উপনিবেশ থেকে মুক্তির দাবিতে বন্দুক হাতে পথে নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ, তখন থেকেই ‘সিটিজেন মিলিশিয়া’র ধারণার আমদানি। ১৭৯১ সালে মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অ্যামেন্ডমেন্ট থেকেই ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ও বহনের অধিকার রীতিমতো একটি স্বীকৃত নাগরিক অধিকার। নাগরিকদের নিজস্ব অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখা সেই সময় থেকেই আমেরিকায় খুব স্বাভাবিক একটি অভ্যেস। এরপর আসে সুদীর্ঘ ‘ওল্ড ওয়েস্ট’ অথবা ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ পর্ব, পশ্চিমে অ্যাপালেশিয়ান পর্বত ডিঙিয়ে নিজেদের সীমান্ত প্রসারিত করার যুগ, আফ্রিকান ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে তাঁদের আদি বাসভূমির অধিকার চলে যায়, সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটে ও ইউরোপিয়ান সেটলারদের আমেরিকান হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই গোটা সময়কাল জুড়ে যা একশো বছরেরও বেশি, আমেরিকা ও তার বন্দুকের সংস্কৃতি সম্পৃক্ত হয়ে আছে, ‘কাউবয় ও ইন্ডিয়ান’ এই রেফারেন্সে যে কুখ্যাত স্মৃতি গত শতাব্দীর মার্কিন সাহিত্য ও সিনেমা বহন করে চলেছে। উনবিংশ-বিংশ শতক জুড়ে নির্মাণ হয়েছে প্রচুর জননায়কের মিথ, এইসব মিথ ও আমেরিকার ‘গান কালচার’ পরস্পরকে পুষ্ট করেছে। আজ কোনও লাইসেন্স বা পারমিট ছাড়াই খোলাখুলিভাবে বন্দুক বহন করা যায় যুক্তরাষ্ট্রের একত্রিশটি রাজ্যে। শুধুমাত্র লাস ভেগাসেই রয়েছে দেড়শোর কাছাকাছি বন্দুক বিক্রির দোকান, এছাড়াও সারা দেশে এবং ইন্টারনেটে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় গান শো। ২০০৭ সালের একটি পুরনো সমীক্ষা বলছে আমেরিকায় প্রতি ১০০ জন নাগরিকের কাছে অন্তত ৯০টি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১৬-র নথি অনুযায়ী, আমেরিকায় প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের হাতে থাকা বন্দুকের সংখ্যা ২৬.৫ কোটি যা সেই বয়সি জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। আজকের দিনে আমেরিকায় ৭৭ লক্ষ ‘সুপার ওনার’ রয়েছেন, যারা একেকজন আটটির বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক, মোট ৪২ টি আগ্নেয়াস্ত্রের অধিকারী স্টিফেন প্যাডক ছিলেন এই সুপার ওনারদের অন্যতম একজন।

এই মুক্ত ও অবাধ আগ্নেয়াস্ত্র নীতি ও ট্রিগার-খুশি সংস্কৃতিই কাল হচ্ছে আমেরিকার। আর এটা ক্রমশ বুঝতে পারছেন বিরাট সংখ্যক মার্কিন নাগরিক। এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন বিশিষ্ট মানুষেরা, আক্রান্তের পরিজন, নাগরিক সমাজ। তাঁরা এর সমাধান চাইছেন। ১৯৯৬ সালে এক বড়সড়ো মাস শুটিং-এর ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া বন্দুক কেনায় কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে ও প্রায় ছ’লাখ বড় আগ্নেয়াস্ত্র ফেরত কিনে নেয়। এই পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়ায় গণহত্যা লক্ষণীয় মাত্রায় কমিয়ে এনেছে, বন্দুকের গুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা সেখানে এখন আগের চেয়ে অর্ধেক। এমন কোনও পদক্ষেপ কি নিতে পারে না আমেরিকা? অবশ্যই পারে। কিন্তু সেটা সফল হবে কিনা প্রশ্ন সেটাই।

কারণ আমেরিকার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের রাস্তা রুখে দাঁড়িয়ে আছে সে দেশের শক্তিশালী ‘গান-লবি’। গান লবিইস্টরা সেদেশের ধনী শ্রেণির একটা বড় অংশ, এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বয়ং এই শ্রেণির প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত বলে রাখি, ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের (এন আর এ) সদস্য সংখ্যা বিশাল, প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতিয়ে আনার জন্য এন আর এ তিরিশ মিলিয়ন ডলার খরচা করেছে। এই গান-গোষ্ঠীর উপস্থিতি ও প্রকট প্রভাব ডেমোক্র‍্যাট ও রিপাব্লিকান উভয় দলেই, সেনেটে, মিডিয়ায়, জনপরিসরে। আত্মরক্ষার অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতার যুক্তি দেখিয়ে এরা যেকোনও রকমের ‘গান কন্ট্রোল’ রুখে দিতে চায়। যেমন রুখে দিয়েছিল স্যান্ডি হুক কাণ্ডের পরে ২০১৩-এ মার্কিন কংগ্রেসে আনা বিল, যা গান শো-তে সমস্ত রকম আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির আগে ক্রেতার সম্পূর্ণ ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ পরীক্ষার কড়া আইন আনতে চেয়েছিল, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিন ও সহায়ক গ্যাজেট (যেমন বাম্প-স্টক যা লাগিয়ে সেমি অটোমেটিক রাইফেলকে অটোমেটিকের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন করে দেওয়া যায়) ব্যান করে দিতে চেয়েছিল। এন আর এ-র লাগাতার অপপ্রচার, একাধিক ডেমোক্র‍্যাটকে ভাঙিয়ে নেওয়া, হঠাৎ রিপাবলিকান ভোটদাতার সংখ্যা কমে যাওয়া, সব মিলিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার আন্তরিক চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও সেই বিল পাশ করানো যায়নি, যদিও সেই সময় আমেরিকার ৭৪% সাধারণ নাগরিকের আবেগ ও সমর্থন গান কন্ট্রোলের সপক্ষে ছিল।

আমেরিকার এই সমস্যা প্রথম বিশ্বের সমস্যা, ভোগবাদের বিকৃত বিকাশের সমস্যা। অবশ্য নিন্দুকেরা বলেন, ভোগবাদের চূড়ান্ত বিকাশ সবসময়েই বিকৃতির দিকেই যায়, কিন্তু সে তর্কের জায়গা অন্য। তবে সমস্যা আমেরিকার হোক বা সোমালিয়ার, মানুষের বেঁচেবর্তে থাকার রাস্তা মানুষকেই খুঁজতে হয়। আর পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক না কেন, একজনও নিরীহ মানুষের মৃত্যু অভিপ্রেত নয়। মনে পড়ে যাচ্ছে, আমাদের কিশোরবেলার দিনগুলোতে, অন্য অনেকের মতো আমরাও আমেরিকাকে চিনেছিলাম, হয়তো কিছুটা ভুলভাবেই, গোলাগুলি অ্যাকশনে ভরপুর হলিউড ছবির মধ্যে দিয়ে। স্টিভেন স্পিলবার্গ তখন ইন্ডিয়ানা জোনস সিরিজ বানাচ্ছেন, হাতে আসছে ক্লিন্ট ইস্টউডের পুরনো ওয়েস্টার্ন জঁরের ছবিগুলো। গাঢ খয়েরি ঘোড়ায় চেপে, কোমরে রিভলভার আর মাথায় স্টেটসন হ্যাট চাপিয়ে, ঠোঁটে সিগার চেপে আইনভঙ্গকারীদের নিকেশ করছেন ক্লিন্ট, গুলি চালানোর পরও অনেকক্ষণ বন্দুকের নল থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তারপর দেড় দশক কেটে গেছে। হঠাৎ একদিন আবার দেখা হয়ে গেল ইস্টউডের সঙ্গে, দেখলাম উনি বুড়ো হয়েছেন, শান্ত হয়েছেন, বন্দুক ছেড়ে দিয়েছেন অনেককাল, সেই হাতে ক্যামেরা ধরেছেন, ম্যাডিসন কাউন্টির ব্রিজে দাঁড়িয়ে অনুচ্চ প্রেম করছেন বিগতযৌবনা মেরিল স্ট্রিপের সাথে।

ইস্টউডের আমেরিকাও এরকম একদিন বন্দুক ছেড়ে দেবে– এটা আশা করা ভাবালুতা। কিন্তু একটা কড়া আগ্নেয়াস্ত্র আইন সর্বসম্মতভাবে কার্যকরী করা যেতে পারে, সংবিধান সংশোধন করে জনপরিসরে বড় বন্দুক নিয়ে ঘোরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা যেতে পারে, নাগরিকপিছু বন্দুকের সংখ্যা নির্দিষ্ট ও সীমিত করা যেতে পারে। স্যান্ডি হুকে লুটিয়ে পড়া কুড়িটা বাচ্চা ছেলেমেয়ের লাশ ব্যর্থ হয়েছে। লাস ভেগাসের ঊনষাটটা মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে আরেকটা মরিয়া চেষ্টা কি করবে না, পিট সিগারের আমেরিকা?

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4873 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...