অনন্ত মধ্যযুগ আমাদের ললাটলিখন
তবুও স্বভাবদোষে জীবনের দিকে পাশ ফিরি
পটের নদীর মতো বয়ে যায় দিন-মাস-সন
তবু নববর্ষে দ্বারে হাত পাতে অন্ধ ভিখিরি
অন্ধ, কেননা জানি ভালোবাসা অন্ধ হয়ে থাকে
তাহলে যা চাই তা কি দ্বিধাহীন মুক্ত ভালোবাসা?
যে প্রেমে অঙ্কুর বাড়ে, বৃষ্টি বুকে জড়ায় খরাকে
সে মিলনসম্ভাবনা পৃথিবীর কাছে প্রত্যাশা?
অথচ পৃথিবী আজ কারাগার, প্যানোপটিকন
সহস্র চোখে মানা, নিষেধের উঁচোনো তর্জনী
নতুন নাট্যকার রোমিওকে ধরাল সমন
শিল্প হল কাটা জিব, উপড়ানো দু’চোখের মণি
পরিত্যক্ত কামানের মুখে তবু বেপরোয়া ফুল
দৈববাণীর মতো মুছে দিতে চায় সব শোক
অভয়বাবুর মতো মাফ করে ছাত্রদের ভুল
মনে হয় স্নেহশীল ঈশ্বর বলবেন–
তোমাদের নিরাময় হোক
পাঁচটি কবিতা পাখির বাসা কখনও কখনও মনে করে ওঠো আমাকে দীর্ঘ নীরবতার পর, তোমার নজর পড়ে, কেঁপে ওঠে আমার ঘুলঘুলি, চমকে যায় হৃদয়ঠাসা মাকড়সার ঝুল, ধুলো, ছেলেভুলানো আবর্জনা, আশ্চর্য জল জেগে ওঠে, জাগিয়ে তোলো আসলে তুমিই! তুমি আসবে না, যদিও অকারণ তীক্ষ্ণ চোখ পাখির বাসাটিকে ভেঙেচুরে দেবে বারংবার! …
আমার প্রেমিকারা ১ একা একা এই ডাউন টাউনে বসে ভাবছি তোমাদের কথা। মনটা বিয়ার বিয়ার করছে শুনে রাগ করছ। তোমার রাগে ভরে উঠছে আমার মেসেজ বক্স। আর তুমি মুখ থম থম করে হিসেব নিচ্ছ কটা সিগারেট খেলাম তার। আমার মুখের বাজে গন্ধ নাকি এই ডাউন টাউন থেকে চলে যাচ্ছে তোমাদের…
যে ঝড় আসবে আসবে করে এল না একটা অন্ধ বুড়ি বোবার মতো হাঁ করে তাকিয়ে দেখছে বৃষ্টি ও ঝড়। আজ ঝড় আসবে অন্ধ লোক দ্যাখে কীভাবে দ্যাখে না হাত দিয়ে বাতাস ছোঁয় বাতাসের গতিবেগ বাড়ে অন্ধের গতিবিধি কেউ টের পায় না- --- নিরিবিলিতে বসে তুমি আমার কথা ভাবো ভাবো,…