ইন্দ্রজিৎ ঘোষ
রাতের খুন–টুনগুলো
রাত যেমন-তেমন হলে লোকটা সটান হয়, মহিলাটাকে খুন করে, এবং প্রাবল্যে হাঁপায়। আত্মাটা মেয়েশরীরের কাছেই থাকে, দেহের মায়ায়, সংরাগে।
একটু পরে অঘটন ঘটে। আত্মাটা ফেরত আসে। শরীরে ঢোকে আবার, দেহের মায়ায়, সংরাগে।
রাত আরও যেমন-তেমন হলে দুজনে ঘুমায়। অর্থাৎ, লোকটা ঘুমায়, মহিলাটা ঘুমায়। অর্থাৎ, মহিলাটা ঘুমায়, লোকটা ঘুমায়। আত্মাটা মহিলাটার শরীরের ভেতরে ভন ভন করে— আবার খুন করব।
দুই খুনির কথাবার্তার একটি অংশ
–সকালে কী করিস?
–ঈশ্বরনাম।
–তারপর?
–কাজ।
–কীসের?
–পয়সার, রোজগারের।
–আর কী করিস?
–খাই। ঘুরি।
–বিকেলে? সন্ধ্যায়?
–পরকীয়া।
–রাতে?
–রতিসুখ। রতিসুখ চিন্তা।
–আধো রাতে?
–কেবলই দুশ্চিন্তা।
–গাঢ় রাতে?
–দুঃস্বপ্ন।
–তারও পর?
–ঘুম থেকে উঠি। হাগি।
–সকালে?
–ঈশ্বরকে স্মরণ।
–খুন করিস কখন?
–প্রায় সর্বক্ষণ।
খুন শব্দটাকে রূপকার্থে নেবেন না
আমি খুনি। কোনওদিন কোনও খুন করিনি। বোঝাতে পারলাম না? আমি খুনি। তবে কোনওদিন কোনও খুন করিনি। এবার বোঝা গেল?
কথাটা আর একবার বলতে হবে। তাতে প্লট তৈরি হবে না। কথাসাহিত্যের একটা চেষ্টা হবে।
আমি খুনি। তবে কোনওদিন কোনও খুন করিনি। কিন্তু আমি খুনি।
তাই খুন হয়।
খুন বন্ধ হয়নি। করতে পারিনি। তাই গাই।
খুনি আমরা
আমরাই খুনি
খুনির ভাই টুনি
খুনির বোন মুনি
একসাথে আমরা
সঙ্গীত-টঙ্গীত শুনি…
বাজাই ঝুনঝুনি…
খুন শব্দটাকে রূপকার্থে নেবেন না। অনুরোধ।
@Arjo Das ধন্যবাদ।
@Anol Chakraborty
ভাল লাগল
@শতানীক রায়
“এ-ই তো গল্প যা গভীরভাবে বাস্তবকে কল্পিত করে।” – অসাধারণ বলেছেন।
@সাহানা চৌধুরী
ধন্যবাদ।
@Soumya Bandopadhaya
ধন্যবাদ।