জোছনা করেছে আড়ি
১.
একটা লম্বা ছুটির দরখাস্ত লিখছি।
এতটাই লম্বা যে
সারাজীবন লেগে যাচ্ছে…
২.
শ্যাওলার সর পড়ে থাকে।
দুটো ডাহুক আর তাদের সংসার,
কিছু নিস্পৃহ বক।
আমি দেখি। জলে ভেসে যেতে ইচ্ছে হয়।
কিন্তু কোথায় তা ঠিক করিনি।
৩.
গরমের ছুটিতে পাহাড়ে নয় সমুদ্রে,
অথবা একাই কোনও গন্তব্যে
যাওয়া হয়নি কোনওদিন।
যদিও চোখ বুজলে মায়াবী সমুদ্র
কেউ কেউ স্বপ্নে মাছরাঙা হতে চায়।
৪.
কোনও দুঃখ নেই। না পাওয়া নেই আর।
সব পেয়ে গেলে একটাই দুঃখ হত,
আমার অভাববোধ ভালো!
৫.
মাঠে শুয়ে নির্ভেজাল
তারা দেখার আনন্দ পাইনি কতদিন।
তারারাও আজকাল লজ্জা পায়।
পৃথিবীতে এত অকারণ বেদনা কেন?
কলকাতা কোনও শহর নয়
মিছিল হয়, চিৎকার হয়,
ফের ডুবে যায় সব।
এ এক আশ্চর্য সার্কাসের রিং!
মুখোশ খুললে মানুষ ভয় পেয়ে যায়।
কবিতার মতো
ঘুমের ভেতর কারা যেন ডাকে,
কোনও পুরনো সুর
আরেকটা ফেলে আসা জীবন,
সব জড়িয়ে কিছু মৃত মানুষ ডাকে।
সে ডাক ঘুমের ভেতর ফেলে
প্রত্যেকে জেগে ওঠে ফের।