সোমেন বসু
রাজনৈতিক ভাষ্যকার
আর একটি মুকুট বসতে চলেছে দেশের মাথায়। এক বছরের মধ্যেই। ২০২৩-এ। ভবিষ্যদ্বাণী। তবে অঙ্ক কষা ভবিষ্যদ্বাণী। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিভাগ ১৯৫১ সাল থেকে প্রতি দুবছর অন্তর একটি রিপোর্ট বা এস্টিমেশন প্রকাশ করে থাকে, যার নাম ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস বা ডব্লুপিপি। গত ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে ডব্লুপিপি-র ২০২২ সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই হিসেব করে বলা হয়েছে আগামী ২০২৩-এ ভারত জনসংখ্যায় চিনকে টপকে গিয়ে জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম দেশের গরিমা অর্জন করবে। উল্লেখ্য, ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১.২ কোটি এবং চিনের ১৪২.৬ কোটি।
মানবসম্পদ মহার্ঘ্য সম্পদ। মানবজমিন, রামপ্রসাদ সেই কবেই বলে গেছেন, আবাদ করলে সোনা ফলে।
মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন। আসব সেগুলিতে। আগে আমরা ডব্লুপিপি ২০২২-এ আর কী কী বলা হয়েছে সেগুলি একটু জেনে নিই।
ডব্লুপিপি-র কথা
ডব্লুপিপি ২০২২ বলছে—
পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়ার গতি কমেছে। রিপোর্টের বক্তব্য অনুযায়ী, এ-বছর ১৫ নভেম্বর আমরা আমাদের মানবকুলের ৮০০ কোটিতম সদস্যটিকে স্বাগত জানাব এবং ২০৩০ নাগাদ সেই সংখ্যাটি ৮৫০ কোটিতে পৌঁছবে। ২০২০-তে, মূলত করোনা অতিমারির কারণেই, ১৯৫০-এর পর থেকে প্রথমবারের জন্য পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি কোনও বছরে ১ শতাংশের কমে নেমে গিয়েছিল।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশ-ভেদে ব্যাপক তারতম্যের কথা বলা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ২০৫০ পর্যন্ত পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্ধেকই ঘটবে মাত্র ৮টি দেশে— গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস এবং তানজানিয়া-য়। দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের ৪৬টি চরম অনুন্নত দেশ জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটানোর দলে রয়েছে— ২০২২ থেকে ২০৫০-এর মধ্যে এদের অনেকের জনসংখ্যাই দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা বা আশঙ্কা। আশঙ্কা এই কারণে, এখনই যারা চরম অনুন্নত, অকুলান সম্পদ এবং পরিকাঠামোর ওপর জনসংখ্যার সেই বিপুল বৃদ্ধি তাদের কতটা সঙ্কটের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে!
ওপরে যে তিনটি বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলার প্রয়োজনের কথা বললাম, তার প্রথম বিষয়টিই হল এটি। আসছি পরে।
বয়স্ক মানুষদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ২০২২-এ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ ৬৫ বা তদূর্ধ্ব মানুষ। ২০৫০-এ এই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ শতাংশে। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা এবং পেনশন ব্যবস্থার সুস্থিতি এবং সর্বজনীন জনস্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলির দিকে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
এ-প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন অ্যান্ড সায়েন্সেস (আইআইপিএস)-এর ডিরেক্টর কে এস জেমসের পর্যবেক্ষণ জানিয়ে রাখি। তাঁর মতে বয়স্ক মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা রাষ্ট্রগুলির কাছে একটি বড়সড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। সেই প্রেক্ষিতে “যদি আমরা আমাদের শিকড়ে ফিরে যাই এবং পশ্চিমি ব্যক্তিস্বতন্ত্রতার ধারণার বিপরীতে গিয়ে পারিবারিক বন্ধনকে গুরুত্ব দিই [অর্থাৎ, বয়স্ক মানুষরা যদি তাঁদের পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পান], তাহলে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজতর হয়ে যাবে।”
সুস্থিতভাবে জন্মহার নিয়ন্ত্রণের ফলে কর্মক্ষম জনসংখ্যার (২৫-৬৪ বছর) একটা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটবে। এটি একটি সুযোগ, সাময়িক, কারণ মানুষের বয়স তো থেমে থাকে না। এই জনসংখ্যাকে কাজে লাগিয়ে দেশগুলি তাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অনেকটা বাড়িয়ে নিতে পারে। পরিভাষায় এর নাম ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড।
কিছু দেশ, বিশেষ করে উচ্চ-আয়ের দেশগুলির ক্ষেত্রে অভিবাসন তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি মূল চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং পরবর্তী বেশ কয়েক দশক ধরে এই প্রবণতা বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২১— এই সময়পর্বে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ নিষ্ক্রান্ত হয়ে গেছেন এমন দেশের সংখ্যা ১০টি। এদের মধ্যে পাকিস্তান (১ কোটি ৬৫ লক্ষ), ভারত (৩৫ লক্ষ), বাংলাদেশ (২৯ লক্ষ), নেপাল (১৬ লক্ষ) এবং শ্রীলঙ্কা (১০ লক্ষ) থেকে নিষ্ক্রমণের কারণ কাজের খোঁজ। আবার সিরিয়া (৪৬ লক্ষ), ভেনেজুয়েলা (৪৮ লক্ষ) এবং মায়ানমার (১০ লক্ষ) থেকে মানুষের বেরিয়ে যাওয়ার কারণ নিরাপত্তার অভাব এবং দেশগুলিতে চলা বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষ।
আগের যে বিষয়টি বললাম, অর্থাৎ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের বিষয়টি, যেসব দেশ থেকে কাজের সন্ধানে একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানুষ দেশের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, সেসব দেশ এই ডিভিডেন্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে বলাই বাহুল্য। এবং সেই দেশগুলির মধ্যে একটির নাম কিন্তু ভারতবর্ষ।
রিপোর্টের মূল বিষয়গুলি জেনে নেওয়া গেল। এবার আসা যাক আমাদের দেশের কথায়।
ভারতের কথা
যা বলেছিলাম, তিনটি বিষয়। কিন্তু তার আগে একটা কথা বলে রাখা ভালো। এই যে জনসংখ্যার শিরোপা আমাদের মাথায় বসতে চলেছে, এটা কিন্তু আদৌ কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়— এমন কোনও বিষয় নয়, যাকে জনবিস্ফোরণ বলা যায় (বিজেপি নেতা শহনওয়াজ হুসেন এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন)। বরং, পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিন্তু কমছে। ২০১৮ থেকে ২০১৯-এও যে হার ছিল ১.০৩ শতাংশ, এই ২০২১ থেকে ২০২২-এ সেটি এসে দাঁড়িয়েছে ০.৬৮ শতাংশে।[1] দীর্ঘদিন আমরা এই নিরিখে বিশ্বে সেকেন্ড বয়, আজ ফার্স্ট হতে চলেছি কারণ এতদিনকার ফার্স্ট বয় চিনের বৃদ্ধির হার এর চেয়েও অনেকটা কম, এইটুকুই। যাই হোক, এবার বিষয়গুলিতে ঢোকা যাক।
প্রথমটিতে আমরা কতগুলি তথ্য দেখব।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২১ অনুযায়ী ক্ষুধার নিরিখে ভারতের অবস্থান বিশ্বের ১১৬টি দেশের মধ্যে ১০১তম স্থানে। সারা পৃথিবীর মোট অপুষ্ট জনসংখ্যার ৩০.৫ শতাংশ, স্টান্টিং-এর শিকার শিশুদের ২৪.২ শতাংশ এবং ওয়েস্টেড শিশুদের ৪৪.৬ শতাংশ ভারতে বসবাস করে।[2] অথচ তিক্ত সত্যটা হল, খাদ্যশস্য, বিশেষত ধান ও গম উৎপাদনে ভারত কিন্তু আত্মনির্ভর এই মুহূর্তে।
ভারতে প্রতি ১০,০০০ জন মানুষ-পিছু ডাক্তারের সংখ্যা ৫, যেখানে হু (WHO)-এর নর্ম অনুযায়ী সংখ্যাটা হওয়ার কথা ৪৪.৫।[3] আরও উদ্বেগের বিষয় হল, এই যে ৫ জন ডাক্তার বলছি, সে-ও কিন্তু খাতায়-কলমে। আমরা আদৌ জানি না এই ৫ জন ডাক্তারই ভারতে চিকিৎসা করেন কি না।[4]
শিক্ষক সংখ্যার ক্ষেত্রেও একইরকম ধোঁয়াশা। তাই সমস্ত শিক্ষক ধরে দেশের সামগ্রিক ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ২৬:১ হলেও মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে এই অনুপাতটি দাঁড়াচ্ছে ৪৭:১। আর এই ‘সমস্ত শিক্ষক ধরা’-টা একটু মুশকিলের। কারণ দেশের বেসরকারি স্কুলগুলিতে কাজের কোনওরকম চুক্তি ছাড়াই শিক্ষকতা করছেন মোট শিক্ষকদের ৬৯ শতাংশ। সরকারি ক্ষেত্রে এই ধরনের চুক্তিহীন শিক্ষকদের সংখ্যা প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে ২৮ শতাংশ এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ।[5] বোঝাই যাচ্ছে, এই ধরনের চুক্তিহীনভাবে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সংখ্যার কোনও স্থিরতা নেই।
কর্মসংস্থান একটি বহু-আলোচিত বিষয়। আমরা জানি দেশের বেকারত্বের হার সেই ২০১৯ থেকেই ৭ শতাংশ অতিক্রম করে বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই গত মে মাসে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭.১২ শতাংশ। এটি অগ্রগতি, কারণ এপ্রিলে এই হার ছিল ৭.৮৩ শতাংশ।[6] আর ভারত থেকে কাজের খোঁজে দেশের বাইরে চলে যাওয়া কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা তো আগেই বলেছি।
সুরক্ষার প্রশ্নটিও থাক। দেশে বর্তমানে প্রতি ১ লক্ষ মানুষ-পিছু নিয়োগ হওয়া পুলিশকর্মীর সংখ্যা ১৯৫.৩৯ জন, যাদের মধ্যে বাস্তবে কাজ করছেন ১৫৫.৭৮ জন।[7]
তাহলে, জীবনের মৌলিক বিষয়গুলিতে ভারতবাসীদের জীবনের মান এই মুহূর্তে এইরকম। ফলে জনসংখ্যার বিচারে যে অগ্রগমন আমাদের হতে চলেছে, তাতে অবধারিত কিছু প্রশ্ন উঠে আসে, আশঙ্কার জন্ম হয়।
দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে জনসংখ্যা বিষয়টি একটি কুম্ভীরশাবক বিশেষ। গরিব মানুষকে যেমন তার জীবনের দুর্গতির কারণ হিসেবে পূর্বজন্মের পাপের কথা স্মরণ করানো হয়, এ-ও অনেকটা সেরকম। মানুষের যাবতীয় অভাব-অভিযোগের কারণ হিসেবে দেশের বিপুল জনসংখ্যার কথা তুলে ধরা দেশের পরিচালকদের একটি অমোঘ হাতিয়ার, সঙ্গ দেয় মিডিয়া, এবং জনগণও অনেকাংশে তা বিশ্বাস করে থাকেন। কিন্তু বিষয়টি কি সত্যিই সেরকম? উত্তর দেওয়ার আগে বলে রাখি, এইখানে মনে হতে পারে আমি বোধ করি আমার পূর্ববর্তী বক্তব্যের বিরোধিতা করছি। তা কিন্তু নয়। আগে আমি যে তথ্যগুলি দিলাম সেগুলি সবই দেশ-পরিচালন সংক্রান্ত সমস্যা, সম্পদ-সংক্রান্ত নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, খাদ্যশস্য উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের মোট অপুষ্ট জনসংখ্যার ৩০.৫ শতাংশ যে আমাদের দেশে বাস করেন— তার ব্যাখ্যা কী? আশা করি, এবার আর ধোঁয়াশা নেই।
পরিষ্কার কথাটা হল, জনসংখ্যা আমাদের দেশের মূল সমস্যা নয়। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ আমরা দেখতে পাব এই কোভিড-পর্বের দিকে তাকালে। অক্সফ্যামের রিপোর্ট বলছে, কোভিড এবং তজ্জনিত লকডাউন ইত্যাদির পর্বে দেশের ৮৪ শতাংশ পরিবারের যেখানে আয় কমে গেছে, সেখানে ভারতীয় বিলিয়নেয়ারদের সংখ্যা ১০২ থেকে বেড়ে ১৪২ হয়েছে, এবং ২০২১-এ ভারতের প্রথম ১০০ জন ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৫৭.৩ লক্ষ কোটি টাকা।[8] এই অশ্লীল অসাম্য কিন্তু দেশের সম্পদ ঘাটতির কথা বলে না, বলে দেশের পরিচালন-ব্যবস্থার গুরুতর সঙ্কটের কথা। জনসংখ্যার বিচারে আমরা বিশ্বের প্রথম হতে চলেছি, এই ঘটনা দেশের মানুষের সমস্ত অপুষ্টি-ক্ষুধা-দারিদ্রের জন্য এই বিপুল জনসংখ্যার দিকে আঙুল তোলার প্রবণতা বাড়িয়ে তুলবে নিঃসন্দেহে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা যেন এই বিষয়টি মাথায় রাখি।
তৃতীয় বিষয়টি পুরোদস্তুর রাজনৈতিক। এবং আমাদের দেশের বর্তমান শাসকদলের একটি অতীব পছন্দের বিষয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জনসংখ্যার এই বৃদ্ধির ফলে দেশের ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। স্পষ্টতই তাঁর আঙুল মুসলিম সম্প্রদায়ের দিকে। মুসলিমরা নাকি গন্ডা গন্ডা বাচ্চা পয়দা করেন, ফলে অচিরেই তাঁরা দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে যাবেন— হিন্দুত্ববাদীদের এই নির্জলা মিথ্যে প্রোপাগান্ডার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। এই অবসরে সেই প্রোপাগান্ডার পালে হাওয়া লাগানোর একটা চেষ্টা যে চলবে সে নিয়ে সন্দেহ নেই। তথ্য বলছে, ভারতের সমস্ত ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে মুসলিমদের প্রজনন হার গত তিন দশকে সবচেয়ে বেশি কমেছে। ১৯৯২-৯৩-তে যে সংখ্যাটা ছিল ৪.৪, ২০১৯-২০-তে সেটা এসে দাঁড়িয়েছে ২.২-তে।[9] ফলত, জনসংখ্যা সংক্রান্ত আলোচনায় এই বিষয়টিও প্রণিধানযোগ্য।
শেষের কথা
রামপ্রসাদেই ফিরি। মানবজমিন সোনা ফলায়, অবশ্যই, কিন্তু কৃষিকাজটা জানতে হবে। দেশের হাতে এখন এক বিপুল যুবসম্প্রদায়— এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আমরা কতটা ঘরে তুলতে পারব, তা একান্তভাবেই নির্ভর করছে আমরা ওপরে উল্লিখিত ঘাটতিগুলি পূরণ করতে কতটা সদর্থক পদক্ষেপ নিতে পারব; দেশের প্রতি, দেশের মানুশের প্রতি কতটা সৎ থাকতে পারব— তার ওপর।
দেখা যাক…
[1] India Population Growth Rate 1950-2022. Macrotrends.
[2] জৈন, শচীন কুমার। সূচক নিয়ে নয়, ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়ুন। চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম। নভেম্বর ১০, ২০২১।
[3] Tandon, Aditi. Doctor Density in India 5 per 10,000. The Tribune. Mar 3, 2022.
[4] Jankharia, Bhavin. We don’t even know how many doctors currently practice in India. The Times of India. Jan 11, 2022.
[5] Nanda, Prashant K. India’s school system faces acute shortage of teachers, says Unesco report. Mint. Oct 6, 2021.
[6] Seth Sharma, Yogima. India’s unemployment rate drops for second consecutive month in May: CMIE. The Economic Times. June 9, 2022.
[7] Government of India, Ministry of Home Affairs. Rajya Sabha. Unstarred Question No. 3266. Mar 24, 2021.
[8] VP, Abhirr. Inequality Kills: India Supplement 2022. OXFAM. Jan 17, 2022.
[9] DHNS. Population: Do not misread challenge. Deccan Herald. Jul 15, 2022.