চারটি কবিতা
আপ জার্নি
ভিড়ে ঠাসা কোনও কামরার মধ্যে চোখ বোলালে কতকিছুই না দেখা যায়। চ্যানেলে ঢোকার দখলপাঠ, চুলোচুলি, হাতাহাতি, ঠেলাঠেলি, কদাচিৎ দু-একটা আগলে রাখার চেষ্টাও। ক্লান্ত শহর পেরিয়ে মফঃস্বলের লাইনপারে ঝিঁঝির আওয়াজ শোনা যায়। বোতলের তলার জলটুকু গিলে নেওয়ার পর হয়তো গন্তব্য আসবে। ভাল লাগার কথা ছিল। কিন্তু চোখ আটকে যায় মেয়ে, তোমার অবিন্যস্ত খোঁপায়। দিনশুরুতে কত যত্ন করে বেঁধেছিলে। এই জন্য আজীবন ভিড় সহ্য করতে পারি না আমি।
বিধিবদ্ধ
যুদ্ধ করব বলেই তো রয়ে যাব,
অনাদি যুগের সে যুদ্ধ।
প্রাজ্ঞজন বলেছেন—
যোগ্যতমের উদ্বর্তন।
জানিয়ে, পক্ষপাত করলে বলে তোমায় বলি—
আরেকটু বিবেচক হতে পারতে তুমি,
আমার ঈশ্বর
তুমি কবি হতে পারতে।
তবে উচিত লিখতে, সত্যি লিখতে কপালে।
পাট-ভাঙা প্রেম
আমি তো গিয়েছি
মুগ্ধ হয়ে, বিকিয়ে—
তুই কি পারবি অত?
অভিমানেই এবারে তুই
হতে পারিস, সখা—
নিখুঁত দর্জি।
ছুঁচের পরে,
ক্ষত যত, রিফু তত।
সেই পাট-ভাঙা প্রেম
মেঘলা দিনে দেখা হলে
ভিজেছে, পুরনো সাইকেল আর
তুই-আমি গলিতে, ছাতার তলায়।
আজ গলিটা মিলিয়েছে কোন পিচ রাস্তায়!
সবই রাখা আছে—
আমার প্রেম
তোরটা
আর সাইকেলটা সিঁড়ির নিচে।
শেষবার দেখা হলে তুই জিজ্ঞেস করলি
“কী করছিস এখন”
লক্ষ্মী, তোকে না জানি কত আকুল হয়ে
বোঝাতে চেয়েছি,
আমি কত বেকার।