তিনটি কবিতা
সেই সব আসা যাওয়া
তুমি যাচ্ছ চলে..
পিছন থেকে ডাকা উচিত নয় বলে কি আমার কষ্ট পাওয়া উচিত?
ঋতুমতী শীত এইবার গর্ভবতী হল, দেখ ফসলের উল্লাস।
দীর্ঘ ওম তোমার শরীর বেয়ে জলকণা তিরতিরি…
দরজার গায়ে আছে লেখা
“এবার অন্তত তাড়াতাড়ি এস।”
শব্দ
এই সব শব্দ যা তুমি শুনতে পাও না, অথচ যা আছে, আছে, ভীষণ রকম! এই যা কিছু অসম্ভব, উৎপাতের, তাকে শুধু ছোঁয়া যায় একলা ভিড়ে! একটা গাড়ি চাপা পড়ার মতো তোমার ইচ্ছেগুলো মরে যায়, অসুখ সেরে ওঠে না
আর দারুণ জ্বরে কাহিল তুমি বৃষ্টি জানলায় আঙ্গুল ছুঁয়ে অপেক্ষায় থাকো
থাকো কি ?
আর যা কিছু অভিমানী, যা কিছু তেষ্টার, যা কিছু একলা চাঁদ, হন্যে হয়ে পড়ার, তার যাবজ্জীবন হোক!
কিছু শব্দ থেকে যাক, আর শব্দের মায়া!
স্বপ্ন
একটা গাছ হব..
রোদে দেওয়ার মত দুঃখ ও যাবতীয় অভিমান ওলট-পালট দেব।
আমন্ত্রিত হা-হুতাশে কিছুটা স্ফূর্তি হল।
কোথাও আগুন নেই, অল্প অল্প ছাই এদিক সেদিক। কবিতা হতে গিয়ে পাখিটি স্বরচিত কবর হয়ে গেছে বহুদিন।
পাখিটির কবর এখন পর্যটনের মুখ্য দ্রষ্টব্য!