তিনটি কবিতা
হে ঠাকুর
এখন চতুর্দিকে ঠাণ্ডা একটা বাতাস বয়ে
চলেছে। এত ঠাণ্ডা যে, চোখে জল এসে
যায়, আমি তখন চোখ বন্ধ করে নিশ্চুপে
শুয়ে থাকি, আর, মড়া কিংবা মাতাল
ভেবে আমাকে পাশ কাটিয়ে, ডিঙিয়ে যায়
লোকজন।
গাছের পাতাগুলি হলুদ হয়ে আসছে, আর
এইসময় আমার কী যেন একটা করার ছিল
কোথাও যাওয়ার ছিল।
কিছুই কেন আজ মনে পড়ছে না, হে ঠাকুর
অচ্যুৎ স্মরণে
তোর সঙ্গে আর কখনও ঝগড়া হবে না, এই
ভেবে আঁতকে উঠছি। তুই আর কখনও
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিবি না,
আমরা কতটা অশিক্ষিত রয়ে গিয়েছি
আজও। আর কেউ বলেনি, বলবে না কখনও,
আমাদের সমস্ত শৈলীর ভিতরে রয়ে গিয়েছে
কতটা অপরাধপ্রবণতা।
যতবার ভেবেছি
যতবার ভেবেছি জীবন সাজিয়ে রাখি পরিপাটি করে
ততবার আমার চোখেমুখে এসে ঝাপটা
মেরেছে নোনা বাতাস কিংবা রক্ত
আমি মরে গেছি বহুদিন আগে
হেরে গেছি তারও আগে বহুবার
সৎকার করেনি কেউ
কোথায় হারিয়েছে সেইসব শিয়ালগুলিও