রংগন চক্রবর্তী
রংগন চক্রবর্তীর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য ও মিডিয়া স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা। কর্মজীবনের শুরু কলকাতায়। বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করেছেন বহু বছর, এখনও করছেন। সাংবাদিকতা করেছেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। লিখতে ভালোবাসেন, লিখেছেনও দু’হাতে। প্রকাশিত গ্রন্থ – ‘এক জীবন বিজ্ঞাপন’। পরিচালনা করেছেন দুটি বাংলা ফিচার ছবি – ‘বাড়ি তার বাংলা’ ও ‘বর আসবে এখুনি’। টেলিভিশনের জন্য বহু প্রোগ্রাম বানিয়েছেন। কর্মসূত্রে আপাতত মুম্বই-প্রবাসী। প্যাশন, বেড়ানো। আর, ওঁর নিজেরই কথায়, ভালবাসেন আকাশ-পাতাল ভাবতে।
আমাদের ছোটবেলায় পাড়ার কমিউনিস্ট পার্টি অফিসে বছরে যে কয়েক দিন মাইক লাগিয়ে গান বাজানো হত তার একটি ছিল নভেম্বর বিপ্লবের দিনটি, আরেকটি ছিল মে দিবস, লেনিনের জন্মদিনেও বোধ হয় বাজত, ঠিক মনে নেই। তার কাছাকাছি আবার এসইউসি-র শিবদাস ঘোষের জন্মদিন থাকত। মে দিবসে বেশি বাজত “আজ সুপ্রভাত, পুণ্য দিন, রক্তে রাঙা পয়লা মে”। আর নভেম্বর দিবসে বাজত ইন্টারন্যাশনাল, “জাগো জাগো সর্বহারা…” আর “রুশ দেশের কমরেড লেনিন, পাথরের কবরে শয়ান…”।
১৯৭০ দশকে নকশাল আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত রুশ বিপ্লবই ছিল আমাদের মডেল। এবার এই আমরাটা কারা এটা একটু খোলসা করে বলা দরকার, কারণ আমার ধারণা, বামপন্থী আন্দোলনে আমরা এক সময়ে সংখ্যায় বেশ ভারী ছিলাম। আমরা ছিলাম মধ্যবিত্ত, অনেকেই ভগবান-বিশ্বাসী, শ্রেণির বা নাগরিক অধিকারের নানা রকমের সংঘাতের সংস্পর্শে আমরা আসতাম। যেমন উদ্বাস্তুপল্লিতে বড় হয়ে ওঠা আমাদের কাছে বড় দাবি ছিল জমির অধিকারের আন্দোলন। বাড়ির কাছের ঊষা কারখানা বা বেঙ্গল ল্যাম্পের শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে আমরা মাথা ঘামাতাম। কাকদ্বীপের তেভাগা কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে আমরা জানতাম, মূলত সাংস্কৃতিক স্তরে, অন্তত আমার কাছে এই জানার কেন্দ্রে ছিল গণনাট্য সংঘের কিছু নাটক আর বিশেষ করে একটি গান, “অহল্যা মা তোমার সন্তান জন্ম নিল না”। আমরা আবার গরিব মানুষদের তুলনায় বড়লোক ছিলাম, যে মাসিরা তখন ২০/২৫ টাকা মাসের বিনিময়ে আমাদের বাড়িতে কাজ করতে আসত, তাদের সঙ্গে যে সমান ব্যবহার করা হত তা নয়। তখন থেকেই মধ্যবিত্তদের মধ্যে একটা ‘আমরা গরিব’ এই ভাব ছিল। সেটার সুযোগ নিয়ে আমরা অনেক দায়িত্ব এড়াতাম। বিত্ত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা আরও বেড়েছে। আরেকটা যেটা মজার যে, তখন উদ্বাস্তুপল্লিতেও তেমন মুসলমান-বিরোধী কথা ততটা শুনতে পেতাম না, বামপন্থীদের মধ্যে তো নয়ই, এখন সেটা দারুণ ছড়িয়েছে। মেরিটের গল্প মধ্যবিত্তদের হিংস্র রকমের গরিব এবং মুসলমান-বিরোধী (যারা অধিকাংশই গরিব) করে তুলেছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এ কথাও নোট করে রাখা দরকার যে, মেয়েদের অধিকার নিয়ে কোনও ভাবনা তখন (বা তেমন ভাবে এখনও) আমাদের বামপন্থায় দেখিনি। সমকামী বা রূপান্তরকামীরা তো অদৃশ্য ছিল। ইদানিং দেখলাম বামপন্থী দল রূপান্তরকামীদের স্বাগত জানিয়েছে, ভালো লাগল।
সত্তর দশকের পর থেকে রেড বুক, চিং চিং মাই ইত্যাদি দিয়ে চিনের গল্প কিছুটা ছড়ালেও ভারতীয় কমিউনিস্ট আন্দোলনে রাশিয়ার ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই বন্দি জাতীয়তাবাদীদের অনেকেই জেলে রাশিয়ার ওপরে বই পড়ে বাম হয়েছিলেন, এইসব কাহিনি তো আমরা সবাই জানি। ষাটের দশকে বড় হতে হতে আমাদের চার পাশে প্রচুর রাশিয়ান নাম ঘুরে বেড়াত, লেনিন, স্তালিন, গোর্কি, ট্রটস্কি ইত্যাদি তো ছিলেনই, উৎপল দত্তের স্তালিনের সমর্থনে লেখা ‘লৌহমানব’ নাটক দেখে আর নানান জায়গা থেকে আমরা জিনেভিয়েভ, কামেনেভ, বাগদানভ এই রকম প্রচুর নাম জানতাম। বিজয়গড় মাঠে চটে বসে ‘ব্যাটলশিপ পোটেমকিন’ আর ‘ক্রেনস আর ফ্লাইং’ দেখেছিলাম। মহাকাশচারী ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভার কোলেও চড়েছিলাম। আর্তেক পাইওনিয়ার শিবিরের ছবি দেখতাম সোভিয়েত দেশে আর স্পুটনিকে। পরে স্পুটনিকে নাঙ্গু মহিলার ছবি বের হওয়ায় আমাকে আর দেখতে দেওয়া হত না। ছোটদের বই পড়তাম ননী ভৌমিকের অনুবাদে, আর্কাদি গাইদারের চুক আর গেক, বরিস পোলেভয়, আলেক্সি মেরেসিয়েভ – ‘মানুষের মত মানুষ’, ‘জয়া শুরার কথা’, ‘বাজভ-পান্নার কৌটো’, ‘রুশদেশের উপকথা’ আরও অনেক।
এই সব মিলে আমরা দেখতাম একটা দেশের ছবি, যেখানে লেনিন আর স্তালিনের নেতৃত্বে মানুষ অত্যাচারী জারদের ছুড়ে ফেলে নিজেদের দেশ বানিয়েছে, সবাই খুশি আছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক ঝগড়ার গল্পও শুনতাম, ট্রটস্কিকে পছন্দ করতাম না, কারণ শুনেছিলাম উনি স্তালিনের ‘পেছনে লেগেছিলেন’। বিপ্লবকে বিট্রে করেছিলেন। এক দেশে বিপ্লব রক্ষা করা জরুরি না গোটা দুনিয়ায় ছড়ানো আশু দরকার এই নিয়েও তর্ক ছিল শুনতাম, বাবা কাকারা আলোচনা করতেন, আমরা তাঁদের মত সমর্থন করতাম। রাশিয়াকে ঘিরে আমাদের একটা এশিয়া আফ্রিকা লাতিন আমেরিকার দুনিয়া কল্পনা ছিল, প্যাট্রিস লুমুম্বা জানতাম, গানা জানতাম, ইত্যাদি।
এইখানে একটা কথা বলতে চাই, যে লক্ষ লক্ষ মানুষ কোনো একটা রাজনীতির সমর্থনে আসে, মিছিল করে, এমন কী পুলিশে গুলিতে প্রাণও দেয়, তারা কিন্তু এইরকম ধরনের একটা জানা থেকেই আসে। ক’জন এমন কী লেনিনের ‘কী করিতে হইবে’ পর্যন্ত পড়ে কমিউনিস্ট আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিল, আমি জানি না। এখানে গোটা রাজনীতির মধ্যস্থতা হয় আশপাশের রাজনীতি করা মানুষগুলো দিয়ে। এ কথা অনেকেই বলেছেন যে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কমিউনিস্টদের পিপল্স রিলিফ কমিটির কাজ, উদ্বাস্তু আন্দোলন, কৃষক আন্দোলনে তাদের ভূমিকা, খাদ্য আন্দোলনে নেতৃত্ব এই সব তাদের জনপ্রিয় করেছিল। ষাটের দশকেও এই গল্পের আর ইতিহাসের অনেকটা রেশ আমরা চোখে দেখেছিলাম। আমার মনে হয় বাংলায় কমিউনিস্টদের এই ভূমিকাই নভেম্বর বিপ্লবের ধারণাকে কাম্য করে কাছে নিয়ে এসেছিল। জিনোভিয়েভ নিয়ে কী ডিবেট এই নি্যে কেউ মাথা ঘামায়নি, পাড়ায এক জন কমিউনিস্ট মানুষ আছেন, যিনি আমাদের জন্য ঝাঁপান, মার খান, জেলে যান — সেটাই ছিল ‘নভেম্বর বিপ্লবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো’ প্রশ্নের উত্তর দানের আসল সহায়িকা।
তারপর গল্পটা বদলাল, নকশাল আন্দোলন এল। একেবারে পাড়ায় পাড়ায় খুনোখুনি এল। নকশাল সিপিএম মারল, সিপিএম নকশাল মারল, মুন্ডু কাটার উল্লাস দেখে আমরা চমকে এমনকী থমকেও গেলাম, এত ঘৃণা পাড়ার ছেলে-মেয়েদের ওপর পাড়ার ছেলে-মহিলা-পুরুষের? পুলিশ সবাইকে মারল। আমরা শুনলাম, রাশিয়াতেও এ রকম হয়েছে, বলশেভিক আর মেনশেভিকদের মধ্যে খুনোখুনি। এ দেশে কমিউনিস্ট পার্টি যতদূর মনে আছে রাশিয়ার ‘মাছি মারা’ অনুকরণ ছিল, লোকাল কমিটি, গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকরণ (নাকি বিকেন্দ্রীকরণ?) এই সব। আমরা শুনতাম আরএসপি আর কমিউনিস্টদের মধ্যে মূল ঝামেলা ছিল বিপ্লবের স্তর নিয়ে, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ইত্যাদি নিয়ে, সত্তরের দশকে কৃষিবিপ্লবের তত্ত্ব এসে গেল, জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব ইত্যাদি। নকশাল আন্দোলনে তো এত তত্ত্ব এল যে, একটা জোক চালু হয়েছিল… একজন নকশালকে ব্যান্ডেজ করে রাখতে হয়েছিল, তা না হলে সে আলাদা আলাদা ফ্যাকশনে ভাগ হয়ে যাচ্ছিল। যাই হোক, সব মিলে নভেম্বর বিপ্লবের একক গুরুত্বটা ঘেঁটে যেতে লাগল।
এর মধ্যে নানান ভাবে আরও অনেক খবর এল, সলঝেনিৎসিনের গুলাগের খবর, লাল রাশিয়ায় ইহুদি নিধনের খবর, রেড আর্মির পোল্যান্ড, বার্লিন জুড়ে ধর্ষণের খবর। বাপদাদারা অনেক দিন সবই মিথ্যা বলে চেঁচিয়ে যেতে লাগলেন। স্তালিনকে কবর দেওয়া হল, তাই নিয়েও প্রচুর উষ্মা দেখা দিল। কিন্তু কীরকম যেন সবটাই মিথ্যা বলে চালিয়ে যাওয়াটা ক্রমশই কঠিন হয়ে যেতে লাগল।
নভেম্বর ইতিহাস নিয়ে কথা বলা খুব কঠিন। পৃথিবীর আর কোনও বদলের পেছনে বোধ হয় এত মানুষের কান্না, আশা, বিশ্বাস, উল্লাস মিশে ছিল না। এর খুঁটিনাটি ঘটনা প্রবাহ তারা জানত না, জানা সম্ভব ছিল না, শুধু ধারণা ছিল, গরিব মানুষদের হাতে ক্ষমতা আসবে, সবাই খেয়ে পরে বাঁচবে। সেটা যে একেবারেই হয়নি তা নয়। যতদূর জানি, রাশিয়া, চিন, কিউবায় শিক্ষা আর বিশেষ করে স্বাস্থ্যে যা উন্নতি হয়েছে, যে পরিষেবা মানুয পেয়েছে তা উন্নত দেশের গরিব মানুষরা কখনওই পায় না, আমাদের মতো দেশের কথা তো বাদই থাক। আফ্রিকা আর আরব দেশের ডাক্তারি ছাত্ররা বহু সংখ্যায় রাশিয়া কিউবায় পড়তে যায়, আমাদের দেশ থেকেও যায়।
যে কারণে রাশিয়ার স্বপ্নটা টুকরো টুকরো হয়ে গেল, সেটা বড় দুঃখের, সেটা হল মানুষের প্রতি অপমান। চিন সেই একই ব্যবহার করে বজ্র আঁটন দিয়ে এখনও ক্ষমতা ধরে রেখেছে। এই গল্পটা বোঝা খুব কঠিন নয়, পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম উড়ে যাওয়ার কারণটাও অনেকটা এক, এবার সেটাকে রাশিয়ার ক্ষমতা দিয়ে গুণ করলে বুঝতে পারবেন কী কাণ্ডটা হয়েছিল। এখানে জেলা সভাধিপতিদের আমি দেখেছি, অভব্যতার তুলনা হয় না, সরকার যাদের পারছিল, শাস্তি দেওয়ার জন্য বদলি করছিল, যদি পারত, সাইবেরিয়ায় পাঠাত। কট্টর নকশালদের মধ্যে খুব তফাৎ দেখিনি – ছোটদের স্তালিন যুগ! আর এই অবমাননার ফোকর দিয়ে, বাজারের মিথ্যা চয়েসের গল্প আর গলা ফাটানো, চোখধাঁধানো মিডিয়াকে নিয়ে ঢুকে পড়েছে খুনি, নৃশংস গণহত্যাকারী ধনতন্ত্র।
আমি জানি রাশিয়া নিয়ে, শুধু রাশিয়া কেন, নানান সমাজতান্ত্রিক দেশ নিয়ে যা লেখা হয় তার অনেকটাই ধনতান্ত্রিক প্রচার। আফগানিস্তান নিয়ে আফগান লেখকের লেখা ‘কাইট রানার্স’ পড়লে কেউ জানবে না যে, তালিবান তৈরি করা আর দেশটার সর্বনাশের জন্য আমেরিকা প্রচুর পরিমাণে দায়ী, একই গল্প উত্তর কোরি্যা নিয়ে লেখা ‘দ্য গার্ল উইথ সেভেন নেমস’, উত্তর কোরিয়ার শাসকদের নিয়ে সঠিক নিন্দা পাই, কিন্তু কোরিয়া যুদ্ধে আমেরিকা তথা বাকি দুনিয়ার ভূমিকা নিয়ে কোনও কথা নেই। তুলনায় চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব নিয়ে লেখা ‘ডোন্ট সে উই হ্যাভ নাথিং’ আর রাশিয়া নিয়ে লেখা ‘সেকেন্ড হ্যান্ড টাইম’ বই দুটো অনেকটা আলাদা। এই দুটো বই আমি সবাইকে পড়তে বলব। কারণ এই বই দুটো বড় দুঃখের, বড় হতাশার। কিন্তু অনেক সৎ গল্প বলে।
আমরা জানি বিপ্লবোত্তর রাশিয়া এক কঠিন অবস্থায় ছিল, ঘরে বাইরে শত্রু ঘিরে রয়েছে, নানান দিক থেকে আক্রমণ আসছে, কিন্তু সেই অজুহাতে দেশের লোকের সঙ্গে ওই ব্যবহার করা যায় না। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যে নয়, তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক আদর্শের জন্যেও নয়। ওই ব্যবহার দিয়ে ভয়ের, কানাকানির, চরের, দালালের দেশ তৈরি হয়, মুক্ত দেশ নয়। রাশিয়ায় তাই হয়েছিল। রাশিয়ার বিপ্লব আজকে অতীত। যে সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব ধরে সেই রাজনীতি এগিয়েছিল, সেই সামাজিক ভিত্তি আজ বদলে গিয়েছে। শ্রমিক কৃষক আর কোনও বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে কিনা বলা কঠিন। দুনিয়ার কৃষিতে শ্রমের কাজ মেশিন করছে, কারখানাতেও তাই। আমাদের এত মানুষকে কী করে কাজ দেব আমরা জানি না, ভোটের লোভে মিথ্যা ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’-এর কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি আবার আমরা যে দীর্ঘ মানুষের ইতিহাসের কথা ভাবতাম, তাও হয়তো শেষ পাদে পৌঁছে গিয়েছে। পরিবেশ কতদিন প্রাণকে টিকিয়ে রাখতে পারবে বলা যাচ্ছে না। এ ছাড়াও পণ্ডিতরা বলছেন, টেকনোলজি আমাদের চেনা মানুষ বা হোমো সেপিয়েনসকে বদলে দেবে, নতুন প্রাণি তৈরি হতে পারে আর তারা এলে বিবর্তনের নিয়মে সেই প্রজাতিতে পৌঁছে দেওয়ার পরে হোমো সেপিয়েনসের আর কোনও প্রাকৃতিক ভূমিকা থাকবে না, একটা সময় যেমন মানুষের অন্য প্রজাতিগুলো হোমো সেপিয়েনস আসায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
তবে আমরা আর যে দশ কুড়ি চল্লিশ ষাট বছর বাঁচব, রাশিয়ার ভুলের জন্যে দুঃখ বোধ করেও বিশ্বাস করব, পথটা আমরা খুঁজে পাইনি, ক্ষমতার লোভ আমাদের ভুল পথে নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু গরম ভাতে এক টুকরো গরুর মাংসের স্বপ্নটা মিথ্যে নয়। আর তাই নভেম্বর বিপ্লব হিটলার ঠেকানো রেজিস্টান্স কর্মীর শবদেহে, গুলাগের বরফে জমে যাওয়া কমিউনিস্টের লাশে বেঁচে থাকবে। আর সেই পথে আলো জ্বেলে নতুন রাস্তা হয়তো খুঁজবে রোহিথ ভেমুলার বন্ধুরা আর শেহলা রশিদ শোরা।
বেশ ভালো লাগল লেখাটা। কয়েকটা বইয়ের উল্লেখ আছে লেখার মধ্যে। পাঠকের কাছে সেটাও বড় পাওনা।
Very good and thoughtful articles. Became nostalgic reading past and glorious history of communist movement.