এ লড়াই বাঁচার লড়াই

প্রদীপ দত্ত

 



প্রাবন্ধিক, পরিবেশকর্মী

 

 

 

যন্তরমন্তরে কুস্তিগিরদের উপর পুলিশি অত্যাচার তাঁদের আন্দোলনে নতুন প্রাণ এনেছে। ৫ জুন থেকে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ব্রিজভূষণের কীর্তিকলাপ দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার ডাক দিয়েছে। সরকার অনড় হলেও সাধারণ মানুষ এবং কৃষক ও খাপ নেতাদের সমর্থন ক্রমশই বাড়ছে

 

২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুস্তিগির বিনেশ ফোগটের দেখা হলে বিনেশ অভিযোগ করেন যে জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ মহিলা কুস্তিগিরদের উপর মানসিক অত্যাচার ও হয়রানি করেছেন। তবে তখন তিনি যৌন হয়রানির কথা বলেননি। মোদি তাঁকে বলেন, ঘাবড়িও না, তোমাদের জন্যই আমি এখানে রয়েছি, কেউ তোমাকে সমস্যায় ফেলতে বা হয়রান করতে পারবে না, আমরা আছি। বিবিসির বিনীত খারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিনেশ এ কথা জানিয়েছেন। এরপর তিনি ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করে যৌন হয়রানি-সহ তাঁদের হয়রানি ও উদ্বেগের কথা বলেন। কিন্তু ব্রিজভূষণের কাছে সে কথা ফাঁস হয়ে যায়।

দেশের সর্বশক্তিমানদের কাছে অভিযোগ জানানোর প্রায় দু বছর পর দেশের মুখ উজ্জ্বল করা কুস্তিগির বিনেশ ফোগট এবং সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে এ-বছর জানুয়ারির ১৮ তারিখে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেন। তাঁরা বলেন, কোচেরা এবং ব্রিজভূষণ ন্যাশনাল ক্যাম্পে মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করেন। তিনদিন পর কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে দীর্ঘ কথাবার্তার পর তাঁরা ধর্না তুলে নেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দেশের বক্সিং কিংবদন্তি মেরি কমের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি হয়। ওদিকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করে ব্রিজভূষণ বলেন, এ বিষয়ে বিজেপি তাঁর কাছে কৈফিয়ত চায়নি, তিনিও নেতাদের কাছে যাননি, দলের এ ব্যাপারে নাক গলানোর দরকার নেই।

দিন কেটে যায়। ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয় না, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না। তাই ফের তাঁরা এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ থেকে ওই যন্তরমন্তরেই ধর্না শুরু করেন। সেখানে ঝোলানো একটি পোস্টারে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৩৮টি অপরাধমূলক মামলার তালিকা টাঙানো ছিল। গোন্ডার পুলিশ ‘দ্য প্রিন্ট’কে জানিয়েছিল ওই তালিকায় কোনও ভুল নেই। কিন্তু ব্রিজভূষণের কেশাগ্র স্পর্শ করে, কার সাধ্যি! তিনি উত্তরপ্রদেশের তিনটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ছবার জিতেছেন। ছটি লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর বড় সংখ্যক রাজপুত ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। তিনি পঞ্চাশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক। বিভিন্ন কুস্তি প্রতিষ্ঠানে তাঁর বিপুল প্রভাব। একবার টাডা (টিএডিএ) মামলায় জেলে ছিলেন বলে তাঁর স্ত্রী বিজেপির প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন। এক সময় ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আডবানির প্রিয়পাত্র। অর্থাৎ যাঁর বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের অভিযোগ তিনি প্রবল পরাক্রমশালী, চরম অন্যায় করলেও যিনি হার মানতে শেখেননি। কুস্তিগিররা তা জানেন। বিনেশ ফোগট জানিয়েছেন, ব্রিজভূষণকে যদি গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে তিনি তাঁদের খুনও করতে পারেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, দিল্লির কুস্তি ফেডারেশনের (ডব্লিউএফআই) অফিসে, রেস্তোরাঁয়, প্রতিযোগিতা এবং ওয়ার্মআপের সময় প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা কুস্তিগিররা তাঁর বিরুদ্ধে আটটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। দিল্লির কনট প্লেস থানায় দুটি আলাদা অভিযোগে ওই আটটি ঘটনার কথা জানিয়ে বলেছেন, নিঃশ্বাস প্রক্রিয়া পরীক্ষা করার অজুহাতে ব্রিজভূষণ তাঁদের যৌন লাঞ্ছনা করেছেন। তাঁরা তখনই জানিয়েছিলেন, ব্রিজভূষণের নার্কো টেস্ট করা হলে তাঁরাও ওই টেস্টে রাজি।

এক নাবালিকার যৌন হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। পকসো আইনে এফআইআর করা হলেও আজও ব্রিজভূষণকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলার পরও ব্রিজভূষণ দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর এখন তিনি প্রকাশ্যে পকসো আইন বদলানোর কথা তুলছেন।

ব্রিজভূষণের শাস্তির দাবিতে তারকা কুস্তিগিররা দিল্লির প্রবল গরমে, বৃষ্টিতে মশার কামর খেয়ে এপ্রিলের ২৩ তারিখ থেকে ২৮ মে সকাল পর্যন্ত টানা এক মাস পাঁচ দিন যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছিলেন। চারটিখানি কথা নয়। মাঝরাতে তাঁরা নেশাগ্রস্ত পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের কেরিয়ার খতম হতে চলেছে, তবু তাঁরা বিচারের দাবিতে অটল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয় বছর ধরে প্রতি রবিবার রেডিওতে নিজের ‘মন কি বাত’ বলেন। কিন্তু কুস্তিগিরদের কথা তাঁর কখনও মনেই পড়ে না। তাঁদের ‘মন কি বাত’ শোনেন না। মোদি এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আজও নীরব!

লোকে বলে, মোদি দেশের মানুষের দূরবস্থার কথা ভেবে দেখছেন না, শুনছেন না। এমনকি যাঁরা অলিম্পিক, এশিয়াড থেকে সোনা-রূপার মেডেল নিয়ে এল, তাঁদেরও না। মোদি বলেছিলেন, কুস্তিগিররা দেশের গর্ব। তাই তিনি কুস্তিগিরদের চা খেতে ডেকেছিলেন। তাঁদের কৃতিত্বে তিনি কতটা মুগ্ধ তা বোঝাতে তাঁদের স্বাক্ষর করা জার্সি হাত পেতে নিয়ে ক্যামেরায় ছবি তুলেছেন (তারপর হয়তো তা ফেলে দিয়েছেন)। এখন বোঝা গেছে ওই কুস্তিগির ‘বেটি’দের প্রতি তাঁর স্নেহ, ভালবাসা, মুগ্ধতা, দায়বদ্ধতা কিছুই ছিল না। সে ছিল তাঁদের প্রচারের আলোর ছটা নিজের গায়ে লাগিয়ে ইমেজ বাড়ানোর ছল।

কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা, বিক্ষোভকারী কৃষকদের গাড়ির চাকায় পিষে ফেলা বা সংখ্যালঘুর প্রতি ঘৃণাভাষণ— অভিযোগ যাই হোক শাসক দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে এই আমলে কোনও কিছুই গ্রাহ্য হয় না। বিজেপির মহারাষ্ট্র রাজ্যসভাপতি ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেত্রী ও লোকসভা সদস্য সুপ্রিয়া সুলেকে ঘরে গিয়ে রান্নাবান্না করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিজেপির বড় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় মহিলাদের রাস্তায় ফেলে পাঁচ-সাতটি থাপ্পর মারার কথা বলেছিলেন। বিজেপির নেতারা বারবার মহিলাদের অপমান করলেও, উঁচু পদের নেতারা মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন। তাই উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে ব্রিজভূষণের গুরুত্ব বুঝেই কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না মনে হলেও, তাঁকে গ্রেপ্তার না করার পিছনে বিজেপির মনুবাদী সংস্কৃতিও ভীষণভাবে জড়িত। তাঁরা নারীদের সমকক্ষীয় মানুষ মনে করেন না। মনে করেন পুরুষের সেবাদাসী।

২৬ মে সাক্ষী মালিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন ব্রিজভূষণ যদি উপস্থিত থাকেন তাহলে গোটা দেশ বার্তা পেয়ে যাবে সরকারের অন্দরমহলে কী চলছে, যাঁরা ব্রিজভূষণকে রক্ষা করতে চাইছেন তাঁরা অপরাধী। উদ্বোধনে ব্রিজভূষণ হাসিমুখে উপস্থিত ছিলেন।

নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন তাঁরা সংসদ অভিযান করতে চেয়েছিলেন বলে সেদিনই পুলিশ যন্তরমন্তর থেকে সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, বিনেশ ও সঙ্গীতা ফোগট সহ অসংখ্য প্রতিবাদী মিছিল-উদ্যোগীকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে গিয়ে সাত ঘন্টা আটক করে রেখে দাঙ্গা সহ নানা অভিযোগে মামলা দায়ের করে।  কয়েকশো ব্যাক্তিকে আটক করা হয়। ঠিক সেই সময় ব্রিজভূষণ হাসিমুখে নতুন সংসদ ভবনের অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন। পুলিশ ধর্নার তাঁবু সহ যাবতীয় ব্যবস্থা তুলে নিয়ে গিয়ে জায়গাটাকে দুর্ভেদ্য দুর্গ তৈরি করে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে।

কুস্তিগিররা শান্তিপূর্ণ মিছিল করার চেষ্টা করছিলেন। হাঙ্গামা করেননি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেননি। পুলিশ তাঁদের গায়ের জোরে গাড়িতে তুলেছিল। যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানোর পর ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পুলিশের সাতদিন লেগেছিল, আর শান্তিপূর্ণ ধর্ণাকারীদের মারধোর করে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে সাত ঘন্টাও লাগল না! কুস্তিগিরদের প্রশ্ন, দেশে কি স্বৈরতন্ত্র চলছে?

ছাড়া পাওয়ার পর অলিম্পিক্সে পদক জয়ী সাক্ষী মালিক বলেছেন, ‘হম লড়েঙ্গে অউর হম জিতেঙ্গে…. ইয়ে জো দিন হ্যায় ইয়ে ভি বিতেঙ্গে’। জানিয়েছেন এই অবস্থায় ফের সত্যাগ্রহ শুরু করবেন। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরবেন না।

বিচার না পেয়ে আন্তর্জাতিক পদকজয়ী, দেশের নাম উজ্জ্বল করা কুস্তিগিররা শেষে প্রবল দুঃখ, হতাশায় ঘোষণা করলেন, তাঁদের অর্জিত যাবতীয় সোনা-রুপো-ব্রোঞ্জের মেডেল হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দেবেন! একবার তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। পরে মনে হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নিজে মহিলা এবং যন্তরমন্তর থেকে মাত্র দু-কিলোমিটার দূরে তাঁর ভবন হলেও, যতদিন তাঁরা সেখানে বসেছিলেন একবারও তাঁদের খোঁজ নেননি।

সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া হিন্দিতে টুইট করেছিলেন— যে অপরাধ করল সে বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর সরকার আমাদের সঙ্গে অপরাধীর মতো ব্যবহার করছে… আদৌ কেন পদকগুলো জিতলাম… আমরা কি শুধু প্রচার আর স্লোগানের মুখোশ?… এই পদক আমাদের জান, আত্মা। এসব বিসর্জন দেওয়ার পর নিজেদের কাছে জীবনেরও আর কোনও মূল্য থাকবে না। (ইন্ডিয়া গেটে) আমরণ অনশনে বসব আমরা।

ওদিকে ২৯ তারিখে কেরলের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এনসি আস্থানা টুইটারে হিন্দিতে লেখেন, “দরকার হলে ওদের (কুস্তিগিরদের) গুলি করবে।… এখন তো তাঁদের শুধু আবর্জনার বস্তার মতো টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ১২৯ ধারায় পুলিশের গুলি করারও অধিকার রয়েছে। উপযুক্ত পরিস্থিতিতে সেই ইচ্ছেও পূরণ হবে। তবে তা জানতে গেলে শিক্ষিত হতে হবে। পোস্টমর্টেম টেবিলে আবার দেখা হবে।”

আরেকটি টুইটে লেখেন, “পুলিশের গুলি করার অধিকারে কিছু বোকা সন্দেহ করে। যদি আপনি ইংরেজি পড়তে পারেন তাহলে অখিলেশ প্রসাদের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পড়ুন। যে নিরক্ষররা পড়তে জানে না, তাদের ভালর জন্য পরামর্শ দিই, সেই অধিকারের পরীক্ষা নেবেন না। কোনও কারণ ছাড়াই স্ত্রীরা বিধবা হবে, সন্তানরা অনাথ হবে। সুস্থ থাকুন।” বলা দরকার, কয়েকদিন আগে পরের পর ইসলামোফোবিক টুইটের জন্য টুইটার তাঁর অ্যকাউন্ট সাসপেন্ড করে দিয়েছিল।

জবাবে বজরং পুনিয়া হিন্দিতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লেখেন, “ভাই, সামনেই রয়েছি। গুলি খেতে কোথায় যেতে হবে বলুন। প্রতিজ্ঞা করছি, পিঠ দেখাব না, বুকেই আপনার গুলি নেব। এটাই বাকি আছে, এখন আমাদের সঙ্গে এটা করাই ঠিক।”

আস্থানার কথার প্রতিবাদে শিবসেনার রাজ্যসভার সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, “প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এখন সারাক্ষণ নোংরা কথাবলিয়ে। কোথায়, কখন দেশের এমন উচ্চমানের চাকরির ট্রেনিং এতটা খারাপ হয়ে গেল?”

২৮ মে তাঁদের চরম লাঞ্ছনার দুদিন পর, ৩০ মে সন্ধ্যাবেলা সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগট, বজরং পুনিয়ারা ক্ষোভে দুঃখে আত্মীয়স্বজন, সমর্থকদের ভিড়ে ঠাসা হরিদ্বারের হর কি পৌড়ি ঘাট থেকে তাঁদের অর্জিত যাবতীয় পদক গঙ্গায় বিসর্জন দিতে গেলে তাঁদের বাধা দিলেন কৃষক নেতা নরেশ টিকায়ত। আগের দিনই তাঁদের আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিল সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। রাকেশ টিকায়ত সহ অন্য কয়েকজন নেতা গঙ্গায় তাঁদের পদক না ভাসাতে অনুরোধ করেছিলেন। শোনা যায় কয়েকজন বিজেপি নেতা আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। শেষে নরেশ টিকায়ত ঘাটে গিয়ে তাঁদের যাবতীয় মেডেল হস্তগত করেন। নানা ইংরেজি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘাটে কুস্তিগিরদের মেডেল ও সম্মানপত্র নিয়ে বসে থাকার ছবি হৃদয়বিদারক।

বলা যায় যন্তরমন্তরে কুস্তিগিরদের উপর পুলিশি অত্যাচার তাঁদের আন্দোলনে নতুন প্রাণ এনেছে। ৫ জুন থেকে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ব্রিজভূষণের কীর্তিকলাপ দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার ডাক দিয়েছে। সরকার অনড় হলেও সাধারণ মানুষ এবং কৃষক ও খাপ নেতাদের ক্রমবর্ধমান সমর্থনের ছাপ যে রাজস্থান ও হরিয়ানার ভোটে পড়বে তা নিয়ে বিজেপির দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

কুস্তিগিরদের কাছে এখন শেষ দেখা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। এ লড়াই তাঁদের আন্তর্জাতিক কুস্তির লড়াইয়ের চেয়ে কিছু কম নয়।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4880 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...