অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
গাণিতিক নিয়মেই প্রমাণিত হয়, লড়াইটা আদতে আজ পুঁজিরই সঙ্গে পরিবেশের। গরিব উলুখাগড়ারা এখানে কেবল আবহাওয়া-শরণার্থীর হলুদ জ্যাকেট পরে নিশ্চুপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে এসেছে
সোমালিয়া বলতেই আমাদের প্রথম মনে পড়ে জলদস্যু আর ক্যাপ্টেন ফিলিপসের রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চার। সত্যজিৎ রায় অনেক আগে থাকতেই তাঁর ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ গল্পে স্পষ্ট আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, অ্যাডভেঞ্চার বলো, থ্রিল বলো, মায় টাইম-ট্রাভেল বলো, ইত্যাদি সবকিছুরই প্রথম প্রোপ্রাইটারি নিয়ে বাবুরা বসে আছেন ওই সাহেবদেরই দেশ আমেরিকায়। কিন্তু আজ এই পরিবেশ দিবসের দিন দাঁড়িয়ে সেই সোমালিয়ার খবর দিয়েই শুরু করতে চাইব। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। আমরা সকলেই জানি পরিবেশ নিয়ে তাবড় সমস্ত সম্মেলন করে আসা বড় বড় দেশগুলি তাদের পাহাড়প্রমাণ সমস্ত ইলেকট্রনিক ও রাসায়নিক বর্জ্যপদার্থ, দূষিত ধাতব বস্তু, ইত্যাদি সবকিছুই সোমালিয়ার মতো এমন একেকটি গরিব, না-খেতে-পাওয়া দেশেরই সৈকতভূমিতে অবলীলায় নামিয়ে দিয়ে যায়। সেই বর্জ্য থেকেই আবার সোনা ছেঁকে বের করে নিজেদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে চরম মূল্য চুকিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে উপকূলবর্তী সোমালিয়ার মানুষ। পরিবেশ পরিবর্তনেরও আজ সবচেয়ে বেশি মূল্য চোকাতে হয় এমনই সমস্ত দেশকে। সোমালিয়ার উদাহরণ দিলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই আবহাওয়ার আকস্মিক ও অভূতপূর্ব পরিবর্তন। যেমনটা আমরা সোমালিয়ার ক্ষেত্রে দেখেছি। এবছরের মার্চ মাস অবধিও সেই দেশ বিগত ছয় বছর ধরে চলা ভয়াবহ খরার প্রকোপে বিধ্বস্ত হয়ে ছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২০২২-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সময়ে সোমালিয়ার সমগ্র ভূখণ্ডের ৯০ শতাংশ অঞ্চলই প্রবল খরার ভ্রূকুটিতে জ্বলে-পুড়ে নিষ্পেষিত হচ্ছিল। এর কারণে সোমালিয়ার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ খাদ্যাভাব ও পুষ্টির অভাবে ভুগছিলেন। আনুমানিক ৭০ লক্ষ সোমালি মানুষ অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন। এর মধ্যে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ছিল ১৫ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু মার্চ ২০২৩-এর মাঝামাঝি সোমালিয়া জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তার পরিমাণ এতটাই আয়ত্তের বাইরে গিয়ে দাঁড়ায় যে, ১৪ মার্চ ২০২৩— রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, এই বৃষ্টির কারণে সোমালিয়ার ১৭টি প্রদেশে মোট ২২ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। ৪,৫০,০০০-এরও বেশি মানুষ এই বর্ষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তারই মধ্যে অন্ততপক্ষে ২,০০,০০০ মানুষ ঘর হারিয়েছেন। প্রসঙ্গত বলে রাখার, এর আগে ২০২২-এ— অর্থাৎ কিনা গত বছরেরই হিসেব অনুসারে খরা ও দুর্ভিক্ষের কারণে সোমালিয়াতে ৪৩,০০০ মানুষ প্রাণ হারান। কেবল সোমালিয়াই নয়, খরার পরবর্তীতে হঠাৎ এই অকালবর্ষণের কারণে ভুগতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী রোয়ান্ডা ও গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোকেও। বৃষ্টি, বন্যা ও হড়পা বানের কারণে রোয়ান্ডায় মারা গিয়েছেন ১৩৫ জন, উদ্বাস্তু হয়েছেন ৯০০০-এরও বেশি মানুষ। গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন গ্রুপ বা ডব্লিউডব্লিউএ-র তরফে জানানো হয়েছে, গবেষণা অনুযায়ী সারা পৃথিবীর তুলনায় আগামী বছরগুলিতে পরিবেশ পরিবর্তনের প্রভাব সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া এমন সমস্ত গরিব আফ্রিকান দেশগুলিতে একশোগুণেরও বেশি হয়ে পড়তে চলেছে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহর ভয়াবহ জলসঙ্কটের মুখে পড়েছে। কিন্তু কেপটাউন শহরে এই অবস্থাতেও বড়লোক অধিবাসীদের বিলাসব্যসনে তার কোনও প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের সুইমিং পুল, সাজানো বাগান, সবুজ কেয়ারি করা লনের বিলাস, সেগুলিতে যথাবিহিতভাবেই জলের জোগান দেওয়া হচ্ছে। চাতক হয়ে মরতে বসেছে কেপটাউনের গরিব মানুষেরাই। তথ্য বলছে শহরের মাত্র ১৩.৭ শতাংশ মানুষ, শহরের যে মোট জলের জোগান তার ৫১ শতাংশেরও বেশি ব্যবহার করেন। অন্যদিকে শহরের গরিব জনতা, যারা কিনা মোট জনসংখ্যার ৬১.৫ শতাংশ, তাঁদের কপালে জোটে মোট জলের মাত্র ২৭.৩ শতাংশ।
আদতে লড়াইটা পুঁজির সঙ্গে মানুষের। ধনীর সঙ্গে গরিবের। বিভাজনরেখা এখন স্পষ্ট।
কার্বন নিঃসরণের বিষয়টিকে নিয়ে প্রথম বিশ্বের দেশগুলি প্রতিটি আবহাওয়া বা জলবায়ু-বিষয়ক সম্মেলনেই জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য সাজিয়ে থাকে। একটু দেখে নেওয়া যাক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণের কারণ কারা? দেখা যাচ্ছে তারা হল প্রথম বিশ্বের আওতায় পড়া মূলত দুটি দেশের ৭টি কয়লা-চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রথম বিশ্বের দেশ বলতে, তাদের নামগুলি হলো পোল্যান্ড ও জার্মানি। এই দেশগুলিই কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি কেন কয়লামুক্ত অর্থনীতির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না, এই বলে বিভিন্ন আবহাওয়া সম্মেলনে সরব হয়ে থাকে। অঙ্কের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী জার্মানির ৬টি প্রধান কয়লা-চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মোট ১০২.৫ মেট্রিক টন কার্বনগ্যাস নিঃসারিত হয়েছে। পোল্যান্ডের ২টি প্রধান কয়লা-চালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কার্বনগ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ আরও ৪৬.২৮ মেট্রিক টন। এই দূষণেরই কিন্তু প্রভাব পড়বে তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলোয়। নতুন এক সমীক্ষায় তাই গবেষকেরা নজর দিয়েছিলেন সারা পৃথিবীর জীবাশ্ম-জ্বালানি উৎপাদক যে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলি রয়েছে, পরিবেশ পরিবর্তন ও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে গরিব দেশগুলির উপর যে অর্থনৈতিক বোঝা চাপে, বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলির তরফে তার কতখানি দায়ভার নেওয়া উচিত, সেই বিষয়ের উপর।
এই কাজের জন্য সারা পৃথিবীর মোট ৭৩৮ জন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ একজোট হয়েছিলেন। অঙ্ক কষে তাঁরা দেখিয়েছেন, ২০২৫ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে পরিবেশ পরিবর্তন ও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে, সারা পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন পরিবেশগত বিপর্যয়ের ফলে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৯৯ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। এরপর তাঁরা হিসেব করে দেখান ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মোট যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ তার ৭০.৩৭ শতাংশেরই কারণ ছিল জীবাশ্ম-জ্বালানির উৎপাদন বা ব্যবহার। এই হিসেবই বজায় থাকলে, ৯৯ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের ৭০.৩৭ শতাংশ, অর্থাৎ কিনা জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবহারের ফলে পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে আগামী পঁচিশ বছরে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৯.৬৮ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। এখন জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবহার বা তা থেকে কার্বন নিঃসরণের পিছনে মূলত তিন ধরনের মানুষ বা সংস্থা দায়ী থাকেন। প্রথম হলেন যিনি বা যাঁরা উৎপাদক, অর্থাৎ কিনা সেই সমস্ত সংস্থাগুলি, যারা কিনা এই জীবাশ্ম-জ্বালানি উৎপাদন করে ও বাণিজ্যিকভাবে তার থেকে মুনাফা সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় হলেন যাঁরা গ্রাহক অথবা সাধারণ ব্যবহারকারী। সবশেষে তৃতীয় হলেন সরকারি বা বেসরকারি, মূলত প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক মানুষ, যাঁরা কিনা নীতি-নির্ধারক। এই ৬৯.৬৮ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের হিসেব গবেষকেরা এই তিনটি শ্রেণির মধ্যে সমানভাবে ভাগ করেছেন। অর্থাৎ প্রত্যেক গোষ্ঠীর ভাগে পড়েছে ২৩.২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। এরপর গবেষকেরা তথ্য ঘেঁটে বের করেছেন সারা পৃথিবীর প্রথম ২১টি জীবাশ্ম-জ্বালানি উৎপাদক কোম্পানিকে, যারা কিনা সারা পৃথিবীর মোট জীবাশ্ম-জ্বালানির ৩৫.৯ শতাংশের উৎপাদক। তাহলে এই সমস্ত কোম্পানির উপর, পরিবেশ পরিবর্তন ও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে ঘটে যাওয়া অর্থনৈতিক ক্ষতির দায়ভার চাপবে ২৩.২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের ৩৫.৯ শতাংশের হিসেবে, ৮.৩৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার।
বিজ্ঞানীরা অবশ্য এরপরেও কিছু অর্থনৈতিক হিসেব নিকেশ, মুদ্রাস্ফীতি ও ডলারের মূল্যহ্রাস ইত্যাদি বিষয়কে নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন। সবশেষে তাঁদের রায় অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ২১টি সর্ববৃহৎ জীবাশ্ম-জ্বালানি উৎপাদক কোম্পানিকে, পরিবেশ পরিবর্তন ও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন পরিবেশগত বিপর্যয়ের ফলে সাধিত অর্থনৈতিক ক্ষতির দায়ভারের বিপরীতে অন্ততপক্ষে ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য করা উচিত। এই সমস্ত সংস্থার নামগুলিকেও এইবারে দেখে নেওয়া যাক চলুন।
সবচেয়ে উপরে রয়েছে সৌদির আরামকো, ২০২৫ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে যার ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হওয়া উচিত ১ লক্ষ ১১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
এরপরেই একে একে রয়েছে—
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সন মোবিল, ২০২৫ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে যার ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হওয়া উচিত ৪৭ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার।
- শেল (ইংল্যান্ড), ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হওয়া উচিত ৪২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার।
- ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ম (ইংল্যান্ড), ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হওয়া উচিত ৩৭ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
- শেভ্রন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হওয়া উচিত ৩৩ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
- আবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (সংযুক্ত আরব আমিরশাহী), ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হওয়া উচিত ৩১ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা উচিত, কোল ইন্ডিয়াকে এই গবেষণার আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছিল। কারণ গবেষকেরা জানিয়েছেন, যে সমস্ত দেশেরই জাতীয় আয় মাথাপিছু ৪০০০ মার্কিন ডলারের কম, সেই সমস্ত দেশগুলির কোনও জ্বালানি উৎপাদক সংস্থাকেই এই সমীক্ষার আওতায় আনা হয়নি। তাঁরা এও জানিয়েছেন ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২২ সাল অবধি কোল ইন্ডিয়ার তরফে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ মোট ২৬,২০৮ মেট্রিক টন, যা কিনা বিশ্বব্যাপী নিঃসরণ পরিমাণের মাত্র ২.৩৩ শতাংশ।
অঙ্কের হিসেবটা কি তাহলে স্পষ্ট হয়ে গেল? গাণিতিক নিয়মেই কি তাহলে প্রমাণিত হল, লড়াইটা আদতে আজ পুঁজিরই সঙ্গে পরিবেশের। গরিব উলুখাগড়ারা এখানে কেবল আবহাওয়া শরণার্থীর হলুদ জ্যাকেট পরে নিশ্চুপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে এসেছে। কোটি কোটি মার্কিন ডলারের হিসেব, সুউচ্চ সমস্ত ঝকঝকে ইমারত, পরিবেশের তুমুল উন্মত্ততাতেও, তাদেরই জন্য আসবে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার। জলের জোগান কমলে তৃষ্ণারও অধিকার থাকবে তাদেরই কেবল, যারা সেই তৃষ্ণাকে অর্থের বিনিময়ে পূরণ করতে পারবে। পরিবেশ দিবসে মরুভূমির একেকটি অনাবৃষ্টি-বিধ্বস্ত উদ্বাস্তু শিবির থেকে পুলিৎজার-মার্কা ছবি উঠতে থাকবে। জনতাকে বলা হবে বিনিয়োগ করতে, ভবিষ্যতের প্রয়োজনে। সাহায্য করতে, দারিদ্র্যকে উৎখাত করতে নয়— আদতে সেই দারিদ্র্যকেই টিকিয়ে, বাঁচিয়ে রাখতে। কারণ দারিদ্র্য যে সবদিক থেকেই ‘হাইলি ফটোজেনিক!’
সূত্র:
- Prasad, Seema. World’s top 21 fossil fuel companies owe $5,444 billion in climate reparations, study says. Down to Earth. 22 May, 2023.
- Banerji, Nandita. EU’s top 10 emitters are all coal plants — and 7 of them are repeat offenders. Down to Earth. 23 May, 2023.
- Banerji, Nandita. After catastrophic drought for 6 years, flash floods in Somalia displace 200,000. Down to Earth. 15 May, 2023.
- Paul, Madhumita. Swimming pools and manicured lawns — rich communities’ extravagant choices are leaving too little water for the poor. Down to Earth. 13 April, 2023.