শৌর্য বন্দ্যোপাধ্যায়
সংবিধানে কী লেখা রয়েছে, এবং সংবিধান কীভাবে আসলে চলছে, দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। আম্বেদকরের বক্তব্য ধার করলে বলা যায়, ‘ভারতীয় সংবিধান আসলে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক জমিতে গণতান্ত্রিকতার প্রলেপমাত্র।’ সংবিধান তার সেই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে কিনা তা অনেকাংশে নির্ভর করে সেই সাংবিধানিক বিভিন্ন দায়দায়িত্ব যে রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পালিত হচ্ছে তার উপর। যদি এমন কোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে যাদের সাংবিধানিক আদর্শ বা কাঠামো নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই, তাদের ক্ষেত্রে সীমিত সাংবিধানিক গণতন্ত্রের পরিসর রক্ষা করার দায় বর্তায় আদালত বা বিরোধী দলের উপরে
ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর কেন্দ্রিকতার ঝোঁক বা কেন্দ্রকে শক্তিশালী করে তোলার ঝোঁক। সংবিধানপ্রণেতাদের দেশভাগ-স্মৃতি ও যুগপৎ ভীতির ফলাফল— যে সংবিধানে প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলিকে শক্তিশালী করার কথা, এমনকি প্রাথমিক কিছু ধারণা অনুযায়ী ভারত, পাকিস্তান ও দেশীয় রাজ্যগুলিকে নিয়ে কনফেডারেশন করার প্রস্তাবও ছিল— দেশভাগ পরবর্তী সংবিধান-প্রণয়ন উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কেন্দ্রীয় সরকারকে শক্তিশালী করার ঝোঁক দেখা গেল। ট্যাক্স এন্ট্রি লিস্ট দেখলেই বোঝা যাবে, যে গুরুত্বপূর্ণ সব রাজস্ব তোলার জায়গা রয়েছে কেন্দ্রের হাতে (মদ বেচে রাজ্যগুলির টাকা তোলার চেষ্টা একেবারে পরিপ্রেক্ষিত-হীন তা হয়তো নয়!)। এহেন কেন্দ্র-মুখাপেক্ষী যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন বিষম ব্যবস্থা। কিছু অঞ্চলের বিশেষ প্রেক্ষিত মাথায় রেখে তাদের জন্য আছে অন্য রাজ্যগুলির থেকে আলাদা বন্দোবস্ত। এর অন্যতম উদাহরণ ছিল অধুনালুপ্ত কাশ্মিরি স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থা, আর্টিকেল ৩৭০। একথা শুনলে অনেকে লাফিয়ে ওঠেন, তাঁদের জ্ঞাতার্থে: আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের জন্য, এমনকি গুজরাতেও। মোটামুটি ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের উপর এই ছোট টীকা দিয়ে এই লেখা শুরু করা যায়। তার কারণ এই লেখার বিষয়ও অনুরূপ একটি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে। বা বলা ভাল, সেই বিশেষ ব্যবস্থার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা নিয়ে।
দিল্লির জন্য সংবিধানে বিশেষ ব্যবস্থার কথা রয়েছে ২৩৯এএ অনুচ্ছেদে। এই অনুচ্ছেদে দিল্লির জন্য পৃথক আইনসভা থাকার কথা বলা হয়েছে। অনুচ্ছেদের ৩(এ) ধারা অনুযায়ী কেবলমাত্র তিনটি বিষয় ছাড়া রাজ্যগুলির জন্য নির্দিষ্ট সবক্ষেত্রে দিল্লি আইনসভা আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাখে। যেহেতু দিল্লি দেশের রাজধানী, তাই তার বিশেষ ‘জাতীয় স্বার্থের’ কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের ভূমিকা মূলত শুধুমাত্র পাবলিক অর্ডার, পুলিশ এবং জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে সীমাবদ্ধ, যা সাধারণত রাজ্যগুলির হাতে থাকে। সেটা ছাড়া সব বিষয়েই হস্তক্ষেপ পার্লামেন্টের আইনসাপেক্ষ।
আমাদের আলোচ্য সমস্যার জন্ম এই পরিস্থিতিতে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকলেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লিতে সরকারে রয়েছে আপাতভাবে বিজেপি-বিরোধী আপ। অতএব বিরোধীশাসিত সরকারের পিছনে লাগার ট্র্যাডিশন মেনে ২০১৫ সালে একটি নোটিফিকেশন জারি করা হয় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। যার মূল বক্তব্য, অনুচ্ছেদ ২৩৯এএ-বর্ণিত তিনটি বিষয় ছাড়াও, দিল্লিতে সরকারি কর্মী নিয়োগ (services) থাকবে কেন্দ্র সরকারের হাতে। যুক্তি ছিল, সমস্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য কেন্দ্রের কমন ক্যাডার রয়েছে, দিল্লি তার বাইরে নয়। স্বাভাবিকভাবেই, এই নোটিফিকেশন দিল্লি সরকার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায়, হাইকোর্ট কেন্দ্রের পক্ষে রায় দিলে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। বিভিন্ন বেঞ্চ ঘুরে (এর মধ্যে ২০১৮ সালের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চেরও রায় রয়েছে) অবশেষে ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছে দিল্লি সরকারের পক্ষে।
এই ২০২৩-এর রায়ের গুরুত্ব বেশ কিছু জায়গায়। প্রথমত, এই রায় বারংবার তুলে এনেছে সংবিধান-স্বীকৃত অসম যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা। সংবিধান অনুযায়ী দিল্লির জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে, অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের থেকে যা আলাদা। সুতরাং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলেই যে অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে দিল্লি সমান তা নয়। দিল্লির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বা অসম ব্যবস্থাটাও সংবিধানেরই অংশ। ক্রমাগত এক-দেশ-এক-নীতি জাতীয় ধুয়ো তোলা একমাত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত, এই অসম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দিল্লির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল আঞ্চলিক স্বার্থের বদলে দেশের রাজধানীর ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া। সুপ্রিম কোর্টের এক্ষেত্রেও বক্তব্য, ২৩৯এএ ধারার অসম ব্যবস্থাটাই সেই স্বার্থরক্ষার জন্য যথেষ্ট— এমনিতেই দিল্লির ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের সব বিষয়ে আইন প্রণয়ন করার অগ্রাধিকার রয়েছে।
অতএব তৃতীয়ত, দিল্লির জন্য এই অসম ব্যবস্থায় এমনিতেই দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা কম, সুতরাং ২৩৯এএ-র এমন ব্যাখ্যা দেওয়া কাম্য নয় যেটা সেই নির্বাচিত সরকারের সীমাবদ্ধ ক্ষমতাকে আরও কমিয়ে দেবে। তাহলে বিশেষ ব্যবস্থার বিশেষ-ত্ব কিছু থাকে না।
চতুর্থত, দিল্লির জন্য এই অসম ব্যবস্থায় সংবিধান স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক কাঠামোকে (representative democracy)। আইনের ব্যাখ্যা সেইভাবেই করা উচিত যা সেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বা জন-নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করে, সঙ্কুচিত নয়। অর্থাৎ সংবিধান যদি কোনও পরিসর দিয়ে থাকে স্বায়ত্তশাসনের, এমন ব্যাখ্যা আনা উচিত নয় যা সেই স্বায়ত্তশাসনের জায়গাকে আরও ছোট করে দেয়।
পঞ্চমত, কেন্দ্রের আরও বক্তব্য ছিল পূর্ণ রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি থাকলেও, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় নয়, ঐকিক। এক্ষেত্রেও কোর্টের বক্তব্য, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শক্তিশালী করা, যাতে প্রতিটি সরকার তাদের নির্ধারিত বিষয়ে কাজ নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। ভারতীয় সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা হল বিভিন্ন সরকারকে তাদের নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়া।
আর সেটা হলে, ষষ্ঠত, নির্বাচিত সরকারের হাতে যদি তার নিজস্ব কর্মীদের নিয়ন্ত্রণেরই অধিকার না থাকে, তাহলে তারা না পারবে আইনসভার কাছে জবাবদিহি করতে, না হবে জনগণের কাছে দায়িত্বপালন।
ফলত, ২০২৩-এর রায় দিল্লিতে কর্মী নিয়োগ ও আনুষঙ্গিক সবকিছুর দায়িত্ব দিয়েছে দিল্লি সরকারকেই। উচ্চ আদালতের রায়ের গুরুত্ব এখানেই যে কোনও রায়ে যেসব যুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌছনো হয়েছে সেই যুক্তিগুলি (ratio) পরবর্তীকালে একইরকম বা কাছাকাছি বিতর্কেও যুক্তি হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সংক্রান্ত পরবর্তী কোনও বিতর্ক আদালত অবধি গড়ালে (ভারতের ক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে বলা যায়, গড়াবেই!) স্বায়ত্তশাসনের অধিকারের পক্ষে এই যুক্তিগুলি খাড়া করা যাবে।
সংবিধানে কী লেখা রয়েছে, এবং সংবিধান কীভাবে আসলে চলছে, দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। আম্বেদকরের বক্তব্য ধার করলে বলা যায়, ‘ভারতীয় সংবিধান আসলে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক জমিতে গণতান্ত্রিকতার প্রলেপমাত্র।’ আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক সমাজকে গণতান্ত্রিকতায় উত্তীর্ণ করার একটি পদক্ষেপ। সংবিধান আসলেই তার সেই ট্রান্সফরমেশানাল দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে কিনা তা অনেকাংশে নির্ভর করে সেই সাংবিধানিক বিভিন্ন দায়দায়িত্ব যেভাবে অথবা আরও সরাসরি বলতে গেলে যে রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পালিত হচ্ছে তার উপর। সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা লেখা আছে মানেই যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো থাকবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। যদি এমন কোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে যাদের সাংবিধানিক আদর্শ বা কাঠামো নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই, তাদের ক্ষেত্রে সীমিত সাংবিধানিক গণতন্ত্রের পরিসর রক্ষা করার দায় বর্তায় এই ব্যবস্থার অন্যান্য অংশীদারদের— যেমন আদালত বা বিরোধী দল— উপরে।
এই লেখার উদ্দেশ্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিশ্লেষণ, মোদি জমানার সংসদীয় বা সংসদের বাইরে থাকা রাজনৈতিক বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ নয়। এই পরিসর থেকে ভাবলে সুপ্রিম কোর্টের ২০২৩-এর রায় বেশ কিছু হারিয়ে যাওয়া সাংবিধানিক ধারণাকে ফের আলোচনায় তুলে আনতে পারে, যার ফলাফল সুদূরপ্রসারী হওয়ার ক্ষমতা রাখে। এর অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় অসম ব্যবস্থা (Constitutional Asymmetricity) এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় অসম ব্যবস্থার উপর সংবিধান-উত্তর ভারতে নেমে আসা সবথেকে বড় আক্রমণ সন্দেহজনক পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় গায়ের জোরে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তিকরণ। ২০১৯ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন লোপ মামলা বিচারাধীন, ফলে ভবিষ্যদ্বাণী করা কাম্য নয়। তবে কাশ্মির মামলার শুনানির সময়ে কি অসম ব্যবস্থার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসনের প্রসার ঘটানোর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্ট পালন করার কথা বলছে, সেটা গুরুত্ব পাবে? পাশাপাশি, বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির উপর কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণ, রাজ্যপাল পদের অপব্যবহার ইত্যাদিও ভারতে নতুন নয়। যে কেন্দ্রিকতার ঝোঁক ভারতীয় সংবিধানে আমদানি হয়েছিল দেশভাগের আতঙ্কের প্রেক্ষিতে, আজকে দাঁড়িয়ে সেই একই জুজু কতটা যুক্তিযুক্ত, সাংবিধানিক ব্যাখ্যাকে এখনও সেই ভয়ের আবরণে বেঁধে রাখা উচিত কিনা— সেই প্রশ্নও তোলার জায়গা আছে। এটুকু বলাই যায়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার ক্ষেত্রে, বা কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক পরিসর রক্ষার ক্ষেত্রে ২০২৩-এর এই রায় গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে।
পরিশেষে, এই রায়দানের ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র আরেকটি অর্ডিন্যান্স এনেছে যাতে দিল্লিতে সরকারি কর্মী নিয়োগ ক্ষমতা কেন্দ্র-পরিচালিত দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছেই ফিরে যায়— মামলার রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে। সেটার ফলাফল যাই হোক না কেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে আদালত-নির্ভর রাজনীতির নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা আছে, বিচারবিভাগের পক্ষেও মসিহা হয়ে ওঠা সম্ভব নয় এবং সেটা কাম্যও নয়। সংবিধান-উত্তর ভারতের বিচারবিভাগের ইতিহাস সে-কথা জানায়। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে আদালতের রায় কিছুটা সাহায্য করতে পারে মাত্র। কিন্তু সেটা আপেক্ষিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষিত-নির্ভর। যার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হচ্ছে, তারাও আদালতকে সমানভাবে, হয়ত কিছুটা বেশিই ব্যাবহার করতে সক্ষম, সংবিধান বিশেষজ্ঞ মার্ক টাশনেট বহু আগেই দেখিয়েছেন। সমসাময়িক ভারতে বিরোধী পরিসর সঙ্কুচিত হয়ে পড়ার ফলে রাজনীতির আদালত-নির্ভরতা একটি ট্রেন্ড, কিন্তু— ‘Activist courts are never a substitute for direct political action, including mass politics of direct action’— আইন-তাত্ত্বিক উপেন্দ্র বক্সির কথা মনে রাখলে হয়তো পিটিশন-নির্ভর পথের বদলে পূর্ণ রাজনৈতিক পথে অগণতন্ত্রের মোকাবিলা করা যেতে পারে।
*লেখক পেশায় আইনজীবী। মতামত ব্যক্তিগত