পাঁচটি কবিতা
রথযাত্রা
জনস্রোত আর রশি টানছে চক্র…
ভেজা হাওয়ায় কাষ্ঠখণ্ড…
মাসিগৃহে যাচ্ছেন ঈশ্বর।
যাত্রাপথে পুণ্য রয়েছে ছড়িয়ে।
ফেব্রুয়ারি
এসো আলিঙ্গন দিবস নিয়ে কথা বলি প্রথমে,
যেখানে অনায়াসে ঝাউপাতার হেসে ওঠা বর্ণনা করা যায়।
অতঃপর অঙ্গীকার দিবস লিখি,
যেখানে আমাদের যূথবদ্ধ সম্পর্কের বিবৃতি দিতে পারি।
এই সব ব্যতিরেকে প্রোপোজ ডে, হাগ ডে, কিস ডে
একেকটি খোপে একেক দিবস সংজ্ঞা অনুসারেই
রংমশাল জ্বালে কবে কবে,
সেসবের বিস্তারিত জট এমাসেই শুধু লেখা থাক।
ধ্যাততেরিকা
ধ্যাততেরিকা অন্ধকারে শূন্য চরে
ধ্যাততেরিকা ঘড়ির কাঁটা শব্দ করে
ধ্যাততেরিকা কুকুরগুলো রাত্রিচর
ধ্যাততেরিকা ন্যাবাপাগলা রাত্রি ভাঙে
ধ্যাততেরিকা ধ্যাততেরিকা ধ্যাততেরিকা…
মস্তিষ্ক
মস্তিষ্ক মৃত ছিল না? ঘুমে ছিল?
জাগল না কেন তবে?
ঘুম তো ভাঙে। অনেকেরই।
তোর ভাঙল না।
আসলে কোন স্টাটাসে ছিল
তোর মস্তিষ্ক?
তোর পাশে কে কে দাঁড়িয়েছিল এসে,
কপালে মায়ের হাত পেয়েছিলি টের?
ছেলেটা তোর কাঁদছিল পায়ের কাছে।
তোর ঘুমন্ত ব্রেন জেনেছিল এইসব,
যাত্রার আগে?
ফাঁদ
(প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যুর পর)
মার খেতে খেতে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেলি?
প্রতিবাদী মেয়ে, পারলি না উঠে দাঁড়াতে
ধারালো নখে সব ছিঁড়েখুঁড়ে?
অন্তত কলমের তীক্ষ্ণ নিবে
প্রাচীর ভেঙে কোনও হাইজাম্প দিতে?
বোকা মেয়ে, তুইও ফাঁদে পড়ে গেলি?