সেখ সাহেবুল হক
কেউ নেতাদের লেঠেল হিসেবে কাজ করতে গিয়ে হাঙ্গামা করলে, খুন হলে এক ধরনের ধর্মবিদ্বেষী ন্যারেটিভ নামে। অথচ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তথাকথিত উচ্চবর্ণের এবং উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা এইসকল পেয়াদাদের লেলিয়ে দেন যাতে তাঁদের বংশপরম্পরায় চলা রাজনীতির ব্যবসায় ইতি না পড়ে। “এই লুঙ্গিবাহিনিই বাংলাকে অশান্ত করছে”— ধর্মীয় বিদ্বেষটা মূলত একটা অংশের জন্য পড়ে থাকে। উপরমহলে মূলত চ্যাটার্জি-মুখার্জি-ব্যানার্জি-চক্রবর্তী গোছের ব্যক্তিরাই যে বাংলাকে অশান্ত করে মসনদ পেতে চাইছেন এটা কেউ তলিয়ে ভাবেন না
নাগরিকের জীবনে অভাব এক আশ্চর্য হাতিয়ার রাষ্ট্রের কাছে। শাসকের কাছে। আরও স্পষ্টভাবে বললে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে। অশিক্ষা সেই হাতিয়ারকে আরও ধারালো করে তোলে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভোটের সময় লোকজনকে ব্যবহার করা হয়। এভাবেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম রাজনৈতিক নেতাদের পেয়াদা হয়ে রয়েছেন বাংলার একটা শ্রেণির মানুষ। বাবা থেকে সন্তানে এই লেঠেলগিরির ধারা সঞ্চালিত হয়৷
ধরা যাক এক ব্যক্তির নাম শেখ ইলিয়াস। ঘরে নিদারুণ অভাব। ভোট এলে কিছু কাঁচা টাকার সংস্থান হয়। অন্যরকম কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করে নির্বাচনের মরশুম। ইলিয়াসের এটুকু বেসিক শিক্ষা নেই যে সকল বাবুদের হয়ে ভোটে ঝামেলা করতে যাচ্ছে, সেই বাবুরা নিজেরা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিলাসবহুল জীবনের লাইসেন্স পাবেন। রাজনৈতিক কেরিয়ার পোক্ত হবে।
ইলিয়াসের ডানহাতে আছে ভোজালি কিংবা দেশি পিস্তল, বাঁহাতে প্রাণ মুঠোয় নেওয়া আর লুঙ্গির ট্যাঁকে গোঁজা কিছু বড় নোট। ভালয় ভালয় মিটে গেলে ভাল, নইলে অর্ধ-উলঙ্গ শরীর আলতারাঙা হয়ে ধানক্ষেতে পড়ে থাকবে। যেভাবে এমন কত ইলিয়াস ভেসে গেছে গত কয়েক দশকে। আজও বলি হওয়ার গল্প এবং ধরনটা একই আছে। বড়জোর প্রযুক্তি একটু উন্নত হয়েছে, কিংবা নগদ পারিশ্রমিক বেড়েছে।
সদাশিব মণ্ডলের মাটির বাড়ি। মায়ের অসুখ। কর্মহীন যুবক। অভাব তাকে গিলতে এলে ছুটে যায় নেতাদের কাছে। কাজের বরাত চায়। কাজ আছে, কী কাজ? ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়াতে হবে। গুজব ছড়াতে হবে। বিনিময়ে টাকা জুটবে। সদাশিব মণ্ডল বিদ্বেষ ছড়ায়, লোক ক্ষেপায়। বিশৃঙ্খলা তৈরির দল গড়ে। আরও কিছু ছেলে জুটিয়ে আনে। এসব করেই দুবেলা খেতে পায়, সংসার চলে। নেতা বলে দিয়েছেন— থানা-পুলিশ সামলে নেবেন। জেল খাটলে পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে। সদাশিব মণ্ডল একটা উদাহরণ। দেশে তো বটেই, রাজ্যেও হাজার হাজার সদাশিব পেটের দায়ে হিংসার সৈনিক হয়ে ঘুরছে।
ভোটের মরশুম এলে মারধর আর পাল্টা প্রতিরোধের যে রাজনৈতিক ন্যারেটিভ ঘোরে সেখানে নিহিত থাকে অদৃশ্য লেঠেলগিরির গল্প। কেউ কেউ নেতার জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত, কারণ তাদের বোঝানো হয়েছে— অমুক পার্টি ক্ষমতায় এলে অমুক কমিউনিটির উন্নতি হবে। কেউ আবার বুঝিয়েছেন— তমুক পার্টি এলে রাজ্যটা পুরো শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনৈতিক পেয়াদা বানানো তো আজকাল খুব স্বাভাবিক বিষয়।
ভোট উপলক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে প্রতিবারের মতো জ্বলেপুড়ে মরছেন মানুষ। এই রাজনীতিনির্ভর কুটিরশিল্পের তাগিদে কত পরিবার ভেসে যায়। বিপদ জেনেও অভাবের তাড়নায় এই কাজ বেছে নিয়েছেন অনেকে। বাবুদের নির্দেশে রাতারাতি কাজের বরাত পেয়েছেন। এই অত্যাধিক ঝুঁকির কাজে শিশু এবং মহিলারাও বাদ নেই। অতঃপর সপরিবারে ঝলসে মরলে সেটাও এক অনন্য আত্মবলিদান, যা কিন্তু কোনও ইতিহাসে লেখা থাকবে না।
একটু অন্যভাবে ভাবুন— একটা শ্রেণির কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচন এমন এক বিনোদনমূলক খেলা যেখানে দাসেরা একে অন্যের সঙ্গে লড়ছেন। গ্যালারিতে বসে থাকা ব্যক্তিরা বিনোদন পাচ্ছেন। প্রাচীন রোমের সেই দাসযোদ্ধাদের উত্তরাধিকার বয়ে বেড়ানো দলদাসদের লড়াই এখন টিভির পর্দায়, ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়। কেউ বিচলিত হন, আবার কেউ গণতন্ত্রের জয় দেখতে পান। কারও মনের অন্দরে রোমাঞ্চ জাগে। সেফ জোনের নন্দলালরা নিজ রাজনৈতিক ক্ষোভ থেকে বলে ওঠেন— ‘আরও মারুক… বেশ দিয়েছে…।’ যেভাবে ক্রিকেটে উইকেটের পতন উত্তেজিত করে তোলে, সেভাবেই উত্তেজিত হন। সংখ্যা গোনেন।
ভোট এবং ভোটপরবর্তী হিংসায় গত এক দশকে যত সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। তলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হবে এই মারা যাওয়া ব্যক্তিরা অধিকাংশই সংখ্যালঘু। আরও স্পষ্টভাবে বললে মুসলিম এবং নিম্নবর্ণের হিন্দু। অর্থাৎ এঁদের আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকার কারণে লেঠেল বানানো সহজ। বাংলার রাজনৈতিক ফ্যাক্টর অনুযায়ী বিষয়টা কত অদ্ভুত ভাবুন! যে সংখ্যালঘুদের ভোটে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, ক্ষমতায় আছে এবং খুব সম্ভবত আগামীতেও থাকবে, সেই সরকার বড় অংশের সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক দিক থেকে উন্নত করে তোলেনি, শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে পারেনি। বেড়েছে কর্মহীন কিংবা অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা। অর্থাৎ ঘুরপথে ‘নেতার জন্য লড়ার’ সৈনিক তৈরির যাবতীয় বন্দোবস্ত করা আছে। এই ফর্মুলা স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে।
রাজনৈতিক দলের সাধারণ কর্মী ছাড়াও আরেকটা শ্রেণি আছে। মাত্র দু-চার হাজার টাকার বিনিময়ে খেপ খেলোয়াড়ের মতো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছুটে যান। এঁরা কি কখনওই বুঝবেন না জীবনের মূল্য কতখানি? সবাই যে বড় সমাজবিরোধী তা কিন্তু নন, কেউ কেউ কিছু টাকার লোভে পড়ে এই দলে নাম লেখান। বিভিন্ন ধরনের কাজে বিভিন্ন রকম পারিশ্রমিক। বোমা নিক্ষেপ, বাঁশ নিয়ে চড়াও হওয়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা বকশিস।
অধিকাংশ নেতাদের কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামী পাঁচ বছর করে খাওয়ার সুনিশ্চিত সংস্থান, নেপথ্যে একটা বড় অংশের গ্রামীণ অর্থনীতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই যেকোনও মূল্যে ক্ষমতায় আসীন হতে হবে। রক্তপাত কিংবা দু-চারটে খুন জরুরি হয়ে পড়লে সেটাতেও কিছু যায় আসে না। এজন্যই দরকার প্রাণ দিতে পারা, এবং প্রাণ নিতে পারার মতো কিছু এলিমেন্টের। পঞ্চায়েত স্তরে রাজনৈতিক ব্যবসার অবশ্য-উপকরণ হয়ে উঠে এই ভাড়াটে লড়াকু বাহিনি। ক্ষমতার বদল হয়। বদলা নয়, বদলের সুর ওঠে, কিন্তু লেঠেলদের মুক্তি নেই। তাদের গলায় দাসত্বের অদৃশ্য শিকল পরানো থাকে।
গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর ছবিতে একটি দৃশ্য আছে যেখানে রামাধীর সিংকে এক ব্যক্তি পরামর্শ দিচ্ছেন— “মুসলমানদের সঙ্গে লড়তে হলে মুসলমানদের সঙ্গে নিতে হবে। কসাই মহল্লার মুসলমানদের, যাদের বাকিরা ভয় পায়।” রামাধীর সেটাই করলেন, ক্ষমতা সুনিশ্চিত করতে কসাই মহল্লার কুরেশিদের ভাড়ার সৈনিক বানিয়ে সর্দার খানের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিলেন।
বাংলার রাজনীতিতে এই মডেল জনপ্রিয়। শাসক দলের মূল শক্তি সংখ্যালঘু মুসলমান, অন্ধ রাজনৈতিক ভক্তি থেকেই হোক বা অন্য কোনও কারণেই হোক, স্বল্প মজুরিতে রক্ত দিতে সবচেয়ে বেশি তৎপর মুসলমানরাই। তাই মুসলমানদের দিয়ে মুসলমানদের জব্দ করার চোরা রাজনীতি মুসলিম অধ্যুষিত জায়গায় দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে ভাঙড়ে আরাবুল-শওকতদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে নওশাদের দলবলকেই প্রয়োজন, নওশাদকেই প্রয়োজন। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় শাসক দলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া জনপ্রিয়তা নওশাদের, যা ইতোমধ্যেই শাসক দলের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে। ‘লড়ে নেওয়ার’ লোকের অভাব নেই। ‘বিরোধীশূন্য’ এবং ‘প্রতিরোধ’ দুটি শব্দে নিহিত যে খুনোখুনি, তার ফলে আসলে হচ্ছে কী? সংখ্যালঘুরা কাটাকুটি খেলে যে শক্তি জিতবে, সেই শক্তি এই আসনগুলি উপহার দেবে তথাকথিত বাবুদের। আরাবুল-শওকতরা জিতলে হয়তো করে খাবেন, কিন্তু তাঁরা কখনও উচ্চরবর্ণের বাবুদের লেভেলে আসবেন না। চিরকাল লেঠেল হয়েই থাকবেন। এঁদের অনুগত বাহিনি রক্ত ঝরাবে। একইভাবে বাম দলগুলির নওশাদকে সঙ্গে নেওয়ার মূল কারণ হল সংখ্যালঘু ভোট ফিরে পাওয়ার রাজনৈতিক কৌশল। লড়াইয়ের লোক প্রয়োজন। এতে নওশাদের রাজনৈতিক কেরিয়ারে লাভ হবে, কিন্তু তাদের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে না। সে যাই হোক, সংখ্যালঘু লেঠেল বাহিনির লড়ে যাওয়া এক্ষেত্রেও অনিবার্য।
কেউ নেতাদের লেঠেল হিসেবে কাজ করতে গিয়ে হাঙ্গামা করলে, খুন হলে এক ধরনের ধর্মবিদ্বেষী ন্যারেটিভ নামে। তারা কতখানি অসভ্য, বর্বর এবং হিংস্র সেই মনোভাব প্রকাশ করেন অনেকে। অথচ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তথাকথিত উচ্চবর্ণের এবং উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা এইসকল পেয়াদাদের লেলিয়ে দেন, কিছু টাকা ছুড়ে দিয়ে লড়তে পাঠান। যাতে তাঁদের বংশপরম্পরায় চলা রাজনীতির ব্যবসায় ইতি না পড়ে। মসনদ হাতছাড়া না হয়। কার মাথা কখন নামাতে হবে এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপরমহল ঠিক করেন। কলকাঠি যাদের হাতে, তাদের হাতের রক্তের দাগ আমরা বুঝতে পারি না। পুজোর উদ্বোধন, খেলার মাঠে উপস্থিতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাঁড়ামি, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মতো বিষয়গুলিতে তাদের নেগেটিভ ইমেজ ধুয়ে যায়। “এই লুঙ্গিবাহিনিই বাংলাকে অশান্ত করছে”— ধর্মীয় বিদ্বেষটা মূলত একটা অংশের জন্য পড়ে থাকে। উপরমহলে মূলত চ্যাটার্জি-মুখার্জি-ব্যানার্জি-চক্রবর্তী গোছের ব্যক্তিরাই যে বাংলাকে অশান্ত করে মনসদ পেতে চাইছেন এটা কেউ তলিয়ে ভাবেন না। উদাহরণ হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র আসানসোল অশান্ত করার ইতিহাস হাতের কাছে রয়েছে।
‘মিছিলে না গেলে কাজ পাব না’, ‘টুকটাক ঝামেলায় না জড়ালে সরকারি সুবিধা পাব না’ ইত্যাদির আশঙ্কা, ইনসিকিউরিটি সাধারণ মানুষকে ঝামেলায় জড়িয়ে নেয়। যে ব্যক্তি দুটো খেয়ে-পরে বাঁচাকেই জীবনের সার্থকতা মনে করেন, কোনও ঝামেলায় জড়ান না, তিনিও লাঠি-বাঁশ নিয়ে ছুটছেন। ভিন্ন দলের সমর্থক পড়শিকে আঘাত করছেন, রক্তাক্ত করছেন। অদৃশ্য অ্যাসাইনমেন্ট পূরণ করে নিশ্চিত হচ্ছেন— যাক এবার অন্ততপক্ষে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব না। এলাকার সমস্যাগুলো মিটবে।
ক্ষমতা দখলের পর নেতার প্রাসাদসম বাড়ি ওঠে। শখ-আহ্লাদ পূরণ হয়। কারও ‘জাহাজবাড়ি’, কারও ‘লাভ হাউস’। ছোটখাটো ব্যাবসা করা লোক রাতারাতি কোটিপতি। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে উপরমহলে যায়। কারণ এগুলোর জন্যই তো এত কোন্দল, অশান্তি, লাশ ফেলে দেওয়া, বাহিনি তৈরি, চমকানো।
বাংলার ভোটে একটা খুব চেনা ছবি বারবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে৷ নলি কাটা দেহ, কিংবা গুলিতে ঝাঁঝরা শরীর নিথর হয়ে পড়ে আছে৷ পাশে স্ত্রী-কন্যার আর্তনাদ, লুটিকে কাঁদা৷ প্রভুদের জন্য লড়তে গিয়ে শহীদ হয়েছেন সইফুল-বিজয়-সিরাজুল-নিতাইরা, তার ফল বুঝছে পরিবার, ফল লাভ করবে জেতা দলের নেতারা। প্রভুদের দেখা নেই, কিংবা দায়সারা সমবেদনাটুকুই আসে নেতাদের তরফে। খুব বেশি হলে কিছু নগদ টাকা। ঝাপসা হয়ে আসা চোখ, সামনে অন্ধকার৷ কেউ স্বামীহারা, কেউ সন্তানহারা, কেউ অনাথ। আলাদা আলাদা অবস্থান, বেদনা মিশে যায়৷ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি বেঘোরে মারা গেছেন৷ তাঁর রেখে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের দেখাশোনা? অন্নের সংস্থান? বাচ্চাদের পড়াশোনা? সব প্রসঙ্গ চাপা পড়ে যাবে ভোটের রেজাল্টের উল্লাসে৷ এত বিপুল রক্তপাত ঢেকে দেবে বিজয়উৎসবের আবির।
*মতামত ব্যক্তিগত
অসাধারন। এ যেন আমার মনের ব্যথা-হৃদয় গাথা ভাষা পেয়েছে।