চারটি কবিতা
প্রতীক্ষা
দেখা হবে। বলেছিল নারী।
মুণ্ডুহীনা, ধূমাবতী, নগ্না।
সেই থেকে বসে আছি, অন্ধ,
বধির ও মর্তবাসী, মূক।
আমাদের দেখা কবে হবে?
বলেনি সে। এই জন্ম যায়।
তা হলে কি পরজন্মে? হায়,
আমার যে পরজন্ম নেই!
শূন্যতা
নদীটির নাম নিরঞ্জনা।
যে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী,
সেই গ্রামটির নাম আবাহন। আর,
আমি, বিসর্জন,
এই গ্রামে থাকি, তিনশো বছর ধরে।
আমাদের গ্রামে স্কুল আছে।
স্কুলটির নাম অন্ধদের পাঠশালা।
একটি মন্দির আছে, দেবী শূর্পনখা
এতে পূজা পান।
এখানে বিচারালয় নেই।
থানা নেই। পাপপূণ্য নেই।
ধর্ম যাকে বলি, লোকে তাকে
শূন্যতা, শূন্যতা, বলে ডাকে।
সম্পর্ক
মেঘ ও বৃষ্টির সঙ্গে তোমার সম্পর্ক কি, জানি না।
মেঘ ও বৃষ্টির সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি, জানো না।
দুজনেই জানি, মেঘ ও বৃষ্টির সঙ্গে
ময়ূরের যে সম্পর্ক, তা ঐ, কেকাধ্বনি।
দুজনেই জানি, সঙ্গীত মূলত এক মগ্নধ্বনি,
শরীর ভাসিয়ে নিয়ে আসে ভাইরাল এক জ্বর…
ঈশ্বর
ঈশ্বর এসেছিলেন ঘরে।
ফিরেও গেলেন ভাঙা ছাতা হাতে নিয়ে।
বাইরে প্রবল বৃষ্টি, বাতাস বইছে।
তাকে ফিরে যেতে দিয়ে ভুল করলাম?