অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
সবমিলিয়ে ভোটমুখী বাজেট হিসেবে গোল গোল অনেক প্রতিশ্রুতির মাধ্যমেই অপ্রিয় অথচ সত্যি অনেক তথ্যকেই কৌশলে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হল। অন্তর্বর্তী বাজেটে যত না নতুন প্রকল্পের কথা বলা হল, বিগত বছরে হিসেব সামনে আনতে গিয়ে দেশের অর্থনীতির বেআব্রু অবস্থাটিকেই অর্থমন্ত্রী অনেকাংশে সামনে এনে ফেললেন
প্রথমেই যে-কথা বলা প্রয়োজন, মনে হয় সচেতনভাবেই কেন্দ্রীয় শাসক দল ও তার সদস্যদের তরফে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করা হয়েছে, এবং যথাবিহিত নিয়মে বিগত দশ বছরের মতো এটিও একটি ঐতিহাসিক বাজেট— এমনধারা গতানুগতিক প্রচারেরই নিয়মিত পুনরাবৃত্তি হয়ে চলেছে। যে-কথা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন, এই বাজেট অন্তর্বর্তী বাজেট মাত্র। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর, জুলাই মাসে নবনির্বাচিত সরকারের যে প্রথম অধিবেশন বসবে, সেখানেই কেবল চলতি অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা সম্ভব হবে। তার আগে অবধি যে বাজেট পেশ করা হল তা অন্তর্বর্তী বাজেট হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। অবশ্য, বর্তমান সময়ের একজন উল্লেখযোগ্য সাংবাদিক (যদিও বর্তমানে তিনি সাংবাদিকতার চেয়ে চাটুকারিতাতেই অধিক সময় ব্যয় করে থাকেন), বাজেট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গদগদ ভঙ্গিমায় অর্থমন্ত্রীর পোশাক, তাঁর শাড়ির রং ও পছন্দ— তামিলনাড়ুতে সেই বিশেষ রংটিকে যে ভগবান রামচন্দ্রের স্মৃতির সঙ্গে একাত্ম করে দেখা হয়, ইত্যাদি অনেক বক্তব্য রেখে ফেলেছেন। কাজেই সেই সাংবাদিক অথবা অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতাতেও যে বেকারত্ব, কৃষিক্ষেত্রে আয়ের সমস্যা, বাজেট ঘাটতির বর্তমান অবস্থা, মূল ব্যয় অথবা সরকারের Capital Expenditure-জনিত যে ওঠাপড়া ও তাতে জিডিপির প্রভাব, এগুলির গুরুত্ব কমে আসবে তা বলাই যায়। স্বীকার করে নেওয়া ভালো, অর্থনীতি আমার বিষয় নয়— তবু সাধারণ অঙ্কের বনিয়াদ নিয়েই একজন মানুষের চোখে ২০২৪-২৫ অন্তর্বর্তী বাজেটের যে বিষয়গুলি বিশেষ করে চোখে পড়তে পারল, সেগুলির বিষয়েই দু-চার কথা বলার।
ভোটের বছরে যতই বাজেটের চরিত্র ‘অন্তর্বর্তী’ হোক না কেন, প্রত্যেক শাসকেরই উদ্দেশ্য থাকে ভোটমুখী বেশ কিছু মনোমোহিনী ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচক জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করা। দ্বিতীয় মোদি সরকারের এই শেষ বাজেটেও তার অন্যথা হল না। ঢাকঢোল পিটিয়ে অর্থমন্ত্রী আবারও রাজনৈতিক ভাষণের ঢঙেই সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশস্তি গাইলেন, রামমন্দির উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করলেন, এবং সবশেষে জানিয়ে দিলেন, এই বাজেটের মাধ্যমে সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হল সুশাসন, উন্নয়ন ও কার্যক্ষেত্রে ব্যবহারিক ফলাফলকে সুনিশ্চিত করা। ইংরেজিতে বললে Governance (G), Development (D), ও Performance (P) এই নয়া-GDP-র দিকে লক্ষ্য রেখেই অগ্রসর হওয়া। রাজনৈতিক ভাষণ হিসেবে প্রশ্নাতীতভাবেই নয়া-GDP-মার্কা এমন একেকটি মুণ্ডমাল শব্দ বা acronym-এর ব্যবহার প্রচুর হাততালি কুড়িয়েছে। কিন্তু সত্যই কি আসল GDP-র নিরিখে অথবা আরও সমস্ত অঙ্কের হিসেবের নিরিখে এই বাজেট আশাপূরণের বাজেট? নাকি এই বাজেটের আড়ালেও লুকিয়ে রইল মিথ্যা প্রতিশ্রুতিরই একাধিক উদাহরণ?
বক্তব্যে বলা হল, মোদি সরকারের উদ্দেশ্যই হল গরিব, যুবা, মহিলা ও কৃষকদের উন্নয়ন। অন্তর্বর্তী বাজেটের পরিসংখ্যান কি সেই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিকে আদৌ সমর্থন করছে? তার আগে ক্যাপেক্স বা Capital Expenditure-এর বিষয়েও দু-এক কথা বলার। দেশের GDP বাড়ানোর অন্যতম একটি কৌশল হচ্ছে দেশের তরফে মূল ব্যয় অথবা ক্যাপেক্সের পরিমাণ বাড়ানো। দেশ যদি অধিক ব্যয় করতে সক্ষম হয়ে, সেই সূচকই GDP-বৃদ্ধির সঙ্গে তত্ত্বগতভাবে সমানুপাতিক বলে মনে করা হয়ে থাকে। সে-কারণেই, বিগত অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মোদি-সরকারের তরফে ক্যাপেক্সের পরিমাণ ১১.১ শতাংশ বাড়িয়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকারও উপরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিগত অর্থবর্ষে প্রস্তাবিত ক্যাপেক্সের পরিমাণ ছিল ১০ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু যে-মুহূর্তে এই বিপুল ব্যয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে নিশ্চিতভাবেই সরকারের নেওয়া ঋণের পরিমাণও ক্রমশই বাড়তে থাকবে। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ, অর্থাৎ সহজ করে বললে সরকারের আয় ও ব্যয়ের যে অন্তর, তা ক্রমশই বেড়ে চলতে থাকবে। তথ্য বলছে এই মুহূর্তে দেশের ঘাড়ে যে আর্থিক ঋণের বোঝা রয়েছে, দেশের মোট GDP-র সঙ্গে তুলনা করলে সেই পরিমাণ ৮০ শতাংশের উপর। কোনও দেশের মোট GDP-র ৮০ শতাংশ হারে যদি সেই দেশ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তবে অর্থনৈতিক দিক থেকে তা বিশেষভাবে উদ্বেগের। এখানেই শেষ নয়, অর্থমন্ত্রী সীতারমন অবশ্য জানিয়েছেন, বাজেট ঘাটতির পরিমাণ চলতি অর্থবর্ষের ভিতরেই GDP-র ৫.৯ শতাংশের থেকে কমিয়ে ৫.১ শতাংশে ও পরবর্তী অর্থবর্ষে ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। যদিও কোন মন্ত্রবলেই বা এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হবে সে বিষয়ে তিনি নিরুত্তর। তাহলে বরং দেখা যাক এই ক্যাপেক্স-এর অঙ্কেই খরচ বাড়িয়ে, ঘাটতি সামলিয়ে দেশের GDP বাড়ানোর যে কৌশল, তাই বা কতখানি ফলপ্রসূ হয়েছে?
বিগত অর্থবর্ষে ক্যাপেক্স অথবা মোট ব্যয়ের পরিমাণ ১০ লক্ষ কোটি টাকায় ধার্য করা হয়েছিল। নতুন অন্তর্বর্তী বাজেটের তথ্য অনুসারে, সরকার কিন্তু বিগত বছরে খরচ করতে পেরেছে মাত্র ৯.৫ লক্ষ কোটি টাকা। এখন বিশেষ যে ক্ষেত্রগুলিতে ব্যয়বরাদ্দ কমানো হয়েছিল, সেগুলিকেই বরং লক্ষ করা যাক। শিক্ষাক্ষেত্রে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকার ব্যয়বরাদ্দ থাকলেও, বাস্তবে খরচ করা হয় মাত্র ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। চলতি অন্তর্বর্তী বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় আরও ৯,৬০০ কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং এই বাজেট-হ্রাসের সবটুকুই হয়েছে উচ্চশিক্ষার ব্যয়বরাদ্দতেই। দলিত, উপজাতি ও সংখ্যালঘু মানুষদের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৯,৪০৯ কোটি টাকা। কার্যক্ষেত্রে সেখানে খরচ করা হয়েছে মাত্র ৬,৭৮০ কোটি টাকা। এই হিসেবকে আরও ভাঙলে দেখা যাবে, জনজাতিদের জন্য বরাদ্দ ৪,২৯৫ কোটি টাকার মধ্যে ৩,২৮৬ কোটি টাকা মাত্র খরচ করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ ৬১০ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৫৫৫ কোটি টাকা খরচে হিসেব দেখানো হয়েছে। কাজেই, ক্যাপেক্স বাড়াতে চাইলেও যে-কোনও কারণেই হোক সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে অথবা ততখানি পরিমাণ অর্থ খরচ করে দেখাতে মোদি-সীতারমনের সরকার এখনও অবধি ব্যর্থ হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, মনরেগা অথবা ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিগত বছর অবধি ক্রমাগতই সেই খাতে মোদি সরকার ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে এসেছে। এবারে বরাদ্দ সামান্য বাড়লেও, আদতে সত্যিই কতখানি তার খরচ করা হবে তা ভবিষ্যৎই বলুক।
কৃষকদরদি সরকারেরই বরং আরেকটি রূপ দেখাই। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১,৪৪,২১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার খরচ করতে পেরেছে ১,৪০,০৩৩ কোটি টাকা, এবং বরাদ্দ আরও কমিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কৃষিক্ষেত্রে ব্যয় ধার্য করা হয়েছে ১,২৭, ৪৬৯ কোটি টাকা। সারের ভর্তুকি হিসেবে বিগত বছরের বাজেট বরাদ্দ ছিল ১,৮৯,০০০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অন্তর্বর্তী বাজেটে সেই বরাদ্দ এক কোপে ৩০,০০০ কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, গরিবদরদি সরকারের তথ্যই বা কী বলছে? ২০২৩-২৪ সালে গরিব মানুষের খাদ্যের প্রয়োজনে ব্যয়বরাদ্দ ছিল ২,১২,৩৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরে সেই ব্যয়বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে ২,০৫,২৫০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে কর্পোরেট মুনাফার উপর ট্যাক্সের পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ। এখন সেই পরিমাণ কমিয়ে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও নতুন উৎপাদন শিল্পে কর্পোরেট মুনাফার উপর ট্যাক্সের হার আরোই কমিয়ে রাখা হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ। এরপরেও আমরা Crony Capitalism-এর প্রশ্ন তুলব না? মোদি-সীতারমনের সরকারকে গরিবদরদি বলেই আমরা চিহ্নিত করব?
বেকারত্ব ও যুবসমাজের বিষয়েই নাহয় দু-এক কথা শোনাই। বাজেটবক্তৃতায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দাবি করেছেন বিগত এক দশক দেশের সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে। অথচ মোদি সরকারেরই পরিসংখ্যান দফতরের তরফে প্রকাশিত ‘পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ অথবা ‘পিএফএসও’ রিপোর্ট অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ২০২০-২১ সালে যেখানে বিনা মজুরির শ্রমিক ছিল দেশের মোট শ্রমিক সংখ্যার ১৭.৩ শতাংশ, ২১-২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭.৫ শতাংশে এবং ২২-২৩ অর্থবর্ষের হিসেব অনুযায়ী সেই সংখ্যা এখন মোট শ্রমিক সংখ্যার ১৮.৫ শতাংশ। এভাবে বিনা মজুরির শ্রমিকসংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ার পরেও কোন জাদুমন্ত্রে দেশের মানুষের গড় আয় ৫০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেল, বোধগম্য হচ্ছে না কোনওভাবেই। এরই পাশাপাশি স্বনির্ভর শ্রমিকদের সংখ্যাও এদেশে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। স্বনির্ভর অর্থে যারা ছোট খাবারের দোকান চালায়, মুটে, মজুর, হকার, ঠেলাচালক, রিকশাচালক, ক্ষৌরকার, এই গোত্রের আওতায় পড়েন। আইএলও বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের নিয়ম অনুসারে বিনা মজুরির শ্রমিক অথবা এমন স্বনির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবেই গণ্য করা হয় না। গণ্য করলেও, তথ্য বলছে ২০১৭-১৮ সাল থেকে আজ অবধি দেশে স্বনির্ভর শ্রমিকের সংখ্যা মোট শ্রমজীবী মানুষের ৫২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পরবর্তীতেও বাজেটবক্তৃতায় মাননীয়া সীতারমন ৫০ শতাংশ আয়বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। বার সাতেক কর্মসংস্থান শব্দটি উচ্চারণ করলেও, গোল গোল প্রতিশ্রুতি ভিন্ন আর কিছুই সে বিষয়ে উল্লিখিত হয়নি।
অথচ এর বিপরীতে সাম্প্রদায়িক উসকানি, অথবা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আঘাত, নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব— এই সবকিছুই সমান তালে চলেছে। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, সমগ্র দক্ষিণ ভারতে যেখানে বাজেট অনুসারে মোট ব্যয়বরাদ্দের পরিমাণ ২ লক্ষ কোটি টাকার কম, সেখানে কেবল উত্তরপ্রদেশের কপালেই বরাদ্দ জুটেছে ২ লক্ষ কোটি টাকার। পাশাপাশি, দেশের উন্নয়নের প্রশ্নে জনসংখ্যার বিষয়টি যে একটি প্রবল অন্তরায় এই প্রশ্ন তুলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে উন্নয়নের উপরে প্রভাব— এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল বিশেষজ্ঞেরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এর মাধ্যমেও বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে সামাজিক-রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হবে। ২০১১ সাল থেকে জনগণনা না হওয়ার কারণে এই ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিজেপি তথা মোদি-সীতারমনের সরকার তার পূর্ণ সুবিধা নিয়েছে। পাশাপাশি চলতি বাজেটে জনগণনা-খাতে ব্যয়বরাদ্দ আরও কমিয়ে অদূর ভবিষ্যতে জনগণনার সম্ভাবনাটিকেও অঙ্কুরে বিনাশ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ভোটমুখী বাজেট হিসেবে গোল গোল অনেক প্রতিশ্রুতির মাধ্যমেই অপ্রিয় অথচ সত্যি অনেক তথ্যকেই কৌশলে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হল। অন্তর্বর্তী বাজেটে যত না নতুন প্রকল্পের কথা বলা হল, বিগত বছরে হিসেব সামনে আনতে গিয়ে দেশের অর্থনীতির বেআব্রু অবস্থাটিকেই অর্থমন্ত্রী অনেকাংশে সামনে এনে ফেললেন। এখন বিরোধী দল অথবা সাধারণ মানুষ, কারাই বা কতটুকু ঐক্যবদ্ধভাবে এই বিপর্যস্ত অবস্থার মোকাবিলা করতে পারবেন বা করতে চাইবেন, সেই উত্তরই এখন ভবিষ্যতের অপেক্ষায়।
*মতামত ব্যক্তিগত