অশোক মুখোপাধ্যায়
যদি আমরা সুপরিকল্পিতভাবে এগোতে পারি, ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করতে রাজি থাকি, জটিল পরিস্থিতির সামনে ভড়কে না যাই, অচিরেই এক সময় আবিষ্কার হবে, শাসকদলের আন্তরিক প্রযত্ন সত্ত্বেও দেশের একজন ছাত্রকেও ডারউইনীয় বিবর্তন তত্ত্ব পাঠে বঞ্চিত করা গেল না
পূর্ব-প্রসঙ্গ: কেন ডারউইন চাই?
ভারত ও বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর তরফে স্কুল-সিলেবাস থেকে ডারউইনের বিবর্তনবাদ তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের শুধুমাত্র কড়া সমালোচনা করে হাত ধুয়ে ফেললে হবে না। বিজেপি তার কাজ করেছে। যেমন প্রত্যাশিত। ভারত-সহ বিশ্বের মানবজাতি যা-কিছু জ্ঞান বিজ্ঞান সভ্যতা সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে তাকে ধ্বংস বা কলুষিত করাই তার অঘোষিত লক্ষ্য। ওরা অন্যরকম কিছু করলেই বরং সেটা অস্বাভাবিক হত। বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীও এখন ক্রমশই যাদের দিকে ঢলে পড়ছে, সেই হেফাজতিদেরও একই ভূমিকা। সুতরাং আমাদের তরফে কী করণীয় বুঝে নিতে হবে। বিজ্ঞানের সত্যকে রক্ষা করার জন্য কাজের কাজও কিছু করতে হবে। ভারতে এবং বাংলাদেশে। করতে হবে বিজ্ঞানকর্মীদের, যুক্তিবাদীদের, বিজ্ঞান-অনুরাগী ছাত্র যুব শিক্ষকদের।
এটা এমন একটা মুদ্দা যেখানে যাঁরা বিজ্ঞানের সপক্ষে কাজ করতে চান, তাঁদের শুধু যে কিছু করণীয় আছে তাই নয়, করবার বড় সুযোগও আছে। যদি আমরা সেই কাজটা ঠিকমতো বুঝে সাজিয়ে নিতে পারি।
পর পর বলে যাই।
প্রথমত, জীব বিবর্তনবাদের পক্ষে বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রচার চালাতে হবে। মনে রাখা দরকার, আজকের দিনের ছাত্ররা ডারউইনের তত্ত্ব তাঁর ১৮৫৯ সালে রচিত Origin of Species বইটি থেকে পড়ে না, পড়ার কথাও নয়। ডারউইন হয়ে একুশ শতকের দুই দশক পর্যন্ত বিবর্তন নিয়ে যা কিছু কাজ হয়েছে, গবেষণা যত দূর এগিয়েছে, তার নির্যাস তারা পড়তে পায়। এই তত্ত্বের প্রথম প্রবক্তা হিসাবে এখনও ডারউইনের নাম লেখা থাকলেও এতে এখন অনেক কিছুই নতুন। বহু জায়গায় যেখানে যেখানে ডারউইনের বক্তব্য যুক্তি বিশ্লেষণ বা তথ্যে ভুল ছিল, অসম্পূর্ণতা ছিল, সেসব সংশোধন ও পরিমার্জন করে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধাপে বহু নতুন যুক্তি ও তথ্য যোগ হয়েছে। বৈজ্ঞানিক জ্ঞানচর্চার এ এক স্বাভাবিক সদা চলমান প্রক্রিয়া।
আজকাল এইসব প্রশ্নেও অনেক সময় বিভ্রান্তিকর কথা বলে ছাত্রদের চিন্তাভাবনাকে ঘুলিয়ে দেওয়া হয়। যেন আমরা বিজ্ঞানপন্থীরা ডারউইনের ভুলগুলিকেও পড়তে বা পড়াতে বলছি।
একেবারেই না।
এখানেই তো ধর্মশাস্ত্রের সঙ্গে বিজ্ঞানের শাস্ত্রের বিরাট তফাত। একেবারে মূলে পার্থক্য। ধর্ম আর বিজ্ঞানের মধ্যে কোথায় পার্থক্য বুঝতে হলে এখান থেকেই শুরু করতে হবে।
যে-কোনও ধর্মের ক্ষেত্রে তার ধর্মগ্রন্থ যত প্রাচীন তত পবিত্র, তত বেশি করে মান্য, ভক্তের কাছে তত তার আবেদন। তার কোনও ভুল বেরোয় না, ভুল থাকলেও সংশোধন করা যায় না। তাতে নতুন তথ্য যুক্তি ধ্যান ধারণা সংযোজন করা চলে না। এককথায় তার কোনওরকম পরিমার্জন সম্ভব হয় না। এমনকি সংশোধন বা সংযোজন করার কথা চিন্তাই করা যায় না। সেই আদি শাস্ত্রের প্রতিটি শব্দে এবং বাক্যে নিঃসংশয় বিশ্বাস এবং ভক্তিই তার মূলধন। অন্য দিকে, বিজ্ঞানের জগতে আবার ঠিক উলটো। যত বড় বিজ্ঞানীই হন— নিউটন, ল্যাভোয়াশিয়, ডারউইন, পাভলভ, আইনস্টাইন, চন্দ্রশেখর, আবদুস সালাম, প্রমুখ এবং তাঁদের কাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব যত বেশিই হোক— তাঁদের লিখিত বয়ানের মূল্য নিতান্তই সাময়িক। যে-কোনও বৈজ্ঞানিক তত্ত্বচর্চার ক্ষেত্রে তার পাঠ যত আধুনিক, যত সাম্প্রতিক, তত বেশি করে মান্য, তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ততই বেশি বেশি তার জ্ঞানমূল্য।
এখানে একটু ধর্মীয় মৌলবাদীদের ব্যাপারে পরিচয় দিয়ে রাখা বোধ হয় ভাল। সারা বিশ্বের অধিকাংশ ধার্মিক জনসাধারণ এখন আর নিজ নিজ ধর্মের বিশুদ্ধতা আর বিজ্ঞান বিরোধিতাকে আগেকার কালের মতো করে আমল দেন না, বা তা নিয়ে জীবনের বেশিরভাগ সময় খুব একটা মাথা ঘামান না। জীবনের নৈমিত্তিক কাজকর্মে তাঁরা অনায়াসে বিজ্ঞানকে সঙ্গে নিয়ে চলেন, শুধু মাঝেমধ্যে মন্দিরে, গির্জায় বা মসজিদে কাছে গিয়ে অথবা দূর থেকে একটু নমোটমো করে ভগবান জাতীয় উপরওয়ালাদের খুশি রাখার চেষ্টা করেন। এই প্রক্রিয়াতেই উন্নততর বিশ্বে নাস্তিকদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইউরোপের বহু দেশেই এখন দুটো জায়গা অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকছে— একদিকে গির্জা, অপর দিকে জেলখানা। যাওয়ার বা ঢোকানোর লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলে। অনেকেরই ধারণা, এই দুটো ঘটনার মধ্যে একটা অদৃশ্য বন্ধনও আছে। কিন্তু এরই প্রেক্ষিতে উনিশ শতকের শেষভাগ থেকে বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন এক দলের আবির্ভাব হয়েছে যারা ধর্মকে এক আদি বিশুদ্ধ সত্তা রূপে বেশ কঠোর মর্যাদায় সমাজে পুনর্প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যগ্র হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে বেদ বাইবেল গীতা কোরানের নামে মানুষকে উত্তেজিত করে তোলা একটা জরুরি কর্তব্য। তারই অংশ হিসাবে একদিকে তারা আধুনিক বিজ্ঞানের সমস্ত সূত্রই তাদের যার যার ধর্মগ্রন্থে আছে বলে দাবি করতে থাকে, অন্যদিকে তারাই আবার বিজ্ঞানের যে যে উপাদান থেকে তার গায়ে আঘাত পড়ার প্রকট সম্ভাবনা তাকে সর্বপ্রযত্নে বিরোধিতা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব এরকমই একটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা। একে যেহেতু ধর্মীয় ব্যাখ্যার সীমানায় ঢোকানো যাচ্ছে না, অতএব এর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামতেই হবে।
এই ধর্মশাস্ত্রী বা ধর্মব্যবসায়ীরা যেভাবে দু-হাজার আড়াই-হাজার বছর আগেকার পুরনো বইপত্তর নিয়ে লাফায়, তাতে বোঝা যায়, ওদের জ্ঞান কখনও বাড়ে না। বরং কমে যায়। সেই জন্য পুরনো পুঁথি নিয়ে এত লম্ফঝম্ফ। আর বিজ্ঞান ক্রমাগত নিজেকে সংশোধন করে, ভুল ধারণাকে পরিত্যাগ করে, নিত্যনতুন তথ্য আহরণ করে, নতুনভাবে যুক্তি সাজায়। নিউটনের বলবিদ্যা আজ আর কেউ নিউটনের প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা থেকে পড়ে না, আধুনিক পাঠ্যবই থেকে পড়ে, যেখানে নিউটনোত্তর প্রচুর নতুন উপাদান ঢুকে গেছে। তেমনই, ডারউইনের তত্ত্বও আজকাল কেউ আর ডারউইনের রচনা থেকে পড়ে না, পড়ে এখনকার লেখকদের লেখা পাঠ্যপুস্তক থেকে। বিজ্ঞানে এটাই দস্তুর।
অর্থাৎ, মৌলবাদী ধর্মীয় বিচারে প্রতিটি তত্ত্বের ভিত্তিমূলে যাওয়ার চেষ্টা থাকে তাকেই অভ্রান্ত এবং চির-অনুসরণীয় বলে তুলে ধরার জন্য। ফলে তার এলাকায় ভুল আছে বলে ভাবাটাই পাপ, তাকে শুধরে নেওয়ার তো অতএব প্রশ্নই উঠতে পারে না। সর্বমান্য গুরু বা ধর্মপ্রবর্তকের কথা আর পুরনো শাস্ত্রের বয়ান সম্পর্কে সন্দেহ করা তাদের কাছে গর্হিত অপরাধ। তাকে ভ্রান্ত বলে খণ্ডন করার কথা ধর্মীয় পরিমণ্ডলে কেউ চিন্তা করতেই পারে না। আর বিজ্ঞানের পথিকরা প্রতিটি তত্ত্বের ভিত্তিমূলকে চ্যালেঞ্জ করেই এগোতে চান। ভুল আছে কিনা দেখে, থাকলে তার সংশোধন করে, অসম্পূর্ণতা থাকলে তাকেও অতিক্রম করার প্রয়াস করেন। সংশয় এবং যাচাই তাদের সর্বক্ষণের পাথেয়। কেন না, বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের একটা প্রধান বৈশিষ্ট্যই তার খণ্ডনযোগ্যতা। আবার এই কারণেই বিজ্ঞানের জগতে নতুন কিছু বলার আগে এ পর্যন্ত কোথায় কত দূর কাজ হয়েছে, কী কী জানা গেছে, কতটা অগ্রগতি হয়েছে জেনে নেওয়াটা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার একটা অপরিহার্য অঙ্গ। সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থশাস্ত্র, ইত্যাদিও এই কর্মপ্রণালী মেনেই চলে। আর তখন তারা দেশবিদেশের পরোয়া করেন না। ইংল্যান্ডের ডারউইন শুধু ইংল্যান্ড নয়, ইউরোপ আমেরিকা এমনকি সুদূর চিন কিংবা ভারতেও জীবজগৎকে বোঝার ক্ষেত্রে কিছু কাজ হয়েছে কিনা জেনে নেওয়ার চেষ্টায় ব্রতী হন। আরবের পণ্ডিতরা যখন মধ্যযুগে জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতেন, তখন তাঁরা শুধু ইসলামি মুলুক থেকে নয়, ভারত বা চিন থেকেও জ্ঞানবিন্দু সংগ্রহ করেছেন। এই কথাগুলি আজকের দিনে ছাত্রদের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ছাত্র তথা অভিভাবকদের বোঝাতে হবে, ওরা না-হয় স্কুলের সিলেবাস থেকে ডারউইন বাদ দিয়েছে। কিন্তু অসংখ্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বিভিন্ন বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানের প্রশ্নে ডারউইন থেকে যাবে। যেতে বাধ্য। অন্যত্র এমন অনেক প্রশ্ন আসবে যা বিবর্তন তত্ত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট। (উদাহরণ, ফসিল কাকে বলে?) তখন কী হবে? যাদের উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা সামর্থ্য এবং মেধা আছে, তারা সেখানে গিয়ে এরকম ক্ষেত্রে কী করবে? প্রশ্ন এলে বলবে, আমাদের দেশের শিক্ষাকত্তারা ডারউইন পড়তে দেয়নি? নিজেদের হাস্যাস্পদ করে তুলবে? সুতরাং সিলেবাসে থাকুক চাই না থাকুক, সকলকেই এই সব বিষয় বাড়িতে আলাদা করে হলেও পড়ে জেনে নিতে হবে। জ্ঞানের স্বার্থে বুঝুন না বুঝুন, সন্তানের ক্যারিয়ারের প্রশ্নে অভিভাবকরা বুঝবেনই।
তিন নম্বর, আর তার জন্য বিজ্ঞান সংগঠনগুলিকে নিজস্ব উদ্যোগে একদিকে বিকল্প পাঠ্যপুস্তক তৈরি করতে হবে। যা একেবারে হুবহু স্কুল সিলেবাসের মতো করেই ডারউইন পড়াবে। বিভিন্ন ভাষায়। সেই বইগুলি বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রদের কাছে এবং অভিভাবকদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সুলভ মূল্যে বিক্রি করতে হবে। আবেদন করতে হবে সেই বই বাড়িতে পড়ানোর জন্য। স্কুলের শিক্ষকদের কাছেও আবেদন জানাতে হবে, তাঁরা যেন ছাত্রদের বাড়িতে এই ধরনের অতিরিক্ত বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। অপরদিকে একগুচ্ছ বিভিন্ন ধাপের ভাল পুস্তিকা প্রকাশ করতে হবে, যেখানে জীববিবর্তন তত্ত্বকে বিভিন্ন বয়সের ছাত্রদের উপযোগী করে ব্যাখ্যা করা হবে। বিজ্ঞানের পত্রপত্রিকায় বিদেশে প্রকাশিত ভাল প্রবন্ধের অনুবাদ বের করা দরকার। সারা বছর ধরে অসংখ্য পত্রপত্রিকায় এইসব কাজ চালিয়ে যেতে হবে। দেশের বামপন্থী ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনগুলিও একই কাজ নিজেদের উদ্যোগে এবং/অথবা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক মঞ্চগুলির সঙ্গে পরস্পর সংহতি বজায় রেখে চালিয়ে যেতে পারে।
চার নম্বর কাজ, বিভিন্ন ভাষায় তার দৃশ্যশ্রাব্য পাওয়ারপয়েন্ট মনোরঞ্জক প্রতিবেদন তৈরি করে চারদিকে সবাইকে দেখাতে শোনাতে বোঝাতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে ইউটিউবে তারও সার্বিক প্রচার সংগঠিত ও নিশ্চিত করতে হবে। যে-কোনও মঞ্চের ভাল কার্যকর অনুষ্ঠান অন্য সমস্ত মঞ্চকে উদারভাবে প্রচার করতে হবে। ওরা ওদেরটা করুক, আমরা কেন ওদের হয়ে প্রচার করব— এই মনোভাব আর যাই করুক, বিজেপি-কে বা সঙ্ঘ পরিবারকে কোনও অসুবিধায় ফেলবে না। আর আমরা সকলে মিলেমিশে কাজটা চালিয়ে গেলে অদূর ভবিষ্যতে বিজেপি-র স্কিমটা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দেওয়া যাবে ভারতের মাটিতে। একই কাজ বাংলাদেশের বিরোধী শক্তিগুলি করে যেতে পারেন, ওখানেও সাফল্য আসবে। মৌলবাদী শক্তিকে আমরা সর্বত্রই পরাজিত করতে সক্ষম হব। অনতিবিলম্বে।
এইভাবে যদি আমরা সুপরিকল্পিতভাবে এগোতে পারি, ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করতে রাজি থাকি, জটিল পরিস্থিতির সামনে ভড়কে না যাই, অচিরেই এক সময় আবিষ্কার হবে, শাসকদলের আন্তরিক প্রযত্ন সত্ত্বেও দেশের একজন ছাত্রকেও ডারউইনীয় বিবর্তন তত্ত্ব পাঠে বঞ্চিত করা গেল না!
আসুন, শুরু করে দিই। হাত লাগাই। সামনে অনেক কাজ।
গ্রন্থসূত্র:
- চট্টোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ। “বিজ্ঞান কী ও কেন?” প্রেক্ষা, ১ম সঙ্কলন। জুন, ২০১৪।
- মুখোপাধ্যায়, অশোক। “বিবর্তনবাদ জিনতত্ত্ব ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি”; এবং “বিভ্রান্তির কবলে বিজ্ঞান: ডারউইনবাদের সপক্ষে কিছু কথা”। বিজ্ঞান দর্শন ও মার্ক্সবাদ: তত্ত্ব ও প্রয়োগ। পিপ্লস বুক সোসাইটি। কলকাতা। ২০২৩।
- Barlow, Nora (ed.). The Autobiography of Charles Darwin 1809-82. Norton and Co. New York. 1893.
- Bloch, Maurice. Marxism and Anthropology. Routledge and Kegan Paul. London. 2004.
- Corsi, Pietro. “Evolution pioneers: Lamarck’s reputation saved by his zoology”. Nature 461, 167. 2009.
- Darwin, Francis (ed.). The Autobiography of Charles Darwin and Selected Letters. New York: Dover. 1958.
- Dobzhansky, Theodosius. “Biology, Molecular and Organismic”. American Zoologist, Vol. 4 No. 4. November, 1964.
- Novack, George. “Is Nature Dialectical?” International Socialist Review, Summer 1964.
- Huxley, Julian. “The Emergence of Darwinism”; in Sol Tax (ed. 1960). The Evolution of Life, Vol. I. Chicago: The University of Chicago Press.
- Lamarck, J. B. Zoological Philosophy: An exposition with regard to the Natural History of Animals. London: Macmillan & Co. 1914.
- Lurquin, Paul F. and Stone, Linda. Evolution and Religious Creation Myths. New York: Oxford University Press. 2007.
- Mukhopadhyay, Ashoke. Darwin’s Theory of Evolution. Kolkata: Bodhoday Mancha. 2012.
- Plekhanov, Georgi. “On the So-called Religious Seekings in Russia”. Selected Philosophical Works, Vol. III. Moscow: Progress Publishers. 1976.
- Roger, Jacques. “The Mechanist Conception of Life“. In David C. Lindberg, and Ronald L. Numbers (1986 eds.). God and Nature: Historical Essays on the Encounter Between Christianity and Science. California: University of California Press. 1986.
পরিশিষ্ট
চার্লস ডারউইনের প্রজাতির উদ্ভব গ্রন্থ প্রকাশের পর জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় প্রকাশিত যে গ্রন্থগুলির মধ্যে বিবর্তনবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত হয়েছিল:
- Bachofen, J. J. Mother Right. Stuttgart. 1861.
- Maine, H. S. Ancient Law. London. 1861.
- Draper, J. W. History of the Intellectual development of Europe. New York. 1864.
- MacLennan, J. F. Primitive Marriage. Edinburgh, 1865.
- Lubbock, J. The Origin of Civilization and the Primitive Condition of Man. London. 1870.
- Tylor, E. B. Primitive Culture. London. 1871.
- Geraud-Teulor, A. The Origin of Marriage and Family. Geneva. 1874.
- Morgan, L. H. Ancient Society. London, 1877.
- Noire, Ludwig. The Origin of Speech. Maine. 1877.
- Engels, F. The Origin of the Family, Private Property and the State. Zurich, 1884.
- MacLennan, J. F. Studies in Ancient History. Edinburgh. 1886.
- Kovalevsky, Maxim. Primitive Law. Moscow. 1886.
- Lang, Andrew. Myth, Ritual and Religion. Paris. 1887.
- Letourneau, Charles. The Evolution of Marriage and the Family. Paris. 1888.
- Kovalevsky, M. Outline of the Origin and Evolution of the Family and Property. Stockholm. 1890.
- Frazer, J. G. Golden Bough. London. 1890.
- Lafargue, Paul. Evolution of Property from Savagery to Civilization. Paris. 1891.
- Wallaschek, Richard. Primitive Music. London. 1893. [also take note of his essay “On the Origins of Music” in Mind (1891), a journal of psychology]
- Mason, O. T. Woman’s Share in Primitive Culture. New York. 1894.
- Parry, Hubert. The Evolution of the Art of Music. London. 1896.
- Jevons, F. B. An Introduction to the History of Religion. London. 1897.
- Allen, Grant. Evolution of the Idea of God. New York. 1897.
- Brinton, Daniel G. Religions of Primitive peoples. New York. 1897.
- Ellis, Havelock. Studies in the Psychology of Sex in Relation to Society, 6 Vols. London and Philadelphia. 1897-1920.
- Grosse, Ernst. Beginnings of Art. Tübingen. 1900.
- Wallaschek, R. Beginning of Dramatic Art. Leipzig. 1903.
- Harrison, Jane. Ancient Art and Rituals. London. 1913.
- Harrison, Jane. “Influence of Darwinism on the Study of Religion”. Darwin and Modern Science. Ed. Seward, A. C. Cambridge. 1909. [This anthology of essays written by specialists in various fields and published on the occasion of Darwin’s birth centenary, presented an almost complete array of the areas of knowledge imbued with the spirit of Darwinism.]
বিজ্ঞানী ডারউইন ও তাঁর বিবর্ত্তণবাদ বিষয়ক মূল্যবান নিবন্ধ গুলির জন্য নিবন্ধকার মাননীয় অশোক মুখোপাধ্যায় মহাশয় কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।