শৈলেন সরকার
ভারতের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী আর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঘরে পাঠাও ইডি বা সিবিআই। মাথা নত করে আমাদের দলে আসতে বলো, নইলে জেলে পোরো। এরা কিন্তু শাস্তি দেওয়ার জন্য জেলে পুরছে না, এদের প্রধান লক্ষ্য সাধারণের মধ্যে এঁদের প্রতি সন্দেহ তৈরি করা, এঁদের ভাবমূর্তির ক্ষতি করা, এরপর আজ সাপ্লিমেন্ট চার্জশিট, কাল প্রভাবশালী তত্ত্ব দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রেখে এঁদের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্তব্ধ করে রাখা
First they came for the Jews
and I did not speak out
because I was not a Jew.
Then they came for the Communists
And I did not speak out
Because I was not a Communist.
Then they came for the trade-unionists
And I did not speak out
Because I was not a trade unionist
Then they came for me
And there was no one left
To speak out for me.
না, কবিতাটি বের্টল্ট ব্রেশটের নয়, যদিও আমরা অনেকেই এটিকে ব্রেশটের কবিতা হিসেবেই জানি। ব্রেশট এই কবিতাটি অনেক জায়গায় ব্যবহার করেছেন। মূল কবিতাটি আরেক জার্মান কবি প্যাস্টর নিএমোলার-এর।
তাহলে গল্পটা আমদের প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রিয়তম রাষ্ট্রনায়ক রাশিয়ার পুতিনকে দিয়েই শুরু করা যাক। হ্যাঁ, রাশিয়ায় পুতিনের সমালোচক ও প্রচণ্ড শক্তিশালী বিরোধী নেতা হয়ে ওঠা নাভালনির মৃত্যু একেবারে টাটকা একটা ঘটনা। অর্থনৈতিক দুর্নীতির কারণে গ্রেফতার বা তারপর তাদের জেলবন্দি বা যে-কোনও অবস্থায় মৃত্যু ঘটানোটা পুতিনের জলভাত, আর এই জাতীয় ঘটনার শুরু কোথায় বা কবে জানা মুশকিল।
শুরু করা যাক সের্গেই ইউশেনকভকে দিয়ে। ইনি ছিলেন ক্রেমলিন-বিরোধী লিবারেল রাশিয়া পার্টির প্রধান। ১৯৯৯ সালে রাশিয়র তিনটি শহর বাইনাকস্ক, মস্কো আর ভলগোদোনস্ক শহরে পরপর বিস্ফোরণ ঘটে আর এর ফলে অন্তত ৩০০ লোকের মৃত্যু হয়। তখনকার প্রধানমন্ত্রী পুতিন এর জন্য দাগেস্তান ও চেচেনপন্থী বিদ্রোহীদের দায়ী করেন। এবং এই অজুহাতে দাগেস্তান আক্রমণ করেন আর দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধ শুরু করেন। অনেকটা আমাদের পুলওয়ামা ঘটনার মতো। একজন মুক্তমনা আইনজ্ঞ হিসাবে সের্গেই ইউশেনকভ নিজের মতো করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন ও তার ফল লাভ করেন। ২০০৩ সালের ১৭ এপ্রিল তাঁর নিজের বাড়ির সামনে বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া তাঁর শরীর পড়ে থাকে (সোহরাবউদ্দিন হত্যা মামলায় অমিত শাহকে জামিন দেওয়া বিচারপতি লোয়ার পরিণাম মনে পড়ে?)।
আন্না পোলিতস্কোভায়া। তিনি সেই সময়কার রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সাংবাদিক। চেচেনদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য ও অত্যচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পুতিনের প্রখর সমালোচক ছিলেন।
২০০৬ সালের ৭ অক্টোবর নিজের বাড়িতেই গুলিতে ঝাঁঝরা হন আলেকজান্ডার লিতভিনেঙ্কো। ছিলেন রাশিয়ার সিকিউরিটি এজেন্ট। রাশিয়ার এক ধনী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বরিস বেরেজভস্কিকে হত্যার চক্রান্ত করছিল দেশের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা এফএসবি। তিনি এই কাজের বিরোধিতা করে ২০০০ সালে লন্ডনে পালিয়ে যান। এবং একটি বই লিখে চেচনিয়ায় যুদ্ধ বাঁধানোর চক্রান্ত ফাঁস করেন। বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ পোলোনিয়াম-২১০ প্রয়োগে পুতিনের বাহিনি তাঁকে লন্ডনেই হত্যা করে।
নাতানিয়া এস্তেমেরোভা। ইনি একজন চেচনিয়ান সমাজকর্মী ও সাংবাদিক। চেচনিয়াতে পুতিনের বাহিনির নৃশংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যালীলা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করছিলেন। ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই তাঁর ঘরের সামনেই বুলেটবিদ্ধ হন ও মারা যান।
সের্গেই ম্যাগনেতস্কি। পুতিনের বিরুদ্ধে হয়ে ওঠা খুবই শক্তিশালী বিরোধী এবং একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে খুবই বিশ্বাসযোগ্য নেতা। নির্বাচনের আগে একেবারে সময়মতো পুতিন তাঁর বিরুদ্ধে ২৩০ মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। মানুষের চোখে তাঁর চরিত্রহননও হল আবার তাঁকে জেলে পোরাও হল। এবার প্রথমে জেল পরে ডিটেনশন ক্যাম্প। শুরু হল শারীরিক নির্যাতন। ২০০৯ সালে ১৬ নভেম্বর অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে ডিটেনশন ক্যাম্পেই মারা যান। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, এই সের্গেই ম্যাগনেতাস্কির মৃত্যুর সঙ্গে নাভালনির মৃত্যুর নিবিড় মিল। নাভালনির বিরুদ্ধেও ছিল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এই ২০০৯ থেকে ২০০২৪ পর্যন্ত যিনিই তাঁর বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিরোধী মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধেই এসেছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ও শেষ পর্যন্ত সাইবেরিয়ায় মৃত্যু। অনেক ক্ষেত্রে হতভাগ্য ব্যক্তির বাড়ির লোক বা বাইরের লোক তাঁর অন্তিম পরিণতির কথা জানতেই পারেনি।
উপরের কথাগুলি আসছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার প্রসঙ্গে। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই মোদি সরকার এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রথমদিকে বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবী মানুষদের শহুরে নকশাল নামে দাগিয়ে অনন্তকাল জেলে আটকে রাখার ব্যবস্থা করলেন। ভারভারা রাও ও তাঁর আত্মীয়দের ওপর মোদি সরকারের পাশবিক কাজকর্মের স্মৃতি এর মধ্যেই ফিকে হওয়ার কথা নয়। প্রথম থেকেই মোদি-শাহ জুটির আদর্শ শি জিনপিং আর পুতিন। এঁরা মানে মোদি-শাহ জুটির দুজনেই প্রায় মূর্খ হওয়ায় শিক্ষিত মানুষদের পছন্দ করার এদের কোনও দায় নেই। চেঙ্গিজ খানের কথা মনে আছে? ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতার জন্য দায়ী কিন্তু শিক্ষিত ও ভদ্রশ্রেণির প্রতি তাঁর ঘৃণা। চেঙ্গিজ খান নিজে অশিক্ষিত হওয়ার জন্য বরাবর হীনম্মন্যতায় ভুগতেন। সেই অবস্থাই আমাদের এই জুটির। এঁরা কেউই জওহরলাল নেহরুকে সহ্য করতে পারেন না। আর না পারার কারণ কিন্তু একটাই, তা হল নেহরুর শিক্ষা। অমিত শাহ আপ্রাণ তাঁর বন্ধুর ইমেজ তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই লোক নাকি বিশ্বগুরু। দেশে আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণার বারোটা বাজিয়েছেন। আর নেহরুর আমলে তৈরি বিজ্ঞান গবেষণাগারগুলির ও মহাকাশ গবেষণা সুফল ব্যবহার করে নানা চমক সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চমক-চমক আউর চমক, ঝুট-ঝুট আউর ঝুট। এঁদের কাছে রামায়ণ-মহাভারত আর পুরাণগুলি হল ইতিহাস আর এই সব বইই হল আধুনিক বিজ্ঞানের আকর। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল যখন প্রথম মহাকাশ গবেষণার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন থুম্বায় রকেট উৎক্ষেপন দিয়ে এঁদের পূর্বসূরি জনসঙ্ঘীরা বা বামেরা ছি-ছি শুরু করেছিল। গরিব দেশের পক্ষে সেটা ছিল নাকি টাকার অপচয়। বিজ্ঞান গবেষণায় ফল আসতে যে বহু সময় নেই এই ধারণাটাই এঁদের ছিল না। নেহরুর কাছে বিজ্ঞান গবেষণাগারগুলি ছিল মন্দির আর এঁদের কাছে মন্দিরগুলিই হল বিজ্ঞান গবেষণাগার।
ভারতের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী আর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঘরে পাঠাও ইডি বা সিবিআই। মাথা নত করে আমাদের দলে আসতে বলো, নইলে জেলে পোরো। কেউ বলবেন, মানে বলছেনই, অ্যারেস্টের ভয়ের কী আছে, চুরি না করলে তো কোর্ট শাস্তি দেবে না তোমাকে। মজার ব্যাপার হল, এরা কিন্তু শাস্তি দেওয়ার জন্য জেলে পুরছে না, এদের প্রধান লক্ষ্য সাধারণের মধ্যে এঁদের প্রতি সন্দেহ তৈরি করা, এঁদের ভাবমূর্তির ক্ষতি করা, এরপর আজ সাপ্লিমেন্ট চার্জশিট, কাল প্রভাবশালী তত্ত্ব দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রেখে এঁদের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্তব্ধ করে রাখা।
কিন্তু আমাদের পাবলিক? পাবলিক এর প্রতিবাদ করছে কোথায়? আমি বাংলার কথাই বলি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির, তিনি আপ নামক এক দলের প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তার চেয়েও বড় কথা তিনি দক্ষিণপন্থী। যেহেতু দক্ষিণপন্থী তাই বাংলায় তাঁর প্রতি সমবেদনা দেখানো কঠিন।
লোকসভা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে মোদির নিজের সুবিধার জন্য নেওয়া ব্যবস্থাগুলি পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। যেমনটি হল সিএএ নিয়ে। আসলে বিপাকে পড়লে এমনিই হয়। পাকিস্তান নিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা এই মুহূর্তে আর কাজ করবে না। তবে চিন? হতে পারে। পাকিস্তানের সঙ্গে যেভাবে হয়েছিল সেভাবে চিনের সঙ্গে হবে না। চিন পাকিস্তানের মতো নুলো নয়। এক হতে পারে গোপন বোঝাপড়া। দুজনেই কার্যত এক অর্থাৎ স্বৈরতন্ত্রের পথিক। শি জিনপিংও দুর্নীতির দায়ে এই কিছুদিন আগে মানে ২০২২ সালে আইনমন্ত্রী ফু যেন ঘুয়া-র মৃত্যুদণ্ড দিলেন। কার্যকর করা হল কয়েক মাসের মধ্যেই। তাঁর বিরুদ্ধে ১৭.৫ মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। একই বছরে কার্যকর হল আরেক মন্ত্রী সান লিজুন-এর মৃত্যুদণ্ড। তাঁর বিরুদ্ধেও, হ্যাঁ একই অভিযোগ, দুর্নীতি। তিনি দুর্নীতি করেছেন ১০০ মিলিয়ন ডলারের।
চিন বা রাশিয়ার সুবিধাটা হল, ওখানে পার্লামেন্ট বা বিচারবিভাগ বা প্রশাসন সবকিছুই পুতিন বা শি জিনপিং-এর। ভারতে এই জায়গাতেই মোদির সামান্য অসুবিধা রয়ে গিয়েছে। রাশিয়া বা চিন দুটোই এক ভাষা, এক জাতি, এক ধর্মের দেশ। হ্যাঁ, এক ধর্ম বলার কারণ ওখানে সব ধর্মই রাষ্ট্রের দখলে। ধর্মের প্রধান ঠিক করে রাষ্ট্র। রামমন্দিরের ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু মোদিকে আমাদের দেশে পুতিন বা শি জিনপিং-এর ফর্মুলাই ব্যবহার করতে দেখলাম।
গত মাসে এক লিটল ম্যাগাজিন মেলায় এক প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীর মুখে কেজরিওয়ালের গ্রেফতার নিয়ে চমৎকার একটি কথা শুনলাম। আরএসএস-এর দুই জারজ সন্তান নাকি কেজরিওয়াল আর মমতা ব্যানার্জি। দুজনই বিজেপি-র লোক। আজ কেজরিওয়ালকে দিয়ে বিজেপি-র যা পাওয়ার পাওয়া হয়ে গিয়েছে তাই এই গ্রেফতার, এবার পালা মমতার। তাহলেই দেশ নিস্তার পাবে। বামমনস্ক মানুষদের কাছে প্রধান শত্রু বাংলায় মমতা। মমতা চলে গেলে বিজেপি আসলেও টিকতে পারবে না। তৃণমূল তখন শেষ, এবার পরের নির্বাচনেই বামেরা ফিরে এসে ড্যাং ড্যাং করে মন্ত্রী হয়ে বসবে। এঁদের এই মুহূর্তের দাবি অভিষেকের গ্রেফতার। এঁদের ধারণায় অভিষেক বা মমতা নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হলেই ওরা ৪২ এর মধ্যে গোটা ১০-১৫ সিট জিতে নিতে পারবে। কেননা তৃণমূলের ভোট তখন অনেকটাই তাঁদের দিকে। জানি তাত্ত্বিক মানুষেরা হাসছেন এই সব শুনে। কিন্তু বাম মাঝারি বা নিচের লোকজন চাইছেন বিজেপি যেন এই মুহূর্তেই মমতা বা অভিষেককে গ্রেফতার করে। পশ্চিমবাংলায় বিজেপি বড়জোর চার-পাঁচটা আসন পেলে পেতে পারে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে বামেদের ঈপ্সিত ঘটনা মোদি ঘটিয়েও ফেলতে পারেন। সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পুতিন আর শি জিনপিং-এর মতো একই। আর্থিক দুর্নীতি। আগে সম্মান নষ্ট করো, বিশ্বাসযোগ্যতা ছিন্নভিন্ন করো তারপর জেলে পচাও। শাস্তি কে চায়, আসলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করার এর চেয়ে ভাল উপায় আর কী আছে?
তাহলে শুরুর কবিতাটি ফের নতুন করে লেখা যাক:
প্রথমে ওরা ভীমা কোরেগাঁও মামলায় এলগার পরিষদের নেতাদের ধরল,
শহুরে নকশাল বলে দাগিয়ে দেওয়া হল ওদের,
আমরা বাইরে বেরোইনি,
কেননা আমাদেরকে কেউ শহুরে নকশাল বলেনি।
এরপর ওরা ধরল হেমন্ত সোরেন, তারপর অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে
দুর্নীতির অভিযোগ দিল। বলল, চোর।
না, ওদের জন্য বাইরে বেরোবার প্রশ্নই ছিল না।
কেননা ওরা চোর তাছাড়া দক্ষিণপন্থী।
এরপর আমাদের মনের কথা ধরলে, অভিষেক আর মমতা।
না, ওদের বেলা বাইরে বেরোবার তো প্রশ্নই থাকবে না কোনও।
ওরা চোর, দক্ষিণপন্থী,
তাছাড়া মমতার জন্য আমরা মসনদ হারিয়েছি।
এরপর মোদি আর আমরা ছাড়া বাইরে কেউই থাকছে না।
এবার মোদি আমাদের দরজায় টোকা মারলে
আমাদের চিৎকার শোনার জন্য কেউ কোথাও আর থাকছে না।
*মতামত ব্যক্তিগত
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। এই মুহূর্তে জরুরি বিষয়টির দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। ‘আগে রাম, পরে বাম’-এর খোয়াব দেখিয়েদের ‘আমও গেছে, ছালাও গেছে’।
গেছে যে ভোট সে ভোট যে আর ফিরে আসার নয় এই সত্যি কবে বুঝবেন জানি না। অবশ্যি এখন বুঝেও লাভ নেই।
গদির দুঃখ এই জীবনে আর যাবার নয়। ক্ষমতার চিটে গুড় একবার পাছায় লেগে গেলে, পেন্টুলুন খুলে পরিস্কার না করলে সে আঠা ছাড়ানো শক্ত।