সৌমিত্র দস্তিদার
…কারণ লোকসভা ভোট, বিশেষ করে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মনুবাদী শাসকেরা বিপুল সংখ্যক আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় এলে, আমি আপনি, দেশের আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু মুসলিম কেউই নিরাপদে থাকব না। আপনার জয়ধ্বনি যাঁরা দিচ্ছেন সেই গরিবস্য গরিব মুসলমানরা বুঝতে পারছেন না, সামনে কী ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করছে। ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা কেন্দ্রীয় বাহিনির সুরক্ষা বলয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। কিন্তু স্রেফ সঙ্গে গরুর মাংস আছে সন্দেহে যেসব গরিব সাধারণ মুসলিমকে আক্রান্ত এমনকি খুন হতে হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা কে দেবে! বামেরা রুটি-রুজি-হকের কথা বলে নির্বাচনে লড়ছে বলেই তাদের সমর্থন করছি। আপনি এই বিষয়টি না বুঝে, পরোক্ষভাবে চরম দক্ষিণপন্থী মতাদর্শের অনুসারী হলেন। এ নিশ্চিত আইএসএফ দলের পক্ষে এক ঐতিহাসিক ভুল।…
জনাব নৌশাদ সিদ্দিকী সমীপেষু,
ভেবেছিলাম, আইএসএফ-এর সঙ্গে বামেদের রাজনৈতিক যে টানাপোড়েন সে নিয়ে কিছু লিখব না। জানি, যাই লিখব তাই নিয়েই বিতর্ক হবে। আর এখন তো দেশের কোথাও আর যুক্তি বলে কিছু নেই। ফলে আলোচনা মানেই পারস্পরিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি। যা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বাম ও আপনার দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেসবের ভাষা কুৎসিত ও অশালীন। এরকম পরিস্থিতিতে না লিখলেই হয়তো ভাল করতাম। কিন্তু যেহেতু সরকারিভাবে আমি আজও আপনার দলের মুখপাত্র, ফলে জোট হল না কেন তার ব্যাখ্যা দেওয়ার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করতে পারি না। আপনার সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আমার স্নেহ-ভালবাসা আগেও ছিল। আজও রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। জোট না হওয়ার আগের রাতেও আপনার সঙ্গে অনেক কথা হল। বিনয়ের সঙ্গে জানাই, নিশ্চয়ই আপনার মনে থাকবে যে আইএসএফ-এর তাত্ত্বিক ভিত্তি নির্মাণে আমার বড় ভূমিকা ছিল। একাধিক কাগজে লিখে ও বিভিন্ন জায়গায় বলে, অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আইএসএফ-এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর পেছনে যে সামান্য হলেও আমার ভূমিকা ছিল, তা আপনি মেনেও নিয়েছিলেন। এখনও মনে করি ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে সংগ্রাম করার জন্য দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের নিজস্ব দলের প্রয়োজন আছে। ‘যার যত সংখ্যা ভারী, তার তত ভাগিদারী’— স্লোগানের তাৎপর্য এবং সাম্য-মৈত্রী ও স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার হওয়ার খুব প্রয়োজন।
আইএসএফ-এর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ গরিব। মওলানা ভাসানির ভাষায় মজলুম। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে আজ বহুস্তর, এবং গরিব মুসলমান প্রান্তিক হিন্দু ও আদিবাসী জনসাধারণের শ্রেণি-সহোদর। আইএসএফ সমাজের এই পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধিত্ব করবে এই প্রতিশ্রুতি ছিল বলেই তাদের সমর্থন করেছিলাম। দেশের বামপন্থী দলগুলোর মাথায় বসে থাকা এলিট শ্রেণির নেতৃত্বের পক্ষে মজলুমের ভাষা বোঝা সহজ নয়। হুজুর ভাসানি বলতেন, গ্রামজাগরণ ছাড়া সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমার ভুল হয়েছিল যে ফুরফুরার পিরজাদাদের সঙ্গে লাল মওলানা ভাসানির আদর্শগত মিল খুঁজতে যাওয়া। ভেবেছিলাম স্ট্রাকচারাল বামেদের মতো নয়, আইএসএফ হয়ে উঠবে অন্যধারার রাজনীতির প্রতিনিধি। মজলুম ভারতের নেতা। আপনি দলের গণতন্ত্রের কথা বলেন। ডায়মন্ডহারবার লোকসভায় নিজেই দাঁড়াবেন বলেও পিছিয়ে আসার পেছনে দল চাইছে না বলে অসার যুক্তি দিলেন। সত্যিই কি দল চাইছিল না? রাজ্য কমিটি আইএসএফ পার্টিতে আছে? কাঠামো একটা আছে নিশ্চিত। কিন্তু তা আদপেই একটা নিষ্ক্রিয়, নির্জীব, কাগজে-কলমে থাকা পুতুল কমিটি। যার কাজ, আপনার অঙ্গুলিহেলনে চলা, আপনার প্রতিটি সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া। দলে গণতন্ত্র থাকলে আমি পদত্যাগ করার পরেও জানতে পারিনি কেন তা গ্রহণ করা হচ্ছে না! দলে কোনও সভাপতি নেই। আছেন ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট। তিনি খুবই ভাল মানুষ। রাজনীতি-সচেতন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে ছিলেন। তিনি সবসময় বলে এসেছেন যে পার্টির রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। নিয়মিত ক্লাস করা দরকার। আপনার দলে এবারের লোকসভার বারাসাতের প্রার্থী অনেক আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বাইরে কোথাও গিয়ে সাতদিনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক আলোচনা শিবিরের। কিস্যু হয়নি। আসলে দীর্ঘমেয়াদি কিছু করার পথে না গিয়ে আপনি নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াবার পথে হাঁটতে লাগলেন। পপুলিজম রাজনীতি করতে দলের অভিমুখ বামেদের থেকে সরিয়ে নিলেন। আমি লিখে দিতে পারি, এবার একটা সিটেও আপনার দলের প্রার্থীদের জামানত থাকবে না। তবুও আপনি আমাকে বলেছেন যে, আইএসএফ নাকি ছাব্বিশটি আসনে একাই লড়ার শক্তি ধরে। তবুও আপনি এমন সব আসনে প্রার্থী দিলেন, যেখানে কয়েকশো বা কয়েক হাজার ভোটে ফলাফল এদিক-ওদিক হতে পারে। হয়তো আপনার প্রার্থী কয়েকশো ভোট কেটে বিজেপি অথবা তৃণমূলের সুবিধা করে দিল। এই আশঙ্কা থেকেই বাম সমর্থকদের একটা বিরাট অংশ আপনাদের দলকে দালাল, বেইমান বলে কটূক্তি করছে। দুঃখিত, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের এই নীতি কোনও যুক্তিতেই সমর্থন করতে পারছি না।
বাংলা সিনেমার সঙ্গে আপনার তেমন কোনও যোগাযোগ নেই। না হলে আপনাকে পরামর্শ দিতাম, পারলে তপন সিংহের ছবি ‘সাগিনা মাহাতো’ একবার দেখে নিন। আজ আপনার নিজেকে জনপ্রিয় বিধায়ক বলে মনে হচ্ছে। আগামীদিনে কে বলতে পারে, আপনার ভক্তদের কাছেই রাতারাতি আপনি একজন সাগিনা মাহাতো হবেন না!
পড়ুন, ইলেকশন এক্সপ্রেস ২০২৪
আমি একমত যে বাম, বিশেষ করে সিপিআইএম-এর বড়দা-সুলভ অহমিকা, সময়ে সময়ে তাঁদের কথাবার্তা যথেষ্ট নিন্দনীয়। তবুও আমি আপনাকে অনুরোধ করেছিলাম বামেদের সঙ্গে জোট করতে। কারণ লোকসভা ভোট, বিশেষ করে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মনুবাদী শাসকেরা বিপুল সংখ্যক আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় এলে, আমি আপনি, দেশের আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু মুসলিম কেউই নিরাপদে থাকব না। আপনার জয়ধ্বনি যাঁরা দিচ্ছেন সেই গরিবস্য গরিব মুসলমানরা বুঝতে পারছেন না, সামনে কী ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করছে। ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা কেন্দ্রীয় বাহিনির সুরক্ষা বলয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। কিন্তু স্রেফ সঙ্গে গরুর মাংস আছে সন্দেহে যেসব গরিব সাধারণ মুসলিমকে আক্রান্ত এমনকি খুন হতে হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা কে দেবে! বামেরা রুটি-রুজি-হকের কথা বলে নির্বাচনে লড়ছে বলেই তাদের সমর্থন করছি। আপনি এই বিষয়টি না বুঝে, পরোক্ষভাবে চরম দক্ষিণপন্থী মতাদর্শের অনুসারী হলেন। এ নিশ্চিত আইএসএফ দলের পক্ষে এক ঐতিহাসিক ভুল। ভাসানি ছিলেন মজলুম জননেতা। তিনি কখনও বিড়ি মালিককে, কোটিপতিকে দলের মুখ করেননি। ইদানিং দেখছি জোট না হওয়ার জন্য আপনি বামেদের দায়ী করছেন। এটা যে সত্য নয় তা আপনার চেয়ে ভাল খুব কম লোক জানেন।
আপনি নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না যে এবার জোট হোক এই বার্তা সামনে রেখে আমার যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা ছিল। সিপিআইএম নেতারাও অনুরোধ করেছিলেন যে জোট হোক। বৃহত্তর স্বার্থে। মহম্মদ সেলিম, বিকাশ ভট্টাচার্য, তুষার ঘোষ, শমীক লাহিড়ীদের যথেষ্ট আগ্রহ ছিল জোটের পক্ষে আপনার দলকে সামিল করা। আমি, সামসুলভাই, তাপস ব্যানার্জী থেকে লক্ষী হাঁসদা, জনে জনে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে চেষ্টা করেছি। তাঁরা প্রত্যেকেই বলেছিলেন যে বামেদের সঙ্গে জোট করা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন। বলেই তাঁরা বল আমার কোর্টে ঠেলে দিতেন। শেষমেশ বলতেন, আপনিই পারবেন নৌশাদভাইকে রাজি করাতে। একাধিক দিন রাতে আপনার সঙ্গে কথা বলেছি। বামেরা তিন-চারটি সিট দিতে রাজি ছিলেন। মহম্মদ সেলিম, এমনকি পাঁচটি আসন ছাড়তেও চেয়েছিলেন। আমি রফাসূত্র দিয়েছিলাম, আপাতত পাঁচটি থাক। আলোচনা চলুক। শেষ অবধি অন্যান্য সিটে সমঝোতা না হলেও বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে। কোনও দল কোনও দলের বিরুদ্ধে বলবে না। সামসুলভাই পর্যন্ত বলেছিলেন, দাদা, খুব ভাল প্রস্তাব। আপনিও প্রথমে নিমরাজি ছিলেন। আইএসএফ-এর অফিস সেক্রেটারি নাসিরউদ্দিন মীর আপনার তরফে আমাকে জানান, সিপিআইএম-কে এই প্রস্তাব লিখিত দিতে বলুন। তাও দেওয়া হয়। তার পরে-পরেই আপনি যথেষ্ট উদ্ধতভাবে বলে দেন— আমরা ওসব জোটে-টোটে নেই। আপনি জানিয়ে দিন, আইএসএফ একাই লড়বে। আমি জিজ্ঞেস করি যে কটা সিটে আইএসএফ একা লড়তে পারবে! আপনি জবাব দেন যে, ছাব্বিশ সিটে আইএসএফ একাই লড়ার ক্ষমতা রাখে। সেই রাতে আমি সিপিআইএম নেতৃত্বকে আইএসএফ-এর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিই। ফলে সিপিআইএম জোট করেনি এটা পুরো বাজে কথা। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলাম যে অন্তত মুর্শিদাবাদ আসনে রাজনৈতিক সৌজন্য দেখিয়ে মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিতে। সবাই জানেন, বিপুল সমালোচনা সহ্য করেও বামেদের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফ-এর জোট করার পিছনে নিঃসন্দেহে মহম্মদ সেলিমের অবদান যথেষ্ট। কিন্তু পুরনো নওশাদ সিদ্দিকী যে পাল্টে গেছেন তা আমি তখনও ঠিকঠাক ধরতে পারিনি। আসলে আমি নিজে রাজনৈতিক পরিবারের লোক। বাবা, জেঠু অনেকেই ভোটে জিতেছেন। জেঠু তো তিনবারের বাম বিধায়ক। তাঁদের দেখেছি বলে বুঝতে পারিনি, একবার এমএলএ হয়েই কেউ এমন সহজে বদলে যায়।
পড়ুন, গুজরাত গণহত্যার বিচার হয়নি
আইএসএফ-এর সাধারণ স্তরের কর্মী-সমর্থকরা আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি নিজে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানির দর্শনে বিশ্বাসী। তিনি মুরিদ করতেন তিনটি শর্ত মানলে। তার মধ্যে দুটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এক, কৃষক সমিতির সদস্য থাকব এবং দুই, আজীবন সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করব। আইএসএফ-এর মধ্যে আমি মওলানা ভাসানিকে খুঁজতে চেয়েছিলাম। এ আমার মুর্খামি। তার জন্য সারা জীবন হয়তো অনুশোচনা করে যেতে হবে। দলে যাতে গণতন্ত্র থাকে তার জন্য কর্মীদের সোচ্চার হতে হবে। গরিব কর্মীরাই আইএসএফ-এর সম্পদ। দলে খারাপ সময় এলে কোটিপতি বিড়ি মালিক বা পিরজাদা নয়, আক্রান্ত হবেন তৃণমূলস্তরের কর্মী-সমর্থকরাই। প্রশ্ন তুলুন, আর কতদিন শুধু সেবাদাস হয়ে, নেতার লেঠেল হয়ে জীবন কাটাতে হবে!! দাবি তুলুন দলে গণতন্ত্রের পরিসরের। দলে গণতন্ত্র না থাকলে সেই দলের মুখে দেশের গণতন্ত্র রক্ষার কথা মানায় না। সতেরোটি আসনে আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছেন। এক-একটা লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করানোর জন্য খরচ তো কম নয়। সেই টাকার জোগান কোথা থেকে আসবে এটাও তো প্রশ্ন তুলতে হবে। অনেক কথা বললাম। আশা করি যা বলেছি তার কোনওটাই আমার একদা স্নেহের নৌশাদ অস্বীকার করবেন না। রাজনীতিতে কিছুই শেষ কথা নয়। সময়ের কথা, দেশের কথা ভেবে, এখনও সময় আছে বিজেপি, তৃণমূলের বদলে বামদের পাশে থাকার। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি রুখতে, ব্যক্তিগত মান অভিমান, অহমিকা ত্যাগ করে আইএসএফ ভূমিকা নিক, দলের চেয়ারম্যান নৌশাদ সিদ্দিকীর কাছে এটুকুই আমার একান্ত অনুরোধ।
ভাল থাকবেন।
পুনশ্চ: এ-লেখা শেষ করতে করতেই রক্ত ঠান্ডা করা হুঙ্কার কানে এল— জয় শ্রীরাম। রাস্তায় রাস্তায় অস্ত্র হাতে মিছিল করছে মনুবাদী হিংস্র ভক্তের দল। আপনি জানেন কিনা জানি না, রামনবমীতে সঙ্ঘ পরিবার পরিস্থিতি জটিল করবে এই আশঙ্কায় সংখ্যালঘুদের বড় অংশ রাস্তায় বের হতে চায়নি সারাদিন। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব কাছ থেকে গুজরাত গণহত্যা দেখেছি। তাই জানি সংখ্যালঘুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অস্বাভাবিক নয়। কেন্দ্র আপনাকে নিরাপত্তা দিয়েছে কিন্তু আপনার স্বজনদের নয়। বিজেপি বা তৃণমূলকে জেতাতে আপনার সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারে দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুরা। কাদের আপনি নেকড়ের মুখে ছেড়ে দিয়ে স্বার্থপরের মতো বাণী বিতরণ করতে মাঠে নেমেছেন! আইএসএফ-এর দৌলতে কাছ থেকে আপনাদের দুই ভাইকেই চিনেছি। আব্বাস সিদ্দিকী মাঝেমধ্যে বেঁফাস কথা বললেও তিনি অনেক আবেগপ্রবণ, সংবেদনশীল। কর্মী-অন্তপ্রাণ, রাষ্ট্রীয় বাহিনি ছাড়াই সমর্থকদের সুখেদুঃখে তাঁদের বিপদে বুক দিয়ে আগলে রাখেন। আপনি স্বল্পবাক। রাজনৈতিক পরিণতি কম। তবে আপনাকে বুদ্ধিমান বলব না, ব্যবহার করব চালাক শব্দটি। উচ্চাকাঙ্ক্ষী। আজকের প্রজন্মের অধিকাংশ রাজনীতিকদের মতো আপনারও কুর্সির প্রতি মোহ থাকতেই পারে। তবে তা যদি গরিব-সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে হয়, তা সত্যি দুঃখের। যে নৌশাদকে আদর্শবাদী বলে জানতাম, এখনও আশা করব, সে যেন কোনও কিছুর জন্যই আদর্শ বিক্রি না করে।
এটা কবে থেকে প্রকাশ হচ্ছে? এখানে লিখতে চাই। কিভাবে পাঠাব??
আমাদের জন্ম ২০১৭ সালের ১ মে। এই ১ মে সাত পূর্ণ করে আট বছরে পা দেব। 4numberplatform@gmail.com আমাদের মেল আইডি। এখানে ওয়ার্ড ফাইলে লেখা পাঠাতে পারেন অনন্তবাবু। অনেক ধন্যবাদ…