আরজিকর আন্দোলন: রাজনীতি-অরাজনীতির সীমানা ছাড়িয়ে

সুমন কল্যাণ মৌলিক

 


প্রতিটি গণআন্দোলন যদি প্রচলিত সীমারেখাকে অতিক্রম করে বৃহত্তর রূপ নেয় তখনই রাজনীতি, অরাজনীতি এবং নির্দল সংক্রান্ত বিতর্ক শুরু হয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে যাঁরা এই বিতর্ক করছেন তাঁরা রাজনীতির মূল অর্থটাই অনুধাবন করতে পারছেন না। পৃথিবীর সমস্ত সামাজিক ঘটনাই রাজনৈতিক। রাজনীতি হল নিয়ন্ত্রক শক্তি। এক্ষেত্রে প্রচলিত ধারণাটি হল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও পতাকার উপস্থিতি নির্ধারণ করে কোনও একটি আন্দোলন রাজনৈতিক কি না! আসলে প্রত্যেকটা গণআন্দোলনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে রাজনীতি, আরও নির্দিষ্ট করে বললে বিভিন্ন পক্ষের রাজনীতি। এই প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক

 

চোদ্দই আগস্টের রাতটাকে ভোলা যাবে না। সন্ধ্যা থেকে মাঝরাত— রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ। অবশ্যই মেয়েরা মুখ্য ভূমিকায়, কিন্তু প্রত্যেক জমায়েতে নারী-পুরুষ-রূপান্তরকামী-নির্বিশেষে জনকল্লোল। আরজিকর মেডিকেল কলেজে পাঠরতা একটি মেয়ের উপর পাশবিক অত্যাচার, ধর্ষণ ও খুনের নারকীয়তার বিরুদ্ধে বিবেকবান মানুষদের রাস্তায় নামা আবারও প্রমাণ করল এক গণতান্ত্রিক দেশের মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্য নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা কতখানি জরুরি!

প্রথমেই বলে নেওয়া ভাল যে মেয়েটির এই পরিণতির জন্য দায়ী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং বৃহত্তর অর্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এ-রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় যে নৈরাজ্য ও দুর্নীতির উপস্থিতি আমরা প্রত্যক্ষ করছি, মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থা তার বাইরে নয়। ঘটনাপরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ‘উন্মোচন’ (এক্ষেত্রে শাসক দলের চিকিৎসক সাংসদ ও মুখপাত্রের বিলম্বিত বোধোদয় উল্লেখযোগ্য) ইঙ্গিত করছে আরজিকর কলেজ বহুদিন ধরেই ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বারবার লুকোনোর কিছু নেই বললেও বাস্তবে কথা ও কাজের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার পরবর্তীতে অধ্যক্ষের চরম প্রতিক্রিয়াশীল ধিক্কারজনক বক্তব্য, ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালাবার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা, তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত ও মৃতদেহের সৎকার, ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত শেষ না করেই বিশেষ একজনকে খুনি বলে দেগে দেওয়া, সর্বোপরি মেয়েদের রাতদখল আন্দোলন চলাকালীন আরজিকর কলেজে পুলিশের চোখের সামনে দুষ্কৃতিতাণ্ডব আরেকবার এই সরকারের অপদার্থতা ও অযোগ্যতাকে স্পষ্ট করে তুলল। পরিবারের দাবি ও জনস্বার্থ মামলার কারণে তদন্ত এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই-এর হাতে। এই এজেন্সি বিগত সময়ে কোনও তদন্তের ক্ষেত্রেই তার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারেনি কারণ তার রাজনৈতিক আনুগত্য। এই খুনের ঘটনার তদন্ত করে তারা দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে, এই আশা তবুও আমরা বহাল রাখছি।

এ-দেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন— কোনওটাই নতুন ঘটনা নয়। এ-রাজ্যেও যাঁরা আরজিকরের বিষয়টাকে যাঁরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে বিবৃত করতে চাইছেন, তাঁরা নেহাৎই মিথ্যাচার করছেন। এই তৃণমূল সরকারের আমলেই পার্ক স্ট্রিট, কামদুনির মতো ঘটনা ঘটেছে, বাম আমলেও বানতলা, ধানতলা, সিঙ্গুরে তাপসী মালিক, নন্দীগ্রামে জমিরক্ষার আন্দোলনের সময় একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা সবার জানা। আর গোটা ভারতের হিসাব করলে নির্ভয়া কাণ্ড, উন্নাও, হাথরাস বা গত এক বছরে জাতিদাঙ্গার আগুনে জ্বলতে থাকা মণিপুর একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও পরিবারের সম্মানরক্ষার্থে ‘অনার কিলিং’, পরিবারের অভ্যন্তরে বা কর্মক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের ঘটনা রোজই ঘটে থাকে। খুব সহজ করে বললে বলা যায় পিতৃতন্ত্রের নিগড়ে আবদ্ধ এ-দেশ মহিলাদের জন্য বধ্যভূমির সমান। এই কথাগুলো বহুচর্চিত কিন্তু যা ব্যতিক্রমী তা হল আরজিকরের ঘটনার বিরুদ্ধে এক বিশাল অংশের মানুষের বিক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল মেয়েদের অগ্রণী ভূমিকা যা অভূতপূর্ব। পশ্চিমবঙ্গে ২০১১-পরবর্তী সময়ে বহু ঘটনা ঘটেছে যার মধ্যে গণবিক্ষোভ ফেটে পড়ার বহু উপাদান ছিল। চিটফান্ড কেলেঙ্কারি, কামদুনি হত্যাকাণ্ড, নিয়োগ দুর্নীতির মতো ইস্যুগুলো নিয়ে প্রতিবাদ কিছুমাত্রায় হলেও, তা কখনও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালন বা নাগরিক সমাজের এক অতি ক্ষুদ্র অংশের নিয়মমাফিক প্রতিবাদ কর্মসূচির লক্ষণরেখাকে অতিক্রম করেনি। এমনকি শাসক দলের নির্বাচনী পারফরম্যান্সেও তা কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। এবারের চলমান প্রতিবাদ কিন্তু সেই সীমারেখাকে অতিক্রম করতে পেরেছে। এটা কেন সম্ভব হল এবং আগামী রাজনীতিতে তার কী প্রভাব পড়বে, এই গণজাগরণ আচরিত রাজনীতির বিকল্প আধার তৈরি করতে পারবে কি না, সে সম্বন্ধে কিছু ভাবনার সন্ধান বর্তমান নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

এইবারে ডাক্তারি ছাত্রীটির নৃশংস হত্যা এক ট্রিগার পয়েন্ট। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার মদমত্ততার কাছে কুঁকড়ে থাকা মধ্যবিত্ত বাঙালির এক প্রতিবাদ। একই সঙ্গে সাধারণভাবে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত যেভাবে পিতৃতান্ত্রিক অনুশাসনে বেঁধে মেয়েদের যাপনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়, যেভাবে মেয়েরা লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হন, পথে-ঘাটে নির্যাতিত হন, তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা মেয়েদের জাগরণের সূচনাবিন্দু হিসাবে কাজ করেছে।

এই পথে নামার ক্ষেত্রে একাধিক বিষয় অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ছাত্রবিক্ষোভের পরিণতি নিয়ে যাই তর্ক-বিতর্ক থাকুক না কেন, এই আন্দোলন ছাত্র তথা সাধারণ মানুষের সক্ষমতা তথা পরিবর্তনের ক্ষমতার সূচক। এই বিশ্বাসবোধ এ-পারের আন্দোলনকেও প্রাণিত করেছে।

এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলগুলোর প্রতি এক ধরনের অনাস্থাও কাজ করছে। ছত্রভঙ্গ বামশক্তি আদৌ তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে পারবে কি না, এ-বিষয়ে মানুষের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে। আবার নির্বাচনী ফলের বিচারে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের মহিলাদের প্রশ্নে ট্র্যাকরেকর্ড সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে শুধু খারাপই নয়, অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল। মতাদর্শগতভাবে বিজেপি পিতৃতন্ত্রকে, মহিলাদের উপর তার আধিপত্যের রাজনীতিকে সঠিক মনে করে। এই অবস্থায় মানুষ সিভিল সোসাইটির উদ্যোগে বিশ্বাস রাখে। আমরা দেখি রাত দখলের ডাক শুরুতে ছিল কলকাতার তিনটি প্রতিবাদী রাজনীতির কেন্দ্রে সীমাবদ্ধ। কিন্তু একদিনের মধ্যে দেখা যায় সেই ডাক প্রায় ৩০০টি জায়গায় ছড়িয়েছে। এই বজ্রগর্ভ আহ্বান আবার পশ্চিমবঙ্গে সংসদীয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির আন্দোলনের পরিচিত ন্যারেটিভকে অতিক্রম করে এক সম্ভাবনাময় আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করল। এই একই ঘটনা আমরা নন্দীগ্রামের সময় প্রত্যক্ষ করেছিলাম। ৩৪ বছরের দুর্ভেদ্য বাম শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সর্বত্রগামী হয়েছিল সিভিল সোসাইটির সক্রিয়তার কারণে।

প্রতিটি গণআন্দোলন যদি প্রচলিত সীমারেখাকে অতিক্রম করে বৃহত্তর রূপ নেয় তখনই রাজনীতি, অরাজনীতি এবং নির্দল সংক্রান্ত বিতর্ক শুরু হয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে যাঁরা এই বিতর্ক করছেন তাঁরা রাজনীতির মূল অর্থটাই অনুধাবন করতে পারছেন না। পৃথিবীর সমস্ত সামাজিক ঘটনাই রাজনৈতিক। রাজনীতি হল নিয়ন্ত্রক শক্তি। এক্ষেত্রে প্রচলিত ধারণাটি হল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও পতাকার উপস্থিতি নির্ধারণ করে কোনও একটি আন্দোলন রাজনৈতিক কি না! আসলে প্রত্যেকটা গণআন্দোলনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে রাজনীতি, আরও নির্দিষ্ট করে বললে বিভিন্ন পক্ষের রাজনীতি। এই প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক। এই চলমান আন্দোলনের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিঘাত ১৪ আগস্টের মধ্যরাতের জমায়েতেও এটা লক্ষ করা গেছে। স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েতের পাশাপাশি থেকেছে সংগঠিত উপস্থিতি, এলাকা ও সংগঠকদের আকাঙ্ক্ষার উপর নির্ভর করে স্লোগানের বিভিন্নতাও নজর করার মতো। আবার যে কোনও বড় গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সৃজনশীলতা নতুন ভাবনার জন্ম দেয়। দিল্লির ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন এবং এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনে আমরা এর বহু নজির দেখেছি। এবারে ডার্বি ম্যাচ বাতিল করে সম্ভাব্য প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার যে নির্বোধ সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকার নিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডানের সমর্থকরা যে আন্দোলন সংগঠিত করলেন তা অভূতপূর্ব। আন্দোলন চলমান থাকলে এই ধরনের আরও সৃজনশীলতা আমরা আগামী দিনে দেখব।

এই আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা প্রসঙ্গে দুই একটা কথা বলা জরুরি। প্রথম সীমাবদ্ধতাটা ইস্যুটির মধ্যেই আছে। আন্দোলনের মূল দাবিটি যেহেতু খুনির সন্ধান ও তার কঠোর শাস্তি (এখানে শাসক দলের পক্ষ থেকে ফাঁসি বা এনকাউন্টারের দাবি আসলে আন্দোলনকে দ্রুত বুজিয়ে দেওয়ার কৌশল) এবং আদালতের নির্দেশের পর শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইয়ের হাতে ন্যস্ত হয়েছে, তাই এই আন্দোলনকে যদি নতুন স্তরে উন্নীত না করা যায়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। দ্বিতীয় বিষয়টি হল আন্দোলনের মূল শক্তি এখনও পর্যন্ত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত, এলাকা বিচারে শহরাঞ্চল, যা ভাঙতে পারার উপরেই আন্দোলনের পরবর্তী সাফল্য নির্ভর করছে।

এখন প্রশ্ন হল এই বিশাল গণআন্দোলনের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক চালচিত্রে কীভাবে পড়বে! একটি ফলাফল ইতিমধ্যে বোঝা গেছে, তা হল মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তার দল অজেয় নয়। এর আগে চিটফান্ড, নারদা, নিয়োগ দুর্নীতি জনমানসে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলেও, সরকার নানান কৌশলে এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দুর্বলতার কারণে সামলে নিতে পেরেছিল। এবার কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ছত্রভঙ্গ ও দুর্বল অবস্থায় থাকলেও জনগণের সক্রিয়তার কারণে শাসক বেকায়দায়। এই অবস্থায় বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটতে পারে। সংসদীয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো (বিজেপি ও সিপিআই-এম) এই আন্দোলনকে সরকার বদলের দাবিতে পরিবর্তিত করতে চাইবেন। এটা কোনও অস্বাভাবিক কাজ নয়, কারণ আমরা দেখেছি সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে জমি-আন্দোলনকে ভর করে মমতা ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন। তবে এবারের সঙ্গে সেই পর্বের একটা পার্থক্য আছে। সেবার বিরোধী পরিসরের নেতৃত্ব হিসাবে মমতা বন্দোপাধ্যায় ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন। এবার সেই পরিসর দখলের হকদার দুটো পক্ষ। তবে বিগত নির্বাচনগুলির ফলাফল বিচার করলে এবং এবারের আন্দোলনকারীদের শ্রেণি-অবস্থানকে হিসাবের মধ্যে আনলে, নির্বাচনী পাটিগণিতে বিজেপির সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে আন্দোলনের মাঠটাকে বড় করতে পারলে বামেরা হিসাবটাকে পাল্টে দিতে পারেন। এখানেই কিন্তু গল্পটা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। এই আন্দোলনে প্রবলভাবে আছেন উত্তর-আধুনিক মতাদর্শের বাহক এনজিও-বাহিনি। রাত দখল করার মতো অভিনব স্লোগান দেওয়া এবং সেই রাতের কর্মসূচিকে সফল করার কৃতিত্ব কিছুটা হলেও তাদের। খবরে প্রকাশ, আগামী দিনে আন্দোলনের রাশ হাতে রাখার জন্য তারা সংগঠিত হচ্ছে। এমনকি নেতৃত্বস্থানীয় কেউ কেউ মমতা সরকারের সাম্প্রতিক সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকার কিছু অংশ তাঁদের সাফল্য বলে দাবি করছেন। লিঙ্গবৈষম্য, অরাজনীতির রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করার তাগিদ থেকে এঁরাও এই আন্দোলনকে দখল করতে চাইবেন। আবার এই দু-পক্ষকে বাদ দিলেও পিতৃতন্ত্রের নিগড় ভেঙে, লিঙ্গসাম্যের দাবিকে নিশ্চিত করে ব্যবস্থাবদলের দাবিকে নিশ্চিত করার বিপ্লবী বাম রাজনীতির কাছেও এই আন্দোলন এক সুযোগ এনে দিয়েছে। আরজিকরে ন্যায়বিচারের দাবির পরিণতি কী হবে তার উত্তর আগামীর গর্ভে, কিন্তু একটা কথা বলাই যায়— স্থিতাবস্থা ভাঙছে, নতুন সম্ভাবনার জন্ম হচ্ছে।


*মতামত ব্যক্তিগত

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4813 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...