বাংলা ছবির নামাঙ্কন ও পরিচয়লিপি

সুস্নাত চৌধুরী

 

মনে করুন, আপনি ও আপনার কয়েকজন বন্ধু নিজের নিজের কম্পিউটারে এমএস ওয়ার্ডের একটি করে পাতা খুলে যে যার পছন্দের সিনেমার নামটি বেশ বড় করে ইংরাজিতে লিখলেন। এবার প্রত্যেকেই ভাবছেন যে, নামটি কোন হরফে লেখা থাকবে? ওয়ার্ডের হরফ নির্বাচনের সারণি তো আপনাদের জন্য অপশন হিসেবে প্রস্তুত রেখেইছে শতাধিক নানা ধাঁচের হরফ। খানিক হাতড়ালে তা থেকে অনায়াসেই যে যার পছন্দের হরফটি বেছে নিতে পারবেন। কিন্তু ব্যাপারটা কি গোলমেলে ঠেকবে না, যদি দেখা যায় যে আপনি যে হরফটি বেছেছেন, বাকি বন্ধুদের বেশিরভাগও সেই একই হরফ নির্বাচন করেছেন! চলতি শতকের শুরুর দিকে কতকটা এমনই হাল দাঁড়িয়েছিল খাস টিনসেলটাউনে। দেখা যেতে থাকল এক ধারসে ছবির পোস্টারে ব্যবহার করা হচ্ছে একটিই টাইপফেস স্টিফেন স্পিলবার্গের A.I. Artificial Intelligence, টম ক্রুজ অভিনীত The Last Samurai, রবার্ট রেডফোর্ডের Lions for Lambs, চার-চারটি অস্কারজয়ী Crouching Tiger, Hidden Dragon… মানে, এমন আরও অনেক ছবির নাম এখানে করা যেতে পারে।

স্বভাবতই সমালোচকরা হলিউডের এই ট্রেজন-প্রবণতা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করতেও ছাড়লেন না। কেউ কেউ তো এমনও বললেন, ট্রেজন হরফে ছবির নাম না থাকলে নাকি রাসেল ক্রো সেইসব ছবিতে অভিনয়ই করেন না! অস্ত্র হিসেবে তাঁদের হাতে ছিল A Beautiful Mind, Master and Commander: The Far Side of the World, বা Mystery, Alaska ছবির পোস্টারগুলি। পাঠক, আপনারাও ছবির নামগুলি হরফ মিলিয়ে দেখে নিন একবার।

এই ট্রেজন হরফটি তৈরি হয় প্রাচীন রোমান লেখার স্টাইল ক্যাপিটালিস মনুমেনটালিস-এর আদলে। ১১৩ খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট ট্রেজনের যুদ্ধজয়ের চিহ্ন হিসেবে রোমে যে বিখ্যাত স্তম্ভটি স্থাপিত হয়, এই ধাঁচেই ছিল তার গায়ের লেখাগুলি। তা থেকেই হরফটির নামকরণ হয় ট্রেজন। আগে মূলত কোনও রোমান এপিক মুভির নাম লিখতেই এই হরফটি ব্যবহার করা হত। ক্রমে আর সেই বাছবিচার রইল না। হলিউডি হিরোর মতোই স্মার্ট ও সুদর্শন ট্রেজন দেখা দিতে থাকল ছবির বিষয় ও মুড অনপেক্ষভাবেই। কাজেই তা নিয়ে নানা কথা তো হবেই।

কিন্তু এসব নেহাত কথার কথা ছিল না। ছবির নাম, তা সে পোস্টারেই লেখা হোক, বা ছবির ভেতরে, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সারা বিশ্বে কম হয়নি। শুধু ছবির নামটুকুই বা কেন, গোটা ক্রেডিট টাইটেলের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র কম নয়। কখনও ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে, শিল্পী হাতে বা কম্পিউটারের সাহায্যে লিখেছেন, কখনও টাইপ সাজিয়েই কাজ হয়েছে। এবং তা হয়েছে ছবির সঙ্গে মানানসই করে। তার ডিজাইন, রং, অ্যানিমেশন সবটার ক্ষেত্রেই চেষ্টা চলেছে ছবির মূল স্পন্দনটুকু ধরার। ক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সেই কাজে আরও সাহায্য করেছে। কিন্তু তার ঢের আগে থেকেই শিল্পীরা এ-নিয়ে মাথা ঘামিয়ে এসেছেন। কেবল কতকগুলি অক্ষরের মধ্যে দিয়ে একটি সিনেমার পুরোদস্তুর আমেজকে ধরা চাট্টিখানা কথা ছিল না। আজও নয়। ফ্রিৎজ ল্যাং-এর ১৯২৭ সালের মেট্রোপোলিশ ও ওয়াল্ট ডিজনির ১৯২৮-এর পোস্টার থেকে মিকি মাউজ কথাটুকুর তুলনা করলেই বোঝা যায় বিষয়টি কতটা কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। দু-ক্ষেত্রেই বিষয়ের নির্যাস কী চমৎকার ধরা পড়েছে ক্যালিগ্রাফির মধ্যে!

কিংবা নির্বাক যুগের আরেক বিখ্যাত ছবি Nosferatu (১৯২২)। মূল জার্মান ছবিটির টাইটেল লেখার আদল বদলে যাচ্ছে ছবির পোস্টারে। লেখা হচ্ছে অল ক্যাপে। এবং সেই হরফ হয়ে উঠছে বাঙ্ময়!

চলচ্চিত্র-দুনিয়া যখন ছবির নাম বা ক্রেডিট টাইটেল লেখা নিয়ে কসরত করতে দ্বিধা করেনি, তখন ভারতীয় ছবিও নিশ্চয়ই বাদ থাকবে না। সম্প্রতি আইআইটি গুয়াহাটির দুই গবেষক মোহম্মদ শাহিদ ও ড. ডি উদয়কুমার হিন্দি ও বাংলা ছবির পোস্টার নিয়ে তুলনামূলকভাবে পর্যালোচনা করেছেন। সংক্ষিপ্ত এই কাজটিতে তাঁরা বলছেন, হিন্দি ছবির তুলনায় অন্তত এই ক্ষেত্রে বাংলা ছবি ঢের এগিয়ে। ষাট-সত্তর দশকের আগে সেভাবে হিন্দি ছবির পোস্টারে হরফ কথা বলে ওঠেনি! যাকে বলে, এক্সপ্রেসিভ টাইপোগ্রাফি, তা দেখা যায়নি। ক্রেডিট টাইটেলের ক্ষেত্রেও হয়তো সেই একই কথা প্রযোজ্য হবে। উদাহরণ হিসেবে মূলধারার একটি কাহিনি নিয়েই দেখা যাক। দেবদাস। ১৯৫৫ সালে বিমল রায় ব্যবহার করছেন শরৎচন্দ্রের ছবি দেওয়া বই-এর প্রচ্ছদ। হিন্দি হরফে সেখানে লেখা কাহিনির নাম। তার পর বই-এর পাতা উল্টে যাচ্ছে। পরিচয়লিপি হিসেবে ইন্টারেস্টিং, সন্দেহ নেই। কিন্তু লিখনশৈলী হিসেবে খুব আলাদা কিছু কি? আবার ২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বনসালী ত্রি-মাত্রিক ইংরাজি হরফে লেখা Devdas-এ গ্রাফিক্সের সাহায্যে মিশিয়ে দিয়েছেন ঝড়-ঝঞ্ঝার রাত্রি আর সিঁদুরের রেফারেন্স। সঙ্গে বিগ বাজেট ছবির গ্র্যাঞ্জার তো ফুটে উঠছেই।

এই নিরিখে বাংলা ছবি অনেকদিনই দুর্দান্ত সব কাজকর্ম করে ফেলেছে বটে! চর্মচক্ষে যাচাই করার সৌভাগ্য হয়নি, তবে শুনেছি, ১৯২১ সালে প্রিয়নাথ গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ম্যাডান থিয়েটারের ৬ রিলের নির্বাক ছবি শিবরাত্রি-তেই নাকি প্রথম বাংলা হরফে ছবির নাম লেখা হয়। এর পর নির্বাক যুগ জুড়ে এবং সবাক যুগের শুরুর দিকের ছবিতেও হিন্দি আর বাংলা ছবির টাইটেলে গুণগত ফারাক বড় একটা ছিল না। যেমন, জামাইবাবু (১৯৩১)। তার পরিচয়লিপিতে চোখ রাখা যেতে পারে। খুব আহামরি হয়তো নয়, কিন্তু ছিমছাম।

এর পরে অবশ্য বাংলা ছবির নামাঙ্কন ও পরিচয়লিপিতে অগ্রগতি ঘটেছে দ্রুত। বিশেষত পাঁচের দশক থেকে। যেমন, প্রেমেন্দ্র মিত্রের হানাবাড়ি-র (১৯৫২) ক্যালিগ্রাফিটুকুতেও জমাট ভয়ের আবহ ফুটে ওঠে। তা খানিক বদলে গেলেও একইরকম ছমছমে থাকে ছবির প্রচার-পুস্তিকার প্রচ্ছদে! আবার আগাগোড়া টাইটেল সিকুয়েন্সটিকেই অন্যমাত্রায় তুলে নিয়ে যায় লুকোচুরি (১৯৫৮) বা পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট-এর (১৯৫৯) মতো কমেডি। এসব ছবির পরিচয়লিখনেই সফলভাবে গড়ে ওঠে গোটা ছবির ভিত্তি।

বাংলা ছবির এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে সত্যজিৎ রায়, খালেদ চৌধুরী বা দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো বিরাট মাপের শিল্পীর ব্যক্তিগত স্কিল। ঋত্বিক ঘটকের বাড়ী থেকে পালিয়ে (১৯৫৮) ছবিতে শিশুর আঁকা-বাঁকা হস্তাক্ষরে পরিচয়লিপি বা সুবর্ণরেখা-এ (১৯৬২) শান্ত, নিবিড় ক্যালিগ্রাফিতে সজ্জিত ঝোলানো এক সুদীর্ঘ পটের উপর দিয়ে ক্যামেরার নেমে আসা মুগ্ধ করে। মনে হতে থাকে, এই ছবির জন্য যেন ঠিক এমনটাই হওয়ার কথা ছিল!

একই অনুভূতি হয় পথের পাঁচালী (১৯৫৫) দেখলেও। কত সিম্পল, মৃদু, অথচ কী দুর্দান্ত! একাধিক বানান-ভুল থাকলেও, পথের পাঁচালী-র পরিচয়লিপি যেন সেই ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়ের কথাই বলে। শুধু চিত্রপরিচালক হিসেবেই নয়, গ্রাফিক আর্টিস্ট হিসেবেও সত্যজিৎ রায় কত উঁচু দরের ছিলেন, তার চিহ্ন রয়ে গিয়েছে তাঁর প্রতিটি ছবির পোস্টারে আর পরিচয়লিপিতে। তা সে জলসাঘর হোক বা দেবী, কাঞ্চনজঙ্ঘা হোক বা শতরঞ্জ কি খিলাড়ি। সেখানেই যেন ছবির জমি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এবং লক্ষণীয় ব্যাপার হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যালিগ্রাফির মধ্যে একটিও বাড়তি এলিমেন্ট ব্যবহার করে নয়, স্রেফ অক্ষরগুলি এঁকেই এই প্রেক্ষিত নির্মাণের কাজটি সারছেন সত্যজিৎ।

হাতে-গোনা কয়েকটি ছবি বানালেও আমাদের বিস্মিত করেন আরেক শিল্পী। পূর্ণেন্দু পত্রী। কেবল বুক কভারেই নয়, ছবির নামাঙ্কন ও পরিচয়লিপির ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমী। তাঁর স্বপ্ন নিয়ে বা স্ত্রীর পত্র ছবির নামাঙ্কন ও সেখানে অ্যানিমেশন, স্টপ মোশনের সামান্য ব্যবহার সামগ্রিক বিষয়টিকেই করে তোলে অসামান্য!

ক্রেডিট টাইটেলের সিকুয়েন্স হিসেবে পূর্ণেন্দু পত্রীর ছেঁড়া তমসুকছোট বকুলপুরের যাত্রী ছবি দু-টি আজও তুলনারহিত বলেই মনে হয়। অবাঞ্ছিতের মতো পড়ে থাকে ছিন্ন কাগজে ছেঁড়া ছেঁড়া আদলে করা ছেঁড়া তমসুক-এর অনবদ্য ক্যালিগ্রাফি। তার পর একের পর এক টুকরো কাগজে পাওয়া যেতে থাকে ছবির কাস্ট অ্যান্ড ক্রু-র পরিচিতি। ছোট বকুলপুরের যাত্রী-তেও কাগজের ব্যবহার। তবে তা ছোট বকুলপুরের দেওয়ালে সাঁটা মেহনতি মানুষের পোস্টার। সেইসব সংগ্রামী পোস্টার কী অনায়াসে বদলে যায় ছবির পরিচয়লিপিতে! কত সহজ, অথচ অভিঘাত মারাত্মক!

শুধু এসব প্রখ্যাত শিল্পীর হাতের ছোঁয়াই নয়, ছয়-সাতের দশকে পরিচয়লিপির ক্ষেত্রে বাংলা ছবিতে বারবার ঘুরে-ফিরে এসেছে বেশ কয়েকটি নাম। যেমন, দিগেন স্টুডিও বা রতন বরাট। দিগেন স্টুডিও-এ হওয়া বিরাজ বৌ বা ব্রজবুলি-র পরিচয়লিপি, রতন বরাটের করা দেবী চৌধুরাণী, ৮০-তে আসিও না-র মতো রয়েছে বহু উল্লেখযোগ্য কাজ। এই সময়েই চণ্ডী লাহিড়ীর কার্টুনকে ব্যবহার করে তাক লাগিয়ে দেয় মৌচাক, চারমূর্তি-র মতো মজার ছবি।

ছয়ের দশকে চিড়িয়াখানা ছবির পরিচয়লিপিতে লেটারপ্রেসের হরফ ব্যবহার করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। দু-টি অক্ষরের মাঝে ছোট্ট এক চিলতে ফাঁক। ওই যে, কাহিনির শুরুতেই অজিত তাদের মক্কেল প্রসঙ্গে যেমন লিখছে নিশানাথবাবুর কথা বলিবার ভঙ্গীটি ত্বরাহীন, যেন আলস্যভরে কথা বলিতেছেন। কিন্তু এই মন্থরতা যে সত্যই আলস্য বা অবহেলা নয়, বরং তাঁহার সাবধানী মনের বাহ্য আবরণ মাত্র, তাহা তাঁহার সজাগ সতর্ক মুখ দেখিয়া বোঝা যায়। সেদিনের লেটারপ্রেসও কতকটা এইরকমই ছিল না কি? আর আজ ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা করতে গিয়ে কম্পিউটারে সাজানো হরফ ব্যবহার করেন অঞ্জন দত্ত। ক্যালিগ্রাফি নয়, বই কিংবা পত্র-পত্রিকায় বডি টাইপ হিসেবে যেমন মাত্রাতিরিক্ত নিখুঁত বাংলা হরফ আমরা ইদানীং ব্যবহার করি, ঠিক সেইরকম। ডিজিটাল মাধ্যমের দাক্ষিণ্যে মুদ্রণ প্রযুক্তির পরিবর্তনের মতোই যেন বদল ঘটেছে সেদিনের পরিচয়লিপির সঙ্গে আজকের।

আগাগোড়া যান্ত্রিক সহায়তায় তৈরি এই সময়ের কাজকর্ম প্রযুক্তির নিরিখে হয়তো অনেক বেশি ত্রুটিহীন, নানাবিধ গ্রাফিক্সের কারসাজিতে সাজানোও, কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো বুদ্ধির ঝলক অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেখানে চোখে পড়ে না। জাঁকজমক আছে, কিন্তু প্রশান্ত নান্দনিকতার অভাব যেন। তাই বলে ব্যতিক্রম কি নেই? সাম্প্রতিক অতীতের বাংলা ছবিগুলির মধ্যে গয়নার বাক্স বা ভূতের ভবিষ্যৎ-এর পরিচয়লিপি নিঃসন্দেহে ইন্টারেস্টিং। ছবি হিসেবে যেমনই হোক, অন্তত নামাঙ্কনে বাদশাহী আংটি, জুলফিকার বা বিসর্জন কাহিনির আবহকে ধরতে কিছুটা সক্ষম বটেই। ঈগলের চোখ, মেঘনাদবধ রহস্য, প্রজাপতি বিস্কুট মন্দ নয়। সিনেমাওয়ালা কি সহজ পাঠের গপ্পো বেশ ছিমছাম। সাম্প্রতিক এইসব ছবি নিয়ে সবিস্তার আলোচনার পরিসর আপাতত নেই। কিন্তু এ-নিয়ে কথা হওয়া জরুরি অবশ্যই। কেবল পোস্টার নয়, বাংলা ছবির সুদীর্ঘ ইতিহাসের নিরিখে প্রতিটি অধ্যায় ধরে ধরে তার নামাঙ্কন ও পরিচয়লিপি নিয়েও কাজ হওয়া উচিত। সংরক্ষণ হওয়া উচিত। তাতে চলচ্চিত্র-শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হরফচর্চা ও হস্তলিপির সম্পর্কটিও আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে। চলচ্চিত্র-নির্মাতারাও নিশ্চিত বিষয়টিতে আরও গুরুত্ব দেবেন। দর্শকও হয়তো ভেবে দেখবে, নাম দেখানো হয়ে গেলে তবে হল-এ ঢুকলে চলে না! আশা রাখি, প্রেক্ষাগৃহের কর্মীরাও সচেতন হবেন যে, এন্ড-ক্রেডিট শুরু হওয়া মাত্রই আলো জ্বালিয়ে দিতে নেই।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4649 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...