ঈষীকা নন্দী
জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে, ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ স্কুল-ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মশালা করে চলেছে। এই বছর বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস উপলক্ষে ‘ক্লাইমেট-২৪’ নামের সচেতনতা শিবির সংগঠিত হয়। তাকে সামনে রেখে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য পরিবেশ বিষয়ক এক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। ওই রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় কলকাতার হরিয়ানা বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ঈষীকা নন্দী। সেই লেখাটি-ই হুবহু এখানে প্রকাশ করা হল
গোটা বিশ্বজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’। একুশ শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তনকে ঠেকানো। দিন দিন জলবায়ুর পরিবর্তন জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে যা পরিবেশবিদ থেকে নীতিনির্ধারকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ-নিয়ে বিস্তর গবেষণাও চলছে।
ভূ-পৃষ্ঠের কোনও স্থানের ২৫-৩০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে ওই স্থানের জলবায়ু বলা হয়। এটি মূলত কোনও স্থানের দীর্ঘদিনের বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, রৌদ্রালোক ইত্যাদির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। প্রাকৃতিক (পৃথিবীর বিভিন্ন গতিশীল প্রক্রিয়া, সৌর বিকিরণের মাত্রা, অক্ষরেখার দিক পরিবর্তন, সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অবস্থান ইত্যাদি) নানা কারণে জলবায়ু স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তিত হলেও মূলত মানুষের তৈরি (কলকারখানা, যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস, কয়লা পোড়ানো, ইটভাটার ধোঁয়া, গাছ কাটা ইত্যাদি) কারণেই জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকারি প্যানেল (আইপিসিসি) দেখিয়েছে, উন্নয়নের কারণে ১৯৭০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মারণগ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ২১ গিগাটন থেকে বেড়ে ৩৮ গিগাটন হয়েছিল। আনুপাতিক হিসেবে এই বৃদ্ধি প্রায় ৮০ শতাংশ। এ-থেকে পরিষ্কার, মানুষ অ-পুনঃনবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়িয়েছে, যা বিশ্ব-উষ্ণায়ন ঘটিয়েছে— এটাই জলবায়ু বিপর্যয়ের মূল কারণ। উন্নত দেশগুলি ক্রমাগত অতিমাত্রায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য মারণগ্যাসের নির্গমন ঘটিয়েছে। বর্তমানেও মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের হার ভয়াবহ। এর থেকে স্পষ্ট উন্নয়নশীল দেশগুলিও ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি মাত্রায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ ঘটাবে। পাশাপাশি নগরায়নের জন্য বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। মানুষের সৃষ্টি এই গ্রিনহাউস গ্যাস বিশ্ব-উষ্ণায়ন ঘটাচ্ছে। এটিকে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন পরিবেশ ও মানুষের ওপর কু-প্রভাব ফেলছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, দুই মেরুর বরফ গলার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে দেখা দিচ্ছে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। এমনকি পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জার্মান ওয়াচ কর্তৃক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স-২০২১’ অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। এ থেকে বোঝাই যাচ্ছে, জলবাযু পরিবর্তন ভারতের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই জলবায়ু পরিবর্তন ও তার কুপ্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নিতে হবে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ। পাশাপাশি মানুষের জীবনধারায় আনতে হবে পরিবর্তন।
পরিবেশ বাঁচাতে করণীয়
১) গাছ কাটা বন্ধ ও গাছ লাগানো: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল অক্সিজেন। আর গাছ থেকে আমরা সেটা অনায়াসেই পাই। বর্তমানে নগরায়নের কারণে বা নতুন বাসস্থানের প্রয়োজনে গাছ কাটার উৎসব চলছে। ফলে জীববৈচিত্র্য সঙ্কটের মুখে পড়েছে। তাই আমাদের উচিত বাড়ির চারপাশে, রাস্তা ও রেললাইনের দুই ধারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত গাছ লাগানো। সঙ্গে শপথ নেওয়া বনাঞ্চল কিছুতে ধ্বংস করব না।
২) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো: জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস)-র ব্যবহার কমাতে হবে। এটি অত্যন্ত দূষণকারী। এই জ্বালানি প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং মিথেনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে।
৩) ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ব্যবহার কমানো: যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ব্যবহার কমানোর। কেননা তা থেকে প্রচুর কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বের হয়। যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিকল্প হিসেবে ব্যাটারিচালিত গাড়ি, বাইসাইকেল ইত্যাদির ব্যবহার বাড়ানো।
৪) রিসাইকেল করা: পরিবেশরক্ষায় রাসায়নিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা জিনিসকে যেখানে সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা ও তা পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা।
৫) জনসচেতনতা সৃষ্টি: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ, প্রভাব ও করণীয় দিকগুলো নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত সভা, সেমিনার আয়োজন করতে হবে। সবার মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
এর সঙ্গে অন্য একটি বিষয় উল্লেখ করা জরুরি। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ চিচিনিলনিস্কি মানবজাতির টিকে থাকার জন্য বায়ুমণ্ডলে জমা হওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে অপসারণের পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, কার্বন যেন বায়ুমণ্ডলের বাইরে থাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে। এর খরচ মেটাতে চিচিনিলনিস্কি একটি বাজারের কথা বলেছেন। সেখানে কার্বনকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিক্রি করা হবে। আরেকটি সম্ভাব্য সমাধান হল ‘কার্বন ফার্মিং’। জীববিজ্ঞানী অ্যালান স্যাভরি সম্প্রতি পাটাগোনিয়ায় এই কৃষি চালু করেছেন। যদি এটাকে লাভজনক করা যায়, তাহলে বেসরকারি খাতে কার্বনকে ভাল কাজে ব্যবহার করা যাবে। তবে সফলতা নির্ভর করবে ক্রমবর্ধমান জোগান এবং দাম পড়ে যাওয়ার সময়েও ‘কার্বন ফার্মিং’ লাভজনক থাকছে কি না, তার ওপর। কার্বন ফার্মিং হল বাতাসের কার্বনকে মাটিতে সঞ্চয় করে তাকে চাষের কাজে ব্যবহার করা। এই কার্বনের উৎস বাতাসের গ্রিনহাউস গ্যাস। ফলে এই চাষ বাড়াতে পারলে বাতাসের গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রাকে অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যাবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মূলত মানুষই দায়ী। ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কোন কোন বিষয়গুলি পরিবেশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে, জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করা জরুরি। সেটা সনাক্ত করে জীবনধারায় তার বদল ঘটাতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনকে অনেকটাই রুখে দেওয়া যাবে।
জীবনধারার কী কী পরিবর্তন জরুরি
১) খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা: খাদ্যতালিকায় মাংসের ব্যবহার কমিয়ে উদ্ভিদ-ভিত্তিক বিকল্পগুলি বেছে নিলে পরিবেশে কার্বনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যাবে। মাংস এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের উৎপাদন প্রচুর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে। তাই “মিটলেস সোমবার”-এ যোগ দিয়ে এবং খাদ্যতালিকায় নিরামিষ খাবারকে অন্তর্ভুক্ত করে জলবায়ু পরিবর্তনকে থামাতে হবে।
২) জলের ব্যবহার যথাযথ করা: মানুষের ব্যবহৃত জলকে পরিশুদ্ধ করতে, পাম্প চালিয়ে জল তুলতে এবং জলকে গরম করার জন্য যে এনার্জি কাজে লাগানো হয় তা কার্বন নির্গমন করে। তাই জলের যথাযথ ব্যবহার— জল অপচয় বন্ধের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমাবে।
৩) স্ট্রিমিং ভিডিও এবং অনলাইন গেমিং থেকে বিরত হওয়া: ডিজিটাল যুগে, স্ট্রিমিং ভিডিও এবং অনলাইন গেমিং-এ প্রচুর পরিমাণে শক্তি খরচ ও কার্বন নির্গত হয়। আমরা অনেকেই জানি না, এক ঘন্টার ভিডিও স্ট্রিম করা আর গাড়িকে চার মাইল চালানোয় সমপরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়। অপ্রয়োজনীয় অনলাইন স্ট্রিমিং কমিয়ে এবং ডিভাইস সেটিংসকে অপ্টিমাইজ করে আমরা আমাদের ডিজিটাল কার্বন ফুটপ্রিন্ট (মানুষের কাজের ফলে সৃষ্টি হওয়া মোট গ্রিনহাউস গ্যাস) কমাতে পারি।
৪) ঘন ঘন নতুন আসবাবপত্র কেনা বন্ধ করা: আসবাবশিল্প বন ধ্বংস করে এবং বর্জ্য উৎপাদন করে। ফলে বাতাসে কার্বন নিঃসরণ বাড়ে। তাই ঘন ঘন নতুন আসবাবপত্র কেনার পরিবর্তে আসবাবের সংস্কার, পুনর্নির্মাণ করা বা ব্যবহৃত আসবাব কেনার কথা বিবেচনা করা উচিত। এটি কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে সাহায্য করবে।
৫) দ্রুত ফ্যাশন ও জামাকাপড় বদল পরিত্যাগ করা: ফ্যাশনশিল্পও আসবাবশিল্পের মতন প্রচুর বর্জ্য সৃষ্টি করে। গোটা উৎপাদনচক্রে যথেষ্ট পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়। দ্রুত ফ্যাশন বদলের পরিবর্তে আপসাইক্লিং-এ জোর দিতে হবে যা পুরনো পোশাককে নতুনে রূপান্তরিত করে।
৬) অপ্রয়োজনীয় বিমান ভ্রমণ বন্ধ করা: ঘন ঘন উড়ানের ওঠানামা ও যাত্রা বাতাসে প্রচুর কার্বন নিঃসরণ করে। সেই কার্বন জলবায়ু পরিবর্তনে গতি দেয়। এটা মাথায় রেখে যতটা সম্ভব, কম দূরত্বের জন্য ট্রেন বা বাসের মতো পরিবহনকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।
৭) শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবহারে লাগাম: এসি, কুলারের দৈনন্দিন ব্যবহার বিশ্ব-উষ্ণায়নে ধনাত্মক প্রভাব ফেলে। এই যন্ত্রগুলিতে বেশিরভাগই হাইড্রোফ্লুরোকার্বন রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয়— যা প্রচুর গ্রিনহাউস গ্যাস (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন) সৃষ্টি করে। এছাড়া এগুলিকে চালাতে প্রচুর শক্তিরও প্রয়োজন পড়ে। অর্থাৎ এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রগুলি জলবায়ু পরিবর্তনে দু-দিক থেকে কুপ্রভাব ফেলে। বর্তমানে যন্ত্রগুলির ব্যবহার এতটাই বেড়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে এ-থেকে নিঃসৃত গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে এবং ২০৫০-এ তিনগুণে গিয়ে ঠেকবে। শুধু এই যন্ত্রগুলিই বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকে ৭ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে, ঘর ঠান্ডা করতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবহার যত বেশি করব, ততই আমরা পৃথিবীকে উত্তপ্ত করব। যদি বর্তমানে এই যন্ত্রগুলির ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে মানুষ সচেতন হন, তাহলে পৃথিবী অনেকটাই ঠান্ডা হয়। আমরা এসি, কুলার যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করব বলে যদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই তাহলে আমাদের জীবনধারায় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েই আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে অনেকটা ঠেকিয়ে দিতে পারি। আর স্বপ্ন দেখতে পারি সুন্দর এক দূষণমুক্ত পৃথিবীর।
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ সবার হলেও এই পরিবর্তনকে আটকাতে ব্যক্তিগত উদ্যোগ একান্ত কাম্য। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ব্যক্তির জীবনধারার বদল খুবই জরুরি। আলোচিত বিষয় ছাড়াও জীবনধারার আরও অনেক কিছুর বদল সম্ভব। সেই বদলের মধ্যে দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তনকে রুখতে হবে। তবেই সুন্দর পৃথিবী গড়ে উঠবে।
ঈষিকা তোমাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমি লেখাটা বেশ কয়েকবার পড়েছি। খুব ভালো লেগেছে।যা লিখেছো তার নিশ্চয়ই গভীর বিশ্বাস থেকে লেখা। এমনটা সত্যি হলে জানবো আগামীর বিশ্ব পরিবেশ আবার পরিশুদ্ধ হবে, বাসযোগ্য হবে। আমার বেশ কিছু লেখা আছে। সময়করে পড়তে পারো। ভালো থেকো।