নববসন্তে বাংলাদেশ— অষ্টম বর্ষ, তৃতীয় যাত্রা

স্টেশনমাস্টারের কলম

 

It was the best of times, it was the worst of times, it was the age of wisdom, it was the age of foolishness, it was the epoch of belief, it was the epoch of incredulity, it was the season of light, it was the season of darkness, it was the spring of hope, it was the winter of despair.

—Charles Dickens, A Tale of Two Cities.

আমরা, বাঙালিরা, এই মুহূর্তে যে সময়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছি, তা আপাতদৃষ্টিতে ঘোর তমসাচ্ছন্ন। প্রিয় পাঠক, নিশ্চয়ই লক্ষ করছেন, ‘বাঙালি’ শব্দটির ব্যবহারে, সচেতনভাবে, পদ্মা-মেঘনা ও ভাগীরথীর তীরবর্তী দুই পৃথক রাষ্ট্রীয় জাতিসত্তা অথচ অভিন্ন ভাষিক জনগোষ্ঠীকে একই বন্ধনীতে এনে ফেলা গেল। সীমানার এপারে, পশ্চিমবঙ্গে, রাধাগোবিন্দ করের নামাঙ্কিত হাসপাতালে কর্মরত জুনিয়র চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ (হ্যাঁ, খুন ও ধর্ষণ, সম্ভবত এই বিকৃততর ঘটনাক্রম মেনেই) এবং প্রশাসনিক মদতে ও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা ধামাচাপা দেওয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্টা বর্তমান শাসকের অপশাসনের শিখর স্পর্শ করেছে। তদন্তে একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, তাতে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে আমাদের রাজ্যে জনপরিষেবার স্তরে স্তরে পচন কতটা গভীরে শেকড় নামিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নাগরিক সুরক্ষা থেকে শুরু করে শাসনকাঠামোর প্রতিটি পর্যায়ে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও কায়েমি স্বার্থের থাবা এতখানি তীক্ষ্ণ, যে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে তাদেরই ভোটে নির্বাচিত সরকারের সামনে আগে কোনওদিন এতখানি অসহায় বলে মনে হয়নি।

পাশাপাশি, এই সেই সময় যখন রাজ্যের নাগরিক তাঁদের যাবতীয় অসহায়তা, ভীতি, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে জেগে উঠছেন, পথে নেমে রাতের পর রাত দখল করছেন, স্লোগানে স্লোগানে আকাশ মুখর করে রাখছেন। আরজিকর খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত রাজ্যজুড়ে আপামর মানুষের জনরোষ ও ধারাবাহিক প্রতিবাদের ঘটনা আক্ষরিক অর্থে অভূতপূর্ব। নন্দীগ্রামে পুলিশি গণহত্যা-পরবর্তী প্রতিবাদকে মাথায় রেখেও বলা যেতে পারে, স্বাধীনতার পরে বাংলার মানুষ এত ক্রোধে, এত স্বতঃস্ফূর্ততায় ন্যায়বিচার ও অধিকারের দাবিতে এর আগে এমনভাবে আর কখনও পথে নামেননি। যদিও বিক্ষোভের চরিত্র কী হওয়া উচিত— রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক— তাই নিয়ে জনগণের একাংশের মনে ধোঁয়াশা রয়েছে, যে-কোনও কারণেই হোক এইসব মানুষেরা বোঝেন না বা বুঝতে চান না যে এই পৃথিবীতে কোনও একটিমাত্র প্রতিবাদও অরাজনৈতিক হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এতদসত্ত্বেও একজন সহনাগরিকের প্রতি ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে এত মানুষের সংবেদন, ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নামা, নাছোড় বিক্ষোভ ও লাগাতার অবস্থান, অবশ্যই আভূমি আনত হয়ে কুর্নিশযোগ্য। কারণ যেকোনও বদল কার্যকর করতে হলে রাস্তাই একমাত্র রাস্তা। বাংলার মানুষ যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে এইভাবে লাগাতার পথের নামার অভ্যেসে ফিরতে পারেন, তাহলে যে রঙের শাসকই ভোটে জিতে এসে ক্ষমতায় চড়ে বসুন না কেন, তিনি স্বস্তিতে থাকতে পারবেন না। ফলস্বরূপ, আমাদের রাজ্যে ও দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শক্তিশালী হবে। আশু সঙ্কটের কোনও চটজলদি সমাধান না বেরিয়ে এলেও দীর্ঘমেয়াদি বিচারে এই জনরোষের বিস্ফোরণ দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে মঙ্গলকর হবে। যত বড় ফ্যাসিস্টই ভুলিয়েভালিয়ে ক্ষমতা দখল করুক না কেন, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে ফিরলে, সকলের সঙ্গে যুঝে নেওয়া যাবে। আর যেসব মহিলারা রাতদখলে হাঁটলেন, আজও হাঁটছেন, যেসব পুরুষেরা তাঁদের সঙ্গ দিলেন, যেসব মা-কাকিমারা আজীবন পুরুষতন্ত্রের সেবা করে এসে আজ হঠাৎ একটু থেমে কী যেন ভাবতে বসলেন, এই সমাজমন্থন অতি সামান্য হলেও সদর্থে প্রভাব ফেলবে তাঁদের সকলের জীবনে। আর তাঁদের ঘরের মেয়েটি, সমাজের প্রান্তে থাকা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষটি আরেকটু সাহস নিয়ে এসে দাঁড়াতে পারবে রাতের খোলা আকাশের নিচে। এই আত্মবিশ্বাসটুকুই, রাতদখলের আন্দোলন থেকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাঠকমাত্রেই জানেন, এই দ্রোহকালে, আমরা মুদ্রিত কৃষ্ণ অক্ষর নিয়ে আন্দোলনকারী সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। আগস্টের ১৫ তারিখ থেকে শুরু করে এখনও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে আমাদের বিশেষ সিরিজ— সারারাত ফোটাক তারা। বস্তুত, আমাদের ঘরে চার দেওয়ালের ভেতর এই অভ্যুত্থানকে পাখির চোখ করেছিলাম বলে গত দু-মাস স্থগিত বা অনিয়মিত ছিল অন্যান্য সংস্করণগুলির প্রকাশনা, প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরোয়নি রুটিনমাফিক মাসিক মেল ট্রেন, যা এইবার অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ পেতে চলেছে। আর এই সংখ্যার মূল ভাবনা, অতি অবশ্যই, এই সময়ের বাংলাদেশ ও তার সঙ্কট: নববসন্তে বাংলাদেশ—‘নয়া দেশ’ কোন পথে?

বস্তুত, এপার বাংলার মানুষ যে আরজিকর ইস্যুকে কেন্দ্র করে সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঠেলে সরিয়ে সকলে মিলে পথে নামতে পারলেন, নিঃসন্দেহে তার জন্য বেশ কিছুটা ধন্যবাদ দিতে হবে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের যুগান্তকারী কোটা-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে। সীমান্তের ওপারে আমাদেরই ভাইবোনেদের পথে নামা সাহস জুগিয়েছে আমাদের। বলা বাহুল্য, পশ্চিমবঙ্গের খুন ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন যেমন ইস্যুকেন্দ্রিক হয়েও শুধুমাত্র এই একটি ইস্যুভিত্তিক নয়, বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সরকারের দীর্ঘ অপশাসনের বিরুদ্ধে আরজিকরের ঘটনা চূড়ান্ত স্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করল, ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশের ছাত্র-আন্দোলন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের অপশাসন ও অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে মানুষের দীর্ঘদিন ধরে পুষে রাখা যাবতীয় ক্ষোভের স্নো-বলিং। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সমীকরণ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনির প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া স্বৈরাচারী হাসিনার অপসারণ নিঃসন্দেহে এত সাবলীল হত না, কিন্তু শাসকের বুলেটের সামনে বুক পেতে দাঁড়ানো অকুতোভয় ছাত্রদলকে দেখতে পাওয়া বাংলাদেশের এক বড় প্রাপ্তি। এই দুঃসাহসী ছাত্রদের জন্যেই গোটা বাংলাদেশ ও তাদের প্রতিবেশী-স্বজন আমরা ইতিহাসের এক বিরল সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হয়ে রইলাম।

 

কিন্তু এ বড় সুখের সময় নয়। আনন্দের মরশুম আসতে না আসতেই বাংলাদেশকে আবার ঘিরে ধরেছে অবসাদ ও হতাশার শীত। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনিক অনভিজ্ঞতা, গাফিলতি ও সর্বোপরি মতাদর্শগত দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে মৌলবাদী গোষ্ঠী অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটিতে মৌলবাদ-ঘনিষ্ঠদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, অথচ আন্দোলনকারী ছাত্রদের যোগ্য প্রতিনিধিত্ব তাতে নেই। ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে পাথেয় করে যে দেশ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল, পাকিস্তানি অত্যাচারের মুখ থেকে ছিনিয়ে এনেছিল রক্তাক্ত স্বাধীনতা, আজ নানা শিবিরে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। ক-দিন আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসমারোহে পালিত হল কায়েদ-এ-আজম মহম্মদ আলি জিন্নাহ-র জন্মদিন যা কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে অভাবনীয় ছিল। ৭১-এর স্বাধীনতা-উত্তর ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে ফিরিয়ে আনার চিন্তা দূর-অস্ত, সে-দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, পাহাড়ি এবং আদিবাসী চাকমা সম্প্রদায় হেনস্থার শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। স্বাধীনচেতা মেয়েদের চলাফেরার অধিকার বিঘ্নিত হচ্ছে খোদ ঢাকা শহরেই। অর্থাৎ হাসিনা স্বৈরাচারী ও চুড়ান্ত দুর্নীতিপরায়ণ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর আমলে ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যে সমীকরণই থাকুন না কেন, তাদের কাজকর্মে আপাতদৃষ্টিতে হলেও কিছুটা লাগাম পরানোর চেষ্টা ছিল, দেখা যাচ্ছে, বর্তমান জমানায় সেই আড়ালটুকুও উঠে গেছে।

তবে কি বাংলাদেশে এক মিথ্যে, এক ভুল বসন্ত এল? এর উত্তর আমরা এখনই জানি না। বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে এই নতুন সঙ্কটের মোকাবিলা করবেন, তা তাঁরাই ঠিক করবেন। তবে যেভাবে আমরা সীমানার এপারে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী সত্তার ওপর ভরসা রাখছি, ঠিক সেভাবেই ভরসা রাখছি বাংলাদেশের প্রগতিশীল ছাত্রসমাজ ও তাঁদের সমর্থক বাংলাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন জনগণের ওপর। আমাদের বিশ্বাস ও ভরসা আমরা অস্থানে রাখিনি বলে মনে হয়, যখন দেখি, রবীন্দ্রগানকে জাতীয় সঙ্গীতের স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে— এমন একটু কুশলী প্রচারের প্রতিবাদস্বরূপ এই সেদিন চট্টগ্রাম শহরে লক্ষকণ্ঠে ধ্বনিত হল ‘আমারা সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। আমরা দেখেছি, হাসিনা বিদায়ের অব্যবহিত পরে অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একদল দুষ্কৃতী গভীর রাতে শহরে শহরে হামলা চালাচ্ছিল মূলত সংখ্যালঘুদের ওপর, লুটপাট করছিল তাঁদের সম্পত্তি। ঠিক তখনই কলেজের অধ্যাপক তাঁর ছাত্রদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন রাতের রাস্তায়, সাইকেলে করে টহল দিচ্ছেন শহরের এ-মাথা ও-মাথা, পুলিশ-প্রশাসন বলে তখন কিছু নেই, তাই শিক্ষক ও ছাত্ররাই মাথায় তুলে নিয়েছে শহরের সাধারণ মানুষজনের জান ও মাল রক্ষার দায়িত্ব। আমরা দেখেছি, রাতভর হাতে হাত রেখে মানববন্ধন তৈরি করে তাঁদের সংখ্যালঘু বন্ধুদের বাড়ি রক্ষা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।

অর্থাৎ বাংলাদেশ লড়ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত নড়বড়ে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, আবার আশারও। ঘৃণার জয় হবে নাকি সহিষ্ণুতার, তা সময় বলবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ খারাপ থাকলে আমরাও ভাল থাকব না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি ভারত-চিন-আমেরিকা সম্পর্ক ও তাদের অভ্যন্তরীণ ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ নির্ধারিত করে দিতে পারে। এসব পররাষ্ট্রনীতির কূটকাচালি ও লাভ-ক্ষতির কূটনৈতিক অঙ্ক আপাতত সরিয়ে রাখলেও, সারা বিশ্বের সামনে নতুন বাংলাদেশকে সুনিশ্চিত করতে হবে যে সে তাঁর সংখ্যালঘু ধর্মসম্প্রদায়, প্রান্তিক ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে সক্ষম। যে-কোনও দেশে গণতন্ত্রের অ্যাসিড টেস্ট হল সে-দেশের সংখ্যালঘুর সম্মানজনক জীবনযাপনের মান সুনিশ্চিত করা, দুঃখজনক যে গোটা উপমহাদেশ বারবার এই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা জানি, সীমান্তের এপারে হিন্দুত্ববাদী শক্তি নানা ঢক্কানিনাদ, মিথ্যা ও অর্ধসত্য প্রচারের মাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে দেখানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু-পরিস্থিতি। কারণ একমাত্র মিথ্যাভাষণই তার নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ককে পুষ্ট করবে, প্রতিশোধের দোহাই দিয়ে অক্লেশে মহম্মদ আখলাখ বা আফরাজুল বা সাবির মল্লিকের লাশ ফেলে দিতে তাদের বিন্দুমাত্র বাধবে না। কিন্তু এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশকে মনে রাখতে হবে একজন, মাত্র একজন সংখ্যালঘুর প্রাণহানি বা সম্পত্তিক্ষয়ও অভিপ্রেত নয়। এই গুরুদায়িত্ব মূলত ছাত্রদের এবং ও-দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনের। দুর্গাপূজা আসন্ন। এবার যেন বাংলাদেশের কোনও গ্রামে হিন্দুদের পুজোয় মূর্তিভাঙার ছবি আমাদের দেখতে না হয়।

বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তৎপরবর্তী পরিস্থিতিই চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের অক্টোবর সংখ্যার চাবি-ভাবনা। এই সংখ্যায় লিখেছেন আশিস গুপ্ত, সৌমিত্র দস্তিদার, দেবকুমার সোম, রুখসানা কাজল, মোজাফফর হোসেন, বুদ্ধদেব ঘোষ এবং মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। এর সঙ্গে এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের একদম সামনের সারিতে থাকা দুই ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইভান তাহসীবের দুটি সাক্ষাৎকার আমরা প্রকাশ করছি। সাক্ষাৎকার দুটিই আমাদের হয়ে নিয়েছেন আমাদের পুরনো বন্ধু সাংবাদিক অর্ক ভাদুড়ি। তাঁর কাছে আমরা ঋণী। আশা করছি, আমাদের মতোই পাঠকও সমস্ত লেখাগুলি পড়ে চিন্তার খোরাক পাবেন, আরও বেশি স্বচ্ছতা ও সংবেদন নিয়ে বিচার করতে পারবেন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে।

এই সংখ্যায় আমরা স্মরণ করেছি সম্প্রতি-প্রয়াত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সীতারাম ইয়েচুরি এবং কলকাতার এক কাছের মানুষ পি থাঙ্কপ্পন নায়ারকে। তাঁদের স্মরণলেখ লিখে দিয়েছেন যথাক্রমে নীলোৎপল বসু এবং বৈদুর্য্য সরকার।

এছাড়াও রইল অন্যান্য নিয়মিত বিভাগ।

পড়বেন, মতামত দেবেন, সমালোচনা করবেন, সঙ্গে থাকবেন….

 

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4861 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...