সৌমিত্র দস্তিদার
এমন কোনও কুকীর্তি নেই যা লিগ আমলে হয়নি। এখন সরকারের বদল ঘটেছে। কিন্তু রাষ্ট্রের নীতি, তার আমলাতন্ত্র, সংবাদমাধ্যম, প্রশাসনিক কাঠামো রাতারাতি বদলে যেতে পারে না। ফলে এখন যে বাংলাদেশ দেখছি তা কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়। সমাজমাধ্যমে ফটোশপ, এআই-এর মাধ্যমে হাজার হাজার ফেক নিউজ ছড়িয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, এ এক অন্ধকার, বাংলাদেশ আদ্যন্ত মৌলবাদী দেশ। আমাদের অনেকের মনে কাঁটাতার গেঁথে আছে। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ অনেকেরই পছন্দ নয়। বাংলাদেশ তালিবানি রাষ্ট্র হতে চলেছে ভেবে যতটা আমরা উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি পুলকিত। এর মধ্যে সূক্ষ্ম ইসলামোফোবিয়া মনের গহীনে লুকিয়ে রয়েছে। আমরা স্বীকার করি বা না-ই করি
আজকাল যা পরিস্থিতি, তাতে বাংলাদেশ নিয়ে কোথাও কোনও আলোচনা করতেই বিরক্ত লাগে। কস্মিনকালেও যাঁরা ওই দেশের শিল্প সাহিত্য রাজনীতি সমাজ নিয়ে মাথা ঘামাননি, তাঁরাও “বাংলাদেশ গেল গেল” বলে রব তুলেছেন। আমাকে যদি বলতে হয়, তাহলে পছন্দ করুন অথবা না-ই করুন, প্রথমেই দুটো কথা বলব।
এক, শেখ হাসিনা নিঃসন্দেহে স্বৈরাচারী শাসক ছিলেন। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এমন কোনও কুকার্য নেই যা তিনি করেননি।
দুই, বাংলাদেশ কোনওদিনই তথাকথিত ইসলামিক বা তালিবান রাষ্ট্র হবে না।
প্রথমে যে কথাটা বলেছি সে বিষয়ে আপনি খোলা চোখে খোঁজ নিন, সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকজন একই কথা বলবেন। আপনি হয়তো মতামতটা মানতে পারছেন না কারণ আপনি সারাজীবন একমাত্র আওয়ামি লিগের ন্যারেটিভ জেনে এসেছেন। আওয়ামি লিগ প্রতিষ্ঠা থেকে ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের ছাত্ররাজনীতি থেকে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক হিসেবে আমরা অনেকেই শুধুমাত্র একজনের কথাই শুনে এসেছি। বাংলাদেশের মানুষও কার্যত বাধ্য হয়ে তা মেনে এসেছেন। দীর্ঘসময় ধরে লিগের প্রতিষ্ঠা-দিন বলুন কিংবা ৭ মার্চ, শেখসাহেবের একাধিক ভাষণ জেলায় জেলায়, মহল্লায়, অলিগলিতে, পাড়ায় পাড়ায় ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাইকে গর্জে উঠত। ১৯৪৯ সালের ২৩ মার্চ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে আওয়ামি মুসলিম লিগের জন্ম হয়েছিল মূলত মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে। ভাসানী স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমানকে নতুন দলের অন্যতম সহসম্পাদক করেছিলেন। আবার তিনিই, মওলানা ভাসানী, পরবর্তীকালে দলকে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চেয়ে আওয়ামি মুসলিম লিগের মধ্যে থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়েছিলেন। অথচ লিগের প্রতিষ্ঠা দিবসে এমনভাবে বিজ্ঞাপিত করা হত গোটা বিষয়টিকে, যাতে নতুন প্রজন্মের কাছে মাত্র একজনকেই মহিমান্বিত করে অন্যান্য নামকে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া যায়। এ কিন্তু মোটেও নিছক মুজিবপ্রেম নয়। মেয়ে হিসেবে বাবাকে ভালবাসার আতিশয্যে শেখ হাসিনা একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলতেন— ব্যাপারটা এমন নয়। এ পুরোপুরি সুচতুর রাজনৈতিক কৌশল। ফ্যাসিবাদের কাজই তো একজনকেই নায়ক বানিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি লার্জার দ্যান লাইফ করে গড়ে তোলা।
যে নবীনেরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরা সবাই সেই সিলেবাস পড়েই বড় হয়েছেন যাতে শুধুমাত্র মুজিববন্দনা আর আওয়ামি লিগকে মুক্তিযুদ্ধের একতরফা সংগ্রামী সংগঠন বলে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হয়েছে। আওয়ামি লিগ সচেতনভাবেই একাধিক মিথের জন্ম দিয়েছিল। প্রচার করা হয়েছিল যে একমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানই ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। কিন্তু যতই গোয়েবলসের নীতি অনুসরণ করা হোক না কেন, চিরকাল কি কাউকে বোকা বানানো যায়!! নতুন প্রজন্মের মনে যেদিন ইতিহাসের সত্যি-মিথ্যে নিয়ে প্রশ্ন উঠে এল, সেদিন থেকেই নিঃশব্দে আজকের হাসিনা-বিদায় পালা লেখার সূচনা হয়েছিল।
অথচ লিগ-লিখিত ইতিহাসের বাইরে গিয়ে যে-কেউ পুরনো দলিলপত্তর ঘাঁটলেই দেখতে পাবেন, শেখসাহেব চেয়েছিলেন স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনতা নয়। এমনকি ওঁর বিখ্যাত ছয় দফা দাবিসনদেও ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি নেই। এই স্বায়ত্তশাসন দাবিও এসেছে অনেক পরে। ১৯৫৭-তে মওলানা ভাসানীর সঙ্গে সোহরাওয়ার্দি সাহেবের বিরোধ ছিল দুটি বিষয়ে। এক, আমেরিকার প্রশ্নে। সোহরাওয়ার্দি ছিলেন আমেরিকাপন্থী। ভাসানী এর বিপরীতে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, সোহরাওয়ার্দি বলেছিলেন যে পূর্ববঙ্গের স্বায়ত্তশাসন ৯৮ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।
ওই দুই গুরুতর প্রশ্নেই শেষ পর্যন্ত আওয়ামি লিগ থেকে সরে যান ভাসানী। গড়ে ওঠে ন্যাপ বা ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি। শেখ মুজিব তো ছিলেন সোহরাওয়ার্দির সমর্থক। তিনি তো মেনেই নিয়েছিলেন যে পূর্ববঙ্গে ৯৮ শতাংশ স্বায়ত্তশাসন হয়ে গেছে। তাহলে স্বাধীনতার কথা তাঁর মাথায় কখন ঢ়ুকল এবং কেন! বলে রাখা দরকার, মুজিব এমনকি ১৯৭০ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও আলাদা দেশ হোক তা চাননি। সবসময় চেয়েছিলেন যে দুই পাকিস্তানের মধ্যে একধরনের ফেডারেল সিস্টেম গড়ে উঠুক। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পূর্ববঙ্গের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনির ক্র্যাকডাউনের আগে অবধি তিনি ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করছেন শান্তিচুক্তি সম্পাদন করবেন বলে। একমাত্র ৭ মার্চের ভাষণে তিনি প্রথম ও মোটামুটি স্পষ্টভাবে স্বাধীনতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাও বক্তৃতার শেষে, শোনা যায়, তিনি জয়বাংলা ও জয় পাকিস্তান একইসঙ্গে বলেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামি লিগের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু ওই যুদ্ধ ছিল পুরোপুরি জনযুদ্ধ। একা আওয়ামি লিগ দেশ স্বাধীন করেছে, এ এক মিথ। বাস্তব সত্য নয়। সেখানেও আওয়ামি লিগের মধ্যে যুদ্ধজয়ের মুখ্য নায়ক তাজউদ্দীন আহমদ। এই সেই তাজউদ্দীন ক্ষমতায় এসে কিছুদিনের মধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমান যাঁকে ক্যাবিনেট থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। হাসিনা রেজিমে তাজউদ্দীন আহমেদকে কখনওই তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। বরং তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। মেয়ে এবং বাবার মধ্যে এ এক অদ্ভুত মিল। কেউই নিন্দে পছন্দ করতেন না। চারপাশের স্তাবক পরিবৃত হয়ে থাকাই পছন্দসই ছিল দুজনেরই।
আমাদের অর্থাৎ গোটা ভারত উপমহাদেশের এক মস্ত দোষ, তা হল, কেউ জননেতা হলেই তাঁকে কালো বা সাদায় বিভক্ত করে ফেলা। হয় দেবতা ভাবা, না হয় তিনি খলনায়ক। শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যেও একাধিক গুণ আবিষ্কার করা মোটেই কঠিন নয়। সত্যিই তিনি ছিলেন অসাধারন বাগ্মী, সংগঠক এবং সাহসী। গোটা দেশের মানুষের পূর্ণ সমর্থন আদায় করে নেওয়ার মতো ক্যারিশ্মা তাঁর অবশ্যই ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটা দক্ষ ছিলেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
বর্তমানের বাংলাদেশকে বুঝতে গেলে তার অতীতকে জানতে হবে। আওয়ামি লিগের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নিজেদের অতীতকে জানেন না। জানেন না, হাসিনার আমলে ভোট কারচুপি নতুন কোনও ঘটনা নয়। শেখ মুজিব ক্ষমতায় থাকতেই ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছিল। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শেখ মুজিব বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মৃত্যুঘন্টা বাজিয়েছিলেন। শেখসাহেবের মুজিববাহিনি ও রক্ষীবাহিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫-এর মধ্যে কত হাজার বামকর্মী-সমর্থকদের খুন করেছিল তার হিসেব আজও সামনে আসেনি। শেখ মুজিবুর রহমান যখন বামপন্থীদের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করছেন, ঠিক তখনই তিনি রাজাকার, আলবদর, জামাত— যারা সকলেই যুদ্ধাপরাধী— তাদের সবাইকে নিঃশর্তে ঢালাও ক্ষমা করে দিচ্ছেন।
এর মধ্যেও তাঁর কুশলী রাজনীতি ছিল। তা হল, ইসলামিক দুনিয়াকে বার্তা দেওয়া, আমি তোমাদেরই লোক। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাইট উইং লবিকে জানিয়ে দেওয়া যে বাংলাদেশে বামপন্থীদের কোনও জায়গা নেই। আজ যাঁরা শেখ হাসিনার ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি গদগদ মুখে প্রচর করছেন, তাঁদের বলব, আওয়ামি লিগ কোনওদিনই ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি নয়। লিগের মধ্যে যে প্রগতিশীল গোষ্ঠী ছিল জন্মসময় থেকে, তা পুরোটাই ন্যাপের সঙ্গে বেরিয়ে চলে গেছিল। তাও যেটুকু প্রগতিশীলতা ছিল, বাংলাদেশ জন্মের পরপরই তাজউদ্দীন আহমদকে কোনঠাসা করার মধ্যে দিয়ে তার অবলুপ্তি ঘটেছিল।
এবারের ছাত্র আন্দোলন-পরবর্তী বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে বলব, যা সবচেয়ে ইতিবাচক দিক, তা হল ইতিহাসের পুনর্মূল্যায়ন। যে ন্যারেটিভ দিনের পর আমাদের শেখানো হয়েছে, অবশেষে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে।
শেখ হাসিনার ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বাংলাদেশে ২০১৩ থেকে ২০২১ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নানা সময় আক্রমণ করা হয়েছে। শত্রুসম্পত্তি আইনে জমি লুঠ থেকে নানাভাবে যে তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে তার যথেষ্ট তথ্য আছে। এখন অনেকে পাহাড় নিয়ে হাহাকার করছেন। পাহাড় বরাবরই অবহেলিত। শেখসাহেব একবার উপদেশ দিয়েছিলেন, পাহাড়িদের সব বাঙালি হয়ে যেতে। সবার সব স্বাতন্ত্র্য মুছে ফেলাও নিঃসন্দেহে এক ফ্যাসিবাদী চিন্তা। ফলে পাহাড় এখন নয়, সবসময় বৈষম্যের শিকার। সে কি বাংলাদেশে, কি ভারতে। যেমন আমাদের দেশে উত্তরপূর্বের দিকে তাকালেই কেন্দ্র সরকার সেখানকার মানুষজনের কী অবস্থা করেছে তা দেখতে পাব। কিন্তু আজ লিগের দলবল পাহাড় নিয়ে যেভাবে কুমিরের কান্না কাঁদছেন তাতে হাসি পায়। কল্পনা চাকমা কীভাবে খুন হলেন, মাইকেল চাকমাকে কে বা কারা আয়নাঘরে আটকে রাখল, তা নিয়ে তদন্ত হলেই সব সত্যি সামনে আসবে।
আগেই বলেছি, এমন কোনও কুকীর্তি নেই যা লিগ আমলে হয়নি। এখন সরকারের বদল ঘটেছে। কিন্তু রাষ্ট্রের নীতি, তার আমলাতন্ত্র, সংবাদমাধ্যম, প্রশাসনিক কাঠামো রাতারাতি বদলে যেতে পারে না। ফলে এখন যে বাংলাদেশ দেখছি তা কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নেই। ফরাসি বা রুশ বিপ্লবের পরে নৈরাজ্য ঘটেছে। আর এ তো না-বলশেভিক, না-ইসলামি বিপ্লব। ফলে নানান ধরনের ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ঘটবেই। সমাজমাধ্যমে ফটোশপ, এআই-এর মাধ্যমে হাজার হাজার ফেক নিউজ ছড়িয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, এ এক অন্ধকার, বাংলাদেশ আদ্যন্ত মৌলবাদী দেশ। আমাদের অনেকের মনে কাঁটাতার গেঁথে আছে। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ অনেকেরই পছন্দ নয়। পুরনো ঔপনিবেশিক চোখ দিয়ে ওই দেশকে দেখলে অনেক বিসদৃশ দৃশ্য দৃশ্যমান হবে। বাংলাদেশ তালিবানি রাষ্ট্র হতে চলেছে ভেবে যতটা আমরা উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি পুলকিত। এর মধ্যে সূক্ষ্ম ইসলামোফোবিয়া মনের গহীনে লুকিয়ে রয়েছে। আমরা স্বীকার করি বা না-ই করি। পূর্ববঙ্গের মানুষ একদিন বুকের রক্ত দিয়ে ভাষাকে রক্ষা করেছিলেন। দেশ স্বাধীন করেছিলেন যুদ্ধ করে। সেই দেশের গভীরে লুকিয়ে রয়েছে এক উদার মানসিকতা। ও-দেশে গেলে, মাইলের পর মাইল আমি ঘুরে বেড়াই। দলিত বস্তি, মোহাজের ক্যাম্প, হিন্দু-অধ্যুষিত ছিয়াত্তর গ্রাম, বরিশালের আটঘর কুড়িয়ানা, সন্তোষের সেই গোয়ালাপাড়ায়, যাঁরা আজও মনে রেখেছেন তাঁদের হুজুর মওলানা ভাসানীর কথা যিনি বলতেন, পৃথিবীতে দুটি ধর্ম জালিম ও মজলুম। হিন্দুর ক্ষুধা, মুসলমানের ক্ষুধা, বৌদ্ধের ক্ষুধা, খ্রিস্টানের ক্ষুধা একইরকম। শোষক ও জালিমের কোনও ধর্ম নাই। বাংলাদেশকে আমি ভালবাসি। ওই দেশ, সে-ও আমাকে ভালবাসে। আমি জানি কোনওদিনই আমার বাংলাদেশ চরম দক্ষিণপন্থী পথে হাঁটবে না, বরং দক্ষিণপন্থাকে অস্বীকার করে লালন-ভাসানী-নজরুলের পথই গ্রহণ করবে৷ আমি সেই দিনের অপেক্ষায় থাকব।