অভীক মজুমদার
মহাকাল
কালো। মহাকাল?
জ্বালো গো মশাল।
শীত ফুরোবে না জানি
এ জন্মে রোজ
জ্বালি দেহকণা
মেলে দিই কাঁথাকানি
শূন্যে
সুতোর বদলে সেখানে
ওড়ে মেঘ ওড়ে আলো,
সড়ক ঘনায়। হে অন্যমনা
আড়ালে নিশীথ ঢালো
এই ধরণীখাতে
শোনো মাঝরাতে
ধানে গানে উত্তাল
জাগে সে জলজ
ছায়া-হরিণী গো
ইহকাল-পরকাল…
কালো মহাকাল
জ্বালেনি মশাল
পথ ফুরোবে না জানি
প্রজাপতি
প্রজাপতি আট-৯ দিন বাঁচে
কৃত্রিম খাঁচায় ঢুকে আমি দেখি
আনন্দজীবন।
ক্ষণসময়ের মেঘ, ক্ষণসময়ের রোদ
ক্ষণকালীনের ওড়াউড়ি…
আমার ছেলের হাত
আমার মেয়ের হাত
চেপে ধরি দু-মুঠোয়।
পুত্রকে জিজ্ঞেস করি, ‘আরও কত লম্বা হবি?’
আলতো হাতে বেঁধে দিই
মেয়ের রিবন।
রূপান্তরকামী
মেনে তো নিয়েছি সব মনে মনে মনে
এভাবে আয়ুযাপনে
বিষাদপবনে
বিকেল বিবৃত হল
আর কী বা বাকি থাকে পাখি
কুয়াশা কি স্নায়ুজুড়ে
স্বপ্ন ঢেকে শুধু কুয়াশা কি?
কোথায় আতসবাজি ফাটে?
রঙমশাল তুবড়ি ফুলঝুরি
সমস্ত প্রতীকই গেছে চুরি
সেসব মেনেই একা বসে আছি
রূপান্তরকামী,
সূর্যাস্ত ললাটে…