এ নদী কেমন নদী

সোমনাথ মুখোপাধ্যায়

 


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে যমুনার এই বিপর্যয়ের পেছনে রয়েছে নদী নিয়ে মানুষের দীর্ঘদিনের উপেক্ষা এবং অবহেলা। নদীতীরবর্তী কলকারখানা থেকে অবাধে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে মিশছে অপরিশ্রুত রাসায়নিক বর্জ্যমিশ্রিত বিষাক্ত কালো জল। জলে ভাসছে চেনা-অচেনা নানান ধরনের ময়লা। যমুনা নদীর দৈর্ঘ্য ১৩৭৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ দিল্লির মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। কেন্দ্রীয় সরকারি দূষণ পরিমাপক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে দিল্লি শহর এই নদীতে মিশিয়ে দিচ্ছে মোট দূষকের ৭৬ শতাংশ। ঘনবসতিপূর্ণ দিল্লি শহর একাই এই ভয়ঙ্কর পরিণতির জন্য দায়ী। দিল্লির এই দূষিত জল‌ই নদীর ভাটির দিকে থাকা মানুষজন ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন অনন্যোপায় হয়ে। নদীর জলেই তাঁদের স্নান-পান সব কিছু

 

আজ রবিবার। ঘন্টুসের মা টিয়া সারা সপ্তাহের নোংরা জামাকাপড়গুলো কাচার জন্য বালতিতে জল দিয়ে তার মধ্যে দু-চামচ ডিটারজেন্ট ঢালতেই কোথা থেকে প্রায় উড়ে এসে বালতির ভেতর হাত ঢুকিয়ে বনবনিয়ে ঘোরাতে থাকে বছর ছয়েকের ঘন্টুস। এটা ওর কাছে একটা খেলার মতো। মা টিয়ার হাতের দুটো কিল্ পিঠে পড়ার আগেই ঘন্টুস হাততালি দিয়ে ছড়া কাটতে কাটতে নাচতে থাকে—

বালতিতে ঢেলে জল, দাও তাতে পাউডার,
ঘোরালে নিজের হাত, ঘটবে যে ওন্ডার।

মা টিয়া খানিকটা অবাক হয়ে যান ছেলের এমন কাণ্ড দেখে। ঘন্টুসের তাতে বিন্দুমাত্র হুঁশ নেই। অবশ্য বালতি উপচে ডিটারজেন্টের সফেন জল মেঝেতে গড়িয়ে পড়তেই ওয়াইপার নিয়ে তা পরিষ্কার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টিয়া, না হলে যে আরও বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হবে।

ঘন্টুসের কাণ্ড যদি ঘরের ভেতরেই এমন হইচই ফেলে দেয়, তাহলে এমনটা বাইরে ঘটলে কী হত! বিষয়টি হল এই যে এমন ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশের তথা উত্তরভারতের অন্যতম নদী যমুনার সঙ্গে। এই মুহূর্তে যমুনার জল সম্পূর্ণভাবে ঢাকা পড়ে গেছে ধবধবে সাদা ফেনায়। এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। নদীর জল বিষাক্ত ফেনায় ঢাকা পড়ে যাওয়ার ঘটনা নিকট-অতীতে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। আমরা সবাই সেই সফেন নদীর ছবি দেখে সামান্য হাহুতাশ করেছি, বিস্তর গালমন্দ করেছি প্রশাসনকে। ব্যস্, হয়ে গেল। যেন এর চেয়ে বেশি কিছু করা আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়‌ই নয়।

 

অথচ পুণ্যতোয়া গঙ্গার মতো, যমুনা নদী নিয়েও কিন্তু আমাদের পৌরাণিক নস্টালজিয়ার অন্ত নেই। সে সব কথা অল্পস্বল্প করে বলার চেষ্টা করি। পৌরাণিক সূত্রে বলা হয়েছে যে যমুনা হলেন স্বয়ং সূর্যদেবের কন্যা এবং কালান্তক যমের ভগিনী (যমুনা দেয় ভাই যমেরে ফোঁটা)। অবশ্য এর বিকল্প ব্যাখ্যাও রয়েছে। সেই বিবরণীতে বলা হয়েছে একদা মুণিবর বিশ্বামিত্র গঙ্গাতীরে এক মহা যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মুণি বিশ্বামিত্রের এই কর্মকাণ্ডকে মেনে নিতে পারেননি দেবী গঙ্গা। তাই তিনি হুমকি দিলেন যে তিনি ধরিত্রীর বুকে মহাপ্লাবন ঘটাবেন। ঐশ্বরিক ঘোষণা বলে কথা! যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। কুলপ্লাবী বন্যায় ভেসে গেল চারদিক। নানান খাতে ব‌ইতে লাগল গঙ্গার জল। তার‌ই একটি হল আজকের যমুনা।

তবে যমুনা নদীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে আছে কালাচাঁদ কেষ্টঠাকুরের নাম। ভাগবত পুরাণমতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্য, কৈশোর ও যৌবনের অনেকটা সময় কেটেছে যমুনা নদীকে ঘিরে। শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবনলীলার পুরোটাই তো এই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ঘটেছে। গোপিনীদের সঙ্গে তার ঐশী প্রেমপর্ব থেকে শুরু করে শ্রীমতী রাধিকার সঙ্গে রাসলীলা— সব‌ই এই যমুনার তীরে। কালীয় নাগ দমনের রোমাঞ্চকর কৃষ্ণ-কাহিনির অনুষঙ্গেও উঠে আসে যমুনার সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পৃক্তির কথা। মহাভারতের আখ্যানেও উল্লেখ রয়েছে এই পবিত্র নদীর।

তবে উদ্বেগের বিষয় হল এই যে, এমন ঈশ্বরীয় স্মৃতিধন্য নদীটি এখন তার তথাকথিত পবিত্রতা হারিয়েছে। এ-কথা আর নতুন করে বোধহয় বলার দরকার নেই। এর আগে একাধিক নিবন্ধে নষ্ট হয়ে যাওয়া নদীদের কথা বলেছি। মানুষের সঙ্গে নদীর আবহমানকালের সম্পর্কের বন্ধন কীভাবে একটু একটু করে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলগা হয়ে গেছে সে করুণ কাহিনিও বোধকরি এখন আর পাঠকদের অবিদিত নয়। তবুও বারেবারে এক‌ই প্রসঙ্গের অবতারণা করতে হয়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে।

এই মুহূর্তে যমুনার জল এতটাই দূষিত হয়ে পড়েছে যে তা নিয়ে স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে দিল্লি তথা উত্তরভারতের রাজনীতি রীতিমতো সরগরম। যমুনা পূতপবিত্র গঙ্গার ডানতীরের সবচেয়ে বড় ও প্রধান উপনদী। প্রয়াগে গিয়ে এই নদীটি গঙ্গার সঙ্গে গিয়ে মিশেছে। এছাড়াও অধুনালুপ্ত সরস্বতী নদীও এই প্রয়াগতীর্থেই গঙ্গা-যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়ে তৈরি করেছে পবিত্র ত্রিবেণীসঙ্গম। আপামর ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের কাছে পবিত্র তীর্থস্থান। প্রসিদ্ধ কুম্ভমেলার পীঠভূমি। এমন‌ই এক নদী বারংবার দূষিত ফেনায় ভরে উঠছে কেন? আসুন এর পেছনের কারণগুলো খুঁজে দেখার চেষ্টা করি।

জলে ফেনা হয় কেন? স্থির জলে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তা থেকে ফেনা সৃষ্টি হয়। এক মগ জল নিয়ে জলে ভরা বালতিতে একটু উঁচু থেকে ঢালুন, দেখবেন বালতির জলে বুদবুদ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এগুলো খুব স্থায়ী নয়। যমুনার সাম্প্রতিক সফেন হয়ে ওঠার পেছনে প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক— এই দু-ধরনের কারণ‌ই জড়িত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে জলের ভেতরে থাকা জলজ উদ্ভিদেরা পচে গলে গেলে তার থেকে আবদ্ধ পুষ্টিমৌলসমূহ জলের সঙ্গে মিশে যায় এবং জলকে ফেনিল করে তোলে।

 

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এক্ষেত্রে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থসমূহ অতিরিক্ত মাত্রায় যমুনার জলে মিশে যাওয়ার ফলেই এমন বিপত্তি ঘটেছে। প্রশ্ন হল এসবের উৎস কী?

আমাদের দেশের অধিকাংশ নদীকেই আমরা অঞ্চলভেদে এক-একটি বিশ্বস্ত পয়ঃপ্রণালীতে পরিণত করেছি। নদীর তীরে গজিয়ে ওঠা জনপদগুলো থেকে নাগরিক বর্জ্যসমূহকে অপরিশোধিত অবস্থায় নদীতেই বিসর্জন দিচ্ছি। এর সঙ্গে বর্জ্যের আকারে মিশছে বিপুল পরিমাণ শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ, কৃষিক্ষেত্র থেকে বৃষ্টির জলের মাধ্যমে ধুয়ে আসা ফসফেট জাতীয় রাসায়নিক পদার্থসমূহ যা নদীতে ফেনা তৈরিতে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এই ফেনায় বিপজ্জনক মাত্রায় অ্যামোনিয়া ও ফসফেট উপস্থিত রয়েছে যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে যমুনার তীরে বসবাসকারী মানুষজনের ফুসফুস ও ত্বকের সমস্যা দেখা দিয়েছে, যদিও সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে তেমন সচেতন নন বা সচেতন হলেও তাদের কাছে নদীর এই দূষিত জল ছাড়া জলের কোনও বিকল্প উৎস নেই।

এই মুহূর্তে দেশের রাজধানী শহর দিল্লি দূষণভারে গভীরভাবে আক্রান্ত। ইতোমধ্যেই দিল্লির মাথায় উঠেছে পৃথিবীর দূষিততম মহানগরীর কলঙ্কিত তকমা। বিগত কয়েক বছর ধরে দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যে এই মহানগরীর আবাসিকরা দিল্লি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার উপায় খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে। এমন একটা প্রেক্ষাপটে প্রায় দুই কোটি দিল্লিবাসী মহা আশঙ্কায় মুহ্যমান হয়ে গেছে। দিল্লির বিশেষ কিছু অংশে, যেমন কালিন্দী কুঞ্জ্ এলাকায় যমুনা নদীর জলের ওপর প্রায় তিন ফিটের কাছাকাছি উচ্চতায় ফেনা জমে উঠেছে। কী ভয়ঙ্কর অবস্থা! দিল্লির প্রশাসন, শহরের যমুনাতীরবর্তী অঞ্চলের স্কুল ও দফতরগুলোকে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে যমুনার এই বিপর্যয়ের পেছনে রয়েছে নদী নিয়ে মানুষের দীর্ঘদিনের উপেক্ষা এবং অবহেলা। নদীতীরবর্তী কলকারখানা থেকে অবাধে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে মিশছে অপরিশ্রুত রাসায়নিক বর্জ্যমিশ্রিত বিষাক্ত কালো জল। জলে ভাসছে চেনা-অচেনা নানান ধরনের ময়লা। যমুনা নদীর দৈর্ঘ্য ১৩৭৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ দিল্লির মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। কেন্দ্রীয় সরকারি দূষণ পরিমাপক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে দিল্লি শহর এই নদীতে মিশিয়ে দিচ্ছে মোট দূষকের ৭৬ শতাংশ। ঘনবসতিপূর্ণ দিল্লি শহর একাই এই ভয়ঙ্কর পরিণতির জন্য দায়ী। দিল্লির এই দূষিত জল‌ই নদীর ভাটির দিকে থাকা মানুষজন ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন অনন্যোপায় হয়ে। নদীর জলেই তাঁদের স্নান-পান সব কিছু। দীপাবলীর অব্যবহিত পরেই আসছে ছটপুজো। সূর্যদেবতার আরাধনা ও উদযাপন সবটাই নদীর তীরে। বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে এই উপলক্ষে। নদীর এমন অবস্থা নতুন কোনও বিপদ ডেকে আনতে পারে ভেবে প্রশাসন শঙ্কিত। শীত সমাগত। এর মধ্যেই ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে দিল্লির আকাশ। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শুরু হয়েছে জমির নাড়া পোড়ানো। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যমুনার দূষণ। সরকার ভাবছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে। জানি না কী অপেক্ষা করছে দিল্লির কপালে!

নদীর হাল এমন দেখে সোশাল মিডিয়ায় নানান মন্তব্যের উপচে পড়া ভিড় নজরে আসছে। কেউ কেউ নিছক রসিকতা করেছেন, আবার অন্য কারও মতামতের ভেতরে উঠে এসেছে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। যমুনার হাল নিয়ে খানিকটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মাননীয় ভীম সিং রাওয়াত, Associate Coordinator of the South Asia Network on Dams, Rivers and People (SANDRP)‌। তাঁর মতে—

সবে বর্ষার পর্ব শেষ হয়েছে। এই সময় নদীর হাল এমন হ‌ওয়াটা আমার কাছে বেশ অবাক করা ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। এই সময় নদীর উজানী প্রবাহের অংশে একাধিক বন্যার প্রাদুর্ভাব ঘটে, যার ফলে ভাটির দিকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। এই বছর এমন ঘটনা না ঘটায় যমুনা নদীর এমন অবস্থা। এটা সত্যিই অস্বাভাবিক। নদীতে জলের জোগান সাধারণত এখন যতটা থাকে, এই মুহূর্তে তার থেকে কম জলের জোগান রয়েছে। তবে এ-কথা বলে নদীতে দূষণের মাত্রাকে খাটো করে দেখার কোনও সুযোগ নেই। নদীর জলের স্বাভাবিক জোগানকে আমরা কখনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, কিন্তু নদীর দূষণের পরিমাণকে অবশ্যই সহনীয় মাত্রায় ধরে রাখতে পারি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা আমাদের নদীগুলোর সঙ্গে যে দুঃখজনক আচরণ করে চলেছি, যমুনাদূষণ তার‌ই অনিবার্য প্রতিফল।

 

এই নিবন্ধটির ইতি টানার মুখে খবর আসছে উত্তরপ্রদেশের সাম্ভাল জেলায় গঙ্গার উপনদী সোত্ প্রবল দূষণের শিকার হয়েছে। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কিছু মাংস প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কারখানা। সেই সব কারখানা থেকে বিভিন্ন ধরনের জৈব ও অজৈব বর্জ্যপদার্থ নিয়মিতভাবেই ফেলা হয় নদীতে। এই জল গিয়ে মিশছে গঙ্গার জলের সঙ্গে। ফলে কেবলমাত্র সোত্ নদীতেই দূষণের প্রভাব সীমিত থাকছে না, তা গঙ্গার জলকেও সমানভাবে নষ্ট করছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে। কোথায় তাকাবেন? সর্বত্রই দূষণ বিদ্যমান!!!

এবার সত্যিই এই প্রসঙ্গের ইতি টানব। তবে বিদায় নেওয়ার আগে একবার স্মরণ করব সাংবাদিক অজয় সিং রাঠির প্রাসঙ্গিক মন্তব্য। যমুনার এমন হাল দেখে রাঠিসাহেব বিচলিত, ব্যথিত চিত্তে একটি ছোট্ট ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন—

মা যমুনা এক অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং তাঁর সঙ্গে এমনটাই ঘটছে দেশের রাজধানী শহর দিল্লিতে যেখানে পরিস্থিতি দেখভালের জন্য একটি নয়, দু-দুটি সরকার নিযুক্ত রয়েছে। যমুনা মায়ের যন্ত্রণায় কি আপনাদের হৃদয়ে কোনও ব্যথা জাগছে না?

নদীর দুঃখে আমরা সবাই কবে আকুল হয়ে কাঁদব বলতে পারেন? সত্যিই কান্না চাই।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4868 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...