দুটি কবিতা

অনীক রুদ্র

 

অ্যামিবা

প্রলয়ের পরবর্তী জীবন নিবদ্ধ এক কোষে। সান্নিধ্য

ও যাবতীয় প্রাণদ লক্ষণ, অনুপ্রভা

 

আদ্য মান, যে ইঙ্গিত বহন করে কালচক্রে

মনুষ্যস্বভাবে যার অনিবার্য প্রকাশ ঘটেছে

 

ঐতরিক ক্রিয়াযোগ অন্যবিধ জীবিকা সমেত

তাই উপলব্ধ হয় কখনো ঐন্দ্রিয় দোষে

 

কামশক্তি লক্ষণীয় এবং অলঙ্ঘ্যণীয়

সমস্ত ইশারা তারও বিমূর্ত হয়েছে

 

আমার অন্তরায়


দিল দেখে দিবানার প্রক্রিয়া

আমার লোক-ঠকানো

একটা নিরাবরণ আড্ডার চক্রে

আমার লক্ষ্য উচ্ছলিত পাত্রের দিকে, অনেক

পরিশ্রমের পর আমি সিন্ডিকেট আর প্রতিবাদ-সভার

কথা, ভুলতে চাইছি

সম্পূর্ণ যোগাযোগবিচ্ছিন্ন একটা সময়

তোমাদের সঙ্গে উপভোগ করব বলে

কোনোদিন যে কোথাও ফিরব না

তা জেনে-নেওয়ার জন্যই এমন উদ্বাহু নৃত্য!

প্রাচীন ঘর হল তোমারও ঘুমনোর জায়গা

এই একটা সময় আমিও যোগাযোগহীন বেঁচে থাকি

এ আমার হৃদ্‌স্পন্দন চিন্তা করি তখনো

কলকব্জা চলছে কী না!

তিনজন মাতব্বর রবীন্দ্র-গান শুনিয়ে ব্যক্ত করে

প্রেমের মাত্রা। তখন দিন ছিল অন্যরকম। আর

খেলাও

তখনো অন্যরকম চুম্বন ছিল। খাজুরাহোর শরীরে

কিংবা বিদগ্ধ গ্রন্থাগারিকের লুকিয়ে-রাখা নথিতে

একটা ধর্ষণের দৃশ্য উপভোগ করতেন সরকারি আমলারা

সেটা পর্দায়। মানে, এল-ই-ডি স্ক্রিনে।

এইসব বিবিধ বিষয় আমি ফাইল-বন্দি করে

বাড়ি ফেরার কথা, ভাবছি। অনেক রাত হল

ভারতীয় বিভিন্ন ভাষার সাহিত্য থেকে যেমন অনূদিত, পড়েছি

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4879 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...