রাজশেখরের গীতাভাষ্য : সংশয়বাদ ও অভিজাততন্ত্র

আশীষ লাহিড়ী

 

পূর্ববর্তী সংখ্যার পর

 

দ্বৈত মান

এখানেই খটকা লাগে। বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতির অন্যতম শ্রদ্ধেয় প্রবক্তা রাজশেখরের কাছ থেকে এটা যেন আমরা প্রত্যাশা করি না। কেননা প্রাকৃতিক নিয়মাবলীর ক্ষেত্রে তিনি এক নৈর্ব্যক্তিক অলঙ্ঘনীয়তার কথা বলছেন :

‘বিজ্ঞান স্বীকার করে — এই জগৎ নিয়তির রাজ্য, সমস্ত ঘটনা কার্যকারণসূত্রে গ্রথিত অখণ্ডনীয়রূপে নিয়ন্ত্রিত।’

এমনকি আদি অর্থে অদৃষ্ট আর নিয়তির পার্থক্য কী, তার অনবদ্য ব্যাখ্যা দেন :

কতকগুলি জাগতিক ব্যাপার আমাদের বোধ্য বা সাধ্য, কিন্তু অধিকাংশই অবোধ্য বা অসাধ্য। প্রথমোক্ত বিষয়গুলি আমাদের ‘দৃষ্ট’ অর্থাৎ নির্ণেয়, শেষোক্ত বিষয়গুলি ‘অদৃষ্ট’ অর্থাৎ অনির্ণেয়। যাহা দৃষ্ট, তাহাতে আমাদের কিছু হাত আছে, যাহা অদৃষ্ট তাহাতে মোটেই হাত নাই। (১)

প্রাকৃতিক নিয়মাবলি অনুধাবনে মানদণ্ড তাঁর কাছে একটাই, অনেক নয়। কিন্তু সমাজের ক্ষেত্রে তিনিও একেবারে বিপরীত অবস্থান বেছে নিচ্ছেন। স্বীকার করছেন, এক-এক শ্রেণির জন্য এক-এক রকম নিয়ম প্রযোজ্য। গুণভিত্তিক বর্ণবিভাগ থেকে পরে জাতিভিত্তিক বর্ণবিভাগ ও কর্মবিভাগ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি ব্যাখ্যা করে তিনি স্পষ্টই বোঝান, গীতায় যে অর্থে স্বধর্মের কথা বলা হয়েছে, তার দিন ফুরিয়েছে, আধুনিক যুগে তা অর্থহীন।–

কোনও এককালে ভারতবর্ষে গুণকর্ম অনুসারে বর্ণবিভাগ হত, কিন্তু পরে বর্ণ, বৃত্তি ও ধর্ম জাতিগত হয়ে যায়। … সমাজের অধিকাংশ লোকই বর্ণগত ধর্মপালন করত। গীতায় স্বধর্ম শব্দের স্পষ্ট অর্থ — স্বীয় বর্ণের নির্দিষ্ট ধর্ম।

(হরপ্রসাদ মিত্র সম্পাদিত রাজশেখর গ্রন্থাবলী, জন্মশতবার্ষিকী সংস্করণ, পৃষ্ঠা ২০৫)

একালের কোনও আধুনিক বিজ্ঞানশিক্ষিত মনের পক্ষেই এই সংকীর্ণতাকে নৈতিকতা-সম্মত বলে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। রাজশেখরও এই প্রশ্নে বেশ বিচলিত। তিনি ‘গীতাযুগের সামাজিক অবস্থা’-র পরিপ্রেক্ষিতে ঐ ঘটনাটিকে বিচার করতে বলেন। অর্থাৎ তিনি মেনে নেন, ঐ ধারণা যুগোত্তীর্ণ নয়, কেবল ঐ বিশেষ যুগের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচার্য :

গীতাযুগের সামাজিক অবস্থা কল্পনা করলে এই অর্থ সংকীর্ণ বোধ হবে না। তখনকার শিক্ষার ধারা বর্ণ বা বংশগত ছিল; যে লোক যে বর্ণে জন্মাত সেই বর্ণের নির্দিষ্ট আচরণই তার পক্ষে সুসাধ্য এবং স্বভাবের অনুকূল হত।

(ঐ)

তিনি কিন্তু মানেন যে–

বর্তমান কালে বর্ণগত ধর্ম লোপ পেয়েছে, সেজন্য ‘স্বধর্মের’ প্রাচীন অর্থ ধরলে গীতার অর্থ নিরর্থক হয়। এখনকার সমাজে বর্ণগত কর্মভেদ নেই, গুণকর্ম অনুসারেও বর্ণভেদ নেই। ধর্ম পরিবর্তিত হয়েছে, কিন্তু নূতন ধর্মশাস্ত্র লিখিত হয় নি। এখন নিজের শিক্ষা, প্রতিবেশ, এবং স্বভাব বা রুচির অনুকূল ধর্মই স্বধর্ম।

(ঐ)

তাই যদি হয়, অর্থাৎ এ যুগে শ্রেণি ও বর্ণ নির্বিশেষে ব্যক্তিমানুষের যদি আপন আপন শিক্ষা, প্রতিবেশ, স্বভাব এবং রুচির অনুকূল কাজ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকে, তাহলে ইতর সাধারণের আদর্শ-বিপর্যয়ের এবং কুতর্ক-ভিত্তিক সমাজদ্রোহের আশঙ্কা দূর করার উপযোগী শাস্ত্র হিসেবে গীতার উপযোগিতার গুণকীর্তনের কোনও যুক্তি থাকে কি?

আধুনিক মানুষের কাছে গীতার অন্য অনেক অনুপযোগিতার কথা তিনি পরিষ্কারভাবেই বলেন–

গীতায় বহু প্রসঙ্গ আছে যা অনেক আধুনিক পাঠকের ধারণার বিরোধী। জন্মান্তরবাদ, দেহ থেকে উৎক্রান্ত সূক্ষ্মশরীর (১৫।৮), দেবযান, পিতৃযান (৯।২৫) প্রভৃতি, শ্রীকৃষ্ণের ব্রহ্মত্ব, এমনকি তাঁর ঐতিহাসিকত্ব অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য হতে পারে।

(ঐ, ২০৯)

গীতা সম্বন্ধে রাজশেখরের অস্বস্তির জায়গাগুলো পরপর সাজালে এইরকম দাঁড়ায় : ১) গীতা সর্বসাধারণের উদ্দেশে রচিত নয়, বিশেষ এক শ্রেণির মানুষের জন্য রচিত। ‘আপামর জনগণকে গীতা মুখস্থ করিয়ে কোনও লাভ নেই।’ ২) এর উদ্দেশ্য হল ইতর সাধারণের আদর্শ-বিপর্যয়ের এবং কুতর্ক-ভিত্তিক সমাজদ্রোহের আশঙ্কা নিরস্ত করার পথ দেখানো। মানুষ নিজের মতো ভাবতে শিখুক, এটা গীতাকারের কাম্য নয়। ৩) স্বধর্ম, যা গীতায় ব্যাখ্যাত ধারণাগুলির মধ্যে প্রধান, তা ঐ বিশেষ যুগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থময় হলেও আধুনিক পরিবেশে তা অর্থ হারিয়েছে, কেননা এখন নিজের শিক্ষা, প্রতিবেশ এবং স্বভাব বা রুচির অনুকূল ধর্মই স্বধর্ম। ৪) সেই অর্থে গীতা যুগোত্তীর্ণ নয়, তার মহিমা তার নিজ কালের উপযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ৫) সমাজের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে তা অত্যন্ত উপযোগী ছিল। সেই স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য নিজ বিশ্বাস-বিরোধী কৌশল, যে-ধারণা তাঁর নিজের মতেই মিথ্যা, তা প্রচার করতে গীতাকারের বিবেক দষ্ট হয়নি। অর্থাৎ সত্যনিষ্ঠা গীতার প্রধান গুণ নয়। কোসাম্বি-কথিত সুবিধাবাদই তার চরিত্রলক্ষণ। এখানে রাজশেখর যেন রবীন্দ্রনাথের সেই ব্যাখ্যাই মেনে নিয়েছেন : ‘গীতার মধ্যে কোনো একটা বিশেষ সময়ের বিশেষ প্রয়োজনের সুর আছে, তাই ওর নিত্য অংশের সঙ্গে ক্ষণিক অংশ জড়িয়ে গিয়ে কিছু যেন বিরোধ বাধিয়ে দিচ্ছে।’ মুশকিল হচ্ছে, তিনি সেটাকে রবীন্দ্রনাথের মতো গীতার অপকর্ষ বা ন্যূনতা বলে ব্যাখ্যা করছেন না, বরং সেটাকেই ওর কাম্য বৈশিষ্ট্য বলে মনে করছেন। ৬) গীতায় ব্যক্ত জন্মান্তরবাদ, সূক্ষ্মশরীর, দেবযান, পিতৃযান প্রভৃতি ধারণা বেশ কিছু লোকের কাছে বিজ্ঞান-বিরোধী বলে অগ্রহণীয়। রাজশেখরও তাদেরই মধ্যে পড়েন বলে অনুমান করা যেতে পারে। ৭) গীতায় যে নীতিশাস্ত্রের কথা বলা হয়েছে তা মানবতা-বিরোধী। যেহেতু তা সমাজের এক-এক গোষ্ঠীর মানুষের প্রতি এক-এক রকম মানদণ্ড প্রয়োগ করাটাকে ন্যায্য মনে করে। কিন্তু এটাও তাঁর মতে প্রয়োজনীয় জিনিস।

লক্ষণীয়, অক্ষয় দত্ত, রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেন এঁরা প্রত্যেকেই যে-নৈতিক সুবিধাবাদকে গীতার প্রধান দুর্বলতা বলে চিহ্নিত করেছেন, রাজশেখর সে-প্রসঙ্গটা নিয়ে ভাবিত নন। হৃত সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য এত বিপুল পরিমাণ নরহত্যাকে নৈতিক দিক দিয়ে সমর্থন করা যায় কি না, সেই প্রশ্নটা তিনি সরাসরি তোলেননি। ঘুরপথে যেভাবে প্রসঙ্গটা তুলেছেন তাতে দেখা যায়, ঐ ভয়ঙ্কর নরহত্যায় তাঁর অনুমোদনই ছিল :

গীতায় শান্ত সহিষ্ণু ম্রিদু অহিংস হবার বহু উপদেশ আছে, কিন্তু ক্লীবের তুল্য পীড়ন সইতেও নিষেধ আছে। দুষ্ট শত্রুর বিরুদ্ধে অর্জুনকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করাই গীতার উপলক্ষ। ‘তস্মাৎ যুদ্ধায় যুজ্যস্ব’ — এই বাক্য বহু স্থলে গীতাধর্ম বিবৃতির সহিত জড়িয়ে আছে। বিশ্বরূপ বর্ণনায় ব্রহ্মের ভয়াবহ সংহারমূর্তিই প্রকটিত হয়েছে। গীতার শৌর্যবীর্যাদি পুরুষোচিত গুণের এবং সমাজরক্ষার্থ নিষ্ঠুরতাও পরিপন্থী নয়।

(ঐ, ২০৯)

সমাজরক্ষার্থ? যে-সমাজে সাধারণ মানুষের কাজ হল পরিচালকদের কথা বিনা প্রশ্নে মেনে চলা, সেই সমাজরক্ষার্থ নিষ্ঠুরতার প্রয়োগ অনুমোদন করছেন রাজশেখর! এই নিষ্ঠুরতার ফল গোটা সমাজের পক্ষে কী ভয়াবহ হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করেছেন অমর্ত্য সেন। গীতার এই অ-নৈতিক সুবিধাবাদে ব্যাহত হয়েই রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছিলেন : ‘অর্জুনকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করবার জন্যে আত্মার অনশ্বরত্ব সম্বন্ধে যে উপদেশ আছে তার মধ্যেও বিশুদ্ধ সত্যের সরলতা নেই।’ কিন্তু রাজশেখর নির্বিকার। তাই আধুনিক বিজ্ঞান-অবহিত মানুষের চোখে গীতার নানারকম ছিদ্র আবিষ্কার করার পরেও তাঁর মন্তব্য :

কিন্তু সমস্ত অস্পষ্ট ও বিসংবাদী বিষয় বাদ দিলেও যা থাকে তা অতুলনীয়। বহু পূর্বে বহু প্রাচীন সংস্কারের মধ্যে রচিত হলেও সর্বকালের উপযোগী শ্রেষ্ঠ সাধনপদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।

(ঐ)

কী সেই সাধনপদ্ধতি যা বহু পূর্বে বহু প্রাচীন সংস্কারের মধ্যে রচিত হলেও রাজশেখরের মতে আধুনিক যুগেও মূল্য হারায়নি? প্রথমত, চরম মোক্ষলাভের পথে যেসব ‘সোপানের’ কথা বলা হয়েছে, ‘তাঁর কোনও পঙক্তিতে উঠতে পারলেও মানুষ কৃতার্থ হতে পারে — এও গীতার বক্তব্য।…… সাধারণ লোকের গীতাপাঠের এও সার্থকতা।’ (ঐ, ১৯৬) সেই সাধারণ লোক, যাদের ‘গীতা মুখস্থ করিয়ে কোনও লাভ নেই’ বলে তিনি মনে করেন! সর্বসাধারণের আত্মোন্নতির পথ রুদ্ধ করে এলিট অংশের আত্মোন্নতিতে নিযুক্ত সমাজকে নিশ্চয়ই সমদর্শী বলা যাবে না। বস্তুত সমদর্শী সমাজ গীতাকারের কাম্য তো নয়ই, কিন্তু — এইটাই দুঃখের কথা — রাজশেখরেরও কাম্য নয়। তাঁর মতে, গীতাকারের ‘আদর্শ রাজর্ষি জনক। যিনি উপযুক্ত অধিকারী, তিনি সমাজে থেকে নিজ স্বভাব অনুযায়ী সমাজধর্ম পালন করেও এই সাধনা করতে পারেন।’ (ঐ, ২০৮) আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে এর বিরুদ্ধে যা যা বলার থাকতে পারে, সেসবই রাজশেখরের জানা। তিনি সেগুলোর ন্যায্যতা পুরোপুরি অস্বীকারও করেন না। তা সত্ত্বেও তাঁকে বলতে হয়, ‘গীতায় সর্বকালের উপযোগী শ্রেষ্ঠ সাধনপদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।’ কোথাও কোথাও একটা মানসিক অন্ধবিন্দু তাঁর ছিল, যা তাঁর মতো যুক্তিসন্ধ মানুষকেও অভিভূত করে ফেলত। সেই বদ্ধ ধারণার বাধ্যবাধকতার বশেই তিনি এই ধরণের আত্মখণ্ডন করেছেন। জীবৎকালে তাঁর গীতা প্রকাশ করেননি কি এই জন্যেই?

উপসংহার

একথা ঠিক যে গীতাভাষ্যের মধ্যে রাজশেখরের স্বভাবসুলভ সংশয়বাদী বৈজ্ঞানিক যুক্তিমত্তার অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। তিনি যে চলতি পথের পথিক নন, তা পরিষ্কার। কিন্তু যখনই সমাজগঠনের কথা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন অংশের মানুষের অধিকারের কথা উঠেছে, তখনই বেরিয়ে পড়েছে তাঁর অভিজাততান্ত্রিক রূপ।

হয়তো বিজ্ঞানকেও রাজশেখর অভিজাততান্ত্রিক অবস্থান থেকে গ্রহণ করেছিলেন। জনসাধারণ বিজ্ঞানের ফল ভোগ করবে ঠিকই, এমনকি কিছুটা বিজ্ঞানমনস্কও হবে, কিন্তু বিজ্ঞান চর্চার অধিকার শুধু অভিজাতদেরই থাকবে। এ এক ধরণের আধুনিক ব্রাহ্মণ্যতন্ত্র। কার্ল পপারের মধ্যেও এই জিনিসটাই দেখতে পাই। তিনিও বিজ্ঞানকে — প্রাকৃতিক বিজ্ঞানকে — খুব শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন, এমনকি বিজ্ঞান-বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইও করেছিলেন, কিন্তু তাঁর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিটা ছিল ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক। তিনি মেনে নিয়েছিলেন যে পৃথিবীতে দারিদ্র, বঞ্চনা, বৈষম্য ও শোষণ থাকবেই। তারই মধ্যে কিছু লোক যদি আশ মিটিয়ে লিখতে পড়তে পারে, তো সেই অনেক। পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশ এবং উত্তর আমেরিকার সমাজ মেধাবী মানুষকে সেই সুযোগ দেয়, তাই তাঁর মতে সেই সমাজব্যবস্থাই শ্রেষ্ঠ। তিনি চান এক নব্য ব্রাহ্মণ্যতন্ত্র, যেখানে তাঁর মতো পণ্ডিতরা বিনা ব্যাঘাতে, সসম্মানে বিদ্যাচর্চা করতে পারবেন, বিনিময়ে শাসকদের যোগাবেন টিকে থাকার যুক্তি। জনসাধারণের কাজ হবে তাঁদের মতো ‘জ্ঞানীদের’ বলে-দেওয়া পথ অনুসরণ করা। রাজশেখর বসুও কি সেই অভিজাততান্ত্রিক নব-ব্রাহ্মণ্যবাদেরই পথিক?

(সমাপ্ত)

 

সূত্রনির্দেশ :

১) দীপংকর বসু (সম্পা.) রাজশেখর গ্রন্থাবলী, মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, ২০০১, পৃষ্ঠা ৪০

 

রচনাটি ‘জলার্ক’ পত্রিকার সৌজন্যে মানব চক্রবর্তীর দাক্ষিণ্যে প্রাপ্ত

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4879 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...