চার্লস বুকাওস্কি
বাংলায়ন : শুভঙ্কর দাশ
(চতুর্থ পর্বের পর)
৯/২৬/৯১
রাত ১১-৩৬
নতুন বইটার একটা নাম। ঘোড়দৌড়ের মাঠে বসে ভাবছিলাম একটা নাম। ওই এক জায়গা যেখানে ভাবা যায় না। ওটা তোমার মস্তিষ্ক আর মনন চুষে খায়। চুষে মাল বের করে দেওয়ার মতো জায়গা ওটা। আর আমি অনেক রাত ঘুমোচ্ছিলাম না। কিছু একটা আমার প্রাণরস শুষে নিচ্ছিল।
রেসের মাঠে সেই একা লোকটাকে দেখলাম। ‘কেমন আছ চার্লস?’ ‘ঠিকঠাক’ আমি তাকে বললাম, তারপর সরে গেলাম সেখান থেকে। ও চাইছিল সতীর্থর মতো বন্ধুত্ব আর আস্থা। ও অনেক বিষয়ে কথা বলতে চাইছিল। ঘোড়াদের নিয়ে। ঘোড়াদের নিয়ে কথা বলা যায় না। কয়েকটা দৌড় হয়ে গেল আর দেখি সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে একটা স্বয়ংক্রিয় বেটিং মেশিনের উপর দিয়ে। বেচারা লোকটা। আমি বাইরে গিয়ে বসলাম আর একটা পুলিশ আমার সাথে কথা বলতে শুরু করল। ওরা নিজেদের নিরাপত্তা বাহিনীর লোক বলে। ‘ওরা বাজির সংখ্যা নির্ণায়ক যন্ত্রটা সরিয়ে দিচ্ছে’, সে বলল। ‘হ্যাঁ’, আমি বললাম। ওরা মাটি খুঁড়ে ওটাকে তুলে আরও পশ্চিম দিকে সরিয়ে দিচ্ছে। যাক, লোকজনের কাজ জুটল। আমার ভালো লাগে যখন লোকে কাজ করে। আমার মনে হল এই নিরাপত্তা বাহিনীর লোকটা আমার সাথে কথা বলে বুঝতে চাইছে আমি পাগল কিনা। হয়ত ও পাগল নয়। কিন্তু কল্পনাটা আমি পেয়ে গেছি। কল্পনাদের আমি আসতে দি এভাবে। আমি পেট চুলকে ভান করলাম যে আমি একটা ভদ্র ভালো বুড়ো। ‘ওরা আবার লেকটাকে এখানে ফিরিয়ে আনবে’, আমি বলি। ‘হ্যাঁ’, সে বলে। ‘এই জায়গাটার নাম ছিল লেক আর ফুলের ট্র্যাক।’ ‘তাই?’ সে বলে ‘হ্যাঁ’, আমি তাকে বলি, ‘ওরা একটা গুস গার্ল প্রতিযোগিতা করত। ওরা একজন গুস গার্ল-কে বাছত আর সে একটা নৌকো নিয়ে পাক মারত গিস-এর চারদিকে। খুব ক্লান্তিকর একটা কাজ।’ ‘হ্যাঁ’, পুলিশটা বলে। ও স্রেফ ওখানে দাঁড়িয়ে থাকে। আমি উঠে পড়ি। ‘বেশ তাহলে’, আমি বলি, ‘আমি একটা কফির জন্য যাব। চাপ নিও না।’ ‘ঠিক আছে’, সে বলে, ‘এমন বাছো যাতে সেগুলো জেতে।’
‘তুমিও বন্ধু’, আমি বলি। তারপর চলে যাই ওখান থেকে।
একটা নাম। আমার মাথাটা ফাঁকা হয়ে আছে। ঠাণ্ডা পড়ছে আস্তে আস্তে। একজন বুড়োচোদার উচিৎ এখন জ্যাকেটটা নিয়ে আসা, ভাবলাম আমি। আমি চলমান সিঁড়ি দিয়ে ৪ তলা থেকে নিচে নেমে এলাম। কে আবিষ্কার করেছিল এই চলমান সিঁড়ি? চলন্ত পদক্ষেপ। এবার পাগলামি নিয়ে কথা হোক। লোকজন উঠছে নামছে চলমান সিঁড়ি বেয়ে, লিফট বেয়ে, গাড়ি চালাচ্ছে, একটা বোতামের চাপে খুলে যাচ্ছে গ্যারাজের দরজা। তারপর তারা ক্লাবে যায় ফ্যাট ঝরাতে। ৪০০০ বছরের ভেতর আমাদের আর কোনও পা থাকবে না। আমরা আমাদের পোঁদ নাড়তে নাড়তে ঘষে ঘষে চলব আমরা, বা হয়ত আমরা টামবলউইডের মতো গড়িয়ে গড়িয়ে চলব। প্রতিটা প্রজাতিই ধ্বংস করে নিজেকে। ডাইনোসরকে যা খতম করেছিল তা হল ওরা খেয়ে ফেলেছিল সব যা ছিল ওদের চারদিকে আর তারপর ওদের খেতে হয়েছিল একে অপরকে যা শেষমেশ নিয়ে এসেছিল একটা ডাইনোসরে আর সে বোকাচোদা মরে গিয়েছিল না খেয়ে।
আমি গাড়ির কাছে গিয়ে আমার জ্যাকেটটা নিলাম। পরে ফেললাম তারপর চলমান সিঁড়ি বেয়ে ফের উঠে এলাম। নিজেকে একটা প্লেবয়, বেশ্যার মতো মনে হচ্ছিল -– চলে গিয়ে আবারও ফিরে আসা একই জায়গায়। কারও সাথে যেন গোপন শলাপরামর্শ করে এলাম আমি।
যাকগে, দান দিলাম আমি, ভাগ্য সদয় ছিল খানিক। ১৩ নং দৌড়ের ভেতর অন্ধকার হয়ে গেল আর বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। আমি মিনিট দশেক আগে বাজি ধরেছিলাম আর কেটে গেছিলাম। ট্র্যাফিক খুব সাবধানে চলেছে। এল এ ড্রাইভারেরা খুব ভয় পায় বৃষ্টিকে। একগাদা লাল আলোর পেছন পেছন আমি উঠলাম গিয়ে ফ্রিওয়েতে। আমি রেডিয়ো চালাইনি। আমি চাইছিলাম নীরবতা। একটা নাম মাথার ভেতর খেলছিল -– মোহমুক্তদের জন্য বাইবেল। না না একদম ভালো না। আমি মনে করলাম সেরা নামগুলো। মানে অন্যান্য লেখকদের। কাঠ আর পাথরের কাছে মাথা নত করো। দারুণ নাম, খুব খারাপ লেখক। নোটস ফ্রম দা আন্ডারগ্রাউন্ড। দারুণ নাম। দারুণ লেখক। আর, দা হার্ট ইজ এ লোনলি হান্টার, কার্সন ম্যাককুলারস, পাত্তা দেওয়া হয় না এমন একজন লেখক। আমার ডজন খানেক বইয়ের নামের ভেতর যেটা আমার সব থেকে ভালো লাগে সেটা হল, কনফেশান্স অফ এ ম্যান ইনসেন এনাফ টু লিভ উইথ বিস্টস। কিন্তু ওটা গেছে একটা সামান্য মিমিও প্যাম্ফেটে। খুব খারাপ।
তারপর ফ্রিওয়েতে থেমে গেল সব গাড়ি আর আমি বসে রইলাম চুপচাপ। কোনও নাম নেই। মাথাটা ফাঁকা। মনে হচ্ছিল টানা ঘুমোই এক সপ্তাহ। ভাগ্যিস নোংরা ফেলার টিনগুলো বাইরে রেখে এসেছিলাম। খুব ক্লান্ত লাগছিল। এখন আর করতে হবে না। ওই নোংরা ফেলার টিনের ঝামেলা। এক রাতে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, মাতাল হয়ে, ওই নোংরা ফেলার টিনগুলোর ওপর। নিউ ইয়র্ক শহরে। আমাকে জাগিয়ে দিয়েছিল একটা ধেড়ে ইঁদুর, সে ব্যাটা তখন আমার পেটের উপর বসে আছে। আমারা দুজনেই একসাথে হাওয়ায় ৩ ফুট উঁচুতে লাফিয়ে উঠেছিলাম। তখন আমি একজন লেখক হতে চেষ্টা করছিলাম। এখন মনে করা হয় আমি একজন লেখক আর আমি একটা নাম খুঁজে পাচ্ছি না। আমি একটা নকল মাল। ট্র্যাফিক আবার নড়তে শুরু করেছে আর আমি চলেছি পিছনে পিছনে। কাউকে চেনে না কেউ সেটাই ভালো। ঠিক তখন একটা বিদ্যুৎ চমক এসে পড়ল ফ্রিওয়ের উপর। আর এই প্রথম সেদিন আমার ভালো লাগল বেশ।
৯/৩০/৯১
রাত ১১-৩৬
তো কয়েকদিন ফাঁকা মাথায় ভাবার পর আজ সকালে জেগে উঠেছিলাম আর বইয়ের নামটা পেলাম, স্বপ্নে এসেছিল নামটা, দা লাস্ট নাইট অফ দা আর্থ পোয়েমস। ভেতরের লেখার সাথে এর যোগ আছে, শেষের কবিতা সব, অসুস্থতা আর মৃত্যুর। অন্যান্য লেখার সাথে মেশানো অবশ্য। খানিকটা মাজাকিও রয়েছে। নামটা এই বইটার জন্য সঠিক এবং এ সময়ের জন্যও। একবার আপনি নামটা পেলে তা ভেতরের সবকিছুকে আঁটকে দিতে পারে, কবিতাগুলো কোনটার পর কোনটা যাবে তা টের পাওয়া যায়। আর আমার এই নামটা ভালো লাগছে। এরকম নামের একটা বই পেলে আমি হাতে তুলে নিয়ে কয়েকটা পাতা পড়তে চেষ্টা করব। কিছু কিছু বইয়ের নাম মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য বড় রঙ চড়ানো। ওতে কোনও লাভ হয় না কারণ মিথ্যেটা কাজ দেয় না।
বেশ আমার কাজটা হয়ে গেছে। এবার কী? উপন্যাস আর আরও কবিতার কাছে ফিরে যাওয়া। ছোট গল্পের কী হল? ওটা আমায় ছেড়ে গেছে। একটা কারণ আছে নিশ্চয়ই কিন্তু আমি জানি না সেটা কী। ওটা নিয়ে কাজ করলে আমি কারণটা বুঝতে পারতাম কিন্তু ওটা নিয়ে কাজ করে কোনও লাভ নেই। মানে আমি বলতে চাইছি যে সময়টা উপন্যাস বা কবিতার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বা আমার পায়ের নোখ কাটার জন্যও করা যেতে পারে।
জানেন পায়ের নোখ কাটার একটা ভদ্র যন্ত্র কারও আবিষ্কার করা উচিৎ। আমি জানি এটা করা যেতে পারে। যেগুলো ওরা আমাদের দেয় এই কাজের জন্য সেগুলো খুব বিশ্রী আর নিরুৎসাহ সঞ্চারী। আমি পড়েছিলাম স্কিড রোয়ে একটা লোকের কথা যে এক জোড়া নোখ কাটার যন্ত্র দিয়ে একটা মদের দোকান লুটতে গেছিল। ওখানেও সেটা কাজে দেয়নি। দস্ত্যেভস্কি কীভাবে তার পায়ের নোখ কাটতেন? ভ্যান গখ? বেথোভেন? কাটতেন কি? আমি বিশ্বাস করি না। আমি লিন্ডাকে দিতাম আমারটা কাটতে। ও দারুণ কাটত -– শুধু মাঝে মাঝে অল্প খানিক মাংস কেটে ফেলত। আর আমার তো যন্ত্রণা ছিলই। সবরকমের।
আমি জানি আমি মারা যাব শিগগিরি আর ব্যাপারটা আমার কাছে খুব অদ্ভুত। আমি স্বার্থপর। আমি শুধু চাই আমার গাঁড় আরও কিছু শব্দ লিখুক। ওটা আমার ভেতর দ্যুতি ভরে দেয়, আমাকে ছুঁড়ে দেয় সুবর্ণ বাতাসে। কিন্তু সত্যি আর কতদিন আমি চালিয়ে যেতে পারব? এভাবে চালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। মৃত্যু তো আসলে ট্যাঙ্কের ভেতরে পোরা গ্যাসোলিন। আমাদের ওটা চাই। আমার ওটা চাই। আপনার ওটা চাই। আমরা যদি বেশিদিন থাকি নোংরা করে ফেলি জায়গাটাকে।
অদ্ভুত ব্যাপার, আমার মনে হয়, মরে যাওয়ার পর মানুষের জুতোর দিকে তাকানো। সব থেকে দুঃখজনক ওটা। যেন ওদের ব্যক্তিত্বের বেশিটাই ওই জুতোর ভেতর রয়ে গেছে। জামাকাপড়ে না। জুতোর ভেতর। বা একটা টুপিতে। বা এক জোড়া হাতমোজায়। আপনি একজন সদ্য মারা যাওয়া লোকের কথা ধরুন। বিছানায় তাদের টুপি, হাতমোজা, জুতো রাখুন আর দেখুন সেদিকে, আপনি পাগল হয়ে যাবেন। ওরকম করবেন না। যাকগে, ওরা হয়ত এমন কিছু জানে যা আপনি জানেন না। হয়ত।
ঘোড়দৌড়ের শেষ দিন আজ। আমি ইন্টার-ট্র্যাক বাজি ধরলাম হলিউড পার্কে, ফেয়ারপ্লেক্স পার্কের জন্য। ১৩টা রেসের জন্যই বাজি ধরলাম। দিনটা শুভ ছিল। বেরিয়ে এলাম একদম চাঙ্গা আর মজবুত। আজ ওখানে বিরক্তও হইনি। নিজেকে ফিটফাট লাগছিল, সংস্পর্শে আছি খেলাটার। যখন আপনি ভালো আছেন, ব্যাপারটা দারুন। আপনি লক্ষ করবেন অনেক কিছু। যেমন গাড়ি চালিয়ে ফিরে যেতে যেতে দেখবেন আপনার গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল। যন্ত্রপাতির প্যানেলটা। মনে হবে আপনি যেন বাঁড়া একটা মহাকাশযানে আছেন। জ্যামে পড়ছেন আর বেরোচ্ছেন, দক্ষভাবে, আনতাবড়ি নয়। স্পিড় আর দূরত্ব সঠিকভাবে মেপে। বোকা বোকা ব্যাপার। কিন্তু আজ তা নয়। আপনি আজ তুরীয় মেজাজে আছেন আর সেভাবেই থাকবেন। কী অদ্ভুত। কিন্তু এটা নিয়ে আপনি বিচলিত হবেন না। কারণ আপনি জানেন এটা স্থায়ী নয়। আগামীকাল ছুটি। অক্টোবর ২ তারিখে ওকট্রি মিট। এই মিটগুলো ঘুরে ঘুরে হয়। হাজার হাজার ঘোড়া দৌড়োয়। জোয়ার-ভাটার মতোই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তাদের কিছুটা অংশ।
এমনকি একটা পুলিশের গাড়িও দেখলাম আমার পিছু পিছু আসছে হার্বার ফ্রিওয়ে দক্ষিণে। ঠিক সময়ে দেখছিলাম। আমি গাড়ি ৬০-এ নিয়ে এলাম। হঠাৎ দেখি ও পিছনে রয়ে গেল। আমি ৬০-এ ধরে রাখলাম। ও আমাকে প্রায় ধরে ফেলেছিল ৭৫-এ। ওরা অ্যাকুরা গাড়িকে ঘেন্না করে। আমি ৬০-এ রইলাম। মিনিট ৫-এক। সে আমার পাশ দিয়ে গর্জন করে বেরিয়ে গেল প্রায় ৯০-তে। বিদায়, বিদায় বন্ধু। আমি সবার মতোই পুলিশের কেশ খেতে চাই না। আপনাকে রিয়ার ভিউ মিরারটা ব্যবহার করে যেতে হবে। এটা খুব সোজা। কিন্তু শেষ অবধি কেশটা খেতেই হয়। আর যখন তা ঘটবে এটা ভেবে আনন্দে থাকুন যে আপনি মাতাল বা ড্রাগের নেশায় আচ্ছন্ন নন। যাকগে, বইয়ের নামকরণ্টা হয়ে গেছে।
আর এখন আমি ওপর তলায় ম্যাকিন্টসের সাথে আর একটা বিস্ময়কর শূন্যতা আমার সামনে। একটা বাজে বাজনা বাজাচ্ছে রেডিয়োতে কিন্তু আপনি তো আর ১০০% দিন পেতে পারেন না। আপনি যদি ৫১ পান, তাহলেও জিতে গেছেন আপনি। আজ তো ৯৭ মার্কা একটা দিন।
মেলার একটা বিশাল নতুন উপন্যাস লিখেছিল সি আই এ ইত্যাদি নিয়ে। নরমান একজন প্রফেশানাল লেখক। সে একবার আমার বৌকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘হ্যাঙ্ক আমার লেখা পছন্দ করে না, তাই না?’ নরমান খুব কম লেখকই অন্য লেখকের লেখা পছন্দ করে। একটা সময়ই তারা পছন্দ করে অন্য লেখককে, যখন তারা মৃত বা অনেকদিন ধরে যারা মরে আছে তাদের। লেখকরা শুধু চাপাতে চায় তাদের নিজের গুয়ের ন্যাড়। আমি ওদেরই মতো একজন। আমার তো অন্য লেখকদের সাথে কথা বলতেও ইচ্ছে করে না, দেখতেও বা আরও খারাপ তাদের কথা শুনতে। আর সব থেকে খারাপ হল তাদের সাথে মাল খাওয়া, তারা টসটস করে লালা ফেলে নিজের সারা গায়ে, করুণা উদ্রেক হয় দেখলে, যেন মায়ের ডানা খুঁজে মরছে।
আমি লেখকদের ছেড়ে বরং মৃত্যুর কথা ভাবতে পছন্দ করি। অনেক মনোরম।
আমি এই রেডিয়োটা এবার বন্ধ করব। কম্পোজাররাও অনেক সময় বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে। আমাকে যদি কথা বলতেই হয় তবে আমি চাইব একজন কম্পিউটার সারাইয়ের লোক বা সৎকার ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলতে। মাল ছাড়া বা মাল খেতে খেতে। মাল খেতে খেতে হলে বেশি ভালো।
(ষষ্ঠ পর্ব আগামী সংখ্যায়)